আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৯- কুরবানী,জবাই ও শিকারের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৩০
কোরবানীর পশুর বর্ণনা।
৬৩০। আবুদল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) বলতেন, কোরবানীর পশু ও বুদনার ক্ষেত্রে ছানী এবং তার চেয়ে অধিক বয়স্ক পশুর প্রয়োজন।**
كِتَابُ الضَّحَايَا وَمَا يُجْزِئُ مِنْهَا
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ " يَقُولُ فِي الضَّحَايَا وَالْبُدْنِ: الثَّنِيُّ فَمَا فَوْقَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৩১
কোরবানীর পশুর বর্ণনা।
৬৩১ । ইবনে উমার (রাযিঃ) এমন পশু দিয়ে কোরবানী করতে নিষেধ করেছেন যার দাঁত নেই এবং যা সৃষ্টিগতভাবে পঙ্গু ।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ «يَنْهَى عَمَّا لَمْ تُسِنَّ مِنَ الضَّحَايَا وَالْبُدْنِ، وَعَنِ الَّتِي نُقِصَ مِنْ خَلْقِهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৩২
কোরবানীর পশুর বর্ণনা।
৬৩২। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) একবার মদীনায় কোরবানী করলেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন, আমি যেন তার জন্য শিংবিশিষ্ট একটি ছাগ কিনে তা কোরবানীর দিন ঈদের মাঠে যবেহ করি। আমি তাই করলাম এবং তা তার কাছে নিয়ে আসা হলো। তা যবেহ করার পর তিনি নিজ মাথা কামালেন। তিনি তখন অসুস্থ ছিলেন, তাই লোকদের সাথে ঈদের মাঠে যেতে পারেননি। নাফে (রাহঃ) আরো বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) বলতেন, যে ব্যক্তি কোরবানী করে কিন্তু হজ্জ করেনি, তার জন্য মাথা কামানো বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু ইবনে উমার (রাযিঃ) এমনিই মাথা কামিয়েছিলেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এসব মতের উপর আমল করি। তবে একটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে। অর্থাৎ ছয় মাস বয়সের মেষ যদি হৃষ্টপুষ্ট দেখায় তাহলে তা দিয়েও কোরবানী করা যেতে পারে। এ সম্পর্কে অনেক আছার (اثار) বর্ণিত আছে। খাসী, বকরী, পাঠা, ভেড়া সব দিয়েই কোরবানী করা যেতে পারে। আর মাথা কামানোর ব্যাপারে আমরা ইবনে উমারের অভিমতের উপর আমল করি। অর্থাৎ যে ব্যক্তি হজ্জ করেনি, কোরবানীর দিন মাথা কামানো তার উপর ওয়াজিব নয়। ইমাম আবু হানীফা এবং আমাদের ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এসব মতের উপর আমল করি। তবে একটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে। অর্থাৎ ছয় মাস বয়সের মেষ যদি হৃষ্টপুষ্ট দেখায় তাহলে তা দিয়েও কোরবানী করা যেতে পারে। এ সম্পর্কে অনেক আছার (اثار) বর্ণিত আছে। খাসী, বকরী, পাঠা, ভেড়া সব দিয়েই কোরবানী করা যেতে পারে। আর মাথা কামানোর ব্যাপারে আমরা ইবনে উমারের অভিমতের উপর আমল করি। অর্থাৎ যে ব্যক্তি হজ্জ করেনি, কোরবানীর দিন মাথা কামানো তার উপর ওয়াজিব নয়। ইমাম আবু হানীফা এবং আমাদের ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ ضَحَّى مَرَّةً بِالْمَدِينَةِ فَأَمَرَنِي أَنْ أَشْتَرِيَ لَهُ كَبْشًا فَحِيلا أَقْرَنَ، ثُمَّ أَذْبَحَهُ لَهُ يَوْمَ الأَضْحَى فِي مُصَلَّى النَّاسِ فَفَعَلْتُ، ثُمَّ حُمِلَ إِلَيْهِ، فَحَلَقَ رَأْسَهُ حِينَ ذُبِحَ كَبْشُهُ، وَكَانَ مَرِيضًا لَمْ يَشْهَدِ الْعِيدَ مَعَ النَّاسِ، قَالَ نَافِعٌ: وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَقُولُ: «لَيْسَ حِلاقُ الرَّأْسِ بِوَاجِبٍ عَلَى مَنْ ضَحَّى إِذَا لَمْ يَحُجَّ» ، وَقَدْ فَعَلَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ إِلا فِي خَصْلَةٍ وَاحِدَةٍ، الْجَذَعُ مِنَ الضَّأْنِ إِذَا كَانَ عَظِيمًا أَجْزَأَ، فِي الْهَدْيِ وَالأُضْحِيَةِ، بِذَلِكَ جَاءَتِ الآثَارُ: الْخَصِيُّ مِنَ الأُضْحِيَةِ يُجْزِئُ مِمَّا يُجْزِئُ مِنْهُ الْفَحْلُ، وَأَمَّا الْحِلاقُ فَنَقُولُ فِيهِ بِقَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ: إِنَّهُ لَيْسَ بِوَاجِبٍ عَلَى مَنْ لَمْ يَحُجَّ فِي يَوْمِ النَّحْرِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৩৩
কোরবানীর পশুর বর্ণনা।
৬৩৩ । নাফে (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) এমন বাচ্চার পক্ষ থেকে কোরবানী করতেন না, যা এখনো মায়ের গর্ভে রয়েছে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। যে শিশু এখনো ভূমিষ্ঠ হয়নি তার পক্ষ থেকে কোরবানী করবে না।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। যে শিশু এখনো ভূমিষ্ঠ হয়নি তার পক্ষ থেকে কোরবানী করবে না।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، «لَمْ يَكُنْ يُضَحِّي عَمَّا فِي بَطْنِ الْمَرْأَةِ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ لا يُضَحَّى عَمَّا فِي بَطْنِ الْمَرْأَةِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান