আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৩৯
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
ফজর এবং আসর নামাযের পর তাওয়াফ করা।
৪৩৯। ইমাম মালেক (রাহঃ) বলেন, আবু যুবায়ের আল-মক্কী ফজর ও আসরের নামাযের পর খানায়ে কাবা তাওয়াফকারীদের থেকে শূন্য দেখতেন। অর্থাৎ এই দুই নামাযের পর কেউ তাওয়াফ করতো না।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এই দুই সময় এজন্য তাওয়াফ করা হতো না যে, উল্লেখিত সময়ে নামায পড়া মাকরূহ মনে করা হতো। আর তাওয়াফের পর দুই রাআত নামায পড়া জরুরী । আমাদের মতে ঐ দুই সময় তাওয়াফ করায় কোন দোষ নেই। তবে সূর্য না উঠা পর্যন্ত দুই রাআত নামায পড়বে না, যেমন উমার (রাযিঃ) করতেন অথবা মাগরিবের নামাযের পর দুই রাআত নামায পড়বে। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
كتاب الحج
بَابُ: الطَّوَافِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَبَعْدَ الْفَجْرِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ الْمَكِّيُّ: أَنَّهُ كَانَ يَرَى الْبَيْتَ يَخْلُو بَعْدَ الْعَصْرِ وَبَعْدَ الصُّبْحِ، مَا يَطُوفُ بِهِ أَحَدٌ، قَالَ مُحَمَّدٌ: إِنَّمَا كَانَ يَخْلُو لأَنَّهُمْ كَانُوا يَكْرَهُونَ الصَّلاةَ تَيْنَكَ السَّاعَتَيْنِ، وَالطَّوَافُ لابُدَّ لَهُ مِنْ صَلاةِ رَكْعَتَيْنِ، فَلا بَأْسَ بِأَنْ يَطُوفَ سَبْعًا، وَلا يُصَلِّيَ الرَّكْعَتَيْنِ حَتَّى تَرْتَفِعَ الشَّمْسُ وَتَبْيَضَّ، كَمَا صَنَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، أَوْ يُصَلِّيَ الْمَغْرِبَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৪০
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
ফজর এবং আসর নামাযের পর তাওয়াফ করা।
৪৪০। আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল কারী (রাহঃ) বলেন যে, তিনি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-র সাথে ফজরের নামাযের পর কাবাঘর তাওয়াফ করেছেন। উমার (রাযিঃ) তাওয়াফশেষে তাকিয়ে দেখলেন, তখনো সূর্য উঠেনি। অতঃপর তিনি নিজের উটে আরোহণ করলেন এবং যি-তুয়া নামক স্থানে পৌঁছে নিজের উট বসালেন, অতঃপর দুই রাকআত নামায পড়লেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদেরও এই মত। সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বে তাওয়াফের দুই রাকআত নামায পড়বে না, বরং সূর্য উদিত হয়ে তা আলোকিত হওয়ার পর নামায পড়বে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
كتاب الحج
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، أَنَّ حُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَخْبَرَهُ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ أَخْبَرَهُ، أَنَّهُ طَافَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بَعْدَ صَلاةِ الصُّبْحِ بِالْكَعْبَةِ، فَلَمَّا قَضَى طَوَافَهُ نَظَرَ فَلَمْ يَرَ الشَّمْسَ، فَرَكِبَ وَلَمْ يُسَبِّحْ حَتَّى أَنَاخَ بِذِي طُوًى فَسَبَّحَ رَكْعَتَيْنِ "، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، يَنْبَغِي أَنْ لا يُصَلِّيَ رَكْعَتَيِ الطَّوَافِ، حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَتَبْيَضَّ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক: