আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
১- পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৯
ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করা
৬৯। নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। উবায়দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) আয়েশা (রাযিঃ)-র কাছে জানতে পাঠালেন, কোন ব্যক্তি তার ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করতে পারে কি? আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, স্ত্রী তার পাজামা নাভীর নীচে শক্ত করে বাঁধবে। অতঃপর স্বামী ইচ্ছা করলে তার সাথে মেলামেশা করতে পারে।*
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের এবং ইমাম আবু হানীফা ও আমাদের সকল আলেমের এটাই সাধারণ মত।
* এখানে মেলামেশা (মুবাশারাত) বলতে চুম্বন, শৃংগার অর্থাৎ সঙ্গম ছাড়া অন্য সব কিছুকে বুঝানো হয়েছে। মাসিক ঋতু চলাকালে স্ত্রীসঙ্গম হারাম। এছাড়া স্ত্রীর সাথে এক বিছানায় শোয়া এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থান স্পর্শ করা ইত্যাদি হারাম নয় (অনুবাদক)।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের এবং ইমাম আবু হানীফা ও আমাদের সকল আলেমের এটাই সাধারণ মত।
* এখানে মেলামেশা (মুবাশারাত) বলতে চুম্বন, শৃংগার অর্থাৎ সঙ্গম ছাড়া অন্য সব কিছুকে বুঝানো হয়েছে। মাসিক ঋতু চলাকালে স্ত্রীসঙ্গম হারাম। এছাড়া স্ত্রীর সাথে এক বিছানায় শোয়া এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থান স্পর্শ করা ইত্যাদি হারাম নয় (অনুবাদক)।
بَابُ: الرَّجُلِ يُصِيبُ مِنَ امْرَأَتِهِ أَوْ يُبَاشِرُهَا وَهِيَ حَائِضٌ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ أَرْسَلَ إِلَى عَائِشَةَ يَسْأَلُهَا هَلْ يُبَاشِرُ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ؟ فَقَالَتْ: لِتَشُدَّ إِزْارَهَا عَلَى أَسْفَلِهَا، ثُمَّ يُبَاشِرْهَا إِنْ شَاءَ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِذَلِكَ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِذَلِكَ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭০
ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করা
৭০। সালেম ইবনে আব্দুল্লাহ ও সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হলো, স্ত্রী হায়েয থেকে পাক হয়ে যাবার কাছাকাছি এসে গেছে, কিন্তু এখনো গোসল করেনি, এমতাবস্থায় স্বামী কি তার সাথে সংগম করতে পারে? তারা উভয়ে বলেন, গোসল করার আগ পর্যন্ত সংগমে রত হতে পারবে না।*
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদেরও এই মত। স্ত্রীর উপর নামায হালাল না হওয়া পর্যন্ত স্বামী তার সাথে সংগম করতে পারবে না। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
* হানাফী মাযহাবে হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা দশ দিন। ইমাম আবু হানীফা, মুহাম্মাদ ও আবু ইউসুফের মতে এই সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর গোসলের পূর্বেই সঙ্গমে রত হওয়া জায়েয। দশ দিনের পূর্বে হায়েয বন্ধ হয়ে গেলে গোসলের পূর্বে সঙ্গম করা জায়েয নয়। কিন্তু ইমাম মালেক, শাফিঈ ও জমহূর আলেমদের মতে সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্চ সময়সীমার শর্ত নেই। তাদের মতে কেবল গোসলের পরই সংগমে লিপ্ত হওয়া জায়েয, গোসলের পূর্বে নয় (অনুবাদ)।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদেরও এই মত। স্ত্রীর উপর নামায হালাল না হওয়া পর্যন্ত স্বামী তার সাথে সংগম করতে পারবে না। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
* হানাফী মাযহাবে হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা দশ দিন। ইমাম আবু হানীফা, মুহাম্মাদ ও আবু ইউসুফের মতে এই সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর গোসলের পূর্বেই সঙ্গমে রত হওয়া জায়েয। দশ দিনের পূর্বে হায়েয বন্ধ হয়ে গেলে গোসলের পূর্বে সঙ্গম করা জায়েয নয়। কিন্তু ইমাম মালেক, শাফিঈ ও জমহূর আলেমদের মতে সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্চ সময়সীমার শর্ত নেই। তাদের মতে কেবল গোসলের পরই সংগমে লিপ্ত হওয়া জায়েয, গোসলের পূর্বে নয় (অনুবাদ)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي الثِّقَةُ عِنْدِي، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَسُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، " أَنَّهُمَا سُئِلا عَنِ الْحَائِضِ هَلْ يُصِيبُهَا زَوْجُهَا إِذَا رَأَتِ الطُّهرَ قَبْلَ أَنْ تَغْتَسِلَ؟ فَقَالا: لا حَتَّى تَغْتَسِلَ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا تُباشَرُ حَائِضٌ عِنْدَنَا حَتَّى تَحِلَّ لَهَا الصَّلاةُ أَوْ تَجِبَ عَلَيْهَا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا تُباشَرُ حَائِضٌ عِنْدَنَا حَتَّى تَحِلَّ لَهَا الصَّلاةُ أَوْ تَجِبَ عَلَيْهَا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭১
ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করা
৭১। যায়েদ ইবনে আসলাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী ﷺ -এর কাছে জিজ্ঞেস করলো, আমার জন্য আমার হায়েযগ্রস্ত স্ত্রী কতোটুকু হালাল? তিনি বলেনঃ তোমার স্ত্রী শক্তভাবে পাজামা পরবে। অতঃপর তার উপরের অংশ তোমার জন্য হালাল।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এটাই আমাদের এবং ইমাম আবু হানীফার মত। আয়েশা (রাযিঃ) এর চেয়েও অধিক অনুমতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শুধু রক্ত ক্ষরণের স্থান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে। এছাড়া তার জন্য সবই হালাল (অর্থাৎ সঙ্গম ব্যতীত আর সব কিছুই জায়েয)।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এটাই আমাদের এবং ইমাম আবু হানীফার মত। আয়েশা (রাযিঃ) এর চেয়েও অধিক অনুমতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শুধু রক্ত ক্ষরণের স্থান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে। এছাড়া তার জন্য সবই হালাল (অর্থাৎ সঙ্গম ব্যতীত আর সব কিছুই জায়েয)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، أَنَّ رَجُلا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَحِلُّ لِي مِنَ امْرَأَتِي وَهِيَ حَائِضٌ؟ قَالَ: تَشُدُّ عَلَيْهَا إِزَارَهَا، ثُمَّ شَأْنَكَ بِأَعْلاهَا ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: هَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَقَدْ جَاءَ مَا هُوَ أَرْخَصُ مِنْ هَذَا , عَنْ عَائِشَةَ , أَنَّهَا قَالَتْ: يَجْتَنِبَ شِعَارَ الدَّمِ، وَلَهُ مَا سِوَى ذَلِكَ
قَالَ مُحَمَّدٌ: هَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَقَدْ جَاءَ مَا هُوَ أَرْخَصُ مِنْ هَذَا , عَنْ عَائِشَةَ , أَنَّهَا قَالَتْ: يَجْتَنِبَ شِعَارَ الدَّمِ، وَلَهُ مَا سِوَى ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান