আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২২৮
জুমুআর নামাযের কিরাআত এবং খোতবা চলাকালে নীরব থাকা উত্তম।
২২৮। দাহহাক ইবনে কায়েস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নুমান ইবনে বাশীর (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ জুমুআর দিন সূরা জুমুআর পর কোন সূরা পড়তেন? তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সূরা আল-গাশিয়া পড়তেন।
بَابُ: الْقِرَاءَةِ فِي صَلاةِ الْجُمُعَةِ وَمَا يُسْتَحَبُّ مِنَ الصَّمْتِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ بْنُ سَعِيدٍ الْمَازِنِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ سَأَلَ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، مَاذَا كَانَ يَقْرَأُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى إِثْرِ سُورَةِ الْجُمُعَةِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ؟ فَقَالَ: كَانَ يَقْرَأُ هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২২৯
জুমুআর নামাযের কিরাআত এবং খোতবা চলাকালে নীরব থাকা উত্তম।
২২৯। সালাবা ইবনে আবু মালেক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার (রাযিঃ)-র যুগে তিনি বের হয়ে আসার পূর্ব পর্যন্ত লোকজন জুমুআর দিন নামায পড়তে থাকতো। তিনি বের হয়ে এসে মিম্বরে বসতেন এবং মুয়াযযিন আযান দিতো। আমরা আযান শেষ হওয়া পর্যন্ত কথাবার্তা বলতাম। মুয়াজিন যখন চুপ হতো এবং উমার (রাযিঃ) খোতবা শুরু করতেন, তখন আমরা বথাবার্তা বন্ধ করতাম। এরপর আমাদের কেউই আর কথা বলতো না।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ، أَنَّهُمْ كَانُوا زَمَانَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يُصَلُّونَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ حَتَّى يَخْرُجَ عُمَرُ، فَإِذَا خَرَجَ وَجَلَسَ إِلَى الْمِنْبَرِ، وَأَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ ثَعْلَبَةُ: «جَلَسْنَا نَتَحَدَّثُ، فَإِذَا سَكَتَ الْمُؤَذِّنُ وَقَامَ عُمَرُ سَكَتْنَا، فَلَمْ يَتَكَلَّمْ أَحَدٌ مِنَّا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩০
জুমুআর নামাযের কিরাআত এবং খোতবা চলাকালে নীরব থাকা উত্তম।
২৩০। ইমাম যুহরী (রাহঃ) বলেন, ইমামের খোতবার জন্য বের হয়ে আসা নামাযকে স্থগিত করে দেয় এবং তার কথা (খোতবা) অন্যদের কথা বলাকে বন্ধ করে দেয়।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، قَالَ: «خُرُوجُهُ يَقْطَعُ الصَّلاةَ، وَكَلامُهُ يَقْطَعُ الْكَلامَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩১
জুমুআর নামাযের কিরাআত এবং খোতবা চলাকালে নীরব থাকা উত্তম।
২৩১। মালেক ইবনে আবু আমের (রাহঃ) বলেন, উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) খোতবা দানকালে প্রায়ই খোতবায় বলতেনঃ ইমাম খোতবা দেয়ার জন্য দাঁড়ালে তোমরা নীরবে খোতবা শোনো। কেননা যে ব্যক্তি নীরব থাকবে, খোতবার শব্দ তার কানে আসুক আর নাই আসুক তাকে নীরবে খোতবা শ্রবণকারীর সমানই সওয়াব দেয়া হবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو النَّضْرِ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَبِي عَامِرٍ، أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ كَانَ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ قَلَّمَا يَدَعُ ذَلِكَ إِذَا خَطَبَ: إِذَا قَامَ الإِمَامُ فَاسْتَمِعُوا وَأَنْصِتُوا؛ فَإِنَّ لِلْمُنْصِتِ الَّذِي لا يَسْمَعُ مِنَ الْحَظِّ مِثْلَ مَا لِلسَّامِعِ الْمُنْصِتِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩২
জুমুআর নামাযের কিরাআত এবং খোতবা চলাকালে নীরব থাকা উত্তম।
২৩২। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ ইমামের খোতবা দানকালে তুমি যদি তোমার পাশের লোককে বলো, 'চুপ থাকো', তবে তুমিও একটি অযথা কথা বললে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزِّنَاد، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قُلْتَ لِصَاحِبِكَ أَنْصِتْ فَقَدْ لَغَوْتَ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩৩
জুমুআর নামাযের কিরাআত এবং খোতবা চলাকালে নীরব থাকা উত্তম।
২৩৩। কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি জুমুআর দিন ইমামের খোতবা দানকালে নিজের জামায় রক্ত দেখতে পেলেন। তিনি সেটি খুলে রেখে দিলেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، «أَنَّ أَبَاهُ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ رَأَى فِي قَمِيصِهِ دَمًا وَالإِمَامُ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَنَزَعَ قَمِيصَهُ فَوَضَعَهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান