আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৫১
তামাত্তু হজ্জকারীর উপর কোরবানী ওয়াজিব।
৪৫১। আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার (রাহঃ) বলেন, আমি উমার (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি হজ্জের মাসসমূহে অর্থাৎ শাওয়াল, যিলকাদ ও যিলহজ্জ মাসে উমরা করলো, সে তামাত্তু হজ্জকারী হিসাবে গণ্য। তার উপর কোরবানী ওয়াজিব। কোরবানীর পশু না পাওয়া গেলে তাকে রোযা রাখতে হবে।
بَابُ: الْمُتَمَتِّعِ مَا يَجِبُ عَلَيْهِ مِنَ الْهَدْيِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ: «مَنِ اعْتَمَرَ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ فِي شَوَّالٍ، أَوْ فِي ذِي الْقِعْدَةِ، أَوْ ذِي الْحِجَّةِ، فَقَدِ اسْتَمْتَعَ وَوَجَبَ عَلَيْهِ الْهَدْيُ، أَوِ الصِّيَامُ إِنْ لَمْ يَجِدْ هَدْيًا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫২
তামাত্তু হজ্জকারীর উপর কোরবানী ওয়াজিব।
৪৫২। উরওয়া ইবনুয যুবায়ের (রাহঃ) বলেন, আয়েশা (রাযিঃ) বলতেন, যে ব্যক্তি উমরা করে হজ্জের সুযোগ লাভ করে তার উপর রোযা ওয়াজিব, যে ব্যক্তি হজ্জের ইহরামের সময় থেকে আরাফাতের দিন পর্যন্ত কোরবানীর পশুও সংগ্রহ করতে পারেনি এবং রোযাও রাখতে পারেনি সে মিনার দিনগুলোতে রোযা রাখবে।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا، أَنَّهَا كَانَتْ تَقُولُ: «الصِّيَامُ لِمَنْ تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ مِمَّنْ لَمْ يَجِدْ هَدْيًا مَا بَيْنَ أَنْ يُهِلَّ بِالْحَجِّ إِلَى يَوْمِ عَرَفَةَ، فَإِنْ لَمْ يَصُمْ صَامَ أَيَّامَ مِنًى»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৩
তামাত্তু হজ্জকারীর উপর কোরবানী ওয়াজিব।
৪৫৩ । আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকেও আয়েশা (রাযিঃ)-র অনুরূপ মত বর্ণিত আছে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، مِثْلَ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৪
তামাত্তু হজ্জকারীর উপর কোরবানী ওয়াজিব।
৪৫৪। ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেন যে, তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাবকে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি হজ্জের মাসসমূহে অর্থাৎ শাওয়াল, যিলকাদ ও যিলহজ্জ মাসে উমরা করলো, অতঃপর (মক্কায়) অবস্থান করে হজ্জ করলো, সে তামাত্তু হজ্জকারী হিসাবে গণ্য হবে। সে যদি কোরবানী করার সামর্থ্য রাখে তবে তাকে অবশ্যই কোরবানী করতে হবে, অন্যথায় রোযা রাখবে। কিন্তু যে ব্যক্তি উমরা করে বাড়ী ফিরে গেলো এবং আবার এসে হজ্জ করলো, সে তামাত্তু হজ্জকারী গণ্য হবে না।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা উল্লেখিত সব মত গ্রহণ করেছি। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، يَقُولُ: مَنِ اعْتَمَرَ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ فِي شَوَّالٍ، أَوْ فِي ذِي الْقِعْدَةِ، أَوْ فِي ذِي الْحِجَّةِ، ثُمَّ أَقَامَ حَتَّى يَحُجَّ فَهُوَ مُتَمَتِّعٌ قَدْ وَجَبَ عَلَيْهِ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ، أَوِ الصِّيَامُ إِنْ لَمْ يَجِدْ هَدْيًا، وَمَنْ رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ، ثُمَّ حَجَّ، فَلَيْسَ بِمُتَمَتِّعٍ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا رَحِمَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান