আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১- পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৩
মোজার উপর মাসেহ করা
৪৩। আব্বাদ ইবনে যিয়াদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।** নবী ﷺ তাবুক যুদ্ধের সময় প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের জন্য বাইরে গেলেন। আমি পানি নিয়ে তাঁর সাথে গেলাম। নবী ﷺ পায়খানা সেরে ফিরে এলে আমি (তাঁর হাতে) পানি ঢেলে দিলাম এবং তিনি তাঁর মুখমণ্ডল ধুলেন। অতঃপর তিনি জোব্বার হাতার ভিতর থেকে তাঁর হাত বের করার চেষ্টা করলেন, কিন্তু তা সরু হওয়ায় তিনি হাত বের করতে পারলেন না। অতঃপর জোব্বার নীচে দিয়ে হাত বের করে তা ধুলেন, অতঃপর মাথা মাসেহ করলেন, অতঃপর উভয় পায়ের মোজার উপর মাসেহ করলেন । অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ফিরে এলেন তখন আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) লোকদের নামায পড়াচ্ছিলেন। তিনি এক রাআত পড়িয়ে শেষ করেছেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ -ও তাদের সাথে নামায পড়লেন, অতঃপর (সালাম ফিরানোর পর উঠে) অবশিষ্ট রাকআত পড়লেন। লোকেরা তাঁকে দেখে ঘাবড়ে গেলো। তিনি বলেনঃ তোমরা উত্তম কাজ করেছো।

* এখানে বর্ণনাকারীর ভুল হয়ে গেছে। আব্বাদ ইবনে যিয়াদ মুগীরা ইবনে শোবার মুক্তদাস, সন্তান নন এবং তিনি মুগীরা ইবনে শোবার সূত্রেই হাদীস বর্ণনা করেছেন, সরাসরি রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে নয় (অনুবাদক)।
بَابُ: الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ زِيَادٍ مِنْ وَلَدِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَهَبَ لِحَاجَتِهِ فِي غَزْوَةِ تَبُوكٍ، قَالَ: فَذَهَبْتُ مَعَهُ بِمَاءٍ، قَالَ: فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَكَبْتُ عَلَيْهِ، قَالَ: فَغَسَلَ وَجْهَهُ ثُمَّ ذَهَبَ يُخْرِجُ يَدَيْهِ فَلَمْ يَسْتَطِعْ مِنْ ضِيقِ كُمَّيْ جُبَّتِهِ فَأَخْرَجَهُمَا مِنْ تَحْتِ جُبَّتِهِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ، وَمَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ، ثُمَّ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ يَؤُمُّهُمْ قَدْ صَلَّى بِهِمْ سَجْدَةً، فَصَلَّى مَعَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ صَلَّى الرَّكَّعَةَ الَّتِي بَقِيَتْ، فَفَزِعَ النَّاسُ لَهُ، ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: قَدْ أَحْسَنْتُمْ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪
মোজার উপর মাসেহ করা
৪৪। সাঈদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে রুকাইশ (রাহঃ) বলেন, আমি আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ)-কে দেখেছি যে, তিনি কুবা পল্লীতে এলেন এবং পেশাব করলেন। তার জন্য পানি নিয়ে আসা হলে তিনি উযু করেন। তিনি নিজের মুখমণ্ডল ও উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধুলেন, মাথা মাসেহ করলেন এবং উভয় পায়ের মোজার উপর মাসেহ করলেন, অতঃপর নামায পড়েন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رُقَيْشٍ، أَنَّهُ قَالَ: «رَأَيْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ أَتَى قِبَاءَ، فَبَالَ ثُمَّ أَتَى بِمَاءٍ، فَتَوَضَّأَ، فَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ، وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ مَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ، ثُمَّ صَلَّى»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫
মোজার উপর মাসেহ করা
৪৫। নাফে ও আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) কুফায় সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ)-র কাছে আসলেন । তিনি তখন কুফার গভর্ণর ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) তাকে মোজাদ্বয়ের উপর মাসেহ করতে দেখলেন এবং তিনি তার এ কাজে আপত্তি করলেন। সাদ (রাযিঃ) তাকে বলেন, তুমি যখন তোমার পিতার কাছে ফিরে যাবে তখন তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করো। কিন্তু আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) ফিরে এসে তার পিতার কাছে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেলেন। ইতিমধ্যে সা'দ (রাযিঃ) মদীনায় আসনে এবং জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি তোমার পিতাকে জিজ্ঞেস করেছিলে? তিনি বলেন, না। অতঃপর আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তার পিতাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তুমি উযু অবস্থায় তোমার পদদ্বয় মোজার মধ্যে প্রবেশ করিয়ে থাকলে তুমি এর উপর মাসেহ করবে। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, যদি আমাদের কেউ পায়খানা-পেশাব করে এসে থাকে? তিনি বলেন, হ্যাঁ, তোমাদের কেউ পায়খানা সেরে এসে থাকলেও (মোজার উপর মাসেহ করতে পারে)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ: " أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَدِمَ الْكُوفَةَ عَلَى سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَهُوَ أَمِيرُهَا، فَرَآهُ عَبْدُ اللَّهِ وَهُوَ يَمْسَحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ، فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ: سَلْ أَبَاكَ إِذَا قَدِمْتَ عَلَيْهِ، فَنَسِيَ عَبْدُ اللَّهِ أَنْ يَسْأَلَهُ حَتَّى قَدِمَ سَعْدٌ، فَقَالَ: أَسَأَلْتَ أَبَاكَ؟ فَقَالَ: لا، فَسَأَلَهُ عَبْدُ اللَّهِ، فَقَالَ: إِذَا أَدْخَلْتَ رِجْلَيْكَ فِي الْخُفَّيْنِ وُهَمَا طَاهِرَتَانِ فَامْسَحْ عَلَيْهِمَا، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: وَإِنْ جَاءَ أَحَدٌ مِنَ الْغَائِطِ؟ قَالَ: وَإِنْ جَاءَ أَحَدُكُمْ مِنَ الْغَائِطِ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬
মোজার উপর মাসেহ করা
৪৬। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) বাজারের মধ্যে পেশাব করলেন, অতঃপর উযু করলেন। তিনি নিজের মুখমণ্ডল ও উভয় পা ধুলেন এবং মাথা মাসেহ করলেন। অতঃপর তিনি মসজিদে প্রবেশ করলে একটি লাশের জানাযা পড়ানোর জন্য তাকে আহবান করা হলো। অতএব তিনি তার মোজাদ্বয়ের উপর মাসেহ করলেন, অতঃপর জানাযার নামায পড়লেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ , أَنَّ ابْنَ عُمَرَ بَالَ بِالسُّوقِ، ثُمَّ تَوَضَّأَ فَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ دُعِيَ لِجَنَازَةٍ حِينَ دَخَلَ الْمَسْجِدَ لِيُصَلِّيَ عَلَيْهِ، فَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ ثُمَّ صَلَّى "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৭
মোজার উপর মাসেহ করা
৪৭। হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) বলেন, তিনি তার পিতাকে মোজাদ্বয়ের উপরিভাগ মাসেহ করতে দেখেছেন, তিনি মোজাদ্বয়ের নীচের দিক মাসেহ করেননি। অতঃপর তিনি মাথার পাগড়ী তুলে মাথা মাসেহ করেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা উল্লেখিত সব বর্ণনার উপর আমল করি এবং ইমাম আবু হানীফারও এই মত। মুকীম (নিজ আবাসে উপস্থিত) ব্যক্তির জন্য মোজার উপর মাসেহ করার সর্বোচ্চ সময়সীমা এক দিন এক রাত এবং মুসাফির (সফররত) ব্যক্তির জন্য তিন দিন তিন রাত। ইমাম মালেক (রাহঃ) বলেন, মুকীম ব্যক্তির মোজার উপর মাসেহ করা জায়েষ নয়। অথচ ইমাম মালেকের সূত্রে বর্ণিত সবগুলো হাদীসের মাধ্যমে মুকীম ব্যক্তির জন্য মোজার উপর মাসেহ করার বৈধতা প্রমাণিত হয়। এতদসত্ত্বেও তিনি মুকীম ব্যক্তির জন্য মোজার উপর মাসেহ করার সমর্থক নন।*

* ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) ইমাম মালেক (রাহঃ)-এর যে মত উল্লেখ করেছেন তা তার প্রথম দিককার মত। কেননা ইমাম মালেকও মুকীম ব্যক্তির মোজার উপর মাসেহ করার প্রবক্তা। তবে তার মতে মোজার উপর মাসেহ করার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, যতো দিন ইচ্ছা মোজার উপর মাসেহ করা যেতে পারে। কিন্তু বিভিন্ন হাদীস থেকে জানা যায়, মুকীম ব্যক্তি এক দিন এক রাত এবং মুসাফির ব্যক্তি তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত মোজার উপর মাসেহ করতে পারে (অনুবাদক)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ رَأَى أَبَاهُ يَمْسَحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ عَلَى ظُهُورِهِمَا لا يَمْسَحُ بُطُونَهُمَا، قَالَ: ثُمَّ يَرْفَعُ الْعَمَامَةَ فَيَمْسَحُ بِرَأْسِهِ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ، نَأْخُذُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَنَرَى الْمَسْحَ لِلْمُقِيمِ يَوْمًا وَلَيْلَةً وَثَلاثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهَا لِلْمُسَافِرِ، وَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ: لا يَمْسَحُ الْمُقِيمُ عَلَى الْخُفَّيْنِ.
وَعَامَّةُ هَذِهِ الآثَارِ الَّتِي رَوَى مَالِكٌ فِي الْمَسْحِ، إِنَّمَا هِي فِي الْمُقِيمِ، ثُمَّ قَالَ: لا يَمْسَحُ الْمُقِيمُ عَلَى الْخُفَّيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান