আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৩৬
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ইহরাম অবস্থায় বিবাহ করার বর্ণনা।
৪৩৬। নুবাইহ্ ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনে উবায়দুল্লাহ তাকে আবান ইবনে উছমানের কাছে পাঠালেন। আবান তখন মদীনার গভর্নর ছিলেন। তারা উভয়ে ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। উমার বললেন, তাকে গিয়ে বলো, আমি তালহার সাথে শাইবা ইবনে জুবায়েরের কন্যার বিবাহ দিতে চাই এবং বিবাহ অনুষ্ঠানে আপনার উপস্থিতি কামনা করি। আবান ইবনে উছমান দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করলেন এবং বললেন, আমি উছমান ইবনে আফ্ফান (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ মুহরিম ব্যক্তি নিজেও বিবাহ করবে না, বিবাহের প্রস্তাবও দিবে না এবং অন্যকেও বিবাহ করাবে না।
كتاب الحج
بَابُ: المُحْرِمِ يَتَزَوَّجُ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنْ نُبَيْهِ بْنِ وَهْبٍ أَخِي بَنِي عَبْدِ الدَّارِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ أَرْسَلَ إِلَى أَبَانِ بْنِ عُثْمَانَ، وَأَبَانٌ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ هُمَا مُحْرِمَانِ، فَقَالَ: إِنِّي أَرَدْتُ أَنْ أُنْكِحَ طَلْحَةَ بْنَ عُمَرَ ابْنَةَ شَيْبَةَ بْنِ جُبَيْرٍ، وَأَرَدْتُ أَنْ تَحْضُرَ ذَلِكَ، فَأَنْكَرَ عَلَيْهِ أَبَانٌ، وَقَالَ: إِنِّي سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لا يَنْكِحُ الْمُحْرِمُ، وَلا يَخْطُبُ، وَلا يُنْكَحُ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৩৭
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ইহরাম অবস্থায় বিবাহ করার বর্ণনা।
৪৩৭। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) বলতেন, মুহরিম ব্যক্তি নিজেও বিবাহ করবে না এবং নিজের বা অন্যের জন্য বিবাহের প্রস্তাবও দিবে না।
كتاب الحج
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَقُولُ: «لا يَنْكِحُ الْمُحْرِمُ، وَلا يَخْطُبُ عَلَى نَفْسِهِ، وَلا عَلَى غَيْرِهِ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৩৮
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ইহরাম অবস্থায় বিবাহ করার বর্ণনা।
৪৩৮। গাতফান ইবনে তারীফ (রাহঃ) বলেন যে, তার পিতা তারীফ ইহরাম অবস্থায় এক মহিলাকে বিবাহ করেন। উমার (রাযিঃ) তার এই বিবাহ রদ করে দেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ আলেমদের মধ্যে মতভেদ আছে। মদীনার আলেমগণের মতে ইহরাম অবস্থায় বিবাহ করলে তা বাতিল গণ্য হবে। মক্কার আলেমদের মতে ইহরাম অবস্থায় বিবাহ করা জায়েয। ইরাকের আলেমদেরও এই মত। আব্দুল্লাাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ ইহরাম অবস্থায় মাইমূনা (রাযিঃ)-কে বিবাহ করেন। ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে মাইমূনা (রাহঃ)-র বিবাহের ব্যাপারটি কোন ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রাহঃ)-র চেয়ে অধিক বেশী অবহিত বলে আমাদের জানা নেই। কেননা তিনি উম্মুল মুমিনীন হযরত মাইমূনা (রাযিঃ)-র বোনপুত ছিলেন । আমাদের মতে ইহরাম অবস্থায় বিবাহ করাতে দোষের কিছু নেই। অবশ্য ইহরাম অবস্থায় স্ত্রীকে চুমা দিবে না, শৃঙ্গার করবে না। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।**
كتاب الحج
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا غَطْفَانُ بْنُ طَرِيفٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ طَرِيفًا «تَزَوَّجَ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَرَدَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ نِكَاحَهُ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: قَدْ جَاءَ فِي هَذَا اخْتِلافٌ، فَأَبْطَلَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ نِكَاحَ الْمُحْرِمِ، وَأَجَازَ أَهْلُ مَكَّةَ وَأَهْلُ الْعِرَاقِ نِكَاحَهُ، وَرَوَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَ مَيْمُونَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ وَهُوَ مُحْرِمٌ، فَلا نَعْلَمُ أَحَدًا يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ أَعْلَمَ بِتَزَوُّجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَيْمُونَةَ مِنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَهُوَ ابْنُ أُخْتِهَا، فَلا نَرَى بِتَزَوُّجِ الْمُحْرِمِ بَأْسًا وَلَكِنْ لا يُقَبِّلْ، وَلا يَمَسَّ حَتَّى يَحِلَّ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا رَحِمَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক: