আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৭- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৪৬
কোন মহিলা ইদ্দাত চলাকালে বিবাহ করলে।
৫৪৬। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব এবং সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত । তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রাযিঃ)-র কন্যা রুশাইদ আস-ছাকাফীর বিবাহাধীন ছিলো। তিনি তাকে তালাক দিলেন। সে তার ইদ্দাত চলাকালে আবু সাঈদ ইবনে মুনাব্বিহ্ অথবা আবুল জাল্লাস ইবনে মুনাব্বির নিকট বিবাহ বসে। এজন্য হযরত উমার (রাযিঃ) তাকে এবং তার স্বামীকে দৃষ্টান্তমূলক বেত্রাঘাত করেন এবং তাদের বিবাহ ভেঙ্গে দেন। হযরত উমার (রাযিঃ) বলেন, কোন নারী তার ইদ্দাত চলাকালে বিবাহ বসলে এবং (নতুন) স্বামী তার সাথে সহবাস না করে থাকলে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ করে দিতে হবে এবং সে প্রথম স্বামীর অবশিষ্ট ইদ্দাতকাল পূর্ণ করবে। অতঃপর দ্বিতীয় স্বামী সম্পূর্ণ নতুনভাবে তার কাছে বিবাহের প্রস্তাব দিবে। কিন্তু দ্বিতীয় স্বামী যদি তার সাথে সহবাস করে থাকে, তবে উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ করে দিতে হবে। অতঃপর স্ত্রীলোকটি প্রথম স্বামীর অবশিষ্ট ইদ্দাতকাল পূর্ণ করার পর দ্বিতীয় স্বামীর ইদ্দাতকাল পূর্ণ করবে। কিন্তু দ্বিতীয় স্বামীর কাছে সে আর কখনো বিবাহ বসতে পারবে না। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেন, এই স্ত্রীলোকটি মুহরের অধিকারী হবে। কেননা দ্বিতীয় স্বামী তার লজ্জাস্থানকে ব্যবহার করেছে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে, হযরত উমার (রাযিঃ) তার এই মত প্রত্যাহার করে হযরত আলী (রাযিঃ)-র মতের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছেন।
بَابُ: الْمَرْأَةِ تُزَوَّجُ فِي عِدَّتِهَا
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، وَسُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُمَا حَدَّثَا، أَنَّ ابْنَةَ طَلْحَةِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ كَانَتْ تَحْتَ رُشَيْدٍ الثَّقَفِيِّ، فَطَلَّقَهَا، فَنَكَحَتْ فِي عِدَّتِهَا أَبَا سَعِيدِ بْنَ مُنَبِّهٍ، أَوْ أَبَا الْجُلاسِ بْنَ مُنَيَّةٍ فَضَرَبَهَا عُمَرُ، وَضَرَبَ زَوْجَهَا بِالْمِخْفَقَةِ ضَرَبَاتٍ، وَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا، وَقَالَ عُمَرُ: «أَيُّمَا امْرَأَةٍ نُكِحَتْ فِي عِدَّتِهَا، وَإِنْ كَانَ زَوْجُهَا الَّذِي تَزَوَّجَهَا لَمْ يَدْخُلْ بِهَا فُرِّقَ بَيْنَهُمَا، وَاعْتَدَّتْ بَقِيَّةَ عِدَّتِهَا مِنَ الأَوَّلِ، ثُمَّ كَانَ خَاطِبًا مِنَ الْخُطَّابِ، وَإِنْ كَانَ قَدْ دَخَلَ بِهَا فُرِّقَ بَيْنَهُمَا، ثُمَّ اعْتَدَّتْ بَقِيَّةَ عِدَّتِهَا مِنَ الآخِرِ ثُمَّ لَمْ يَنْكِحْهَا أَبَدًا» ، قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ: وَلَهَا مَهْرُهَا بِمَا اسْتَحَلَّ مِنْ فَرْجِهَا، قَالَ مُحَمَّدٌ: بَلَغَنَا أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَجَعَ عَنْ هَذَا الْقَوْلِ إِلَى قَوْلِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৪৭
কোন মহিলা ইদ্দাত চলাকালে বিবাহ করলে।
৫৪৭। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, ইদ্দাত চলাকালে পুনর্বিবাহকারিণী নারী সম্পর্কে হযরত উমার (রাযিঃ) যে কথা বলেছিলেন তা প্রত্যাহার করে তিনি হযরত আলী (রাযিঃ)-র মত গ্রহণ করেছেন । উমার (রাযিঃ) বলেছেন, দ্বিতীয় স্বামী তার সাথে সহবাস করে থাকলে তাদের উভয়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ করে দিতে হবে এবং তারা আর কখনো পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আব্দ্ধ হতে পারবে না। তিনি মেয়েলোকটির মুহর আদায় করে তা বাইতুল মালে রেখে দিয়েছিলেন। তখন হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন, স্ত্রীলোকটি মুহরের অধিকারী হবে। কেননা সে (দ্বিতীয় স্বামী) তার লজ্জাস্থানকে ব্যবহার করেছে। অতঃপর সে প্রথম স্বামীর অবশিষ্ট ইদ্দতকাল পূর্ণ করলে, তখন দ্বিতীয় স্বামী ইচ্ছা করলে তাকে বিবাহ করতে পারে। অতএব উমার (রাযিঃ) আলী (রাযিঃ)-র মতের দিকে প্রত্যাবর্তন করেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই হাদীসের উপর আমল করি। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ عُمَارَةَ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: رَجَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي الَّتِي تَتَزَوَّجُ فِي عِدَّتِهَا إِلَى قَوْلِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَذَلِكَ أَنَّ عُمَرَ قَالَ: «إِذَا دَخَلَ بِهَا فُرِّقَ بَيْنَهُمَا وَلَمْ يَجْتَمِعَا أَبَدًا، وَأَخَذَ صَدَاقَهَا، فَجَعَلَ فِي بَيْتِ الْمَالِ» ، فَقَالَ عَلِيٌّ كَرَّمَ اللَّهُ وَجْهَهُ: «لَهَا صَدَاقَهَا بِمَا اسْتَحَلَّ مِنْ فَرْجِهَا، فَإِذَا انْقَضَتْ عِدَّتُهَا مِنَ الأَوَّلِ تَزَوَّجَها الآخَرُ إِنْ شَاءَ» ، فَرَجِعَ عُمَرُ إِلَى قَوْلِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৪৮
কোন মহিলা ইদ্দাত চলাকালে বিবাহ করলে।
৫৪৮। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু উমাইয়্যা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। এক মহিলার স্বামী মারা গেলো। সে চার মাস দশ দিন ইদ্দাত পূর্ণ করলো। হালাল হওয়ার পর সে অন্য পুরুষের কাছে বিবাহ বসলো। এই স্বামীর কাছে সাড়ে চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পর সে একটি পূর্ণাঙ্গ বাচ্চা প্রসব করে। তার স্বামী হযরত উমার (রাযিঃ)-র কাছে এলে তিনি জাহিলী যুগের কয়েকজন প্রবীণ স্ত্রীলোককে ডেকে তাদের কাছে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তাদের মধ্যকার এক প্রবীণ মহিলা বললো, আমি আপনাকে বলে দিতে পারি। তার স্বামী যখন মারা যায় তখন সে গর্ভবতী ছিলো। অতঃপর রক্তস্রাবের কারণে তার পেটের মধ্যে সন্তান শুকিয়ে যায়। অতঃপর সে যখন তার নতুন স্বামীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয় এবং বাচ্চাকে তার বীর্য স্পর্শ করে, তখন তার মধ্যে স্পন্দন ফিরে আসে এবং তা বড়ো হতে থাকে।** উমার (রাযিঃ) এই স্ত্রীলোকটির কথা বিশ্বাস করলেন, অতঃপর তাদের উভয়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিলেন এবং বললেন, তোমাদের উভয়ের কোন দোষ নেই। তিনি বাচ্চাকে পূর্ব-স্বামীর সাথে সম্পৃক্ত করলেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। সন্তান প্রথম স্বামীর ঔরসজাত। কেননা স্ত্রীলোকটি দ্বিতীয় স্বামীর কাছে এসেছে, তার সময় ছয় মাসেরও কম। কোন স্ত্রীলোক ছয় মাসের কম সময়ে পূর্ণাংগ বাচ্চা প্রসব করতে পারে না। এজন্য ভূমিষ্ঠ শিশুটি প্রথম স্বামীর ঔরসজাত। অতঃপর এই দ্বিতীয় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ করে দিতে হবে। স্ত্রীলোকটির নির্ধারিত মুহর অথবা মুহরে মিসালের মধ্যে যেটির পরিমাণ কম হবে, সে তা পাবে। কেননা দ্বিতীয় স্বামী তার লজ্জাস্থানকে ব্যবহার করেছে।
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ، أَنَّ امْرَأَةً هَلَكَ عَنْهَا زَوْجُهَا، فَاعْتَدَّتْ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا، ثُمَّ تَزَوَّجَتْ حِينَ حَلَّتْ فَمَكَثَتْ عِنْدَ زَوْجِهَا أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَنِصْفًا، ثُمَّ وَلَدَتْ وَلَدًا تَامًّا، فَجَاءَ زَوْجُهَا إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ: " فَدَعَا عُمَرُ نِسَاءً مِنْ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ قُدَمَاءَ، فَسَأَلَهُنَّ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَتِ الْمَرْأَةُ مِنْهُنَّ: أَنَا أُخْبِرُكَ، أَمَّا هَذِهِ الْمَرْأَةُ هَلَكَ زَوْجُهَا حِينَ حَمَلَتْ، فَأُهْرِيقَتِ الدِّمَاءُ فَحَشَفَ وَلَدُهَا فِي بَطْنِهَا، فَلَمَّا أَصَابَهَا زَوْجُهَا الَّذِي نَكَحَتْهُ، وَأَصَابَ الْوَلَدَ الْمَاءُ تَحَرَّكَ الْوَلَدُ فِي بَطْنِهَا، وَكَبِرَ فَصَدَّقَهَا عُمَرُ بِذَلِكَ وَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا "، وَقَالَ عُمَرُ: «أَمَا إِنَّهُ لَمْ يَبْلُغْنِي عَنْهُمَا إِلا خَيْرًا، وَأَلْحَقَ الْوَلَدَ بِالأَوَّلِ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، الْوَلَدُ وَلَدُ الأَوَّلِ، لأَنَّهَا جَاءَتْ بِهِ عِنْدَ الآخَرِ لِأَقَلَّ مِنْ سِتَّةِ أَشْهُرٍ، فَلا تَلِدُ الْمَرْأَةُ وَلَدًا تَامًّا لِأَقَلَّ مِنْ سِتَّةِ أَشْهُرٍ، فَهُوَ ابْنُ الأَوَّلِ، وَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا وَبَيْنَ الآخَرِ، وَلَهَا الْمَهْرُ بِمَا اسْتَحَلَّ مِنْ فَرْجِهَا: الأَقَلُّ مِمَّا سُمِّيَ لَهَا وَمِنْ مَهْرِ مِثْلِهَا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান