আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
১৫- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮৪০
কোন ব্যক্তি শরীকানা গোলামে নিজের অংশ আযাদ করে দিলে, উট (মানত করে রাখালহীন) ছেড়ে দিলে অথবা আযাদ করার ওসিয়াত করলে।
৮৪০। হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। আবু বাকর সিদ্দীক (রাযিঃ) একটি উট ছেড়ে দিয়েছিলেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, একটি প্রসিদ্ধ হাদীস এই যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “আযাদকারী ওয়ালায়ার মালিক হবে।” আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলতেন, ইসলামে সায়েবা জায়েয নয়।** সায়েবা আযাদ করা যদি কারো জন্য এভাবে জায়েয হতো যে, তার ওয়ালায়ার মালিক আযাদকারী হবে না, তবে যারা হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে বলেছিলো, আপনি দাসত্বমুক্ত করবেন কিন্তু ওয়ালায়ার মালিক আপনি হবেন না, এটাও জায়েয হতো। তার কাছে এই ওয়ালায়া দাবিও করা হয়েছিলো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ ওয়ালায়ার ক্রয়-বিক্রয় ও হেবা করতে নিষেধ করেছেন। আমাদের কাছে ওয়ালায়া হচ্ছে বংশীয় সম্পর্কের মতো। সুতরাং যে ব্যক্তি দাসত্ব মোচন করবে সেই ওয়ালায়ার অধিকারী হবে, তা সায়েবা হিসাবে অথবা অন্য যে কোন প্রক্রিয়ায় আযাদ করা হোক না কেন। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও আমাদের ফিকহবিদগণের এটাই সাধারণ মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, একটি প্রসিদ্ধ হাদীস এই যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “আযাদকারী ওয়ালায়ার মালিক হবে।” আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলতেন, ইসলামে সায়েবা জায়েয নয়।** সায়েবা আযাদ করা যদি কারো জন্য এভাবে জায়েয হতো যে, তার ওয়ালায়ার মালিক আযাদকারী হবে না, তবে যারা হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে বলেছিলো, আপনি দাসত্বমুক্ত করবেন কিন্তু ওয়ালায়ার মালিক আপনি হবেন না, এটাও জায়েয হতো। তার কাছে এই ওয়ালায়া দাবিও করা হয়েছিলো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ ওয়ালায়ার ক্রয়-বিক্রয় ও হেবা করতে নিষেধ করেছেন। আমাদের কাছে ওয়ালায়া হচ্ছে বংশীয় সম্পর্কের মতো। সুতরাং যে ব্যক্তি দাসত্ব মোচন করবে সেই ওয়ালায়ার অধিকারী হবে, তা সায়েবা হিসাবে অথবা অন্য যে কোন প্রক্রিয়ায় আযাদ করা হোক না কেন। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও আমাদের ফিকহবিদগণের এটাই সাধারণ মত।
بَابُ: الرَّجُلِ يُعْتِقُ نَصِيبًا لَهُ مِنْ مَمْلُوكٍ أَوْ يُسَيِّبُ سَائِبَةً أَوْ يُوصِي بِعِتْقٍ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ «سَيَّبَ سَائِبَةً» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَدِيثِ الْمَشْهُورِ: «الْوَلاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» ، وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: لا سَائِبَةَ فِي الإِسْلامِ، وَلَوِ اسْتَقَامَ أَنْ يُعْتِقَ الرَّجُلُ سَائِبَةً، فَلا يَكُونُ لِمَنْ أَعْتَقَهُ وَلاؤُهُ لاسْتَقَامَ لِمَنْ طَلَبَ مِنْ عَائِشَةَ أَنْ تُعْتِقَ، وَيَكُونُ الْوَلاءُ لِغَيْرِهَا، فَقَدْ طَلَبَ ذَلِكَ مِنْهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْوَلاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» ، وَإِذَا اسْتَقَامَ أَنْ لا يَكُونَ لِمَنْ أَعْتَقَ وَلَاءٌ اسْتَقَامَ أَنْ يُسْتَثْنَى عَنْهُ الْوَلاءُ، فَيَكُونَ لِغَيْرِهِ، وَاسْتَقَامَ أَنْ يَهَبَ الْوَلاءَ وَيَبِيعَهُ، «وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الْوَلاءِ وَهِبَتِهِ» .
وَالْوَلاءُ عِنْدَنَا بِمَنْزِلَةِ النَّسَبِ، وَهُوَ لِمَنْ أَعْتَقَ، إِنْ أَعْتَقَ سَائِبَةً أَوْ غَيْرَهَا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
قَالَ مُحَمَّدٌ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَدِيثِ الْمَشْهُورِ: «الْوَلاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» ، وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: لا سَائِبَةَ فِي الإِسْلامِ، وَلَوِ اسْتَقَامَ أَنْ يُعْتِقَ الرَّجُلُ سَائِبَةً، فَلا يَكُونُ لِمَنْ أَعْتَقَهُ وَلاؤُهُ لاسْتَقَامَ لِمَنْ طَلَبَ مِنْ عَائِشَةَ أَنْ تُعْتِقَ، وَيَكُونُ الْوَلاءُ لِغَيْرِهَا، فَقَدْ طَلَبَ ذَلِكَ مِنْهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْوَلاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» ، وَإِذَا اسْتَقَامَ أَنْ لا يَكُونَ لِمَنْ أَعْتَقَ وَلَاءٌ اسْتَقَامَ أَنْ يُسْتَثْنَى عَنْهُ الْوَلاءُ، فَيَكُونَ لِغَيْرِهِ، وَاسْتَقَامَ أَنْ يَهَبَ الْوَلاءَ وَيَبِيعَهُ، «وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الْوَلاءِ وَهِبَتِهِ» .
وَالْوَلاءُ عِنْدَنَا بِمَنْزِلَةِ النَّسَبِ، وَهُوَ لِمَنْ أَعْتَقَ، إِنْ أَعْتَقَ سَائِبَةً أَوْ غَيْرَهَا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮৪১
কোন ব্যক্তি শরীকানা গোলামে নিজের অংশ আযাদ করে দিলে, উট (মানত করে রাখালহীন) ছেড়ে দিলে অথবা আযাদ করার ওসিয়াত করলে।
৮৪১। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ কোন ব্যক্তি শরীকানা গোলামের নিজের অংশ আযাদ করে দিলো এবং তার কাছে গোলামের মূল্যের সমপরিমাণ সম্পদও আছে। এ ক্ষেত্রে গোলামের একটা উপযুক্ত মূল্য নির্ণয় করতে হবে। অতঃপর আযাদকারী অন্য শরীকদের অংশের মূল্য পরিশোধ করবে। এভাবে তার পক্ষ থেকে গোলামটি সম্পূর্ণ আযাদ হয়ে যাবে। অন্যথায় সে যতোটুকু আযাদ করে গোলাম ততোটুকু আযাদ হবে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীস অনুযায়ী আমল করি । কোন অংশীদার শরীকানা গোলামের একটি অংশ আযাদ করে দিলে সে সম্পূর্ণ আযাদ হয়ে যাবে। আযাদকারী ধনী হলে সে অন্য শরীকদের অংশের জামিনদার হবে। আর সে যদি গরীব হয়, তবে গোলাম দিনমজুরী খেটে তাদের অংশের মূল্য পরিশোধ করবে। নবী ﷺ থেকে আমাদের কাছে এ ধরনের হাদীস পৌঁছেছে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, গোলামের যতোটুকু অংশ আযাদ করা হয়েছে ততোটুকুই সে আযাদ হবে। অন্য শরীকরা ইচ্ছা করলে অপর শরীকদের মতো আযাদ করে দিবে অথবা আযাদকারীর কাছ থেকে ধনবান হওয়া সাপেক্ষে নিজেদের অংশের মূল্য আদায় করে নিবে অথবা গোলামকে মজুর হিসাবে খাটিয়ে নিজেদের পাওনার পরিমাণ কাজ করিয়ে নিবে। অতএব তারা তার কাছ থেকে কাজ আদায় করার পর সে দাসত্বমুক্ত হয়ে গেলে সব অংশীদারই নিজ নিজ অংশ মোতাবেক ওয়ালায়ার মালিক হবে। আর আযাদকারীর নিকট থেকে নিজ নিজ অংশের মূল্য আদায় করে নেয়ার ক্ষেত্রে কেবল সে একাই তার ওয়ালায়ার অধিকারী হবে। সে যে পরিমাণ অর্থ অন্য শরীকদের দিয়েছে, তার কাছ থেকে সেই পরিমাণ কাজ আদায় করে নিবে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীস অনুযায়ী আমল করি । কোন অংশীদার শরীকানা গোলামের একটি অংশ আযাদ করে দিলে সে সম্পূর্ণ আযাদ হয়ে যাবে। আযাদকারী ধনী হলে সে অন্য শরীকদের অংশের জামিনদার হবে। আর সে যদি গরীব হয়, তবে গোলাম দিনমজুরী খেটে তাদের অংশের মূল্য পরিশোধ করবে। নবী ﷺ থেকে আমাদের কাছে এ ধরনের হাদীস পৌঁছেছে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, গোলামের যতোটুকু অংশ আযাদ করা হয়েছে ততোটুকুই সে আযাদ হবে। অন্য শরীকরা ইচ্ছা করলে অপর শরীকদের মতো আযাদ করে দিবে অথবা আযাদকারীর কাছ থেকে ধনবান হওয়া সাপেক্ষে নিজেদের অংশের মূল্য আদায় করে নিবে অথবা গোলামকে মজুর হিসাবে খাটিয়ে নিজেদের পাওনার পরিমাণ কাজ করিয়ে নিবে। অতএব তারা তার কাছ থেকে কাজ আদায় করার পর সে দাসত্বমুক্ত হয়ে গেলে সব অংশীদারই নিজ নিজ অংশ মোতাবেক ওয়ালায়ার মালিক হবে। আর আযাদকারীর নিকট থেকে নিজ নিজ অংশের মূল্য আদায় করে নেয়ার ক্ষেত্রে কেবল সে একাই তার ওয়ালায়ার অধিকারী হবে। সে যে পরিমাণ অর্থ অন্য শরীকদের দিয়েছে, তার কাছ থেকে সেই পরিমাণ কাজ আদায় করে নিবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ، وَكَانَ لَهُ مِنَ الْمَالِ مَا يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ، قُوِّمَ قِيمَةَ الْعَدْلِ، ثُمَّ أُعْطِيَ شُرَكَاؤُهُ حِصَصَهُمْ، وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ، وَإِلا فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا أُعْتِقَ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، مَنْ أَعْتَقَ شِقْصًا فِي مَمْلُوكٍ فَهُوَ حُرٌّ كُلُّهُ، فَإِنْ كَانَ الَّذِي أَعْتَقَ مُوسِرًا ضَمِنَ حِصَّةَ شَرِيكِهِ مِنَ الْعَبْدِ، وَإِنْ كَانَ مُعْسِرًا سَعَى الْعَبْدُ لِشُرَكَائِهِ فِي حِصَصِهِمْ، وَكَذَلِكَ بَلَغَنَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ أَبُو حَنِيفَةَ: يُعْتَقُ عَلَيْهِ بِقَدْرِ مَا أَعْتَقَ، وَالشُّرَكَاءُ بِالْخِيَارِ: إِنْ شَاءُوا أَعْتَقُوا كَمَا أَعْتَقَ، وَإِنْ شَاءُوا ضَمَّنُوهُ إِنْ كَانَ مُوسِرًا، وَإِنْ شَاءُوا اسْتَسْعَوُا الْعَبْدَ فِي حِصَصِهِمْ، فَإِنِ اسْتَسْعَوْا، أَوْ أَعْتَقُوا كَانَ الْوَلاءُ بَيْنَهُمْ عَلَى قَدْرِ حِصَصِهِمْ، وَإِنْ ضَمَّنُوا الْمُعْتِقَ كَانَ الْوَلاءُ كُلُّهُ لَهُ، وَرَجَعَ عَلَى الْعَبْدِ بِمَا ضُمِّنَ، وَاسْتَسْعَاهُ بِهِ
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، مَنْ أَعْتَقَ شِقْصًا فِي مَمْلُوكٍ فَهُوَ حُرٌّ كُلُّهُ، فَإِنْ كَانَ الَّذِي أَعْتَقَ مُوسِرًا ضَمِنَ حِصَّةَ شَرِيكِهِ مِنَ الْعَبْدِ، وَإِنْ كَانَ مُعْسِرًا سَعَى الْعَبْدُ لِشُرَكَائِهِ فِي حِصَصِهِمْ، وَكَذَلِكَ بَلَغَنَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ أَبُو حَنِيفَةَ: يُعْتَقُ عَلَيْهِ بِقَدْرِ مَا أَعْتَقَ، وَالشُّرَكَاءُ بِالْخِيَارِ: إِنْ شَاءُوا أَعْتَقُوا كَمَا أَعْتَقَ، وَإِنْ شَاءُوا ضَمَّنُوهُ إِنْ كَانَ مُوسِرًا، وَإِنْ شَاءُوا اسْتَسْعَوُا الْعَبْدَ فِي حِصَصِهِمْ، فَإِنِ اسْتَسْعَوْا، أَوْ أَعْتَقُوا كَانَ الْوَلاءُ بَيْنَهُمْ عَلَى قَدْرِ حِصَصِهِمْ، وَإِنْ ضَمَّنُوا الْمُعْتِقَ كَانَ الْوَلاءُ كُلُّهُ لَهُ، وَرَجَعَ عَلَى الْعَبْدِ بِمَا ضُمِّنَ، وَاسْتَسْعَاهُ بِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮৪২
কোন ব্যক্তি শরীকানা গোলামে নিজের অংশ আযাদ করে দিলে, উট (মানত করে রাখালহীন) ছেড়ে দিলে অথবা আযাদ করার ওসিয়াত করলে।
৮৪২। নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) একটি অবৈধ সন্তান ও তার মাকে দাসত্বমুক্ত করেছিলেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এই ধরনের সন্তানদের দাসত্বমুক্ত করা কোন দোষের ব্যাপার নয়, বরং ভালো কাজ । আমরা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সম্পর্কে জানতে পেরেছি যে, তার কাছে দু'টি গোলাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। এর একটি ছিলো এক দাসীর অবৈধ সন্তান এবং অপরটি ছিলো এক সৎকর্মশীল দাসীর সন্তান। এদের মধ্যে কোন্টি আযাদ করবে? তিনি জওয়াবে বলেন, যার মূল্য অপেক্ষাকৃত বেশী। অতএব আমরাও এই মত পোষণ করি । ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণেরও এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এই ধরনের সন্তানদের দাসত্বমুক্ত করা কোন দোষের ব্যাপার নয়, বরং ভালো কাজ । আমরা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সম্পর্কে জানতে পেরেছি যে, তার কাছে দু'টি গোলাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। এর একটি ছিলো এক দাসীর অবৈধ সন্তান এবং অপরটি ছিলো এক সৎকর্মশীল দাসীর সন্তান। এদের মধ্যে কোন্টি আযাদ করবে? তিনি জওয়াবে বলেন, যার মূল্য অপেক্ষাকৃত বেশী। অতএব আমরাও এই মত পোষণ করি । ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণেরও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، «أَعْتَقَ وَلَدَ زِنًا وَأُمَّهُ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: لا بَأْسَ بِذَلِكَ، وَهُوَ حَسَنٌ جَمِيلٌ، بَلَغَنَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ عَبْدَيْنِ: أَحَدُهُمَا لِبَغِيَّةٍ، وَالآخَرُ لِرِشْدَةٍ: أَيُّهُمَا يُعْتَقُ؟ قَالَ: أَغْلاهُمَا ثَمَنًا بِدِينَارٍ.
فَهَكَذَا نَقُولُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
قَالَ مُحَمَّدٌ: لا بَأْسَ بِذَلِكَ، وَهُوَ حَسَنٌ جَمِيلٌ، بَلَغَنَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ عَبْدَيْنِ: أَحَدُهُمَا لِبَغِيَّةٍ، وَالآخَرُ لِرِشْدَةٍ: أَيُّهُمَا يُعْتَقُ؟ قَالَ: أَغْلاهُمَا ثَمَنًا بِدِينَارٍ.
فَهَكَذَا نَقُولُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮৪৩
কোন ব্যক্তি শরীকানা গোলামে নিজের অংশ আযাদ করে দিলে, উট (মানত করে রাখালহীন) ছেড়ে দিলে অথবা আযাদ করার ওসিয়াত করলে।
৮৪৩৷ ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেন, আব্দুর রহমান ইবনে আবু বাকর (রাযিঃ) ঘুমন্ত অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। আয়েশা (রাযিঃ) তার পক্ষ থেকে অনেকগুলো দাস আযাদ করেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীস অনুযায়ী আমল করি। মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে গোলাম আযাদ করা কোন দোষের ব্যাপার নয়। যদি সে ওসিয়াত করে গিয়ে থাকে, তবে মৃত ব্যক্তি আযাদকৃত গোলামের ওয়ালায়ার অধিকারী হবে (এবং তা তার ওয়ারিসদের মধ্যে বণ্টিত হবে)। যদি ওসিয়াত না করে গিয়ে থাকে, তবে আযাদকারী ওয়ালায়ার অধিকারী হবে এবং আল্লাহ চান তো মৃত ব্যক্তি এর সওয়াব পাবে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীস অনুযায়ী আমল করি। মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে গোলাম আযাদ করা কোন দোষের ব্যাপার নয়। যদি সে ওসিয়াত করে গিয়ে থাকে, তবে মৃত ব্যক্তি আযাদকৃত গোলামের ওয়ালায়ার অধিকারী হবে (এবং তা তার ওয়ারিসদের মধ্যে বণ্টিত হবে)। যদি ওসিয়াত না করে গিয়ে থাকে, তবে আযাদকারী ওয়ালায়ার অধিকারী হবে এবং আল্লাহ চান তো মৃত ব্যক্তি এর সওয়াব পাবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: «تُوُفِّيَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فِي نَوْمٍ نَامَهُ، فَأَعْتَقَتْ عَائِشَةُ رِقَابًا كَثِيرَةً» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا بَأْسَ أَنْ يُعْتَقَ عَنِ الْمَيِّتِ، فَإِنْ كَانَ أَوْصَى بِذَلِكَ كَانَ الْوَلاءُ لَهُ، وَإِنْ كَانَ لَمْ يُوصِ كَانَ الْوَلاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ، وَيَلْحَقُهُ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا بَأْسَ أَنْ يُعْتَقَ عَنِ الْمَيِّتِ، فَإِنْ كَانَ أَوْصَى بِذَلِكَ كَانَ الْوَلاءُ لَهُ، وَإِنْ كَانَ لَمْ يُوصِ كَانَ الْوَلاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ، وَيَلْحَقُهُ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান