আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৮- তালাক ও আনুষঙ্গিক অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৬৮
স্ত্রী অথবা অপর কারো হাতে তালাকের অধিকার অর্পণ করা।
৫৬৮ ৷ যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তার পুত্র খারিজা (রাহঃ) তার কাছে বসা ছিলেন। এমন সময় আতীক গোত্রের এক ব্যক্তি কাঁদতে কাঁদতে তার কাছে এলো। যায়েদ (রাযিঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি হয়েছে, তুমি কাঁদছো কেন? সে বললো, আমি আমার স্ত্রীর হাতে তালাকদানের এখতিয়ার অর্পণ করেছিলাম। সে আমার থেকে পৃথক হয়ে গেছে। যায়েদ (রাযিঃ) বলেন, কোন জিনিস তোমাকে একাজ করতে উদ্বুদ্ধ করলো? সে জবাব দিলো, তাকদীর । তিনি বলেন, তুমি চাইলে তাকে ফেরত নিতে পারো। কেননা এটা এক তালাক এবং তুমি তাকে রুজু করার অধিকারী।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে ব্যাপারটি স্বামীর নিয়াতের উপর নির্ভরশীল। যদি সে এক তালাকের নিয়াত করে থাকে, তাহলে এক বায়েন তালাক হবে এবং সে পুনর্বিবাহের প্রস্তাবকারী হিসাবে গণ্য হবে। আর সে যদি তিন তালাকের নিয়াত করে থাকে, তাহলে তিন তালাকই হবে। ইমাম আবু হানীফা এবং আমাদের অধিকাংশ ফিকহবিদের এই মত। কিন্তু উছমান ইবনে আফ্ফান (রাযিঃ) ও আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) বলেন, তালাকের নিয়াত করবে তদনুযায়ী ফয়সালা হবে (অর্থাৎ স্ত্রী প্রত্যাহারযোগ্য অথবা প্রত্যাহার অযোগ্য এক অথবা একাধিক তালাকের নিয়াত করলে ফয়সালাও তদনুযায়ী হবে)।
بَابُ: الرَّجُلِ يَجْعَلُ أَمْرَ امْرَأَتِهِ بِيَدِهَا أَوْ غَيْرِهَا
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا عِنْدَهُ، فَأَتَاهُ بَعْضُ بَنِي أَبِي عَتِيقٍ وَعَيْنَاهُ تَدْمَعَانِ، فَقَالَ لَهُ: «مَا شَأْنُكَ؟» ، فَقَالَ: مَلَّكْتُ امْرَأَتِي أَمْرَهَا بِيَدِهَا فَفَارقَتْنِي، فَقَالَ لَهُ: «مَا حَمَلَكَ عَلَى ذَلِكَ؟» ، قَالَ: الْقَدَرُ، قَالَ لَهُ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ: «ارْتَجِعْهَا إِنْ شِئْتَ، فَإِنَّمَا هِيَ وَاحِدَةٌ وَأَنْتَ أَمْلَكُ بِهَا» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: هَذَا عِنْدَنَا عَلَى مَا نَوَى الزَّوْجُ فَإِنْ نَوَى وَاحِدَةً فَوَاحِدَةٌ بَائِنَةٌ، وَهُوَ خَاطِبٌ مِنَ الْخُطَّابِ، وَإِنْ نَوَى ثَلاثًا فَثَلاثٌ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا , وَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: الْقَضَاءُ مَا قَضَتْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৯
স্ত্রী অথবা অপর কারো হাতে তালাকের অধিকার অর্পণ করা।
৫৬৯। আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তার ভাই আব্দুর রহমানের জন্য আবু উমাইয়্যার কন্যা কারীবার কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেন। অতএব তাকে আব্দুর রহমানের সাথে বিবাহ দেয়া হলো। পরে কোন কারণে কারীবার পরিবারের লোকজন আব্দুর রহমানের উপর অসন্তুষ্ট হয়। অতএব তারা বলে, আমরা তাকে আব্দুর রহমানের কাছে বিবাহ দেইনি, বরং আয়েশা (রাযিঃ) দিয়েছেন। আয়েশা (রাযিঃ) বিষয়টি আব্দুর রহমানকে জানালেন। আব্দুর রহমান নিজের স্ত্রীকে (তার কাছে থাকার অথবা তাকে তালাক দিয়ে চলে যাবার) এখতিয়ার দিলেন। কারীবা স্বামীর সাথে বসবাস করাই বেছে নিলেন এবং বললেন, আমি আপনাকে ছাড়া আর কাউকে পছন্দ করতে পারি না। অতএব এই মহিলা তার অধীনে থেকে গেলেন এবং এটা তালাক হিসাবে গণ্য হয়নি।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا، " أَنَّهَا خَطَبَتْ عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قُرَيْبَةَ بِنْتِ أَبِي أُمَيَّةَ، فَزَوَّجَتْهُ ثُمَّ إِنَّهُمْ عَتَبُوا عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَقَالُوا: مَا زَوَّجْنَا إِلا عَائِشَةَ، فَأَرْسَلَتْ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَذَكَرَتْ لَهُ ذَلِكَ، فَجَعَلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ أَمْرَ قُرَيْبَةَ بِيَدِهَا، فَاخْتَارَتْهُ، وَقَالَتْ: مَا كُنْتُ لِأَخْتَارَ عَلَيْكَ أَحَدًا، فَقَرَّتْ تَحْتَهُ، فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ طَلاقًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭০
স্ত্রী অথবা অপর কারো হাতে তালাকের অধিকার অর্পণ করা।
৫৭০। আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তার ভাই আব্দুর রহমানের কন্যা হাফসাকে যুবায়ের (রাযিঃ)-র পুত্র মুনযিরের সাথে বিবাহ দিলেন। আব্দুর রহমান তখন সিরিয়ায় ছিলেন। তিনি ফিরে এসে বলেন যে, তার সাথে এরূপ ব্যবহার করা হলো এবং তার কন্যার ব্যাপারে তার মতামত নেয়া হলো না! আয়েশা (রাযিঃ) বিষয়টি মুনযিরকে জানালেন। মুনযির বলেন, (বিবাহের ব্যাপারটি ঠিক রাখা বা না রাখার এখতিয়ার) আব্দুর রহমানের উপর ন্যস্ত করা হলো। আব্দুর রহমান বলেন, মুনযিরের প্রতি আমার কোন অনিহা নেই। বরং আমার কথা হলো, আমার কন্যার ব্যাপারে আমার মতামত গ্রহণ করা হয়নি। তুমি (আয়েশা) যে বিবাহ দিয়েছো তা আমি প্রত্যাখ্যান করছি না। এই এখতিয়ার তালাক হিসাবে গণ্য হয়নি।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، " أَنَّهَا زَوَّجَتْ حَفْصَةَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْمُنْذِرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ غَائِبٌ بِالشَّامِ، فَلَمَّا قَدِمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: وَمِثْلِي يُصْنَعُ بِهِ هَذَا، وَيُفْتَاتُ عَلَيْهِ بِبَنَاتِهِ؟ فَكَلَّمَتْ عَائِشَةُ الْمُنْذِرَ بْنَ الزُّبَيْرِ، فَقَالَ: فَإِنَّ ذَلِكَ فِي يَدِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: مَا لِي رَغْبَةٌ عَنْهُ وَلَكِنَّ مِثْلِي لَيْسَ يُفْتَاتُ عَلَيْهِ بِبَنَاتِهِ، وَمَا كُنْتُ لأَرُدَّ أَمْرًا قَضَيْتِهِ، فَقَرَّتِ امْرَأَتُهُ تَحْتَهُ وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ طَلاقًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭১
স্ত্রী অথবা অপর কারো হাতে তালাকের অধিকার অর্পণ করা।
৫৭১ । ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলতেন, কোন ব্যক্তি যখন তার স্ত্রীর হাতে তালাকের এখতিয়ার ন্যস্ত করে তখন স্ত্রীর ইচ্ছার উপর বিষয়টি নির্ভর করবে। কিন্তু স্বামী যদি (তার দেয়া তালাক) অস্বীকার করে বলে যে, সে তাকে কেবল এক তালাকের (এখতিয়ার দেয়ার) নিয়াত করেছে, তবে তাকে একথা শপথ করেও বলতে হবে (যে, সে এক তালাকেরই নিয়াত করেছিল)। এক্ষেত্রে স্বামী তাকে ইদ্দাত চলাকালে রুজু করার অধিকারী থাকবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: " إِذَا مَلَّكَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ أَمْرَهَا فَالْقَضَاءُ مَا قَضَتْ إِلا أَنْ يُنْكِرَ عَلَيْهَا، فَيَقُولُ: لَمْ أُرِدْ إِلا تَطْلِيقَةً وَاحِدَةً فَيُحَلَّفُ عَلَى ذَلِكَ، وَيَكُونُ أَمْلَكَ بِهَا فِي عِدَّتِهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭২
স্ত্রী অথবা অপর কারো হাতে তালাকের অধিকার অর্পণ করা।
৫৭২। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি নিজের তালাকের এখতিয়ার স্ত্রীর উপর ন্যস্ত করে এবং সে যদি তার সাথে থেকে যায় এবং নিজকে তালাক না দেয়, তবে তালাক হবে না।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। স্ত্রী স্বামীর সাথে থেকে যাওয়াকে অগ্রাধিকার দিলে তালাক হবে না। আর সে যদি নিজকে বেছে নেয় (স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়), তাহলে ব্যাপারটি স্বামীর নিয়াতের উপর নির্ভর করবে। স্বামী যদি স্ত্রীকে এই এখতিয়ার দেয়ার সময় এক তালাকের নিয়াত করে থাকে তবে এক বায়েন তালাক হবে। আর সে যদি তিন তালাকের নিয়াত করে তাহলে তিন তালাক হবে। ইমাম আবু হানীফা এবং আমাদের অধিকাংশ ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنَّهُ قَالَ: إِذَا مَلَّكَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ أَمْرَهَا فَلَمْ تُفَارِقْهُ وَقَرَّتْ عِنْدَهُ فَلَيْسَ ذَلِكَ بِطَلاقٍ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، إِذَا اخْتَارَتْ زَوْجَهَا فَلَيْسَ ذَلِكَ بِطَلاقٍ وَإِنِ اخْتَارَتْ نَفْسَهَا فَهُوَ عَلَى مَا نَوَى الزَّوْجُ، فَإِنْ نَوَى وَاحِدَةً فَهِيَ وَاحِدَةٌ بَائِنَةٌ، وَإِنْ نَوَى ثَلاثًا فَثَلاثٌ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৩
স্ত্রী অথবা অপর কারো হাতে তালাকের অধিকার অর্পণ করা।
৫৭৩ । যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তার কাছে জিজ্ঞেস করা হলো, এক ব্যক্তির বিবাহাধীনে একটি বাঁদী রয়েছে। সে তাকে চূড়ান্তভাবে তালাক দিলো, অতঃপর তাকে খরিদ করলো। সে কি তার সাথে সঙ্গম করতে পারবে? তিনি জবাবে বলেন, অন্য স্বামী গ্রহণ না করা পর্যন্ত সে তার সাথে সহবাস করতে পারবে না।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদেরও এই মত। ইমাম আবু হানীফা এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ كَانَتْ تَحْتَهُ وَلِيدَةٌ، فَأَبَتْ طَلاقَهَا، ثُمَّ اشْتَرَاهَا، أَيَحِلُّ أَنْ يَمَسَّهَا؟ فَقَالَ: «لا يَحِلُّ لَهُ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান