আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪১১
কোরবানীর পশুর পিঠে সওয়ার হওয়া।
৪১১। হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রয়োজনবোধে তুমি তোমার কোরবানীর পশুর পিঠে সওয়ার হতে পারো। কিন্তু এতো বেশী পরিমাণে নয় যাতে তার কষ্ট হতে পারে।
بَابُ: الرَّجُلُ يَسُوقُ بَدَنَةً فَيَضْطَرُّ إِلَى رُكُوبِهَا
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ: إِذَا اضْطُرِرْتَ إِلَى بَدَنَتِكَ فَارْكَبْهَا رُكُوبًا غَيْرَ فَادِحٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১২
কোরবানীর পশুর পিঠে সওয়ার হওয়া।
৪১২। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে একটি কোরবানীর উট হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। তিনি তাকে বলেনঃ “এর পিঠে সওয়ার হয়ে যাও” । সে বললো, এটা কোরবানীর উট। এরপর তিনি দুইবার বলেনঃ “এর পিঠে চড়ে যাও, তোমার জন্য দুঃখ হয়”।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " مَرَّ عَلَى رَجُلٍ يَسُوقُ بَدَنَتَهُ، فَقَالَ لَهُ: ارْكَبْهَا، فَقَالَ: أَنَّهَا بَدَنَةٌ، فَقَالَ لَهُ بَعْدَ مَرَّتَيْنِ: ارْكَبْهَا وَيْلَكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৩
কোরবানীর পশুর পিঠে সওয়ার হওয়া।
৪১৩। নাফে (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) বলতেন, কোরবানীর উষ্ট্রী বাচ্চা প্রসব করলে তাও সাথে নিয়ে যেতে হবে এবং এটাও তার মায়ের সাথে কোরবানী করতে হবে। যদি তা সাথে করে নিয়ে যাওয়ার কোন উপায় না থাকে, তবে তাকে এর মায়ের পিঠের উপর উঠিয়ে দিবে, অতঃপর গন্তব্যে পৌঁছে উভয়টি কোরবানী করতে হবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَقُولُ: «إِذَا نَتَجَتِ الْبَدَنَةُ فَلْيُحْمَلْ وَلَدُهَا مَعَهَا حَتَّى يُنْحَرَ مَعَهَا، فَإِنْ لَمْ يَجِدْ لَهُ مَحْمَلا فَلْيَحْمِلْهُ عَلَى أُمِّهِ حَتَّى يُنْحَرَ مَعَهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৪
কোরবানীর পশুর পিঠে সওয়ার হওয়া।
৪১৪। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) অথবা (ইমাম মুহাম্মাদের সন্দেহ) উমার (রাযিঃ) বলতেন, কোন ব্যক্তি (মক্কায়) কোরবানীর উট পাঠালো, অতঃপর তা হারিয়ে গেলো অথবা মারা গেলো। যদি তা মানতেন কোরবানী হয়ে থাকে, তবে এর পরিবর্তে আরেকটি উট কোরবানী করতে হবে। আর যদি তা নফল কোরবানী হয়ে থাকে, তবে সে ইচ্ছা করলে এর পরিবর্তে আরেকটি পশু কোরবানী করতে পারে আবার নাও করতে পারে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই নীতি গ্রহণ করেছি। প্রয়োজনবোধে কোরবানীর পশু বাহন হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যতোটুকু ক্ষতি হবে ততো পরিমাণ ক্ষতিপূরণ করতে হবে। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই নীতি গ্রহণ করেছি। প্রয়োজনবোধে কোরবানীর পশু বাহন হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যতোটুকু ক্ষতি হবে ততো পরিমাণ ক্ষতিপূরণ করতে হবে। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، أَوْ عُمَرَ، شَكَّ مُحَمَّدٌ، كَانَ يَقُولُ: «مَنْ أَهْدَى بَدَنَةً فَضَلَّتْ، أَوْ مَاتَتْ، فَإِنْ كَانَتْ نَذْرًا أَبْدَلَهَا، وَإِنْ كَانَتْ تَطَوُّعًا، فَإِنْ شَاءَ أَبْدَلَهَا، وَإِنْ شَاءَ تَرَكَهَا» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَمَنِ اضْطُرَّ إِلَى رُكُوبِ بَدَنَتِهِ فَلْيَرْكَبْهَا فَإِنْ نَقَصَهَا ذَلِكَ شَيْئًا تَصَدَّقَ بِمَا نَقَصَهَا وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান