আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১২- শরীআতে যিনা ব্যভিচারের দন্ড বিধি - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬৯৭
যেনার স্বীকারোক্তি।
৬৯৭। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এবং যায়েদ ইবনে খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত । দুই ব্যক্তি বিবাদ মীমাংসার জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে এসে উপস্থিত হলো। তাদের একজন বললো, হে আল্লাহর নবী! আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফয়সালা করে দিন । অপর ব্যক্তি, যে দু'জনের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বুদ্ধিমান ছিল, বললো, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফয়সালা করে দিন এবং আমাকে কথা বলার অনুমতি দিন। তিনি বলেনঃ 'বলো'। সে বললো, আমার ছেলে তার বাড়িতে শ্রমিকের কাজ করতো। সে এই ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে যেনা করে বসে। লোকেরা আমাকে বললো, আমার ছেলেকে রজম করতে হবে। আমি তাকে এক শত বকরী এবং আমার একটি বাঁদী দেয়ার বিনিময়ে আমার ছেলেকে মুক্ত করে নিয়েছি। অতঃপর আমি বিশেষজ্ঞ আলেমদের কাছে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তারা আমাকে বলেন যে, আমার ছেলেকে এক শত বেত্রাঘাত করতে হবে এবং এক বছরের নির্বাসন দিতে হবে। আর তার স্ত্রীকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করতে হবে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আমি অবশ্যই তোমাদের উভয়ের মাঝে আল্লাহ তাআলার কিতাব অনুযায়ী ফয়সালা করবো। তোমার বকরী ও বাঁদী তোমাকে ফেরত দেয়া হচ্ছে। তিনি তার ছেলেকে এক শত বেত্রাঘাত করার এবং এক বছরের নির্বাসন দেয়ার নির্দেশ দিলেন। অপরদিকে তিনি উনাইস আল-আসলামী (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দিলেন যে, তিনি অপর ব্যক্তির স্ত্রীর কাছে গিয়ে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে দেখবেন। যদি সে যেনার স্বীকারোক্তি করে তবে তাকে রজম করতে হবে। স্ত্রীলোকটি যেনার অপরাধ স্বীকার করলো এবং তাকে রজম করা হলো।**
بَابُ: الإِقْرَارِ بِالزِّنَا
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَجُلَيْنِ اخْتَصَمَا إِلَى رسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، اقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ، وَقَالَ الآخَرُ وَهُوَ أَفْقَهُهُمَا: أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَاقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ، وَائْذَنْ لِي فِي أَنْ أَتَكَلَّمَ، قَالَ: «تكلَّمْ» ، قَالَ: إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا يَعْنِي أَجِيرًا فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ، فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي جَلْدَ مِائَةٍ، فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَجَارِيَةٍ لِي، ثُمَّ إِنِّي سَأَلْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ، فَأَخْبَرُونِي: إِنَّمَا عَلَى ابْنِي جَلْدُ مِائَةٍ وَتغْرِيبُ عَامٍ، وَإِنَّمَا الرَّجْمُ عَلَى امْرَأَتِهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى: «أَمَّا غَنَمُكَ وَجَارِيَتُكَ فَرَدٌّ عَلَيْكَ» .
وَجَلَدَ ابْنَهُ مِائَةً وَغَرَّبَهُ عَامًا، وَأَمَرَ أُنَيْسًا الأَسْلَمِيَّ أَنْ يَأْتِيَ امْرَأَةَ الآخَرِ، فَإِنِ اعْتَرَفَتْ رَجَمَهَا، فَاعْتَرَفَتْ، فَرَجَمَهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৯৮
যেনার স্বীকারোক্তি।
৬৯৮। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু মুলাইকা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এক স্ত্রীলোক নবী ﷺ -এর কাছে এসে তাকে জানায় যে, সে যেনা করেছে এবং সে গর্ভবতী। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বলেনঃ “চলে যাও যতোক্ষণ সন্তান ভূমিষ্ঠ না হয়”। সন্তান প্রসব করার পর সে পুনরায় তাঁর কাছে এলো । তিনি তাকে বলেনঃ “চলে যাও বাচ্চা যতোদিন দুধ না ছাড়ে।” বাচ্চা যখন দুধ ছাড়লো, তখন সে আবার তাঁর কাছে এলো। তিনি তাকে বলেনঃ “চলে যাও বাচ্চা কারো কাছে অর্পণ করে আসো”। অতএব সে কারো কাছে বাচ্চাকে সোপর্দ করে তাঁর কাছে ফিরে এলো। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ তার সম্পর্কে নির্দেশ দিলে তদনুযায়ী তার উপর হদ্দ কার্যকর করা হলো।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ زَيْدِ بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ، أَنَّ امْرَأَةً أَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا زَنَتْ وَهِيَ حَامِلٌ، فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اذْهَبِي حَتَّى تَضَعِي» ، فَلَمَّا وَضعَتْ، أَتَتْهُ، فَقَالَ لَهَا: «اذْهَبِي حَتَّى تُرْضِعِي» ، فَلَمَّا أَرْضَعَتْ، أَتَتْهُ، فَقَالَ لَهَا: «اذْهَبِي حَتَّى تَسْتَوْدِعِيهِ» ، فَاسْتَوْدَعَتْهُ، ثُمَّ جَاءَتْهُ، «فَأَمَرَ بِهَا، فَأُقِيمَ عَلَيْهَا الْحَدُّ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৯৯
যেনার স্বীকারোক্তি।
৬৯৯ । ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর যুগে যেনা করেছে বলে স্বীকারোক্তি করে এবং নিজের বিরুদ্ধে চারবার স্বীকারোক্তি করে। তিনি তার সম্পর্কে নির্দেশ দিলে তদনুযায়ী হদ্দ কার্যকর করা হলো। ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, এ কারণেই কোন ব্যক্তি নিজ অপরাধের স্বীকারোক্তি করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، أَنَّ رَجُلا اعْتَرَفَ بِالزِّنَا عَلَى نَفْسِهِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ، «فَأَمَرَ بِهِ فَحُدَّ» .
قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَمِنْ أَجْلِ ذَلِكَ يُؤْخَذُ الْمَرْءُ بِاعْتِرَافِهِ عَلَى نَفْسِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭০০
যেনার স্বীকারোক্তি।
৭০০। যায়েদ ইবনে আসলাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর যুগে নিজের বিরুদ্ধে যেনার স্বীকারোক্তি করে। তিনি একটি চাবুক নিয়ে ডাকলেন। একটি ভাঙ্গা চাবুক আনা হলো। তিনি বলেনঃ “এর চেয়ে ভালো চাবুক লও”। অতএব একটি নতুন চাবুক নিয়ে আসা হলো যা তখনো ব্যবহার করা হয়নি। তিনি বলেনঃ “এই দু'টির মাঝামাঝি ধরনের চাবুক নিয়ে এসো।” অতএব একটি চাবুক নিয়ে আসা হলো যা কোন ব্যক্তি ব্যবহার করেছে। তিনি তাকে মারার নির্দেশ দিলেন। অতএব তাকে চাবুক মারা হলো। অতঃপর তিনি বলেনঃ “হে জনগণ! তোমাদের জন্য সেই সময় এসে গেছে যে, তোমরা আল্লাহর নির্ধারিত হদ্দ (পাপ) থেকে বিরত থাকো। যে ব্যক্তি এ ধরনের পাপকাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে সে যেন তা আল্লাহর পর্দার অন্তরালে গোপন রাখে। আর যে ব্যক্তি নিজের অপকর্মের কথা আমাদের কাছে প্রকাশ করবে, আমরা তার উপর মহান আল্লাহর বিধান কার্যকর করবো”।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، أَنَّ رَجُلا اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَاءِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَوْطٍ، فَأُتِيَ بِسَوْطٍ مَكْسُورٍ، فَقَالَ: «فَوْقَ هَذَا» ، فَأُتِيَ بِسَوْطٍ جَدِيدٍ لَمْ تُقْطَعْ ثَمَرَتُهُ، فَقَالَ: «بَيْنَ هَذَيْنِ» ، فَأُتِيَ بِسَوْطٍ قَدْ رُكِّبَ بِهِ فَلَانَ، «فَأَمَرَ بِهِ فَجُلِدَ» ، ثُمَّ قَالَ: «أَيُّهَا النَّاسُ، قَدْ آنَ لَكُمْ أَنْ تَنْتَهُوا عَنْ حُدُودِ اللَّهِ، فَمَنْ أَصَابَهُ مِنْ هَذِهِ الْقَاذُورَاتِ شَيْءٌ فَلْيَسْتَتِرْ بِسِتْرِ اللَّهِ، فَإِنَّهُ مَنْ يُبْدِ لَنَا صَفْحَتَهُ نُقِمْ عَلَيْهِ كِتَابَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৭০০
যেনার স্বীকারোক্তি।
৭০০। যায়েদ ইবনে আসলাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর যুগে নিজের বিরুদ্ধে যেনার স্বীকারোক্তি করে। তিনি একটি চাবুক নিয়ে ডাকলেন। একটি ভাঙ্গা চাবুক আনা হলো। তিনি বলেনঃ “এর চেয়ে ভালো চাবুক লও”। অতএব একটি নতুন চাবুক নিয়ে আসা হলো যা তখনো ব্যবহার করা হয়নি। তিনি বলেনঃ “এই দু'টির মাঝামাঝি ধরনের চাবুক নিয়ে এসো।” অতএব একটি চাবুক নিয়ে আসা হলো যা কোন ব্যক্তি ব্যবহার করেছে। তিনি তাকে মারার নির্দেশ দিলেন। অতএব তাকে চাবুক মারা হলো। অতঃপর তিনি বলেনঃ “হে জনগণ! তোমাদের জন্য সেই সময় এসে গেছে যে, তোমরা আল্লাহর নির্ধারিত হদ্দ (পাপ) থেকে বিরত থাকো। যে ব্যক্তি এ ধরনের পাপকাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে সে যেন তা আল্লাহর পর্দার অন্তরালে গোপন রাখে। আর যে ব্যক্তি নিজের অপকর্মের কথা আমাদের কাছে প্রকাশ করবে, আমরা তার উপর মহান আল্লাহর বিধান কার্যকর করবো”।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، أَنَّ رَجُلا اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَاءِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَوْطٍ، فَأُتِيَ بِسَوْطٍ مَكْسُورٍ، فَقَالَ: «فَوْقَ هَذَا» ، فَأُتِيَ بِسَوْطٍ جَدِيدٍ لَمْ تُقْطَعْ ثَمَرَتُهُ، فَقَالَ: «بَيْنَ هَذَيْنِ» ، فَأُتِيَ بِسَوْطٍ قَدْ رُكِّبَ بِهِ فَلَانَ، «فَأَمَرَ بِهِ فَجُلِدَ» ، ثُمَّ قَالَ: «أَيُّهَا النَّاسُ، قَدْ آنَ لَكُمْ أَنْ تَنْتَهُوا عَنْ حُدُودِ اللَّهِ، فَمَنْ أَصَابَهُ مِنْ هَذِهِ الْقَاذُورَاتِ شَيْءٌ فَلْيَسْتَتِرْ بِسِتْرِ اللَّهِ، فَإِنَّهُ مَنْ يُبْدِ لَنَا صَفْحَتَهُ نُقِمْ عَلَيْهِ كِتَابَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৭০১
যেনার স্বীকারোক্তি।
৭০১। আবু বাকর সিদ্দীক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি একটি কুমারী বাঁদীর সাথে যেনা করে এবং তার ফলে সে গর্ভবতী হয়। অতঃপর লোকটি এসে নিজের যেনার কথা স্বীকার করে। সে ছিল অবিবাহিত। আবু বাকর (রাযিঃ) তাকে চাবুক মারার নির্দেশ দিলেন এবং তদনুযায়ী তাকে বেত্রাঘাত করা হলো। অতঃপর তাকে ফাদাক এলাকায় নির্বাসন দেয়া হয়।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ أَبِي عُبَيْدٍ حَدَّثَتْهُ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ، أَنَّ رَجُلا وَقَعَ عَلَى جَارِيَةٍ بِكْرٍ فَأَحْبَلَهَا، ثُمَّ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ أَنَّهُ زَنَى، وَلَمْ يَكُنْ أُحْصِنَ، فَأَمَرَ بِهِ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، فَجُلِدَ الْحَدَّ، ثُمَّ نُفِيَ إِلَى فَدَكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭০২
যেনার স্বীকারোক্তি।
৭০২। ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি, আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তি আবু বাকর (রাযিঃ)-র কাছে এসে বললো, এই দুর্ভাগা যেনা করেছে। আবু বাকর (রাযিঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি ছাড়া আর কারো কাছে তুমি কি তা বলেছো? সে বললো, না। তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে তওবা করো এবং আল্লাহর পর্দার মধ্যে তোমার অপরাধ লুকিয়ে রাখো। কেননা আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেন, আবু বাকর (রাযিঃ)-র কথায় তার মন আশ্বস্ত হলো না। অতএব সে উমার (রাযিঃ)-র কাছে এসে আবু বাকর (রাযিঃ)-র নিকট বলা কথাগুলোর পুনরাবৃত্তি করলো। উমার (রাযিঃ)-ও তাকে আবু বাকর (রাযিঃ)-র অনুরূপ পরামর্শ দিলেন। কিন্তু এবারও তার মন আশ্বস্ত হলো না। অতএব সে নবী ﷺ-এর কাছে এসে বললো, এই হতভাগা যেনা করেছে। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেন, নবী ﷺ তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে কয়েকবার তার কথার পুনরাবৃত্তি করলো এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রতিবারই তার দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেন। সে যখন বারবার নিজের অপরাধের স্বীকারোক্তি করতে লাগলো, তখন তিনি তার পরিবারের লোকদের ডাকলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ “সে অসুস্থ না পাগল?” তারা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! সে সম্পূর্ণ সুস্থ। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেনঃ “সে কি বিবাহিত না অবিবাহিত?" তারা বললো, বিবাহিত। অতএব তিনি তার সম্পর্কে নির্দেশ দিলে তদনুযায়ী তাকে রজম করা হলো।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، يَقُولُ: إِنَّ رَجُلا مِنْ أَسْلَمَ أَتَى أَبَا بَكْرٍ، فَقَالَ: إِنَّ الأَخِرَ قَدْ زَنَى، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: هَلْ ذَكَرْتَ هَذَا لأَحَدٍ غَيْرِي؟ قَالَ: لا، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: تُبْ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَاسْتَتِرْ بِسِتْرِ اللَّهِ، فَإِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِه.
قَالَ سَعِيدٌ: فَلَمْ تَقَرَّ بِهِ نَفْسُهُ حَتَّى أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَقَالَ لَهُ كَمَا قَالَ لأَبِي بَكْرٍ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ كَمَا قَالَ أَبُو بَكْرٍ، قَالَ سَعِيدٌ: فَلْم تَقَرَّ بِهِ نَفْسُهُ حَتَّى أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ: الأَخِرُ قَدْ زَنَى، قَالَ سَعِيدٌ: فَأَعْرَضَ عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فقَالَ لَهُ ذَلِكَ مِرَارًا، كُلُّ ذَلِكَ يُعْرِضُ عَنْهُ، حَتَّى إِذَا أَكْثَرَ عَلَيْهِ، بَعَثَ إِلَى أَهْلِهِ، فَقَالَ: «أَيَشْتَكِي؟ أَبِه جِنَّةٌ؟ !» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ لَصَحِيحٌ، قَالَ: «أَبِكْرٌ أَمْ ثَيِّبٌ» قَالُوا: ثَيِّبٌ.
«فَأَمَرَ بِهِ، فَرُجِمَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭০৩
যেনার স্বীকারোক্তি।
৭০৩। ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি জানতে পেরেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ আসলাম গোত্রের হায্যাল নামক এক ব্যক্তিকে বললেনঃ “হে হাযযাল! তুমি যদি এ অপরাধ তোমার চাদরের মধ্যে লুকিয়ে রাখতে তবে তোমার জন্য ভালোই হতো”। ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেন, আমি এক মজলিসে এই হাদীস বর্ণনা করলাম এবং সেখানে ইয়াযীদ ইবনে নুআইম ইবনে হাযযাল উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, হাযযাল আমার দাদা ছিলেন এবং হাদীসটি সহীহ ও প্রমাণিত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা উল্লেখিত হাদীসসমূহের উপর আমল করি । কোন ব্যক্তি কর্তৃক যেনার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই তার উপর হদ্দ ( শাস্তির দণ্ড) কার্যকর করা যাবে না, যতোক্ষণ সে চারটি ভিন্ন ভিন্ন মজলিসে চারবার যেনার অপরাধ স্বীকার না করে । ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং হানাফী বিশেষজ্ঞ আলেমদের এটাই সাধারণ মত। চারবার যেনার স্বীকারোক্তি করার পর সে যদি তা প্রত্যাহার করে, তবে তার এই প্রত্যাহার গ্রহণযোগ্য হবে এবং তাকে ছেড়ে দিতে হবে।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّهُ بَلَغَهُ، أنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ مِنْ أَسْلَمَ يُدْعَى هَزَّالا: «يَا هَزَّالُ، لَوْ سَتَرْتَهُ بِرِدَائِكَ لَكَانَ خَيْرًا لَكَ» ، قَالَ يَحْيَى: فَحَدَّثْتُ بِهَذَا الْحَدِيثِ فِي مَجْلِسٍ فِيهِ يَزِيدُ بْنُ نُعَيْمِ بْنِ هَزَّالٍ، فَقَالَ: هَزَّالٌ جَدِّي، وَالْحَدِيثُ صَحِيحٌ حَقٌّ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، وَلا يُحَدُّ الرَّجُلُ بِاعْتِرَافِهِ بِالزِّنَى حَتَّى يُقِرَّ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ فِي أَرْبَعِ مَجَالِسَ مُخْتَلِفَةٍ، وَكَذَلِكَ جَاءَتِ السُّنَّةُ: لا يُؤْخَذُ الرَّجُلُ بِاعْتِرَافِهِ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا حَتَّى يُقِرَّ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا.
وَإِنْ أَقَرَّ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ ثُمَّ رَجَعَ قُبِلَ رَجُوعُهُ وَخُلِّيَ سَبِيلُهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান