আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৯৩
কিরান হজ্জের বর্ণনা।
৩৯৩ । সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর বিদায় হজ্জের বছর কতক সাহাবী শুধু হজ্জের ইহরাম বাঁধলেন, কতকে উমরার ইহরাম এবং কতকে হজ্জ ও উমরা উভয়টির ইহরাম বাঁধলেন। যেসব সাহাবী কেবল উমরার (তামাত্তু হজ্জের) ইহরাম বেঁধেছিলেন, তারা উমরা করার পর ইহরাম খুলে ফেললেন। আর যারা শুধু হজ্জ অথবা হজ্জ ও উমরা উভয়ের ইহরাম বেঁধেছিলেন, তারা ইহরাম খুলেননি।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে এবং ইমাম আবু হানীফার মতে এই পন্থাই উত্তম।
بَابُ: القِرَانِ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ الأَسَدِيُّ، أَنَّ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ أَخْبَرَهُ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ كَانَ مِنْ أَصْحَابِهِ مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ، وَمَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ، وَمِنْهُمْ مَنْ جَمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَحَلَّ مَنْ كَانَ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، وَأَمَّا مَنْ كَانَ أَهَلَّ بِالْحَجِّ، أَوْ جَمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَلَمْ يَحِلُّوا» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৪
কিরান হজ্জের বর্ণনা।
৩৯৪। নাফে (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) ফিতনার যুগে১ উমরা করার জন্য রওয়ানা হলেন। তিনি বললেন, যদি আমি কাবাঘরে পৌঁছতে বাঁধাপ্রাপ্ত হই, তবে এরূপ পরিস্থিতিতে আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে যে পন্থা অবলম্বন করেছিলাম, এক্ষেত্রেও তাই করবো। নাফে (রাহঃ) বলেন, অতঃপর তিনি রওয়ানা হলেন এবং উমরার ইহরাম বাঁধলেন। বাইদা নামক স্থানে পৌঁছে তিনি নিজের সফরসঙ্গীদের সম্বোধন করে বললেন, হজ্জ ও উমরার নিয়ম একই। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি উমরার সাথে হজ্জেরও নিয়াত করেছি।২ সেখান থেকে রওয়ানা হয়ে তিনি বাইতুল্লায় পৌঁছলেন এবং সাতবার তাওয়াফ করলেন, অতঃপর সাফা ও মারওয়ার মাঝে সাতবার সাঈ করলেন, এর অধিক কিছু করলেন না। অর্থাৎ এক তাওয়াফকেই যথেষ্ট মনে করলেন এবং কোরবানী করলেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ خَرَجَ فِي الْفِتْنَةِ مُعْتَمِرًا، وَقَالَ: " إِنْ صُدِدْتُ عَنِ الْبَيْتِ صَنَعْنَا كَمَا صَنَعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَخَرَجَ فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ وَسَارَ، حَتَّى إِذَا ظَهَرَ عَلَى ظَهْرِ الْبَيْدَاءِ الْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِهِ، وَقَالَ: مَا أَمْرُهُمَا إِلا وَاحِدٌ، أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ الْحَجَّ مَعَ الْعُمْرَةِ، فَخَرَجَ حَتَّى إِذَا جَاءَ الْبَيْتَ طَافَ بِهِ، وَطَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ سَبْعًا لَمْ يَزِدْ عَلَيْهِ، وَرَأَى ذَلِكَ مُجْزِيًا عَنْهُ وَأَهْدَى "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৫
কিরান হজ্জের বর্ণনা।
৩৯৫ । সাদাকা ইবনে ইয়াসার আল-মক্কী (রাহঃ) বলেন, আমি তারবিয়ার দিনের (৮ যিলহজ্জ) দুই-তিনদিন পূর্বে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-র কাছে আসলাম। বহু লোক তার কাছে বিভিন্ন মাসআলা জিজ্ঞেস করতে আসতো। এসময় ইয়ামনের এক ব্যক্তি তার কাছে আসলো। তার মাথার চুলগুলো ছিল উষ্কখুষ্ক। সে বললো, হে আবু আব্দুর রহমান! আমি আমার চুলগুলো বেঁধে নিয়েছি এবং শুধু উমরার জন্য ইহরাম বেঁধেছি। এখন আমার জন্য কি হুকুম? ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, আমি যদি তোমার ইহরাম বাঁধার সময় তোমরা সাথে থাকতাম তবে আমি তোমাকে কিরান হজ্জ করার নির্দেশ দিতাম। অতঃপর যখন বাইতুল্লায় পৌঁছতে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করতে, সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করতে এবং কোরবানীর দিন কোরবানী না করা পর্যন্ত তুমি ইহরামমুক্ত হতে না । ইবনে উমার (রাযিঃ) তাকে আরো বলেন, তোমার উষ্কখুষ্ক চুলগুলি কেটে ফেলো এবং পশু যবেহ করো। ঘরের মধ্য থেকে এক মহিলা তাকে জিজ্ঞেস করলো, হে আবু আব্দুর রহমান! তাকে কি যবেহ করতে হবে? তিনি বলেন, চুল কাটলে যে পশু যবেহ করতে হয় তা। মহিলাটি তিনবার জিজ্ঞেস করলো, আর তিনি তিনবার একই উত্তর দিলেন। অতঃপর ইবনে উমার (রাযিঃ) নীরব হলেন। আমরা যখন বিদায় নেয়ার ইচ্ছা করলাম তখন তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি যদি বকরী ছাড়া অন্য কোন জন্তু না পাই, তাহলে আমার মতে রোযা রাখার চেয়ে বকরী যবেহ করাই উত্তম।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই নীতি গ্রহণ করেছি। আমাদের মতে কিরান হজ্জই সর্বোত্তম, যেমন ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেছেন। আর যখন উমরার জন্য ইহরাম বেঁধে তামাত্তু হজ্জের নিয়াত করবে, তখন তাওয়াফ ও সাঈ করার পর মাথার চুল খাটো করে ফেলবে এবং ইরামমুক্ত হয়ে যাবে। পুনরায় হজ্জের জন্য ইহরাম বেঁধে হজ্জ করবে। অতঃপর কোরবানীর দিন মাথা কামিয়ে একটি বকরী যবেহ করলে তাও জায়েয হবে, যেমন ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেছেন । ইমাম আবু হানীফা এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ يَسَارٍ الْمَكِّيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، وَدَخَلْنَا عَلَيْهِ قَبْلَ يَوْمِ التَّرْوِيَةِ بِيَوْمَيْنِ، أَوْ ثَلاثَةٍ، وَدَخَلَ عَلَيْهِ النَّاسُ يَسْأَلُونَهُ فَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ ثَائِرَ الرَّأْسِ، فَقَالَ: " يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، إِنِّي ضَفَّرْتُ رَأْسِي، وَأَحْرَمْتُ بِعُمْرَةٍ مُفْرَدَةٍ، فَمَاذَا تَرَى؟ قَالَ ابْنُ عُمَرَ: لَوْ كُنْتُ مَعَكَ حِينَ أَحْرَمْتَ لأَمَرْتُكَ أَنْ تُهِلَّ بِهِمَا جَمِيعًا، فَإِذَا قَدِمْتَ طُفْتَ بِالْبَيْتِ، وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَكُنْتَ عَلَى إِحْرَامِكَ، لا تَحِلَّ مِنْ شَيْءٍ حَتَّى تَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا يَوْمَ النَّحْرِ، وَتَنْحَرَ هَدْيَكَ، وَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ: خُذْ مَا تَطَايَرَ مِنْ شَعْرِكَ، وَاهْدِ، فَقَالَتْ لَهُ امْرَأَةٌ فِي الْبَيْتِ: وَمَا هَدْيُهُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ؟ قَالَ: هَدْيُهُ ثَلاثًا، كُلُّ ذَلِكَ يَقُولُ هَدْيُهُ، قَالَ: ثُمَّ سَكَتَ ابْنُ عُمَرَ، حَتَّى إِذَا أَرَدْنَا الْخُرُوجَ، قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْ لَمْ أَجِدْ إِلا شَاةً لَكَانَ أُرَى أَنْ أَذْبَحَهَا أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَصُومَ "، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، الْقِرَانُ أَفْضَلُ، كَمَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، فَإِذَا كَانَتِ الْعُمْرَةُ، وَقَدْ حَضَرَ الْحَجُّ، فَطَافَ لَهَا وَسَعَى، فَلْيُقَصِّرْ، ثُمَّ لِيُحْرِمْ بِالْحَجِّ، فَإِذَا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ حَلَقَ وَشَاةٌ تُجْزِئُهُ، كَمَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৬
কিরান হজ্জের বর্ণনা।
৩৯৬। সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) ও দাহ্হাক ইবনে কায়েস (রাযিঃ) বলেন, যে বছর মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রাযিঃ) হজ্জ করতে এসেছিলেন, তখন তারা উভয়ে তামাত্তু হজ্জ সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা করছিলেন। দাহ্হাক ইবনে কায়েস (রাযিঃ) বললেন, তামাত্তু হজ্জ সেই ব্যক্তি করতে পারে, যে আল্লাহর বিধান সম্পর্কে অবহিত নয়। উত্তরে সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) বললেন, তুমি এটা ঠিক বলোনি। রাসূলুল্লাহ ﷺ তামাত্তু হজ্জ করেছেন এবং আমরাও তাঁর সাথে এই হজ্জ করেছি।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে ইফরাদ হজ্জ ও উমরার তুলনায় কিরান হজ্জ উত্তম। কিরান হজ্জকারী উমরার জন্য এক তাওয়াফ (সাত চক্কর) ও এক সাঈ (সাফা-মাওয়ার মাঝে সাতবার দৌড়) করবে এবং দ্বিতীয় তাওয়াফ ও দ্বিতীয় সাঈ হজ্জের জন্য করবে। কেননা আমাদের মতে এক তাওয়াফ ও এক সাঈর তুলনায় দুই তাওয়াফ ও দুই সাঈ করা উত্তম। আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে তা প্রমাণিত। তিনি কিরান হজ্জকারীকে দুই তাওয়াফ ও দুই সাঈ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ حَدَّثَنَا، أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، وَالضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ عَامَ حَجِّ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ وَهُمَا يَذْكُرَانِ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ، فَقَالَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ: لا يَصْنَعُ ذَلِكَ إِلا مَنْ جَهِلَ أَمْرَ اللَّهِ تَعَالَى، فَقَالَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ: بِئْسَ مَا قُلْتَ، قَدْ صَنَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَنَعْنَاهَا مَعَهُ "، قَالَ مُحَمَّدٌ: القِرَانُ عِنْدَنَا أَفْضَلُ مِنَ الإِفْرَادِ بِالْحَجِّ، وَإِفْرَادُ الْعُمْرَةِ، فَإِذَا قَرَنَ طَافَ بِالْبَيْتِ لِعُمْرَتِهِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَطَافَ بِالْبَيْتِ لِحَجَّتِهِ، وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، طَوَافَانِ وَسَعْيَانِ أَحَبُّ إِلَيْنَا مِنْ طَوَافٍ وَاحِدٍ، وَسَعْيٍ وَاحِدٍ، ثَبَتَ ذَلِكَ بِمَا جَاءَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ أَمَرَ الْقَارِنَ بِطَوَافَيْنِ وَسَعْيَيْنِ، وَبِهِ نَأْخُذُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৭
কিরান হজ্জের বর্ণনা।
৩৯৭। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন, তোমরা নিজেদের হজ্জ ও উমরার মাঝখানে ব্যবধান সৃষ্টি করো। তাহলে তোমাদের প্রত্যেকের হজ্জও পূর্ণাঙ্গ হবে এবং উমরাও পূর্ণাঙ্গ হবে। অর্থাৎ সে যেন হজ্জের মাস ভিন্ন অন্য মাসে উমরা করে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি উমরা করে বাড়িতে ফিরে গেলো, অতঃপর পুনরায় এসে হজ্জ করে বাড়ি ফিরে গেলো, তার এই হজ্জ ও উমরা সফরে সমাধা হলো। এটা কিরান হজ্জের তুলনায় অধিক উত্তম। তবে কিরান হজ্জ, মক্কা থেকে ইফরাদ হজ্জ, উমরা ও তামাত্তু হজ্জের তুলনায় অধিক উত্তম। কেননা কিরান হজ্জকারী হজ্জ ও উমরা বাড়ী থেকে এসে করলো। আর যখন সে তামাত্তু হজ্জ করলো তখন এটা তার মক্কী হজ্জ হলো। আর যদি ইফরাদ হজ্জ হয়ে থাকে, তবে তার উমরা মক্কী উমরা হিসাবে গণ্য হবে। এসব অবস্থায় কিরান হজ্জই উত্তম । ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদেরও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَالَ: «افْصِلُوا بَيْنَ حَجِّكُمْ وَعُمْرَتِكُمْ، فَإِنَّهُ أَتَمُّ لِحَجِّ أَحَدِكُمْ، وَأَتَمُّ لِعُمْرَتِهِ أَنْ يَعْتَمِرَ فِي غَيْرِ أَشْهُرِ الْحَجِّ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: يَعْتَمِرُ الرَّجُلُ وَيَرْجِعُ إِلَى أَهْلِهِ ثُمَّ يَحُجَّ وَيَرْجِعُ إِلَى أَهْلِهِ فَيَكُونُ ذَلِكَ فِي سَفَرَيْنِ أَفْضَلَ مِنَ الْقِرَانِ، وَلَكِنَّ الْقِرَانَ أَفْضَلُ مِنَ الْحَجِّ مُفْرَدًا، وَالْعُمْرَةُ مِنْ مَكَّةَ، وَمِنَ التَّمَتُّعِ، وَالْحَجُّ مِنْ مَكَّةَ، لأَنَّهُ إِذَا قَرَنَ كَانَتْ عُمْرَتُهُ، وَحَجَّتُهُ مِنْ بَلَدِهِ، وَإِذَا تَمَتَّعَ كَانَتْ حَجَّتُهُ مَكِّيَّةً، وَإِذَا أَفْرَدَ بِالْحَجِّ كَانَتْ عُمْرَتُهُ مَكِّيَّةً، فَالْقِرَانُ أَفْضَلُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান