আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৫- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৩৪৯
- রোযার অধ্যায়
যে ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলকভাবে রমযানের রোযা ভঙ্গ করে।
৩৪৯। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রমযানের একটি রোযা ভেঙ্গে ফেললো। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে এর কাফফারা স্বরূপ একটি ক্রীতদাস আযাদ করতে অথবা একাধারে দুই মাস রোযা রাখতে অথবা ষাটজন মিসকীনকে এক বেলা আহার কারার নির্দেশ দেন। লোকটি বললো, এর কোনটি করারই সামর্থ্য আমার নেই। এসময় রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে এক ঝুড়ি খেজুর নিয়ে আসা হলো। তিনি বলেনঃ এগুলো নাও এবং তা দিয়ে সদাকা করো। সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! এই শহরে আমার চেয়ে অধিক অভাবী লোক আমি দেখতে পাচ্ছি না। তিনি বলেনঃ তুমি নিজেই তা খাও।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই হাদীস অনুযায়ী আমল করি। কোন ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক পানাহার অথবা সহবাসের মাধ্যমে রমযানের রোযা ভঙ্গ করলে তাকে সেই রোযাটির কাযা এবং যিহারের সমপরিমাণ কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। অর্থাৎ একটি গোলাম আযাদ করতে হবে। গোলাম আযাদ করা সম্ভব না হলে একাধারে দুই (চান্দ্র) মাস রোযা রাখতে হবে। রোযা রাখতে সক্ষম না হলে ঘাটজন মিসকীনকে এক বেলা আহার করাতে হবে। মাথাপিছু এর পরিমাণ গমে অর্ধ সা' অথবা খেজুরে এক সা' অথবা বার্লিতে এক সা' (১ সা' = ৩ সের ৯ ছটাক)।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই হাদীস অনুযায়ী আমল করি। কোন ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক পানাহার অথবা সহবাসের মাধ্যমে রমযানের রোযা ভঙ্গ করলে তাকে সেই রোযাটির কাযা এবং যিহারের সমপরিমাণ কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। অর্থাৎ একটি গোলাম আযাদ করতে হবে। গোলাম আযাদ করা সম্ভব না হলে একাধারে দুই (চান্দ্র) মাস রোযা রাখতে হবে। রোযা রাখতে সক্ষম না হলে ঘাটজন মিসকীনকে এক বেলা আহার করাতে হবে। মাথাপিছু এর পরিমাণ গমে অর্ধ সা' অথবা খেজুরে এক সা' অথবা বার্লিতে এক সা' (১ সা' = ৩ সের ৯ ছটাক)।
أبواب الصيام
بَابُ: مَنْ أَفْطَرَ مُتَعَمِّدًا فِي رَمَضَانَ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلا أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ، «فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُكَفِّرَ بِعِتْقِ رَقَبَةٍ، أَوْ صِيَامِ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ، أَوْ إِطْعَامِ سِتِّينَ مِسْكِينًا» ، قَالَ: لا أَجِدُ، فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَقٍ مِنْ تَمْرٍ، فَقَالَ: «خُذْ هَذَا فَتَصَدَّقْ بِهِ» ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا أَجِدُ أَحَدًا أَحْوَجَ إِلَيْهِ مِنِّي، قَالَ: «كُلْهُ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ إِذَا أَفْطَرَ الرَّجُلُ مُتَعَمِّدًا فِي شَهْرِ رَمَضَانَ بِأَكْلٍ، أَوْ شُرْبٍ، أَوْ جِمَاعٍ فَعَلَيْهِ قَضَاءُ يَوْمٍ مَكَانَهُ، وَكَفَّارَةُ الظِّهَارِ أَنْ يَعْتِقَ رَقَبَةً، فَإِنْ لَمْ يَجِدْ، فَصِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ، أَطْعَمَ سِتِّينَ مِسْكِينًا، لِكُلِّ مِسْكِينٍ نِصْفُ صَاعٍ مِنْ حِنْطَةٍ، أَوْ صَاعٌ مِنْ تَمْرٍ، أَوْ شَعِيرٍ
তাহকীক: