আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৭- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৪৯
আযল (স্ত্রীর যৌনাঙ্গের বাইরে বীর্য স্খলন)।
৫৪৯। আমের ইবনে সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (সাদ) আযল করতেন।
بَابُ: الْعَزْلِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّهُ كَانَ يَعْزِلُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫০
আযল (স্ত্রীর যৌনাঙ্গের বাইরে বীর্য স্খলন)।
৫৫০। আবু আইউব আল-আনসারী (রাযিঃ)-র উম্মে ওয়ালাদ থেকে বর্ণিত। আবু আইউব (রাযিঃ) আযল করতেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَفْلَحَ مَوْلَى أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أُمِّ وَلَدِ أَبِي أَيُّوبَ، أَنَّ أَبَا أَيُّوبَ «كَانَ يَعْزِلُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫১
আযল (স্ত্রীর যৌনাঙ্গের বাইরে বীর্য স্খলন)।
৫৫১। হাজ্জাজ ইবনে আমর ইবনে গাযিয়াহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ)-র কাছে বসা ছিলেন। এমন সময় ইবনে ফাহদ নামে ইয়ামানের একটি লোক এলো। সে বললো, হে সাঈদের পিতা! আমার কাছে কয়েকটি বাঁদী আছে। তারা আমার স্ত্রীদের চেয়েও অধিক সুন্দরী। কিন্তু আমি চাই না যে, তারা গর্ভবতী হোক। আমি কি আযল করতে পারি? রাবী বলেন, যায়েদ (রাযিঃ) বললেন, হে হাজ্জাজ! তুমি মাসআলা বলে দাও। হাজ্জাজ বলেন, আমি বললাম, আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন, আমি এই মাসআলা জানার জন্যই তো আপনার কাছে বসে আছি। যায়েদ (রাযিঃ) বললেন, হে হাজ্জাজ! তাকে মাসআলা বলে দাও । হাজ্জাজ বলেন, আমি বললাম, তা তোমার কৃষিক্ষেত। তুমি ইচ্ছা করলে তা শুষ্ক রাখো আর ইচ্ছা করলে তাতে পানি সিঞ্চন করো। হাজ্জাজ আরো বলেন, একথা প্রায়ই আমি যায়েদ (রাযিঃ)-র মুখে শুনতাম। অবশেষে যায়েদ (রাযিঃ) বললেন, সে সত্য বলেছে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। বাঁদীদের সাথে আযল করায় আমরা কোন দোষ দেখছি না। কিন্তু স্বাধীন স্ত্রীর সাথে তার অনুমতি ছাড়া আযল করা উচিত নয়। বাঁদী যদি অন্য কারো বিবাহাধীন থাকে, তবে তার মালিকের অনুমতি ব্যতীত তার সাথে আযল করা উচিত নয় । ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-রও এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। বাঁদীদের সাথে আযল করায় আমরা কোন দোষ দেখছি না। কিন্তু স্বাধীন স্ত্রীর সাথে তার অনুমতি ছাড়া আযল করা উচিত নয়। বাঁদী যদি অন্য কারো বিবাহাধীন থাকে, তবে তার মালিকের অনুমতি ব্যতীত তার সাথে আযল করা উচিত নয় । ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-রও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ضَمْرَةُ بْنُ سَعِيدٍ الْمَازِنِيُّ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ عَمْرِو بْنِ غَزِيَّةَ، أنَّهُ كَانَ جَالِسًا عِنْدَ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، فَجَاءَهُ ابْنُ قَهْدٍ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ، فَقَالَ: " يَا أَبَا سَعِيدٍ، إِنَّ عِنْدِي جَوَارِيَ، لَيْسَ نِسَائِي اللاتِي كُنَّ بِأَعْجَبَ إِلَيَّ مِنْهُنَّ، وَلَيْسَ كُلُّهُنَّ يُعْجِبُنِي أَنْ تَحْمِلَ مِنِّي، أَفَأَعْزِلُ؟ قَالَ: قَالَ: أَفْتِهِ يَا حَجَّاجُ، قَالَ: قُلْتُ: غَفَرَ اللَّهُ لَكَ، إِنَّمَا نَجْلِسُ إِلَيْكَ لِنَتَعَلَّمَ مِنْكَ، قَالَ، أَفْتِهِ، قَالَ: قُلْتُ: هُوَ حَرْثُكَ إِنْ شِئْتَ عَطَّشْتَهُ وَإِنْ شِئْتَ سَقَيْتَهُ "، قَالَ: وَقَدْ كُنْتُ أَسْمَعُ ذَلِكَ مِنْ زَيْدٍ، فَقَالَ زَيْدٌ: صَدَقَ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ لا نَرَى بِالْعَزْلِ بَأْسًا عَنِ الأَمَةِ، وَأَمَّا الْحُرَّةُ، فَلا يَنْبَغِي أَنْ يَعْزِلَ عَنْهَا إِلا بِإِذْنٍ، وَإِذَا كَانَتِ الأَمَةُ زَوْجَةَ الرَّجُلِ، فَلا يَنْبَغِي أَنْ يَعْزِلَ عَنْهَا إِلا بِإِذْنٍ مَوْلاهَا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫২
আযল (স্ত্রীর যৌনাঙ্গের বাইরে বীর্য স্খলন)।
৫৫২। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেন, লোকদের কি হলো যে, তারা নিজেদের বাঁদীদের সাথে আযল করে! আমার কাছে যদি কোন বাঁদী আসে, যার সাথে তার মালিক সহবাসের কথা স্বীকার করে, তাহলে আমি ভূমিষ্ঠ সন্তানকে তার মালিকের সাথে সংযুক্ত করবো। এই নির্দেশের পর তোমরা চাইলে আযলও করতে পারো, নাও করতে পারো।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, হযরত উমার (রাযিঃ) একথা বলে লোকদের ভয় প্রদর্শন করেছেন যে, তারা যেন অযথা নিজেদের বীর্য নষ্ট না করে, অথচ তারা নিজেদের বাঁদীদের সাথে সঙ্গম করতো। আমরা জানতে পেরেছি যে, যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) নিজের বাঁদীর সাথে সংগম করেছেন। সে যখন বাচ্চা প্রসব করলো, তিনি ভূমিষ্ঠ সন্তানকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালেন। উমার (রাযিঃ) তার এক বাঁদীর সাথে সংগম করেন। সে গর্ভবতী হলে তিনি বলেন, 'হে আল্লাহ! যে সন্তান উমারের ঔরসজাত নয়, তাকে তুমি তার বংশের সাথে সংযুক্ত করো না।' বাঁদী একটি কালো সন্তান প্রসব করলো এবং স্বীকার করলো যে, সন্তানটি এক রাখালের ঔরসজাত। অতএব উমার (রাযিঃ) এই সন্তান গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন । ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলতেন, বাঁদীকে যদি পর্দার মধ্যে রাখা হয় এবং তাকে কখনো বাড়ীর বাইরে না যেতে দেয়া হয়, অতঃপর সে যদি সন্তান প্রসব করে, তবে এই সন্তান এবং তার মহান প্রতিপালকের মাঝে অস্বীকার করার কোন পথ নেই। ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, হযরত উমার (রাযিঃ) একথা বলে লোকদের ভয় প্রদর্শন করেছেন যে, তারা যেন অযথা নিজেদের বীর্য নষ্ট না করে, অথচ তারা নিজেদের বাঁদীদের সাথে সঙ্গম করতো। আমরা জানতে পেরেছি যে, যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) নিজের বাঁদীর সাথে সংগম করেছেন। সে যখন বাচ্চা প্রসব করলো, তিনি ভূমিষ্ঠ সন্তানকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালেন। উমার (রাযিঃ) তার এক বাঁদীর সাথে সংগম করেন। সে গর্ভবতী হলে তিনি বলেন, 'হে আল্লাহ! যে সন্তান উমারের ঔরসজাত নয়, তাকে তুমি তার বংশের সাথে সংযুক্ত করো না।' বাঁদী একটি কালো সন্তান প্রসব করলো এবং স্বীকার করলো যে, সন্তানটি এক রাখালের ঔরসজাত। অতএব উমার (রাযিঃ) এই সন্তান গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন । ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলতেন, বাঁদীকে যদি পর্দার মধ্যে রাখা হয় এবং তাকে কখনো বাড়ীর বাইরে না যেতে দেয়া হয়, অতঃপর সে যদি সন্তান প্রসব করে, তবে এই সন্তান এবং তার মহান প্রতিপালকের মাঝে অস্বীকার করার কোন পথ নেই। ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ: «مَا بَالُ رِجَالٍ يَعْزِلُونَ عَنْ وَلائِدِهِمْ؟ لا تَأْتِينِي وَلِيدَةٌ فَيَعْتَرِفُ سَيِّدُهَا أَنَّهُ قَدْ أَلَمَّ بِهَا إِلا أَلْحَقْتُ بِهِ وَلَدَهَا فَاعْتَزِلُوا بَعْدُ، أَوِ اتْرُكُوا» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: إِنَّمَا صَنَعَ هَذَا عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَلَى التَّهْدِيدِ لِلنَّاسِ أَنْ يُضَيِّعُوا، وَلائِدَهُمْ، وَهُمْ يَطَئُونَهُنَّ، قَدْ بَلَغَنَا أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ وَطِئَ جَارِيَةً لَهُ، فَجَاءَتْ بِوَلَدٍ، فَنَفَاهُ، وَأَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ وَطِئَ جَارِيَةً لَهُ فَحَمَلَتْ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ لا تُلْحِقْ بِآلِ عُمَرَ مَنْ لَيْسَ مِنْهُمْ، فَجَاءَتْ بِغُلامٍ أَسْوَدَ، فَأَقَرَّتْ أَنَّهُ مِنَ الرَّاعِي، فَانْتَفَى مِنْهُ عُمَرُ، وَكَانَ أَبُو حَنِيفَةَ، يَقُولُ: إِذَا حَصَّنَهَا وَلَمْ يَدَعْهَا تَخْرُجْ، فَجَاءَتْ بِوَلَدٍ لَمْ يَسَعْهُ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ يَنْتَفِي مِنْهُ، فَبِهَذَا نَأْخُذُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৩
আযল (স্ত্রীর যৌনাঙ্গের বাইরে বীর্য স্খলন)।
৫৫৩। আবু উবায়েদ-কন্যা সাফিয়্যা (রাহঃ) বলেন, উমার (রাযিঃ) বললেন, লোকদের কি হলো যে, তারা নিজেদের বাঁদীদের সাথে সঙ্গম করে, আবার তাদের বাড়ীর বাইরে যাওয়ার জন্যও ছেড়ে দেয়। আল্লাহর শপথ! আমার কাছে যদি কোন বাঁদী আসে এবং তার মালিক তার সাথে সঙ্গম করেছে বলে স্বীকার করে, তাহলে ভূমিষ্ঠ সন্তানকে আমি তার সাথে যুক্ত করবো। অতএব এই নির্দেশের পর তোমরা তাদের বাইরেও যেতে দিতে পারো অথবা বাড়ীতে আব্দ্ধও রাখতে পারো (কিন্তু সন্তানের দায়িত্ব তোমাদেরই নিতে হবে)।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حدَّثنا نَافِعٌ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ أَبِي عُبَيْدٍ، قَالَتْ: قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: «مَا بَالُ رِجَالٍ يَطَئُونَ، وَلائِدَهُمْ ثُمَّ يَدَعُونَهُنَّ فَيَخْرُجْنَ؟ وَاللَّهِ لا تَأْتِينِي وَلِيدَةٌ فَيَعْتَرِفُ سَيِّدُهَا أَنْ قَدْ وَطِئَها إِلا أَلْحَقْتُ بِهِ وَلَدَهَا فَأَرْسِلُوهُنَّ بَعْدُ، أَوْ أَمْسِكُوهُنَّ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান