আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১৫- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৮০৫
ব্যবসায়ে অংশীদার হওয়া (অংশীদারী কারবার)।
৮০৫। ইয়াকুব আল-মাদানী (রাহঃ) বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-র যুগে কাপড়ের ব্যবসা করতাম। উমার (রাযিঃ) নির্দেশ দিলেন, আমাদের বাজারে অনারব লোকেরা ব্যবসা করতে পারবে না। কেননা দীন সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তারা ওজন পরিমাপও সঠিকভাবে করে না। ইয়াকূব (রাহঃ) বলেন, আমি উছমান ইবনে আফ্ফান (রাযিঃ)-র কাছে গিয়ে তাকে বললাম, আপনি কি সস্তার সুযোগ নিতে চান? তিনি বলেন, তা কি করে? আমি বললাম, কাপড় আছে। আমি এর স্থান চিনি, মালিক সস্তায় তা বিক্রি করে দিচ্ছে। কারণ সে আর কাপড় বিক্রি করতে পারবে না (কেননা উমার (রাযিঃ) তা বাজারে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন)। আমি কি তা আপনার পক্ষ হয়ে ক্রয় করবো এবং পরে তা বিক্রি করবো? তিনি বলেন, হ্যাঁ । অতএব আমি নির্দিষ্ট স্থানে গেলাম এবং সেখান থেকে কাপড় খরিদ করে হযরত উছমানের বাসায় নিয়ে এলাম। উছমান (রাযিঃ) বাড়ি ফিরে এসে কাপড়ের গাঁট দেখে জিজ্ঞেস করলেন, এগুলো কি? লোকেরা বললো, কাপড়ের গাঁট, ইয়াকূব নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, তাকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে এসো। অতএব আমি তার কাছে উপস্থিত হলাম। তিনি বলেন,এগুলো কি? আমি বললাম, যে সম্পর্কে আমি ইতিপূর্বে আপনাকে অবহিত করেছিলাম। তিনি বলেন, তুমি তা ভালো করে দেখে নিয়েছো কি? আমি বললাম, প্রয়োজন নেই। কিন্তু উমার (রাযিঃ)-র পাহারাদারগণ ভয় দেখিয়েছে। উছমান (রাযিঃ) উমার (রাযিঃ)-র চৌকিদারদের কাছে গিয়ে বলেন, ইয়াকুব আমার কাপড় বিক্রি করছে, তাকে বাধা দিও না। তারা বললো, ঠিক আছে। অতএব আমি কাপড় নিয়ে বাজারে গেলাম এবং অল্প সময়ের মধ্যে তা বিক্রি করে মূল্যটা থলের মধ্যে পুরে নিলাম। অতঃপর আমি উছমান (রাযিঃ)-র কাছে ফিরে এলাম। আমি যার কাছ থেকে কাপড় ক্রয় করেছিলাম, সেও আমার সাথে ছিল। আমি তাকে বললাম, তোমার পাওনা হিসাব করে বুঝে নাও। অতএব সে তার পাওনা হিসাব করে বুঝে নিল। তারপরও যথেষ্ট মাল পড়ে থাকলো। আমি উছমান (রাযিঃ)-কে বললাম, এগুলো আপনার মাল। আমি কারো উপর যুলুম করিনি। তিনি বলনে, আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন। তিনি অত্যন্ত খুশি হলেন। ইয়াকূব বলেন, আমি বললাম, আমি বিক্রি করার এরূপ স্থান বা তার চেয়েও উত্তম স্থান সম্পর্কে জানি। তিনি বলেন, পুনর্বার এরূপ করার খেয়াল আছে না কি? আমি বললাম, হ্যাঁ, যদি আপনার অনুমতি হয়। তিনি বলেন, হ্যাঁ, অনুমতি আছে। আমি বললাম, আমি নেক কাজ করতে চাই, যদি আপনি আমাকে শরীক করেন। তিনি বলেন, হ্যাঁ, তোমার অর্ধেক এবং আমার অর্ধেক।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীস অনুযায়ী আমল করি। যদি দুই ব্যক্তি ধারে খরিদ করার জন্য অংশীদার হয়, তবে তাতে কোন দোষ নেই। তাদের যে কোন একজনের মূলধন না থাকলেও কোন দোষ নেই। লাভও সমান অংশে ভাগ করে নিবে এবং লোকসানও সমান অংশ বহন করবে। যদি একজন অংশীদার গোটা ব্যবসা পরিচালনা করে এবং অপরজন কিছুই না করে তবে তাকে সমান অংশের অধিক মুনাফা দেয়া জায়েয নয়। কেননা যে ব্যবসায়ের দায়দায়িত্ব অপর ব্যক্তি বহন করে, তার লাভ সে কি করে ভোগ করতে পারে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণের এটাই মত।
بَابُ: الشَّرِكَةِ فِي الْبَيْعِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا الْعَلاءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ، أَنَّ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، قَالَ: " كُنْتُ أَبِيعُ الْبَزَّ فِي زَمانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَإِنَّ عُمَرَ قَالَ: «لا يَبِيعُهُ فِي سُوقِنَا أَعْجَمِيٌّ، فَإِنَّهُمْ لَمْ يَفْقَهُوا فِي الدِّينِ، وَلَمْ يُقِيمُوا فِي الْمِيزَانِ وَالْمِكْيَالِ» .
قَالَ يَعْقُوبُ: فَذَهَبْتُ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، فَقُلْتُ لَهُ: هَلْ لَكَ فِي غَنِيمَةٍ بَارِدَةٍ؟ قَالَ: مَا هِيَ؟ قُلْتُ: بَزٌّ، قَدْ عَلِمْتُ مَكَانَهُ، يَبِيعُهُ صَاحِبُهُ بِرُخْصٍ، لا يَسْتَطِيعُ بَيْعَهُ، أَشْتَرِيهِ لَكَ، ثُمَّ أَبِيعُهُ لَكَ، قَالَ: نَعَمْ، فَذَهَبْتُ، فَصَفَقْتُ بِالْبَزِّ، ثُمَّ جِئْتُ بِهِ، فَطَرَحْتُ فِي دَارِ عُثْمَانَ، فَلَمَّا رَجَعَ عُثْمَانَ، فَرَأَى الْعُكُومَ فِي دَارِهِ، قَالَ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: بَزٌّ، جَاءَ بِهِ يَعْقُوبُ، قَالَ: ادْعُوهُ لِي، فَجِئْتُ، فَقَالَ: مَا هَذَا؟ قُلْتُ: هَذَا الَّذِي قُلْتُ لَكَ، قَالَ: أَنَظَرْتَهُ؟ قُلْتُ: كَفَيْتُكَ، وَلَكِنْ رَابَهُ حَرَسُ عُمَرَ، قَالَ: نَعَمْ، فَذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى حَرَسِ عُمَرَ، فَقَالَ: إِنَّ يَعْقُوبَ يَبِيعُ بَزِّي فَلا تَمْنَعُوهُ، قَالُوا: نَعَمْ، جِئْتُ بِالْبَزِّ السُّوقَ، فَلَمْ أَلْبَثْ حَتَّى جَعَلْتُ ثَمَنَهُ فِي مِزْوَدٍ، وَذَهَبْتُ بِهِ إِلَى عُثْمَانَ، وَبِالَّذِي اشْتَرَيْتُ الْبَزَّ مِنْهُ، فَقُلْتُ: عُدَّ الَّذِي لَكَ، فَاعْتَدَّهُ، وَبَقِيَ مَالٌ كَثِيرٌ، قَالَ: فَقُلْتُ لِعُثْمَانَ: هَذَا لَكَ، أَمَا إِنِّي لَمْ أَظْلِمْ بِهِ أَحَدًا، قَالَ: جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا، وَفَرِحَ بِذَلِكَ، قَالَ: فَقُلْتُ: أَمَا إِنِّي قَدْ عَلِمْتُ مَكَانَ بَيْعِهَا مِثْلِهَا، أَوْ أَفْضَلَ، قَالَ: وَعَائِدٌ أَنْتَ؟ قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ، إِنْ شِئْتَ، قَالَ: قَدْ شِئْتُ، قَالَ: فَقُلْتُ: فَإِنِّي بَاغٍ خَيْرًا فَأَشْرِكْنِي، قَالَ: نَعَمْ بَيْنِي، وَبَيْنَكَ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِأَنْ يَشْتَرِكَ الرَّجُلَانِ فِي الشِّرَاءِ بِالنَّسِيئَةِ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لِوَاحِدٍ مِنْهُمْ رَأْسُ مَالٍ، عَلَى أَنَّ الرِّبْحَ بَيْنَهُمَا، وَالْوَضِيعَةُ عَلَى ذَلِكَ، قَالَ: وَإِنْ وَلِيَ الشِّرَاءَ وَالْبَيْعَ أَحَدُهُمَا دُونَ صَاحِبِهِ، وَلا يَفْضُلُ وَاحِدٌ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ فِي الرِّبْحِ، فَإِنَّ ذَلِكَ لا يَجُوزُ أَنْ يَأْكُلَ أَحَدُهُمَا رِبْحَ مَا ضَمِنَ صَاحِبُهُ.
وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান