আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১- পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪১
যে পানিতে হিংস্র জন্তু মুখ দেয় ও পান করে তাতে উযু করা
৪১। ইয়াহ্ইয়া ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে হাতিব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) একদল সওয়ারীর সাথে ছিলেন। তাদের সাথে আমর ইবনুল আস (রাযিঃ)-ও ছিলেন। পথিমধ্যে তারা একটি পানির কূপে গিয়ে উপনীত হন। আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) জিজ্ঞেস করেন, হে কূপের মালিক! তোমার কূপে কখনো কি হিংস্র জন্তু পানি পান করতে আসে? উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেন, হে কূপের মালিক! এ সম্পর্কে তুমি আমাদের অবহিত করো না। কেননা কখনো আমরা হিংস্র জন্তুর আগে পান করতে আসি, আবার কখনো হিংস্র জন্তু আমাদের আগে আসে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, পানির কূপ যদি এতো বড় হয় যে, তার একদিকের পানি নাড়া দিলে অন্য প্রান্তের পানি নড়ে না, তবে তা থেকে হিংস্র জন্তু পানি পান করলে অথবা তাতে নাপাক জিনিস পতিত হলে পানি নষ্ট হয় না। কিন্তু পানির ঘ্রাণ ও স্বাদ বিকৃত হয়ে গেলে তা নষ্ট পানি হিসাবে গণ্য হবে। যদি কূপ এতোটা ছোট হয় যে, তার এক প্রান্তের পানি নাড়া দিলে অপর প্রান্তের পানিও নড়ে উঠে, তবে তাতে হিংস্র জন্তু মুখ ডুবালে বা নাপাক পতিত হলে এর পানি নষ্ট বলে গণ্য হবে এবং তা দিয়ে উযু করবে না। এজন্যই হযরত উমার (রাযিঃ) পানির মালিকের তথ্য পরিবেশন করা অপছন্দ করেছেন এবং তাকে তা বলতে নিষেধ করেছেন (যেন অযথা সংশয় সৃষ্টি হওয়া থেকে বাঁচা যায়)। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এরও এই মত।*

* কোন কোন অবস্থায় পানি নাপাক হয়ে যায় তা নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ইমাম মালেকের মতে পানি নাপাক হওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণে কমবেশী ধর্তব্য নয়। পানির পরিমাণ বেশী হোক অথবা কম হোক, যতোক্ষণ তার বৈশিষ্ট্য (রং, গন্ধ, স্বাদ) পরিবর্তিত না হবে ততোক্ষণ তাতে নাপাক জিনিস পড়লেও পানি নাপাক গণ্য হবে না। কিন্তু ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম শাফিঈর মতে অল্প পানিতে নাপাক জিনিস পড়লে তা নাপক গণ্য হবে, কিন্তু বেশী পানি নাপাক হবে না। ইমাম শাফিঈর মতে আড়াই মশক পানি পর্যাপ্ত পানিরূপে গণ্য এবং ইমাম আবু হানীফার মতে এমন পরিমাণ পানি পর্যাপ্ত পানি হিসাবে গণ্য, যার এক প্রান্তে নাড়া দিলে অপর প্রান্তে কম্পন সৃষ্টি হয় না (অনুবাদক)।
بَابُ: الْوُضُوءِ مِمَّا يَشْرَبُ مِنْهُ السِّبَاعُ وَتَلِغُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ خَرَجَ فِي رَكْبٍ فِيهِمْ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، حَتَّى وَرَدُوا حَوْضًا، فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: " يَا صَاحِبَ الْحَوْضِ هَلْ تَرِدُ حَوْضَكَ السِّبَاعُ؟ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: يَا صَاحِبَ الْحَوْضِ، لا تُخْبِرْنَا، فَإِنَّا نَرِدُ عَلَى السِّبَاعِ وَتَرِدُ عَلَيْنَا ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: إِذَا كَانَ الْحَوْضُ عَظِيمَا إِنْ حُرِّكَتْ مِنْهُ نَاحِيةٌ، لَمْ تَتحَرَّكْ بِهِ النَّاحِيَةُ الأُخْرَى [ص:43] لَمْ يُفسِدْ ذَلِكَ الْمَاءَ مَا وَلِغَ فِيهِ مِنْ سَبُعٍ، وَلا مَا وَقَعَ فِيهِ مِنْ قَذَرٍ، إِلا أَنْ يَغْلِبَ عَلَى رِيحٍ، أَوْ طَعْمٍ، فَإِذَا كَانَ حَوْضًا صَغِيرًا، إِنْ حُرِّكَتْ مِنْهُ نَاحِيَةٌ تَحَرَّكَتِ النَّاحِيَةُ الأُخْرَى، فَوَلَغَ فِيهِ السِّبَاعُ أَوْ وَقَعَ فِيهِ الْقَذَرُ، لا يَتَوَضَّأُ مِنْهُ، أَلا يُرَى أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَرِهَ أَنْ يُخْبِرَهُ وَنَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ، وَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান