১৮১. হযরত আম্মার ইবন ইয়াসির (রাযিঃ) বলেনঃ যে কেহ তাহার গােলামকে প্রহার করিবে নির্যাতকরূপে, তাহাকেই কিয়ামতের দিন শৃঙ্খলে আব্দ্ধ করা হইবে ।

১৮২. আবু লায়লা বলেন, হযরত সালমান (রাযিঃ) একদা বাহির হইলেন। তখন তাহার বাহন পশুটির ঘাস হাওদা হইতে রাস্তায় পড়িতেছিল। তখন তিনি (ক্রুদ্ধ হইয়া) গােলামকে বলিলেনঃ যদি আমার কিসাসের ভয় না হইত, তবে আমি তােকে ভীষণ শাস্তি দিতাম।

১৮৩. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ হকসমূহ অবশ্যই হকদারদের নিকট পৌছাইয়া দেওয়া হইবে, এমন কি শিংবিহীন ছাগীকেও শিংওয়ালা ছাগীর নিকট হইতে প্রতিশােধ লইয়া দেওয়া হইবে।

১৮৪. হযরত উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, একদা নবী করীম (ﷺ) তাঁহার গৃহে অবস্থান করিতে ছিলেন। এমন সময় তিনি তাঁহার বা উম্মে সালামার জনৈকা দাসীকে ডাকিলেন। সে আসিতে বিলম্ব করিল। ইহাতে নবী করীম (ﷺ)-এর মুখমণ্ডলে রাগের চিহ্ন সুস্পষ্ট হইয়া উঠিল। তখন উম্মে সালামা (রাযিঃ) উঠিয়া পর্দার দিকে গেলেন এবং তাহাকে খেলাধূলাতে মত্ত দেখিতে পাইলেন। তখন তাহার হাতে মিস্ওয়াক ছিল। তিনি বলিলেনঃ যদি কিয়ামতের দিন শাস্তির ভয় না ইহত, তাহা হইলে এই মিস্ওয়াকের দ্বারা তােকে ভীষণ প্রহার করিতাম। মুহাম্মাদ ইবন হায়সাম উহাতে আর একটু যােগ করিয়া বলিলেনঃ দাসীটা তখন একটি পােষা জন্তু নিয়া খেলিতেছিল। হযরত উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেনঃ যখন তাহাকে নিয়া আমি নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হইলাম, তখন আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে তাে শপথ করিয়া বলিতেছে যে সে আপনার ডাক শুনিতে পায় নাই। তিনি আরাে বলেনঃ এবং তখন তাহার হাতে মিস্ওয়াক ছিল।

১৮৫. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফরমাইয়াছেনঃ যে ব্যক্তি কাহাকেও প্রহার করিবে, কিয়ামতের দিন তাহার প্রতিশােধ লইয়া দেওয়া হইবে।

১৮৬. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কাহাকেও অন্যায়ভাবে প্রহার করিবে, কিয়ামতের দিন তাহার নিকট হইতে উহার প্রতিশােধ লওয়া হইবে।