আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৩৪
ঈদের নামায এবং খোতবা প্রসঙ্গ ।
২৩৪। আবু উবায়েদ (রাহঃ) বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-র সাথে ঈদের নামাযে উপস্থিত ছিলাম। তিনি নামায পড়লেন, অতঃপর অসবর হয়ে (সালাম ফিরিয়ে) খোতবা দিলেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এই দু'দিন রোযা রাখতে তোমাদের নিষেধ করেছেন। ঈদুল ফিতরের দিন, যে দিন তোমরা রোযা রাখো না এবং দ্বিতীয়টি যেদিন তোমরা কোরবানীর গোশত খাও। রাবী আরো বলেন, আমি উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-র সাথে ঈদের নামায পড়েছি। তিনি নামায পড়লেন, অতঃপর অবসর হয়ে খোতবা দিলেন। তিনি বলেন, “আজকের দিন তোমাদের জন্য দু'টি ঈদ একত্র হয়েছে। অতএব পল্লী থেকে আগত লোকদের মধ্যে যার ইচ্ছা জুমুআর নামাযের জন্য অপেক্ষা করবে, আর যার ইচ্ছা চলে যেতে পারে। আমি তাকে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিলাম"। রাবী বলেন, আমি আলী (রাযিঃ)-র সাথেও ঈদের নামায পড়েছি। তখন হযরত উছমান (রাযিঃ) (বিদ্রোহীদের দ্বারা) অবরুদ্ধ ছিলেন। তিনি প্রথমে নামায পড়লেন, অতঃপর অবসর হয়ে খোতবা দিলেন।
بَابُ: صَلاةِ الْعِيدَيْنِ وَأَمْرِ الْخُطْبَةِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَصَلَّى، ثُمَّ انْصَرَفَ فَخَطَبَ، فَقَالَ: إِنَّ هَذَيْنِ الْيَوْمَيْنِ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صِيَامِهِمَا: يَوْمُ فِطْرِكُمْ مِنْ صِيَامِكُمْ، وَالآخَرُ يَوْمَ تَأْكُلُونَ مِنْ لُحُومِ نُسُكِكُمْ "، قَالَ: ثُمَّ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، فَصَلَّى، ثُمَّ انْصَرَفَ فَخَطَبَ، فَقَالَ: إِنَّهُ قَدِ اجْتَمَعَ لَكُمْ فِي يَوْمِكُمْ هَذَا عِيدَانِ، فَمَنْ أَحَبَّ مِنْ أَهْلِ الْعَالِيَةِ أَنْ يَنْتَظِرَ الْجُمُعَةَ فَلْيَنْتَظِرْهَا وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَرْجِعَ فَلْيَرْجِعْ، فَقَدْ أَذِنْتُ لَهُ، فَقَالَ: ثُمَّ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عَلِيٍّ، وَعُثْمَانُ مَحْصُورٌ فَصَلَّى، ثُمَّ انْصَرَفَ فَخَطَبَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৫
ঈদের নামায এবং খোতবা প্রসঙ্গ ।
২৩৫। ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন খোতবা দেয়ার পূর্বে নাযায পড়তেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, আবু বাকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ) উভয়ে তাই করতেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, উল্লেখিত সব মতই আমরা গ্রহণ করেছি। হযরত উছমান (রাযিঃ) পল্লী এলাকার মুসল্লীদের জুমুআর নামায পড়া বা না পড়ার অবকাশ এজন্য দিয়েছিলেন যে, তারা শহরের অধিবাসী ছিলো না। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ «يُصَلِّي يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ الأَضْحَى قَبْلَ الْخُطْبَةِ» ، وَذَكَرَ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، وَعُمَرَ كَانَا يَصْنَعَانِ ذَلِكَ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، وَإِنَّمَا رَخَّصَ عُثْمَانُ فِي الْجُمُعَةِ لأَهْلِ الْعَالِيَةِ لأَنَّهُمْ لَيْسُوا مِنْ أَهْلِ الْمِصْرِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান