আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১৮- বিবিধ প্রসঙ্গ। - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৯৫৯
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৫৯। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ বলেনঃ (রাতের বেলা) ঘরের দরজা বন্ধ করে দাও, পানির কলসের মুখ বেঁধে দাও, পাত্রের মুখ ঢেকে দাও অথবা বলেছেন, কাপড় বেঁধে দাও এবং বাতি নিভিয়ে দাও। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না এবং মুখ বাঁধা কলস ও ঢাকা পাত্রও খুলতে পারে না। ইঁদুর লোকদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়।
بَابُ: النَّوَادِرِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ الْمَكِّيُّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَغْلِقُوا الْبَابَ، وَأَوْكُوا السِّقَاءَ، وَأَكْفِئُوا الإِنَاءَ، أَوْ خَمِّرُوا الإِنَاءَ، وَأَطْفِئُوا الْمِصْبَاحَ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لا يَفْتَحُ غَلَقًا، وَلا يَحُلُّ وِكَاءً، وَلا يَكْشِفُ إِنَاءً، وَإِنَّ الْفُوَيْسِقَةَ تُضْرِمُ عَلَى النَّاسِ بَيْتَهُمْ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৬০
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৬০। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ মুসলমান এক অন্ত্রে খায় এবং কাফের সাত অন্ত্রে খায়।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُ يَأْكُلُ فِي مِعًى، وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৬১
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৬১ । সাফওয়ান ইবনে সুলাইম (রাহঃ) থেকে মারফূ সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ বিধবা ও মিসকীনদের সেবাকারী আল্লাহর পথের সৈনিক অথবা দিনে রোযা পালনকারী ও রাতে নফল নামায আদায়কারীর সমান (মর্যাদার অধিকারী)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا صَفْوَانُ بْنُ سُلَيْمٍ، يَرْفَعُهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «السَّاعِي عَلَى الأَرْمَلَةِ وَالْمِسْكِينِ، كَالَّذِي يُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، أَوْ كَالَّذِي يَصُومُ النَّهَارَ وَيَقُومُ اللَّيْلَ» ،
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৬২
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৬২। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي ثَوْرُ بْنُ زَيْدٍ الدِّيلِيُّ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ مَوْلَى أَبِي مُطِيعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِثْلَ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৬৩
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৬৩। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ আল্লাহ যার কল্যাণ সাধন করতে চান তাকে বিপদে নিক্ষেপ করেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَعْصَعَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ يَسَارٍ أَبَا الْحُبَابِ، يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُصِبْ مِنْهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৯৬৪
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৬৪ । আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ নারী, বাড়ি ও ঘোড়ার মধ্যে অশুভ লক্ষণ রয়েছে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ

ان كان الشوم في شيئ ففي الدار والمرأة والفرس

“কোন জিনিসের মধ্যে যদি অশুভ লক্ষণ থাকতো, তবে তা নারী, বাড়ি ও ঘোড়ার মধ্যেই থাকতো।”**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، وَحَمْزَةَ ابْنَيْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ الشُّؤْمَ فِي الْمَرْأَةِ وَالدَّارِ وَالْفَرَسِ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: إِنَّمَا بَلَغَنَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنْ كَانَ الشُّؤْمُ فِي شَيْءٍ فَفِي الدَّارِ وَالْمَرْأَةِ وَالْفَرَسِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৬৫
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৬৫। আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার (রাহঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-র সাথে বাজারের মধ্যে খালিদ ইবনে উকবা (রাযিঃ)-র ঘরের কাছে ছিলাম। এক ব্যক্তি এসে তার সাথে গোপনে কিছু কথা বলতে চাইলো। সেখানে সাথে আমি এই ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিলো না। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) অপর এক ব্যক্তিকে ডাকলেন। এখন আমাদের সংখ্যা হলো চার। ইবনে উমার (রাযিঃ) আমাকে এবং এই শেষোক্ত ব্যক্তিকে বললেন, তোমরা দু'জন একটু দূরে সরে যাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতে শুনেছিঃ “দুই ব্যক্তি একজনকে একাকী রেখে যেন কানকথা না বলে।"
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بِالسُّوقِ عِنْدَ دَارِ خَالِدِ بْنِ عُقْبَةَ، فَجَاءَ رَجُلٌ يُرِيدُ أَنْ يُنَاجِيَهُ، وَلَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ غَيْرِي، وَغَيْرُ الرَّجُلِ الَّذِي يُرِيدُ أَنْ يُنَاجِيَهُ فَدَعَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ رَجُلا آخَرَ حَتَّى كُنَّا أَرْبَعَةً، قَالَ: فَقَالَ لِي وَلِلرَّجُلِ الَّذِي دَعَا: اسْتَرْخِيَا شَيْئًا فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لا يَتَنَاجَى اثْنَانِ دُونَ وَاحِدٍ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৬৬
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৬৬। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “এমন একটি গাছ আছে যার পাতা ঝড়ে না। তা মুসলিম ব্যক্তির অনুরূপ। বলো, সেই গাছ কোনটি?” আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, লোকেরা বন-জঙ্গলের গাছের কথা চিন্তা করতে লাগলো। আমার মনে ধারণা জাগলো যে, তা খেজুর গাছ। কিন্তু তা প্রকাশ করতে আমি সংকোচ বোধ করলাম। লোকেরা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের বলে দিন, সেটি কি গাছ? তিনি বলেনঃ 'খেজুর গাছ।' আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, পরে আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-র কাছে আমার মনের কথাটি খুলে বললাম। উমার (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! তুমি যদি তা বলে দিতে তবে তা আমার কাছে এতো এতো পরিমাণ (অঢেল) সম্পদ থাকার চেয়েও আনন্দের বিষয় হতো।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ مِنَ الشَّجَرِ شَجَرَةً لا يَسْقُطُ وَرَقُهَا، وَإِنَّهَا مَثَلُ الْمُسْلِمِ فَحَدِّثُونِي مَا هِيَ» ؟ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: فَوَقَعَ النَّاسُ فِي شَجَرِ الْبَوَادِي، فَوَقَعَ فِي نَفْسِي أَنَّهَا النَّخْلَةُ، قَالَ: فَاسْتَحْيَيْتُ، فَقَالُوا: حَدِّثْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هِيَ؟ قَالَ: «النَّخْلَةُ» ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: فَحَدَّثْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بِالَّذِي وَقَعَ فِي نَفْسِي مِنْ ذَلِكَ، فَقَالَ عُمَرُ: وَاللَّهِ لأَنْ تَكُونَ قُلْتَهَا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يَكُونَ لِي كَذَا وَكَذَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৬৭
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৬৭ । ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ গিফার গোত্রকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন, আসলাম গোত্রকে আল্লাহ হেফাজতে রেখেছেন এবং উসাইয়্যা গোত্রের লোকেরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করেছে।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: قَالَ ابْنُ عُمَرَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " غِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا، وَأَسْلَمُ: سَالَمَهَا اللَّهُ، وَعُصَيَّةُ: عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৬৮
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৬৮ । ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে (নির্দেশ) শোনা ও আনুগত্য করার জন্য বাইআত হতাম তখন তিনি আমাদের বলতেনঃ “তোমাদের সামর্থ্যে যতোদূর কুলায়।”
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: " كُنَّا حِينَ نُبَايِعُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى السَّمْعِ، وَالطَّاعَةِ يَقُولُ لَنَا: فِيمَا اسْتَطَعْتُمْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৯৬৯
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৬৯। ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ হিজর-এর অধিবাসীদের সম্পর্কে বলেনঃ “আল্লাহর গযবে নিপতিত এই জাতির এলাকায় তোমরা প্রবেশ করো না, কিন্তু ক্রন্দনরত অবস্থায় (প্রবেশ করো)। যদি কাঁদতে না পারো তবে সেখানে যেও না। কেননা হয়তো তোমাদের উপরও এদের অনুরূপ গযব এসে পড়তে পারে।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لأَصْحَابِ الْحِجْر: «لا تَدْخُلُوا عَلَى هَؤُلاءِ الْقَوْمِ الْمُعَذَّبِينَ إِلا أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ، فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا بَاكِينَ، فَلا تَدْخُلُوا عَلَيْهِمْ أَنْ يُصِيبَكُمْ مِثْلُ مَا أَصَابَهُمْ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৯৭০
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৭০। আবু মুহায়রীয (রাহঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কতিপয় সাহাবীকে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের আলামতসমূহের মধ্যে একটি আলামত এই যে, কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে কারো ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতে দেখবে। সে যে দুষ্কর্ম করার জন্য ঘরে প্রবেশ করছে তাতে তার কোন সন্দেহ থাকবে না। দর্শনকারীও প্রবেশকারীর মাঝে কেবল দেয়ালের প্রতিবন্ধক থাকবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ، عَنْ أَبِي مُحَيْرِيزٍ، قَالَ: أَدْرَكْتُ نَاسًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُونَ: «مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ الْمَعْلُومَةِ الْمَعْرُوفَةِ، أَنْ تَرَى الرَّجُلَ يَدْخُلُ الْبَيْتَ لا يَشُكُّ مَنْ رَآهُ أَنْ يَدْخُلَهُ لِسُوءٍ، غَيْرَ أَنَّ الْجُدُرَ تُوَارِيهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৭১
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৭১। আবু সুহাইল (রাহঃ) বলেন, আমি আমার পিতা (মালেক ইবনে আবু আমের আল-আসবাহী)-কে বলতে শুনেছিঃ আমি নামাযের আযান ছাড়া আর কোন জিনিসই এমন দেখছি না, যা রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর যুগের মতো অবিকল ও অবিকৃত অবস্থায় কায়েম আছে।.
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي عَمِّي أَبُو سُهَيْلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي، يَقُولُ: «مَا أَعْرِفُ شَيْئًا مِمَّا كَانَ النَّاسُ عَلَيْهِ إِلا النِّدَاءَ بِالصَّلاةِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৭২
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৭২। ইমাম মালেক (রাহঃ) বলেন, আমাকে এক ব্যক্তি অবহিত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ “আমাকে ভুলিয়ে দেয়া (ভুলে যাওয়া, মনে না থাকা) হয়, যাতে আমি (ভুল হয়ে গেলে কি করতে হবে সেই) সুন্নত প্রবর্তন করতে পারি।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي مُخْبِرٌ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنِّي أُنَسَّى لِأَسُنَّ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৭৩
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৭৩। উবাদা ইবনে তামীম (রাহঃ) থেকে তার চাচার (উতবা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে মসজিদে নববীতে তাঁর এক হাত অপর হাতের উপর রেখে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতে দেখেছেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ بْنُ أَنَسٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ عُتْبَةَ، أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مُسْتَلْقِيًا فِي الْمَسْجِدِ، وَاضِعًا إِحْدَى يَدَيْهِ عَلَى الأُخْرَى»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৯৭৪
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৭৪। ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) এবং উছমান (রাযিঃ)-ও তাই করতেন।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এরূপ শোয়ায় আমরা দোষ মনে করি না। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، وَعُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُمَا «كَانَا يَفْعَلانِ ذَلِكَ»
قَالَ مُحَمَّدٌ: لا نَرَى بِهَذَا بَأْسًا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৭৫
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৭৫। ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেন, আয়েশা (রাযিঃ)-কে বলা হলো, আপনাকেও যদি তাঁদের (নবী ﷺ ও আবু বাকর ) সাথে দাফন করা হয় (অর্থাৎ আপনি যদি এই ওসিয়াত করে যেতেন)। রাবী বলেন, আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, তাহলে আমিই প্রথম ওসিয়াতকারী হতাম (অন্যরা একাজ করলে, আমিও করতাম)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: قِيلَ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا " لَوْ دُفِنْتِ مَعَهُمْ؟ قَالَ: قَالَتْ: «إِنِّي إِذًا لَأَنَا الْمُبْتَدِئَةُ بِعَمَلِي»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৭৬
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৭৬। ইমাম মালেক (রাহঃ) বলেন, সালামা (রাহঃ) উমার ইবনে আব্দুল্লাকে বলেন, উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-কে তাদের (রাসূল ﷺ, আবু বাকর ও উমার) সাথে দাফন করা হয়নি কেন? তিনি এর জবাবদানে বিরত থাকলেন। সালামা পুনরায় একই প্রশ্ন করলেন। উমার ইবনে আব্দুল্লাহ বলেন, লোকজন সেদিন গোলযোগে জর্জরিত ছিলো।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، قَالَ: قَالَ سَلَمَةُ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ: " مَا شَأْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ لَمْ يُدْفَنْ مَعَهُمْ؟ فَسَكَتَ ثُمَّ أَعَادَ عَلَيْهِ قَالَ: إِنَّ النَّاسَ كَانُوا يَوْمَئِذٍ مُتَشَاغِلِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৭৭
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৭৭। আতা ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেনঃ “যে ব্যক্তি দু'টি জিনিসের খারাবী থেকে বেঁচে থাকবে সে বেহেশতে প্রবেশ করবে।” তিনি একথা তিনবার বলেছেন যে, যে ব্যক্তি দু'টি জিনিসের দুষ্কৃতি থেকে দূরে থাকবে সে বেহেশতে প্রবেশ করবে। এর একটি যা দুই চোয়ালের মাঝখানে অবস্থিত (মুখ) এবং অপরটি যা দুই পায়ের মাঝখানে অবস্থিত (যৌনাঙ্গ)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ وُقِيَ شَرَّ اثْنَيْنِ وَلَجَ الْجَنَّةَ، وَأَعَادَ ذَلِكَ ثَلاثَ مَرَّاتٍ، مَنْ وُقِيَ شَرَّ اثْنَيْنِ وَلَجَ الْجَنَّةَ مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৭৮
বিভিন্ন কাজের বর্ণনা।
৯৭৮। ইমাম মালেক (রাহঃ) বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) বলতেনঃ “আল্লাহর যিকির ছাড়া অন্য কথা বেশী বলো না। কেননা তাতে অন্তর পাষাণ হয়ে যায় এবং পাষাণ হৃদয় আল্লাহর রহমাত থেকে বঞ্চিত থাকে। কিন্তু তোমরা তা জানো না। লোকদের গুনাহসমূহ এমন দৃষ্টিতে দেখো না যেন তোমরা সর্বময় কর্তা, বরং এভাবে দেখো যেন তোমরা দাসানুদাস। কেননা অধিকাংশ লোকই গুনাহে জড়িয়ে পড়ে এবং তাদের ক্ষমাও করা হয়। তোমরা এই অপরাধী লোকদের দয়ার দৃষ্টিতে দেখো এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও। তিনিই তোমাদের নিরাপদ রাখেন।”
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ عِيسَى بْنَ مَرْيَمَ، عَلَيْهِ السَّلامُ كَانَ يَقُولُ: «لا تُكْثِرُوا الْكَلامَ بِغَيْرِ ذِكْرِ اللَّهِ، فَتَقْسُوَ قُلُوبُكُمْ، فَإِنَّ الْقَلْبَ الْقَاسِيَ بَعِيدٌ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى، وَلَكِنْ لا تَعْلَمُونَ، وَلا تَنْظُرُوا فِي ذُنُوبِ النَّاسِ كَأَنَّكُمْ أَرْبَابٌ، وَانْظُرُوا فِيهَا كَأَنَّكُمْ عَبِيدٌ، فَإِنَّمَا النَّاسُ مُبْتَلًى وَمُعَافًى، فَارْحَمُوا أَهْلَ الْبَلاءِ، وَاحْمَدُوا اللَّهَ تَعَالَى عَلَى الْعَافِيَةِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান