আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১৫- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৮৪৪
মুদাব্বির গোলাম** ক্রয়-বিক্রয়ের বর্ণনা।
৮৪৪। আবুর রিজাল মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে তার মা আমরাহ বিনতে আব্দুর রহমান ইবনে আসআদ (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত। নবী ﷺ -এর স্ত্রী আয়েশা (রাযিঃ) তার একটি বাঁদীকে মুদাব্বির করেছিলেন। অতঃপর তিনি রোগাক্রান্ত হলেন এবং আল্লাহ যতোদিন চাইলেন রোগাক্রান্ত থাকলেন। সিন্ধু প্রদেশের (পাকিস্তান) এক ব্যক্তি তার কাছে এসে বললো, আপনাকে যাদু করা হয়েছে। আয়েশা (রাযিঃ) তাকে বলেন, তোমার ক্ষতি হোক, কে আমাকে যাদু করবে? সে বললো, একটি স্ত্রীলোক, তার চেহারা ও আকৃতি এরূপ। সে তার দেহাবয়বের বর্ণনা দিলো এবং বললো, তার কোলে এই মুহূর্তে একটি শিশু রয়েছে এবং সে তার কোলে পেশাব করে দিয়েছে। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, অমুক বাঁদীকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে এসো। সে তার খেদমত করতো। লোকেরা তাকে কাছেই প্রতিবেশীদের ঘরে পেয়ে গেলো। তার কোলে একটি শিশু ছিলো। সে বললো, শিশুর পেশাব ধুয়ে এখনই আসছি। অতএব সে বাচ্চার পেশাব পরিষ্কার করে আসলো। আয়েশা (রাযিঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি আমাকে যাদু করেছো? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কেন? সে বললো, আমি দাসত্বমুক্ত হতে চাই। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! তুমি কখনো দাসত্বমুক্ত হতে পারবে না। অতঃপর তিনি তার বোনের পুত্রকে নির্দেশ দিলেন, তাকে কোন গ্রাম্য বেদুইনের কাছে বিক্রি করে দিতে, যে তাকে কষ্টের মধ্যে রাখবে। তিনি আরো বলেন, অতঃপর আমার জন্য প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে একটি গোলাম খরিদ করে তাকে আযাদ করে দাও। আমরাহ (রাহঃ) বলেন, আল্লাহ যতোদিন চাইলেন তিনি এই যাদুতে আক্রান্ত থাকলেন। অতঃপর কেউ তাকে স্বপ্নের মধ্যে বললো, এমন তিনটি কূপের পানি দিয়ে গোসল করুন, যা পরস্পরের সাথে মিলিত। তবেই আপনি রোগমুক্ত হয়ে যাবেন। ইসমাঈল ইবনে আবু বাকর (রাহঃ) ও আব্দুর রহমান ইবনে সাদ ইবনে যুরারা (রাহঃ) আয়েশা (রাযিঃ)-র কাছে এলেন। তিনি তাদের কাছে নিজের স্বপ্নের কথা বর্ণনা করলেন। অতএব তারা উভয়ে পানির প্রস্রবণের খোঁজে চলে গেলেন। তারা এমন তিনটি কূপ পেয়ে গেলেন যা পরস্পর সংযুক্ত। তারা প্রতিটি কূপ থেকে এক কলসের তিন ভাগের এক ভাগ করে পানি তুললেন। তিন কূপের পানিতে কলসটি পূর্ণ করে তা নিয়ে তারা আয়েশা (রাযিঃ)-র কাছে ফিরে এলেন। তিনি সেই পানি দিয়ে গোসল করলেন এবং যাদুমুক্ত হয়ে গেলেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে মুদাব্বির (মালিকের মৃত্যুর পর দাসত্বমুক্ত হওয়া) গোলাম বিক্রি করা জায়েয নয়। হযরত যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) এবং আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাহঃ)-র এই মত। আমরা তাদের এই মতের উপর আমল করি। ইমাম আৰু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণেরও এই মত।
بَابُ: بَيْعِ الْمُدَبَّرِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الرِّجَالِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَتْ أَعْتَقَتْ جَارِيَةً لَهَا عَنْ دُبُرٍ مِنْهَا، ثُمَّ إِنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا بَعْدَ ذَلِكَ اشْتَكَتْ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَشْتَكِيَ، ثُمَّ إِنَّهُ دَخَلَ عَلَيْهَا رَجُلٌ سِنْدِيٌّ، فَقَالَ لَهَا، أَنْتِ مَطبُوبَةٌ، فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ: وَيْلَكَ، مَنْ طَبَّنِي؟ قَالَ: امْرَأَةٌ مِنْ نَعْتِهَا كَذَا وَكَذَا، فَوَصَفَهَا، وَقَالَ: إِنَّ فِي حَجْرِهَا الآنَ صَبِيًّا قَدْ بَالَ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: ادْعُوا لِي فُلانَةً جَارِيَةً كَانَتْ تَخْدُمُهَا، فَوَجَدُوهَا فِي بَيْتِ جِيرَانٍ لَهُمْ فِي حَجْرِهَا صَبِيٌّ، قَالَتْ: الآنَ حَتَّى أَغْسِلَ بَوْلَ هَذَا الصَّبِيِّ، فَغَسَلَتْهُ ثُمَّ جَاءَتْ، فَقَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ: أَسَحَرْتِنِي؟ قَالَتْ: نَعَمْ، قَالَتْ: لِمَ؟ قَالَتْ: أَحْبَبْتُ الْعِتْقَ، قَالَتْ: فَوَاللَّهِ لا تَعْتَقِينَ أَبَدًا، ثُمَّ أَمَرَتْ عَائِشَةُ ابْنَ أُخْتِهَا أَنْ يَبِيعَهَا مِنَ الأَعْرَابِ مِمَّنْ يُسِيءُ مَلْكَتَهَا، قَالَتْ: ثُمَّ ابْتَعْ لِي بِثَمَنِهَا رَقَبَةً، ثُمَّ أَعْتِقْهَا، فَقَالَتْ عَمْرَةُ: فَلَبِثَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا مَا شَاءَ اللَّهُ مِنَ الزَّمَانِ، ثُمَّ إِنَّهَا رَأَتْ فِي الْمَنَامِ أَنِ اغْتَسِلِي مِنْ آبَارٍ ثَلاثَةٍ يَمُدُّ بَعْضُهَا بَعْضا، فَإِنَّكِ تُشْفَيْنَ، فَدَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدِ بْنِ زُرَارَةَ، فَذَكَرَتْ أُمُّ عَائِشَةَ الَّذِي رَأَتْ، فَانْطَلَقَا إِلَى قَنَاةٍ، فَوَجَدَا آبَارًا ثَلاثَةً يَمُدُّ بَعْضُهَا بَعْضًا، فَاسْتَقَوْا مِنْ كُلِّ بِئْرٍ مِنْهَا ثَلاثَ شُجُبٍ حَتَّى مَلَئُوا الشُّجُبَ مِنْ جَمِيعِهَا، ثُمَّ أَتَوْا بِذَلِكَ الْمَاءِ إِلَى عَائِشَةَ، فَاغْتَسَلَتْ فِيهِ فَشُفِيَتْ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: أَمَّا نَحْنُ فَلا نَرَى أَنْ يُبَاعَ الْمُدَبَّرُ، وَهُوَ قَوْلُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَبِهِ نَأْخُذُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান