আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৮৫
কেউ কাতার থেকে দূরে রুকূতে শামিল হলে এবং রুকূতে কিরাআত পাঠ করলে।
২৮৫। আবু উমামা ইবনে সাহল ইবনে হুনাইফ (রাযিঃ) বলেন, যায়েদ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) মসজিদে প্রবেশ করলেন। তিনি লোকদের রুকূ অবস্থায় দেখতে পেলেন। তিনিও রুকূতে চলে গেলেন, অতঃপর ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়ে কাতারে শামিল হলেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এভাবে রুকূতে শামিল হওয়া জায়েয। আমাদের ও ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-র মতে উত্তম পন্থা এই যে, প্রথমে কাতারে গিয়ে শামিল হবে, অতঃপর রুকূতে যাবে।
بَابُ: الرَّجُلِ يَرْكَعُ دُونَ الصَّفِّ، أَوْ يَقْرَأُ فِي رُكُوعِهِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، أَنَّهُ قَالَ: دَخَلَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، فَوَجَدَ النَّاسَ رُكُوعًا، فَرَكَعَ ثُمَّ دَبَّ حَتَّى وَصَلَ الصَّفَّ "، قَالَ مُحَمَّدٌ: هَذَا يُجْزِئُ، وَأَحَبُّ إِلَيْنَا أَنْ لا يَرْكَعَ حَتَّى يَصِلَ إِلَى الصَّفِّ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৮৬
কেউ কাতার থেকে দূরে রুকূতে শামিল হলে এবং রুকূতে কিরাআত পাঠ করলে।
২৮৬। হাসান বসরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আবু বাকরা (রাযিঃ) কাতার থেকে দূরে রুকূতে শামিল হলেন। অতঃপর হেঁটে অগ্রসর হয়ে কাতারে শামিল হলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার নামায থেকে অবসর হলে তাঁর সামনে এটা উল্লেখ করা হলো। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বলেনঃ “আল্লাহ যেন তোমার এই আগ্রহ আরো বৃদ্ধি করেন, কিন্তু ভবিষ্যতে আর এরূপ করো না” **
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, অরাও তাই বলি। অর্থাৎ এরূপ করলে নামায তো হয়ে যায় ঠিকই, কিন্তু এরূপ না করাটা আমাদের কাছে অধিক পছন্দনীয় (বরং প্রথমে কাতারে গিয়ে শামিল হবে, অতঃপর রুকূতে যাবে)।
قَالَ مُحَمَّدٌ: حَدَّثَنَا الْمُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ أَبَا بَكْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَكَعَ دُونَ الصَّفِّ، ثُمَّ مَشَى حَتَّى وَصَلَ الصَّفَّ، فَلَمَّا قَضَى صَلاتَهُ ذَكَرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «زَادَكَ اللَّهُ حِرْصًا، وَلا تُعِدْ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: هَكَذَا نَقُولُ: وَهُوَ يُجْزِئُ، وَأَحَبُّ إِلَيْنَا أَنْ لا يَفْعَلَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৮৭
কেউ কাতার থেকে দূরে রুকূতে শামিল হলে এবং রুকূতে কিরাআত পাঠ করলে।
২৮৭। আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ কাচ্ছি ও মুআসফার (রেশমী কাপড় বিশেষ) এবং সোনার আংটি পরিধান করতে এবং রুকূতে কুরআনের আয়াত পড়তে নিষেধ করেছে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই নীতি গ্রহণ করেছি। রুকূ ও সিজদারত অবস্থায় কুরআনের আয়াত পাঠ করা মাকরূহ। ইমাম আবু হানীফারও এই মত ।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «نَهَى عَنْ لُبْسِ الْقَسِّيِّ، وَعَنْ لُبْسِ الْمُعَصْفَرِ، وَعَنْ تَخَتُّمِ الذَّهَبِ، وَعَنْ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ فِي الرُّكُوعِ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، تُكْرَهُ الْقِرَاءَةُ فِي الرُّكُوعِ، وَالسُّجُودِ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা