আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৮- তালাক ও আনুষঙ্গিক অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৭৪
গোলামের বিবাহাধীন বাঁদীকে দাসত্বমুক্ত করা হলে।
৫৭৪। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলতেন, গোলামের বিবাহাধীন বাঁদীকে আযাদ করা হলে, তার সাথে সঙ্গম না করা পর্যন্ত তার (স্বামীর সাথে থাকা বা না থাকার) এখতিয়ার বহাল থাকবে।
بَابُ: الأَمَةِ تَكُونُ تَحْتَ الْعَبْدِ فَتُعْتَقُ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ " يَقُولُ فِي الأَمَةِ تَحْتَ الْعَبْدِ فَتُعْتَقُ: أَنَّ الْخِيَارَ لَهَا مَا لَمْ يَمَسَّهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৫
গোলামের বিবাহাধীন বাঁদীকে দাসত্বমুক্ত করা হলে।
৫৭৫। আদী ইবনে কাব গোত্রের যাবরাআ নামী ক্রীতদাসী থেকে বর্ণিত। সে এক দাসের বিবাহাধীন ছিল। তাকে আযাদ করা হলো। উম্মুল মুমিনীন হাফসা (রাযিঃ) তাকে ডেকে পাঠান এবং বলেন, আমি তোমাকে একটি বিষয় অবহিত করবো। তবে আমি পছন্দ করি না যে, তুমি কিছু করো। তুমি তোমার স্বামীর বিবাহ বন্ধনে থাকা বা না থাকার এখতিয়ার লাভ করেছো। সে তোমার সাথে সঙ্গম না করা পর্যন্ত এই এখতিয়ার বহাল থাকবে। সে তোমার সাথে সহবাস করলে, তোমার আর এই এখতিয়ার থাকবে না। যাবরাআ তখন বললো, আমি তার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, সে যখন জানতে পারবে যে, বৈবাহিক সম্পর্ক বহাল রাখা বা না রাখার এখতিয়ার সে লাভ করেছে, তখন যে মজলিসে বসে সে তা জানতে পেরেছে, সেখান থেকে উঠে না দাঁড়ানো পর্যন্ত অথবা অন্য কোন কাজে লিপ্ত না হওয়া পর্যন্ত অথবা স্বামীর সাথে সঙ্গম না হওয়া পর্যন্ত এই এখতিয়ার বলবৎ থাকবে। উল্লেখিত তিনটি কাজের কোন একটি সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথে এখতিয়ার বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু সে যদি জানতে না পারে যে, তাকে আযাদ করা হয়েছে অথবা তার যদি জানা না থাকে যে, আযাদ করার সাথে সাথে সে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার এখতিয়ার লাভ করেছে, তাহলে সঙ্গম করার পরও এই এখতিয়ার বহাল থাকবে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদদের এটাই সাধারণ মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ زَبْرَاءَ مَوْلاةً لِبَنِي عَدِيِّ بْنِ كَعْبٍ أَخْبَرَتْهُ، أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ عَبْدٍ، وَكَانَتْ أَمَةً فَأُعْتِقَتْ، فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهَا حَفْصَةُ، وَقَالَتْ: إِنِّي مُخْبِرَتُكِ خَبَرًا، وَمَا أُحِبُّ أَنْ تَصْنَعِي شَيْئًا، «إِنَّ أَمْرَكِ بِيَدِكَ مَا لَمْ يَمَسَّكِ، فَإِذَا مَسَّكِ فَلَيْسَ لَكَ مِنْ أَمْرِكَ شَيْءٌ» ، قَالَتْ: وَفَارَقْتُهُ، قَالَ مُحَمَّدٌ: إِذَا عَلِمَتْ أَنَّ لَهَا خِيَارًا، فَأَمْرُهَا بِيَدِهَا مَا دَامَتْ فِي مَجْلِسِهَا مَا لَمْ تَقُمْ مِنْهُ، أَوْ تَأْخُذْ فِي عَمَلٍ آخَرَ، أَوْ يَمَسَّهَا، فَإِذَا كَانَ شَيْءٌ مِنْ هَذَا بَطُلَ خِيَارُهَا، فَأَمَّا إِنْ مَسَّهَا وَلَمْ تَعْلَمْ بِالْعِتْقِ، أَوْ عَلِمَتْ بِهِ وَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ لَهَا الْخِيَارُ فَإِنَّ ذَلِكَ لا يُبْطِلُ خِيَارَهَا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান