আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২০৩
সফরে এবং বৃষ্টির সময় দুই ওয়াক্তের নামায একত্র করা।
২০৩। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। সফরে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর তাড়াতাড়ি করার প্রয়োজন হলে তিনি মাগরিব ও এশার নামায একত্রে পড়তেন।
بَابُ: الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلاتَيْنِ فِي السَّفَرِ وَالْمَطَرِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ «إِذَا عَجِلَ بِهِ السَّيْرُ جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৪
সফরে এবং বৃষ্টির সময় দুই ওয়াক্তের নামায একত্র করা।
২০৪। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) সফরে মাগরিব ও এশার নামায একত্রে পড়তে চাইলে “শাফাক” অন্তর্হিত না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকতেন।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ «حِينَ جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبَ، وَالْعِشَاءَ فِي السَّفَرِ، سَارَ حَتَّى غَابَ الشَّفَقُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৫
সফরে এবং বৃষ্টির সময় দুই ওয়াক্তের নামায একত্র করা।
২০৫। আব্দুর রহমান ইবনে হুরমুয (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ তাবূক যুদ্ধের সফরে যুহর ও আসরের নামায একত্রে পড়তেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে দুই নামায একত্র করার পন্থা এই যে, এক ওয়াক্তের নামাযে বিলম্ব করতে হবে এবং অপর ওয়াক্ত জলদি করতে হবে। অর্থাৎ প্রথম নামাযের শেষ ওয়াক্ত এবং দ্বিতীয় নামাযের প্রথম ওয়াক্তে দুই নামায একত্রে পড়তে হবে। আমরা ইবনে উমার (রাযিঃ) সম্পর্কে জানতে পেরেছি যে, তিনি মাগরিবের নামায শাফাক অন্তর্হিত হওয়ার পূর্বে পড়তেন। এটা ইমাম মালেকের রিওয়ায়াতের বিপরীত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে দুই নামায একত্র করার পন্থা এই যে, এক ওয়াক্তের নামাযে বিলম্ব করতে হবে এবং অপর ওয়াক্ত জলদি করতে হবে। অর্থাৎ প্রথম নামাযের শেষ ওয়াক্ত এবং দ্বিতীয় নামাযের প্রথম ওয়াক্তে দুই নামায একত্রে পড়তে হবে। আমরা ইবনে উমার (রাযিঃ) সম্পর্কে জানতে পেরেছি যে, তিনি মাগরিবের নামায শাফাক অন্তর্হিত হওয়ার পূর্বে পড়তেন। এটা ইমাম মালেকের রিওয়ায়াতের বিপরীত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ الْحُصَيْنِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ، أَخْبَرَهُ , قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ «يَجْمَعُ بَيْنَ الظُّهْرِ، وَالْعَصْرِ فِي سَفَرٍ إِلَى تَبُوكَ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ.
وَالْجَمْعُ بَيْنَ الصَّلاتَيْنِ أَنْ تُؤَخَّرَ الأُولَى مِنْهُمَا، فَتُصَلَّى فِي آخِرِ وَقْتِهَا، وَتُعَجَّلَ الثَّانِيَةُ، فَتُصَلَّى فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا.
وَقَدْ بَلَغَنَا عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ صَلَّى الْمَغْرِبَ حِينَ أَخَّرَ الصَّلاةَ قَبْلَ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ، خِلافَ مَا رَوَى مَالِكٌ
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ.
وَالْجَمْعُ بَيْنَ الصَّلاتَيْنِ أَنْ تُؤَخَّرَ الأُولَى مِنْهُمَا، فَتُصَلَّى فِي آخِرِ وَقْتِهَا، وَتُعَجَّلَ الثَّانِيَةُ، فَتُصَلَّى فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا.
وَقَدْ بَلَغَنَا عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ صَلَّى الْمَغْرِبَ حِينَ أَخَّرَ الصَّلاةَ قَبْلَ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ، خِلافَ مَا رَوَى مَالِكٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৬
সফরে এবং বৃষ্টির সময় দুই ওয়াক্তের নামায একত্র করা।
২০৬। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। যখন খুলাফায়ে রাশেদীন এবং আমীর-ওমারাগণ বৃষ্টির কারণে মাগরিব ও এশার নামায একত্রে পড়তেন, তখন তিনিও তাদের অনুসরণ করতেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা ইবনে উমার (রাযিঃ)-র এই মত গ্রহণ করিনি। আমাদের মতে দুই নামায একই ওয়াক্তে জমা করা জায়েয নয়। কেবল আরাফাতের ময়দানে যুহর ও আসর এবং মুযদালিফায় মাগরিব ও এশা (হজ্জের সময়) একত্রে পড়তে হবে। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা ইবনে উমার (রাযিঃ)-র এই মত গ্রহণ করিনি। আমাদের মতে দুই নামায একই ওয়াক্তে জমা করা জায়েয নয়। কেবল আরাফাতের ময়দানে যুহর ও আসর এবং মুযদালিফায় মাগরিব ও এশা (হজ্জের সময়) একত্রে পড়তে হবে। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّهُ كَانَ إِذَا جَمَعَ الأُمَرَاءُ بَيْنَ الْمَغْرِبَ، وَالْعِشَاءَ جَمَعَ مَعَهُمْ فِي الْمَطَرِ» .
قَالَ: لَسْنَا نَأْخُذُ بِهَذَا، لا نَجْمَعُ بَيْنَ الصَّلاتَيْنِ فِي وَقْتٍ وَاحِدٍ، إِلا الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ بِعَرَفَةَ، وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِمُزْدَلِفَةَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ
قَالَ: لَسْنَا نَأْخُذُ بِهَذَا، لا نَجْمَعُ بَيْنَ الصَّلاتَيْنِ فِي وَقْتٍ وَاحِدٍ، إِلا الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ بِعَرَفَةَ، وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِمُزْدَلِفَةَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৭
সফরে এবং বৃষ্টির সময় দুই ওয়াক্তের নামায একত্র করা।
২০৭। ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা হযরত উমার (রাযিঃ) সম্পর্কে জানতে পেরেছি যে, তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই মর্মে লিখিত আদেশ পাঠান যে, “একই ওয়াক্তে একত্রে দুই নামায পড়া যাবে না। এটা বড়ো ধরনের অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে”। এই কথা নির্ভরযোগ্য রাবীগণ আলা ইবনে হারিসের সূত্রে তিনি মাকহূলের সূত্রে বর্ণনা করেছেন।**
قَالَ مُحَمَّدٌ: بَلَغَنَا , عَنْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ , أَنَّهُ «كَتَبَ فِي الآفَاقِ، يَنْهَاهُمْ أَنْ يَجْمَعُوا بَيْنَ الصَّلاتَيْنِ، وَيُخْبِرُهُمْ أَنَّ الْجَمْعَ بَيْنَ الصَّلاتَيْنِ فِي وَقْتٍ وَاحِدٍ كَبِيرَةٌ مِنَ الْكَبَائِرِ» , أَخْبَرَنَا بِذَلِكَ الثِّقَاتُ، عَنِ الْعَلاءِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ مَكْحُولٍ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান