আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৬৬
রাতের নামায (সালাতুত তাহাজ্জুদ)।
১৬৬। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে জানতে চাইলো, রাতের (নফল) নামায কিভাবে পড়তে হবে? তিনি বলেনঃ “দুই রাকআত দুই রাআত করে। যখন তোমাদের কারো ভোর হয়ে যাওয়ার আশংকা হয়, তখন সে যেন আরো এক রাআত পড়ে। তা তার আদায়কৃত নামাযকে বেজোড় (বেতের) করবে”।
بَابُ: صَلاةِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، " أَنَّ رُجَلا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ الصَّلاةُ بِاللَّيْلِ؟ قَالَ: مَثْنَى مَثْنَى، فَإِذَا خَشِيَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُصْبِحَ، فَلْيُصَلِّ رَكْعَةً وَاحِدَةً تُوتِرُ لَهُ مَا قَدْ صَلَّى "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৬৭
রাতের নামায (সালাতুত তাহাজ্জুদ)।
১৬৭। আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার রাতে এগারো রাআত নামায পড়তেন। এর মধ্যে এক রাকআত বেতের করতেন, অতঃপর নামায শেষ করে ডান কাতে শুয়ে (কিছুক্ষণ) আরাম করতেন ।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ: أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةَ، يُوتِرُ مِنْهُنَّ بِوَاحِدَةٍ، فَإِذَا فَرَغَ مِنْهَا اضْطَجَعَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৮
রাতের নামায (সালাতুত তাহাজ্জুদ)।
১৬৮। যায়েদ ইবনে খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) বলেন, আমি মনে মনে বললাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ রাতে কি নিয়মে নামায পড়েন আমি অবশ্যই তা দেখবো। অতএব আমি তাঁর ঘরের চৌকাঠ অথবা তাঁবুর খুঁটির সাথে হেলান দিয়ে বসে থাকলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে সংক্ষেপে দুই রাকআত, লম্বা কিরাআতে দুই রাকআত, দুই রাকআত এর চেয়ে কম দীর্ঘ এবং আরো দুই রাকআত তার চেয়েও কম দীর্ঘ সময়ে পড়লেন। অতঃপর এক রাআত বেতের পড়লেন।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ: قُلْتُ: " لأَرْمُقَنَّ صَلاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَتَوَسَّدْتُ عَتَبَتَهُ أَوْ فُسْطَاطَهُ، قَالَ: فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ دُونَهُمَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ دُونَ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا، ثُمَّ أَوْتَرَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৬৯
রাতের নামায (সালাতুত তাহাজ্জুদ)।
১৬৯। আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ রাতের বেলা (নফল) নামায পড়াকালে কোন ব্যক্তির উপর প্রবলভাবে ঘুম চেপে বসলে, আল্লাহ তাআলা তাকে নামাযের অনুরূপ সওয়াব দান করেন এবং তার ঘুম তার জন্য সদকা হিসাবে গণ্য হয়।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا , أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَا مِنَ امْرِئٍ تَكُونُ لَهُ صَلاةٌ بِاللَّيْلِ يَغْلِبُهُ عَلَيْهَا نَوْمٌ إِلا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَجْرَ صَلاتِهِ وَكَانَ نَوْمُهُ عَلَيْهِ صَدَقَةً»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭০
রাতের নামায (সালাতুত তাহাজ্জুদ)।
১৭০। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেন, কোন ব্যক্তির রাতের ওযীফা (ঐচ্ছিক কুরআন তিলাওয়াত ও দোয়া কালাম পাঠ) ছুটে গেলে, সে যদি তা দুপুরের মধ্যেই পড়ে নেয়, তবে তার ওযীফা ছুটে যায়নি বলে গণ হয়।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ حُصَيْنٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَالَ: «مَنْ فَاتَهُ مِنْ حِزْبِهِ شَيْءٌ مِنَ اللَّيْلِ، فَقَرَأَهُ مِنْ حِينِ تَزُولُ الشَّمْسُ إِلَى صَلاةِ الظُّهْرِ فَكَأَنَّهُ لَمْ يَفُتْهُ شَيْءٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭১
রাতের নামায (সালাতুত তাহাজ্জুদ)।
১৭১। যায়েদ ইবনে আসলাম (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত উমার (রাযিঃ) রাতের বেলা নামায পড়তেন আল্লাহ যতোখানি তৌফিক দিতেন। এভাবে তিনি যখন শেষ রাতে পৌঁছে যেতেন, তখন নিজের পরিবারের সদস্যদের নামায পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠাতেন এবং সাথে সাথে নিম্নোক্ত আয়াত পড়তেনঃ “তোমার পরিবার-পরিজনকে নামায পড়ার নির্দেশ দাও এবং তুমি নিজেও তা দৃঢ়তার সাথে পালন করতে থাকো। আমরা তোমার নিকট রিযিক চাই না, আমরাই তোমাকে রিযিক দান করি। আর পরিণামে তাকওয়ারই কল্যাণ হয়ে থাকে” (সূরা তহাঃ ১৩২)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ: " كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يُصَلِّي كُلَّ لَيْلَةٍ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يُصَلِّي، حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ، أَيْقَظَ أَهْلَهُ لِلصَّلاةِ وَيَتْلُو هَذِهِ الآيَةَ: {وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لا نَسْأَلُكَ رِزْقًا نَحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَى} [طه: 132] "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭২
রাতের নামায (সালাতুত তাহাজ্জুদ)।
১৭২। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি এক রাতে তার খালা এবং নবী ﷺ -এর স্ত্রী মায়মূনা (রাযিঃ)-র কাছে রাত কাটান। তিনি বলেন, আমি বিছানায় প্রস্থের দিকে শুইলাম এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তাঁর স্ত্রী বিছানায় লম্বা দিকে শুয়ে ঘুমান। রাসূলুল্লাহ ﷺ ঘুমালেন। অতঃপর অর্ধরাত বা তার কিছু কম-বেশী অতিবাহিত হলে রাসূলুল্লাহ ﷺ ঘুম থেকে জাগলেন এবং দুই হাতে মুখমণ্ডল মলে ঘুম দূর করেন। অতঃপর তিনি সূরা আল ইমরানের শেষ দশ আয়াত ( إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ.... لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ) পাঠ করলেন, অতঃপর নিকটেই ঝুলন্ত একটি পানির মশকের কাছে গেলেন। তিনি উত্তমরূপে উযু করলেন, অতঃপর নামায পড়লেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমিও ঘুম থেকে উঠে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর অনুরূপ করলাম। অতঃপর আমি গিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ালাম। রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার মাথার উপর তাঁর ডান হাত রাখলেন, অতঃপর তাঁর ডান হাত দিয়ে আমার ডান কান ধরে মললেন। তিনি দাঁড়িয়ে দুই দুই রাকআত করে মোট বারো রাকআত নামায পড়লেন, অতঃপর (বেতের পড়ে) শুয়ে গেলেন। শেষে মুয়াযযিন আসলে তিনি সংক্ষেপে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত পড়লেন, অতঃপর মসজিদে গিয়ে ফজরের ফরয নামায পড়লেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে রাতের (নফল) নামায দুই রাকআত দুই রাআত করে পড়তে হয়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, রাতের (নফল) নামায ইচ্ছা করলে একই তাকবীরে তাহরীমায় দুই রাকআত করেও পড়া যায়, চার রাকআত করেও পড়া যায়, ছয় রাকআত করেও পড়া যায়, আট রাকআত করেও পড়া যায় অথবা যতো রাকআত ইচ্ছা পড়া যায়। এতে কোন আপত্তি নেই। তবে চার রাকআত করে পড়াই উত্তম। কিন্তু বেতের নামায সম্পর্কে আমাদের এবং ইমাম আবু হানীফার একই মত। অর্থাৎ বেতেরের রাকআত সংখ্যা তিন এবং তা এক সালামেই পড়তে হবে।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে রাতের (নফল) নামায দুই রাকআত দুই রাআত করে পড়তে হয়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, রাতের (নফল) নামায ইচ্ছা করলে একই তাকবীরে তাহরীমায় দুই রাকআত করেও পড়া যায়, চার রাকআত করেও পড়া যায়, ছয় রাকআত করেও পড়া যায়, আট রাকআত করেও পড়া যায় অথবা যতো রাকআত ইচ্ছা পড়া যায়। এতে কোন আপত্তি নেই। তবে চার রাকআত করে পড়াই উত্তম। কিন্তু বেতের নামায সম্পর্কে আমাদের এবং ইমাম আবু হানীফার একই মত। অর্থাৎ বেতেরের রাকআত সংখ্যা তিন এবং তা এক সালামেই পড়তে হবে।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا مَخْرَمَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَالِبِيُّ، أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ بَاتَ عِنْدَ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ خَالَتُهُ، قَالَ: فَاضْطَجَعْتُ فِي عَرْضِ الْوِسَادَةِ وَاضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَهلُهُ فِي طُولِهَا قَالَ: فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ اللَّيْلُ، أَوْ قَبْلَهُ بِقَلِيلٍ، أَوْ بَعْدَهُ بِقَلِيلٍ، «جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَسَحَ النَّوْمَ عَنْ وَجْهِهِ بِيَدَيْهِ، ثُمَّ قَرَأَ بِالْعَشْرِ الآيَاتِ الْخَوَاتِيمِ مِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ، ثُمَّ قَامَ إِلَى شَنٍّ مُعَلَّقٍ، فَتَوَضَّأَ مِنْهُ، فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ، ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي» .
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَقُمْتُ فَصَنَعْتُ مِثْلَ مَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ ذَهَبْتُ فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ، فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رَأْسِي، وَأَخَذَ بِأُذُنِي الْيُمْنَى بِيَدِهِ الْيُمْنَى، فَفَتَلَهَا ثُمَّ قَالَ: «فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ سِتَّ مَرَّاتٍ، ثُمَّ أَوْتَرَ، ثُمَّ اضْطَجَعَ حِينَ جَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ، فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ، ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الصُّبْحَ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: صَلاةُ اللَّيْلِ عِنْدَنَا مَثْنَى مَثْنَى، وَقَالَ أَبُو حَنِيفَةَ: صَلاةُ اللَّيْلِ إِنْ شِئْتَ صَلَّيْتَ [ص:75] رَكْعَتَيْنِ، وَإِنْ شِئْتَ صَلَّيْتَ أَرْبَعًا، وَإِنْ شِئْتَ سِتًّا، وَإِنْ شِئْتَ ثَمَانِيًا، وَإِنْ شِئْتَ مَا شِئْتَ بِتَكْبِيرَةٍ وَاحِدَةٍ، وَأَفْضَلُ ذَلِكَ أَرْبَعًا أَرْبَعًا.
وَأَمَّا الْوِتْرُ فَقَوْلُنَا وَقَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ فِيهِ وَاحِدٌ، وَالْوِتْرُ ثَلاثٌ لا يُفْصَلُ بَيْنَهُنَّ بِتَسْلِيمٍ
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَقُمْتُ فَصَنَعْتُ مِثْلَ مَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ ذَهَبْتُ فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ، فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رَأْسِي، وَأَخَذَ بِأُذُنِي الْيُمْنَى بِيَدِهِ الْيُمْنَى، فَفَتَلَهَا ثُمَّ قَالَ: «فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ سِتَّ مَرَّاتٍ، ثُمَّ أَوْتَرَ، ثُمَّ اضْطَجَعَ حِينَ جَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ، فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ، ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الصُّبْحَ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: صَلاةُ اللَّيْلِ عِنْدَنَا مَثْنَى مَثْنَى، وَقَالَ أَبُو حَنِيفَةَ: صَلاةُ اللَّيْلِ إِنْ شِئْتَ صَلَّيْتَ [ص:75] رَكْعَتَيْنِ، وَإِنْ شِئْتَ صَلَّيْتَ أَرْبَعًا، وَإِنْ شِئْتَ سِتًّا، وَإِنْ شِئْتَ ثَمَانِيًا، وَإِنْ شِئْتَ مَا شِئْتَ بِتَكْبِيرَةٍ وَاحِدَةٍ، وَأَفْضَلُ ذَلِكَ أَرْبَعًا أَرْبَعًا.
وَأَمَّا الْوِتْرُ فَقَوْلُنَا وَقَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ فِيهِ وَاحِدٌ، وَالْوِتْرُ ثَلاثٌ لا يُفْصَلُ بَيْنَهُنَّ بِتَسْلِيمٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান