আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৯- কুরবানী,জবাই ও শিকারের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৩৫
কোরবানী গোশত।
৬৩৫। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ “তিন দিনের অধিক কোরবানীর গোশত খেতে নিষেধ করেছেন।” আব্দুল্লাহ ইবনে আবু বাকর (রাযিঃ) বলেন, আমি একথা আব্দুর রহমান-কন্যা আমরার কাছে উল্লেখ করলাম। তিনি বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) সত্য কথা বলেছেন। কেননা আমি আয়েশা (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর যুগে কোরবানীর সময় বনাঞ্চলে বসবাসকারী একদল দুর্ভিক্ষ পীড়িত লোক মদীনায় এসে উপস্থিত হয়। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “তোমরা তিন দিনের পরিমাণ গোশত জমা রাখো এবং অবশিষ্টগুলো সদাকা করো।" পরবর্তী কালে বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! লোকেরা কোরবানীর গোশত দিয়ে উপকৃত হতো, এর চর্বি জমা করে রাখতো এবং এর চামড়া দিয়ে পানির মশক বানাতো। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “কি ব্যাপার?” লোকেরা বললো, আপনি আমাদেরকে তিন দিনের অধিক কোরবানীর গোশত জমা করে রাখতে নিষেধ করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “কোরবানীর দিন যে দুর্ভিক্ষ কবলিত একদল লোক এসেছিলো তাদের কারণে আমি এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলাম। অতএব এখন তোমরা তা খাও, সদাকা করো এবং জমা করে রাখো।”
بَابُ: لُحُومِ الأَضَاحِي
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَاقِدٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ أَخْبَرَهُ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «نَهَى عَنْ أَكْلِ لُحُومِ الضَّحَايَا بَعْدَ ثَلاثٍ» ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، فَقَالَتْ: صَدَقَ، سَمِعْتُ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ تَقُولُ: " دَفَّ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ حَضْرَةَ الأَضْحَى فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: ادَّخِرُوا الثُّلُثَ، وَتَصَدَّقُوا بِمَا بَقِيَ "، فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَقَدْ كَانَ النَّاسُ يَنْتَفِعُونَ فِي ضَحَايَاهُمْ، يَجْمُلُونَ مِنْهَا الْوَدَكَ وَيَتَّخِذُونَ مِنْهَا الأَسْقِيَةَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَمَا ذَاكَ؟ كَمَا قَالَ، قَالُوا: نَهَيْتَ عَنْ إِمْسَاكِ لُحُومِ الأَضَاحِي بَعْدَ ثَلاثٍ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّمَا نَهَيْتُكُمْ مِنْ أَجْلِ الدَّافَّةِ الَّتِي كَانَتْ دَفَّتْ حَضْرَةَ الأَضْحَى، فَكُلُوا وَتَصَدَّقُوا وَادَّخِرُوا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৩৬
কোরবানী গোশত।
৬৩৬। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ তিন দিনের পর কোরবানীর গোশত খেতে নিষেধ করেছিলেন। পরবর্তী কালে তিনি আবার বলেনঃ “তোমরা তা খাও, পাথেয় বানাও এবং জমা করে রাখো।"
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীসের উপর আমল করি। তিন দিনের পর কোরবানীর গোশত জমা করে রাখা বা পাথেয় হিসাবে সাথে নেয়ায় কোন দোষ নেই। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর পুনরায় অনুমতি দিয়েছেন। তার শেষোক্ত মত পূর্ববর্তী মতকে রহিত করেছে। এজন্য কোরবানীর গোশত জমা করায় এবং তা পাথেয় হিসাবে সাথে নেয়ায় কোন দোষ নেই। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও আমাদের অধিকাংশ ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীসের উপর আমল করি। তিন দিনের পর কোরবানীর গোশত জমা করে রাখা বা পাথেয় হিসাবে সাথে নেয়ায় কোন দোষ নেই। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর পুনরায় অনুমতি দিয়েছেন। তার শেষোক্ত মত পূর্ববর্তী মতকে রহিত করেছে। এজন্য কোরবানীর গোশত জমা করায় এবং তা পাথেয় হিসাবে সাথে নেয়ায় কোন দোষ নেই। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও আমাদের অধিকাংশ ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ الْمَكِّيُّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «نَهَى عَنْ أَكْلِ لُحُومِ الضَّحَايَا بَعْدَ ثَلاثٍ» ، ثُمَّ قَالَ بَعْدَ ذَلِكَ: «كُلُوا وَتَزَوَّدُوا وَادَّخِرُوا» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِالادِّخَارِ بَعْدَ ثَلاثٍ وَالتَّزَوُّدِ، وَقَدْ رَخَّصَ فِي ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ أَنْ كَانَ نَهَى عَنْهُ، فَقَوْلُهُ الآخَرُ نَاسِخٌ لِلأَوَّلِ، فَلا بَأْسَ بِالادِّخَارِ وَالتَّزَوُّدِ مِنْ ذَلِكَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৩৭
কোরবানী গোশত।
৬৩৭। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ তিন দিনের পর কোরবানীর গোশত খেতে নিষেধ করেছিলেন। পরবর্তী পর্যায়ে তিনি আবার বলেছেনঃ
“তোমরা তা খাও, জমা করে রাখো এবং সদাকা করো।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীসের উপর আমল করি। কোরবানীর গোশত (তিন দিনের পর) খাওয়া, জমা করে রাখা অথবা সদাকা করলে কোন দোষ নেই। তবে আমরা এটা পছন্দ করি না যে, কোন ব্যক্তি তার কোরবানীর গোশতের এক-তৃতীয়াংশেরও কম দান-খয়রাত করুক। কিন্তু তবুও কেউ যদি এক-তৃতীয়াংশেরও কম দান-খয়রাত করে তবে তাও জায়েয হবে।
“তোমরা তা খাও, জমা করে রাখো এবং সদাকা করো।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীসের উপর আমল করি। কোরবানীর গোশত (তিন দিনের পর) খাওয়া, জমা করে রাখা অথবা সদাকা করলে কোন দোষ নেই। তবে আমরা এটা পছন্দ করি না যে, কোন ব্যক্তি তার কোরবানীর গোশতের এক-তৃতীয়াংশেরও কম দান-খয়রাত করুক। কিন্তু তবুও কেউ যদি এক-তৃতীয়াংশেরও কম দান-খয়রাত করে তবে তাও জায়েয হবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ الْمَكِّيُّ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ أَخْبَرَهُ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ " يَنْهَى عَنْ أَكْلِ لُحُومِ الضَّحَايَا بَعْدَ ثَلاثٍ، ثُمَّ قَالَ بَعْدَ ذَلِكَ: كُلُوا وَادَّخِرُوا وَتَصَدَّقُوا "، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِأَنْ يَأْكُلَ الرَّجُلُ مِنْ أُضْحِيَتِهِ وَيَدَّخِرَ وَيَتَصَدَّقَ، وَمَا نُحِبُّ لَهُ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِأَقَلَّ مِنَ الثُّلُثِ، وَإِنْ تَصَدَّقَ بِأَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ جَازَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান