আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৯- কুরবানী,জবাই ও শিকারের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬৩৪
যে ধরনের পশু দিয়ে কোরবানী করা মাকরূহ।
৬৩৪ । আল-বারাআ ইবনে আযেব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কোরবানীর বেলায় কোন ধরনের পশু বাদ দেয়া উচিৎ রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজ হাতে ইশারা করে বলেনঃ “চার রকেমর (ত্রুটিযুক্ত) পশু বাদ দেয়া উচিৎ।” (অধস্তন রাবী বলেন), বারাআ ইবনে আযেব (রাযিঃ)-ও নিজ হাতে ইশারা করে বলতেন, আমার হাত তাঁর হাতের তুলনায় খাটো। তা হচ্ছেঃ “খোড়া—যার খোঁড়ামী সুস্পষ্ট, অন্ধ— যার অন্ধত্ব সুস্পষ্ট, রুগ্ন—যার রুগ্নত্ব সুস্পষ্ট এবং দুর্বল—যার হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে।”
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীসের উপর আমল করি। তবে খোঁড়া পশু যদি নিজ পায়ে ভর করে হ্যাঁটতে পারে তাহলে এটা দিয়ে কোরবানী করা যেতে পারে। কিন্তু নিজ পায়ে ভর করে চলতে অক্ষম হলে তা দিয়ে কোরবানী করা জায়েয নয়। চোখের অর্ধেকের বেশী ভালো থাকলে সে পশু দিয়েও কোরবানী করা যেতে পারে। কিন্তু যদি চোখের অর্ধেক অথবা তার বেশীরভাগ নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকে, তবে সেই পশু দিয়ে কোরবানী করা জায়েয হবে না। রোগের প্রকোপ যদি এতো বেশী হয়ে থাকে যে, পশু অচল হয়ে পড়েছে এবং দুর্বলতাও যদি এতো বেশী হয়ে থাকে যে, হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে, তবে এ ধরনের পশু দিয়ে কোরবানী করাও জায়েয নয়।
بَابُ: مَا يُكْرَهُ مِنَ الضَّحَايَا
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ عُبَيْدَ بْنَ فَيْرُوزَ، أَخْبَرَهُ، أَنَّ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَاذَا يُتَّقَى مِنَ الضَّحَايَا؟ فَأَشَارَ بِيَدِهِ، وَقَالَ: «أَرْبَعٌ» ، وَكَانَ الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ يُشِيرُ بِيَدِهِ وَيَقُولُ: يَدِي أَقْصَرُ مِنْ يَدِهِ وَهِيَ الْعَرْجَاءُ الْبَيِّنُ ظَلْعُهَا، وَالْعَوْرَاءُ الْبَيِّنُ عَوَرُهَا، وَالْمَرِيضَةُ الْبَيِّنُ مَرَضُهَا، وَالْعَجْفاءُ الَّتِي لا تُنْقِي، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، فَأَمَّا الْعَرْجَاءُ فَإِذَا مَشَتْ عَلَى رِجْلِهَا فَهِيَ تُجْزِئُ، وَإِنْ كَانَتْ لا تَمْشِي لَمْ تُجْزِئْ، وَأَمَّا الْعَوْرَاءُ فَإِنْ كَانَ بَقِيَ مِنَ الْبَصَرِ الأَكْثَرُ مِنْ نِصْفِ الْبَصَرِ أَجْزَأَتْ، وَإِنْ ذَهَبَ النِّصْفُ فَصَاعِدًا لَمْ تُجْزِئْ، وَأَمَّا الْمَرِيضَةُ الَّتِي فَسَدَتْ لِمَرَضِهَا، وَالْعَجْفَاءُ الَّتِي لا تُنْقِي فَإِنَّهُمَا لا يُجْزِئَانِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান