আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৪১
ইহরামহীন ব্যক্তি যদি শিকার ধরে অথবা তা যবেহ করে তবে এটা মুহরিম ব্যক্তি খেতে পারবে কি না
৪৪১। সাব ইবনে জাসসামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সামনে বন্য গাধার গোশত পেশ করলেন। তখন তিনি আবওয়া অথবা ওয়াদ্দান নামক স্থানে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ তা ফেরত দিলেন। তিনি আমার চেহারায় বিষণ্ন ভাব লক্ষ্য করে বলেনঃ আমি কেবল এই কারণে তা ফেরত দিয়েছি যে, আমি ইহরাম অবস্থায় আছি।
بَابُ: الْحَلالُ يَذْبَحُ الصَّيْدَ أَوْ يَصِيدُهُ هَلْ يَأْكُلُ الْمُحْرِمُ مِنْهُ أَمْ لا؟
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ اللَّيْثِ، أَنَّهُ أَهْدَى لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِمَارًا وَحْشِيًّا، وَهُوَ بِالأَبْوَاءِ أَوْ بِوَدَّانَ، فَرَدَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَأَى مَا فِي وَجْهِي، قَالَ: «إِنَّا لَمْ نَرُدَّهُ عَلَيْكَ إِلا أَنَّا حُرُمٌ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৪৪২
ইহরামহীন ব্যক্তি যদি শিকার ধরে অথবা তা যবেহ করে তবে এটা মুহরিম ব্যক্তি খেতে পারবে কি না
৪৪২। সালেম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) রাবাযা নামক স্থানে কিছু সংখ্যক লোককে ইহরাম অবস্থায় দেখতে পেলেন। তারা তাকে জিজ্ঞেস করলো, হালাল (ইহরামহীন) লোকেরা শিকার ধরে তার গোশত খাচ্ছে, এখন তারাও তা খেতে পারবে কিনা? তিনি তাদেরকে তা খাওয়ার অনুমতি দিলেন। অতঃপর তিনি উমার (রাযিঃ)-র নিকট এসে তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। উমার (রাযিঃ) বলেন, তুমি কি ফতোয়া দিয়েছ? ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, আমি তাদেরকে তা খাওয়ার ফতোয়া দিয়েছি। উমার (রাযিঃ) বলেন, তুমি তাদের ভিন্নরূপ ফতোয়া দিলে আমি তোমাকে শাস্তি দিতাম।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يُحَدِّثُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، أَنَّهُ " مَرَّ بِهِ قَوْمٌ مُحْرِمُونَ بِالرَّبَذَةِ، فَاسْتَفْتَوْهُ فِي لَحْمِ صَيْدٍ وَجَدُوا أَحِلَّةً يَأْكُلُونَهُ، فَأَفْتَاهُمْ بِأَكْلِهِ، ثُمَّ قَدِمَ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَسَأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ عُمَرُ: بِمَ أَفْتَيْتَهُمْ؟ قَالَ: أَفْتَيْتُهُمْ بِأَكْلِهِ، قَالَ عُمَرُ: لَوْ أَفْتَيْتَهُمْ بِغَيْرِهِ لأَوْجَعْتُكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৩
ইহরামহীন ব্যক্তি যদি শিকার ধরে অথবা তা যবেহ করে তবে এটা মুহরিম ব্যক্তি খেতে পারবে কি না
৪৪৩। আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি কোন এক সফরে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে ছিলেন। ঘটনাক্রমে পথিমধ্যে তিনি তার কয়েকজন সঙ্গীর সাথে পিছনে রয়ে গেলেন। তারা ছিলো ইহরাম অবস্থায় আর তিনি (রাবী) ছিলেন ইহরামমুক্ত অবস্থায়। তিনি একটি বন্য গাধা দেখতে পেলেন। তিনি নিজের ঘোড়ার পিঠে উঠে বসলেন এবং নিজের সাথীদের কাছে নিজ চাবুক চাইলেন। তারা তা দিতে অস্বীকার করলেন। অতঃপর তিনি তাদের কাছে নিজের বর্শা তুলে দেয়ার জন্য বললেন, কিন্তু তারা রাজী হলেন না। অতঃপর তিনি নিজে বর্শা তুলে নিয়ে গাধাকে আক্রমণ করলেন এবং তা হত্যা করলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কতিপয় সাহাবী এর গোশত খেলেন এবং কতিপয় সাহাবী তা প্রত্যাখ্যান করলেন। অতঃপর তারা যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে এসে মিলিত হলেন, তখন তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বলেনঃ এটা তো একটা খাদ্য, আল্লাহ তাআলা তোমাদের তা আহার করিয়েছেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّهُ كَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ تَخَلَّفَ مِنْ أَصْحَابٍ لَهُ مُحْرِمِينَ، وَهُوَ غَيْرُ مُحْرِمٍ، فَرَأَى حِمَارًا وَحْشِيًّا، فَاسْتَوَى عَلَى فَرَسِهِ، فَسَأَلَ أَصْحَابَهُ أَنْ يُنَاوِلُوهُ سَوْطَهُ، فَأَبَوْا فَسَأَلَهُمْ أَنْ يُنَاوِلُوهُ رُمْحَهُ، فَأَبَوْا، فَأَخَذَهُ ثُمَّ شَدَّ عَلَى الْحِمَارِ فَقَتَلَهُ، فَأَكَلَ مِنْهُ بَعْضُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَى بَعْضُهُمْ، فَلَمَّا أَدْرَكُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلُوهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: إِنَّمَا هِيَ طُعْمَةٌ أَطْعَمَكُمُوهَا اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৪
ইহরামহীন ব্যক্তি যদি শিকার ধরে অথবা তা যবেহ করে তবে এটা মুহরিম ব্যক্তি খেতে পারবে কি না
৪৪৪। আতা ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। কাব আল-আহবার (রাহঃ) তার কতিপয় ইহরামধারী সঙ্গীর সাথে সিরিয়া থেকে আসলেন। পথিমধ্যে তারা শিকার করা গোশত দেখতে পেলেন। কাব (রাহঃ) সঙ্গীদের তা খাওয়ার অনুমতি দিলেন। তারা মদীনায় পৌঁছে ব্যাপারটি উমার (রাযিঃ)-র কাছে উত্থাপন করলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কে তোমাদের তা খাওয়ার অনুমতি দিয়েছে? তারা বলেন, কাব (রাহঃ)। উমার (রাযিঃ) বলেন, আমি কাবকে তোমাদের আমীর নিয়োগ করেছিলাম, মক্কায় ফিরে আসা পর্যন্ত। পুনরায় একদিন মক্কায় যাওয়ার পথে টিড্ডি পাওয়া গেলো। কাব (রাহঃ) তাদের তা ধরে খাওয়ার অনুমতি দিলেন। তারা উমার (রাযিঃ)-র কাছে ফিরে এসে তার সামনে বিষয়টি উত্থাপন করলেন। উমার (রাযিঃ) কাব (রাহঃ)-কে বলেন, কোন জিনিস তোমাকে এই ফতোয়া দিতে উদ্বুদ্ধ করলো? তিনি বলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! টিড্ডি তো মাছের হাঁচি থেকে নির্গত । মাছ বছরে দু'বার হাঁচি দিয়ে তা নির্গত করে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ كَعْبَ الأَحْبَارِ أَقْبَلَ مِنَ الشَّامِ فِي رَكْبٍ مُحْرِمِينَ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ وَجَدُوا لَحْمَ صَيْدٍ فَأَفْتَاهُمْ كَعْبٌ بِأَكْلِهِ، فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: «مَنْ أَفْتَاكُمْ بِهَذَا؟» ، فَقَالُوا: كَعْبٌ، قَالَ: «فَإِنِّي أَمَّرْتُهُ عَلَيْكُمْ حَتَّى تَرْجِعُوا» ، ثُمَّ لَمَّا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ، طَرِيقِ مَكَّةَ، مَرَّتْ بِهِمْ رِجْلٌ مِنْ جَرَادٍ، فَأَفْتَاهُمْ كَعْبٌ بِأَنْ يَأْكُلُوهُ، وَيَأْخُذُوهُ فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عُمَرَ، ذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: " مَا حَمَلَكَ عَلَى أَنْ تُفْتِيَهُمْ بِهَذَا؟ قَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنْ هُوَ إِلا نَثْرَةُ حُوتٍ يَنْثُرُهُ فِي كُلِّ عَامٍ مَرَّتَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৫
ইহরামহীন ব্যক্তি যদি শিকার ধরে অথবা তা যবেহ করে তবে এটা মুহরিম ব্যক্তি খেতে পারবে কি না
৪৪৫। যায়েদ ইবনে আসলাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করলো, আমি নিজের চাবুকের সাহায্যে কতগুলো টিড্ডি শিকার করেছি, এ সম্পর্কে হুকুম কি? তিনি বলেন, এক মুষ্ঠি খাদ্য দান করে দাও।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، أَنَّ رَجُلا سَأَلَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَقَالَ: إِنِّي أَصَبْتُ جَرَادَاتٍ بِسَوْطِي، فَقَالَ: أَطْعِمْ قَبْضَةً مِنْ طَعَامٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৬
ইহরামহীন ব্যক্তি যদি শিকার ধরে অথবা তা যবেহ করে তবে এটা মুহরিম ব্যক্তি খেতে পারবে কি না
৪৪৬ । উরওয়া ইবনুয যুবায়ের (রাহঃ) বলেন, তাঁর পিতা যুবায়ের ইবনুল আওয়াম (রাযিঃ) ইহরাম অবস্থায় ভাজা গোশত পাথেয় হিসাবে সাথে নিতেন। ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা উল্লেখিত সব হাদীসের উপর আমল করি। হালাল ব্যক্তি কোন কিছু শিকারের পর যবেহ করলে তা মুহরিম ব্যক্তিও খেতে পারে। এতে কোন দোষ নেই, শিকার তার উদ্দেশেই ধরা হোক অথবা অন্য করো উদ্দেশে ধরা হোক। কেননা তা হালাল ব্যক্তি শিকার করেছে এবং যবেহ করেছে। আর এ কাজ তার জন্য হালাল। মুহরিম ব্যক্তির জন্য তা শিকার নয়, বরং গোশত। অতএব তা খেলে তার কোন দোষ হবে না। মুহরিম ব্যক্তির জন্য টিড্ডি শিকার করাও নিষেধ। কোন ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় তা শিকার করলে কাফ্ফারা দিতে হবে। কাফ্ফারা হিসাবে খেজুর দেয়াই উত্তম। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-র এরূপ মতই বর্ণিত হয়েছে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও আমাদের সকল ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ الزُّبَيْرَ بْنِ الْعَوَّامِ كَانَ «يَتَزَوَّدُ صَفِيفَ الظِّبَاءِ فِي الإِحْرَامِ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، إِذَا صَادَ الْحَلالُ الصَّيْدَ فَذَبَحَهُ، فَلا بَأْسَ بِأَنْ يَأْكُلَ الْمُحْرِمُ مِنْ لَحْمِهِ إِنْ كَانَ صِيدَ مِنْ أَجْلِهِ، أَوْ لَمْ يُصَدْ مِنْ أَجْلِهِ لأَنَّ الْحَلالَ صَادَهُ وَذَبَحَهُ، وَذَلِكَ لَهُ حَلالٌ، فَخَرَجَ مِنْ حَالِ الصَّيْدِ وَصَارَ لَحْمًا، فَلا بَأْسَ بِأَنْ يَأْكُلَ الْمُحْرِمُ مِنْهُ، وَأَمَّا الْجَرَادُ، فَلا يَنْبَغِي لِلْمُحْرِمِ أَنْ يَصِيدَهُ فَإِنْ فَعَلَ كَفَّرَ، وَتَمْرَةٌ خَيْرٌ مِنْ جَرَادَةٍ: كَذَلِكَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا رَحِمَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান