আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১৫- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৮০৮
নুহলা (উপঢৌকন)।
৮০৮। নুমান ইবনে বাশীর (রাযিঃ) বলেন যে, তার পিতা তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে উপস্থিত হয়ে বলেন, আমার এই পুত্রকে আমি আমার একটি গোলাম দান করেছি। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বলেনঃ তুমি কি তোমার সকল সন্তানকে এরূপ দান করেছ? তিনি বলেন, না। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ তাহলে তুমি তা ফেরত নাও।**
بَابُ: النُّحْلَى
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ يُحَدِّثَانِهِ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ: إِنَّ أَبَاهُ أَتَى بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي هَذَا غُلامًا كَانَ لِي، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَكُلُّ وَلَدِكَ نَحَلْتَهُ مِثْلَ هَذَا؟» قَالَ: لا، قَالَ: «فَأَرْجِعْهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮০৯
নুহলা (উপঢৌকন)।
৮০৯। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আবু বাকর (রাযিঃ) তাকে কতগুলো খেজুর গাছ দান করেছিলেন। এগুলো আলীয়া নামক গ্রামে অবস্থিত ছিল এবং তাতে (বছরে) বিশ ওয়াসাক খেজুর উৎপন্ন হতো। তার মৃত্যু নিকটবর্তী হলে তিনি বলেন, হে বেটি! আল্লাহর শপথ! আমার পরে তুমি ছাড়া অপর কাউকে তোমার চেয়ে অধিক ধনবান দেখাটা আমার কাছে অধিক প্রিয় নয় এবং অপর কারো দরিদ্র হওয়াটা তোমার দরিদ্র হওয়ার চেয়ে অধিক অপছন্দনীয় নয়। আমি তোমাকে আমার সম্পদ থেকে বিশ ওয়াসাক পরিমাণ খেজুর গাছ দান করেছিলাম। তুমি যদি তা কেটে নিতে তবে এটা তোমারই হতো। কিন্তু এখন তা ওয়ারিসদের সম্পদ। তাদের সংখ্যা হচ্ছে তোমার এক ভাই এবং দুই বোন। অতএব আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী তা বণ্টন করে দিও। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, হে আব্বাজান, আল্লাহর শপথ! যদি এর চেয়েও অধিক সম্পদ হতো, তবে তাও আমি ছেড়ে দিতাম। আমাদের এক বোন তো আসমা, দ্বিতীয় বোন কে? তিনি বলেন, হাবীবা বিনতে খারিজার পেটে যে সন্তান রয়েছে, আমার মনে হয় তা কন্যা সন্তানই হবে। অতএব তার পেট থেকে কন্যা সন্তানই ভূমিষ্ঠ হলো।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا قَالَتْ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ كَانَ نَحَلَهَا جُذَاذَ عِشْرِينَ وَسْقًا مِنْ مَالِهِ بِالْعَالِيَةِ، فَلَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ، قَالَ: وَاللَّهِ يَا بُنَيَّةُ، مَا مِنَ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيَّ غِنًى بَعْدِي مِنْكِ، وَلا أَعَزُّ عَلَيَّ فَقْرًا مِنْكِ، وَإِنِّي كُنْتُ نَحَلْتُكِ مِنْ مَالِي جُذَاذَ عِشْرِينَ وَسْقًا، فَلَوْ كُنْتِ جَذَذْتِيهِ، وَاحْتَزْتِيهِ كَانَ لَكِ، فَإِنَّمَا هُوَ الْيَوْمَ مَالُ وَارِثٍ، وَإِنَّمَا هُوَ أَخُوكِ وَأُخْتَاكِ، فَاقْسِمُوهُ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، قَالَتْ: يَا أَبَتِ، وَاللَّهِ لَوْ كَانَ كَذَا وَكَذَا لَتَرَكْتُهُ، إِنَّمَا هِيَ أَسْمَاءُ، فَمَنِ الأُخْرَى؟ قَالَ: ذُو بَطْنِ بِنْتِ خَارِجَةَ أُرَاهَا جَارِيَةً، فَوَلَدَتْ جَارِيَةً
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮১০
নুহলা (উপঢৌকন)।
৮১০। আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল কারী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেন, লোকজনের কি হলো, তারা নিজেদের পুত্রদের কোন কিছু দান করে, অতঃপর তা নিজেদের দখলে রাখে। যখন তাদের কারো পুত্র মারা যায় তখন বলে, আমার মাল আমার হাতেই আছে, তা কাউকে দেইনি। আর যদি সে (দাতা) মারা যায় তখন বলে, এই মাল আমি আমার পুত্রকে দান করেছিলাম। কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে কিছু হেবা (দান) করলো। তা দান গ্রহীতার হস্তগত হওয়ার পূর্বেই দাতা মারা গেলো। এ অবস্থায় দান বাতিল হয়ে যাবে এবং দানকারীর ওয়ারিসগণই তার মালিক হবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَادِرِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَالَ: " مَا بَالُ رِجَالٍ يَنْحَلُونَ أَبْنَاءَهُمْ نُحْلًا، ثُمَّ يُمْسِكُونَهَا، قَالَ: فَإِنْ مَاتَ ابْنُ أَحَدِهِمْ، قَالَ: مَالِي بِيَدِي، وَلَمْ أُعْطِهِ أَحَدًا، وَإِنْ مَاتَ هُوَ قَالَ: هُوَ لِابْنِي، قَدْ كُنْتُ أَعْطَيْتُهُ إِيَّاهُ، مَنْ نَحَلَ نِحْلَةً لَمْ يَحُزْهَا الَّذِي نُحِلَهَا حَتَّى تَكُونَ إِنْ مَاتَ لِوَرَثَتِهِ فَهِيَ بَاطِلٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮১১
নুহলা (উপঢৌকন)।
৮১১। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। উছমান ইবনে আফ্ফান (রাযিঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি তার নাবালেগ সন্তানকে কোন কিছু দান করে তার প্রকাশ্য ঘোষণা দেয় এবং এর স্বপক্ষে সাক্ষী রাখে তবে এই দান বৈধ হবে, বাচ্চা তা হস্তগত করার উপযুক্ত না হলেও। এ অবস্থায় পিতা হবে তার অভিভাবক।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, উল্লেখিত সব হাদীসের উপর আমরা আমল করি। সন্তানদের কোন কিছু দান করার ব্যাপারে পিতার কর্তব্য হচ্ছে তাদের মধ্যে সমতা রক্ষা করা। তাদের একজনকে অপরজনের উপর অগ্রাধিকার দেয়া উচিৎ নয়। কোন ব্যক্তি তার নাবালেগ সন্তানকে অথবা অপর কোন ব্যক্তিকে কিছু দান করলো। যাকে দান করা হয়েছে সে এখনো তা হস্তগত করেনি। এই অবস্থায় দানকারী অথবা দানগ্রহীতা মারা গেলো। এক্ষেত্রে দানকৃত বস্তু দানকারী বা তার ওয়ারিসদের অধিকারে ফিরে আসবে। দান হস্তগত করার পূর্ব পর্যন্ত এর উপর দানগ্রহীতার বৈধ অধিকার জন্মায় না। কিন্তু অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যতিক্রম রয়েছে। তাকে যা দান করা হয়েছে তা তার পিতার হস্তগত হওয়া তারই হস্তগত হওয়া বলে গণ্য হবে। অতএব পিতা যখন দানের ঘোষণা দেয় এবং এর সাক্ষী রাখে, তখন তা তার সন্তানের বৈধ সম্পত্তিতে পরিণত হয়। পিতার জন্য তা ফেরত নেয়ার আর কোন পথ থাকে না। সাক্ষী বানানোর পর তা কোন উপায়ে আত্মসাৎ করাও তার জন্য জায়েয নয়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণের এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، قَالَ: «مَنْ نَحَلَ وَلَدًا لَهُ صَغِيرًا لَمْ يَبْلُغْ أَنْ يَحُوزَ نُحْلَةٌ فَأَعْلَنَ بِهَا وَأَشْهَدَ عَلَيْهَا فَهِيَ جَائِزَةٌ، وَإِنْ وَلِيَهَا أَبُوهُ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، يَنْبَغِي لِلرَّجُلِ أَنْ يُسَوِّيَ بَيْنَ وَلَدِهِ فِي النُّحْلَةِ، وَلا يُفَضِّلُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ، فَمَنْ نَحَلَ نُحْلَةً وَلَدًا أَوْ غَيْرَهُ فَلَمْ يَقْبِضْهَا الَّذِي نُحِلَهَا حَتَّى مَاتَ النَّاحِلُ وَالْمَنْحُولُ فَهِيَ مَرْدُودَةٌ عَلَى النَّاحِلِ وَعَلَى وَرَثَتِهِ، وَلا تَجُوزُ لِلْمَنْحُولِ حَتَّى يَقْبِضَهَا، إِلا الْوَلَدَ الصَّغِيرَ، فَإِنْ قَبَضَ وَالِدُهُ لَهُ قَبْضٌ فَإِذَا أَعْلَنَهَا وَأَشْهَدَ بِهَا فَهِيَ جَائِزَةٌ لِوَلَدِهِ، وَلا سَبِيلَ لِلْوَالِدِ إِلَى الرَّجْعَةِ فِيهَا، وَلا إِلَى اغْتِصَابِهَا بَعْدَ أَنْ أَشْهَدَ عَلَيْهَا.
وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান