আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১. ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৬০ টি

হাদীস নং: ২১
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
২১. হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সা) তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে বলেন: আল্লাহ তা'আলা যাবতীয় সৎ ও অসৎকর্মের হিসাব লিখেন। তারপর রাসূল (সা) তাঁর বিবরণ দিয়ে বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন সৎকাজের ইচ্ছা করল অথচ কার্যত তা করল না, আল্লাহ্ তা'আলা তার জন্যে তার বিনিময়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সওয়াব লিখেন। আর যদি সৎকাজের ইচ্ছা করে এবং কার্যতও সে তা করে, তাহলে এর বিনিময়ে তার জন্যে দশ থেকে সাতশ' গুণ বাড়িয়ে নেকী লিখে থাকেন। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ করার ইচ্ছা করল অথচ কার্যত তা করল না, আল্লাহ্ তা'আলা এর বিনিময়ে তার জন্যে একটি পূর্ণ নেকী লিখেন। আর যদি কেউ অসৎকাজের ইচ্ছা করে এবং কার্যতও তা করে, তাহলে আল্লাহ তা'আলা তার আমলনামায় কেবল একটি পাপ লিখেন।
অন্য সূত্রে আরো বর্ণিত আছে, অথবা তা মিটিয়ে দেন। আল্লাহর বিরুদ্ধে গিয়ে কেবল সেই ধ্বংস হয় যার ধ্বংস অনিবার্য।
(হাদীসটি ইমাম বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الإخلاص
فصل
21 - وَعَن ابْن عَبَّاس أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ فِيمَا يروي عَن ربه عز وَجل إِن الله كتب الْحَسَنَات والسيئات ثمَّ بَين ذَلِك فَمن هم بحسنة فَلم يعملها كتبهَا الله عِنْده حَسَنَة كَامِلَة فَإِن هم بهَا فعملها كتبهَا الله عِنْده عشر حَسَنَات إِلَى سَبْعمِائة ضعف إِلَى أَضْعَاف كَثِيرَة وَمن هم بسيئة فَلم يعملها كتبهَا الله عِنْده حَسَنَة كَامِلَة وَإِن هُوَ هم بهَا فعملها كتبهَا الله سَيِّئَة وَاحِدَة زَاد فِي رِوَايَة أَو محاها وَلَا يهْلك على الله إِلَّا هَالك
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
হাদীস নং: ২২
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
২২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন: আল্লাহ তা'আলা বলেন: আমার বান্দা যখন অসৎকাজের ইচ্ছা করে, তা কাজে পরিণত না করা পর্যন্ত তোমরা লিখো না। যদি তা করে, তাহলে অনুরূপ লিখে নাও। আর যদি সে আমার ভয়ে তা বর্জন করে, তাহলে একটি নেকী লিখে নাও। আর যদি সৎ কাজের ইচ্ছা করে এবং কাজে পরিণত নাও করে, তাহলে একটি নেকী লিখে নাও। আর যদি তা কাজে পরিণত করে, তাহলে দশ থেকে সাতশ' পর্যন্ত নেকী লিখে নাও।
(হাদীসটি ইমাম বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন। তবে শব্দমালা ইমাম মুসলিমের)
كتاب الإخلاص
فصل
22 - وَعَن أبي هُرَيْرَة أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَقُول الله عز وَجل إِذا أَرَادَ عَبدِي أَن يعْمل سَيِّئَة فَلَا تكتبوها عَلَيْهِ حَتَّى يعملها فَإِن عَملهَا فاكتبوها بِمِثْلِهَا وَإِن تَركهَا من أَجلي فاكتبوها لَهُ حَسَنَة وَإِن أَرَادَ أَن يعْمل حَسَنَة فَلم يعملها اكتبوها لَهُ حَسَنَة فَإِن عَملهَا فاكتبوها لَهُ بِعشر أَمْثَالهَا إِلَى سَبْعمِائة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَمُسلم
হাদীস নং: ২৩
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
২৩. মুসলিম শরীফের এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সৎকাজের ইচ্ছা করল, অথচ তা কাজে পরিণত করল না, তার জন্য রয়েছে পূর্ণ একটি নেকী। আর যে ব্যক্তি সৎকাজের ইচ্ছা করল তারপর তা কাজেও পরিণত করল, তার জন্য রয়েছে দশ থেকে সাতশ' নেকী।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কোন অসৎকাজের ইচ্ছা করল অথচ কাজে পরিণত করল না, তার আমলনামায় কিছু লিখা হবে না। যদি সে তা কাজে পরিণত করে, তাহলে তা লিখা হবে।
كتاب الإخلاص
فصل
23 - وَفِي رِوَايَة لمُسلم قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من هم بحسنة فَلم يعملها كتبت لَهُ حَسَنَة وَمن هم بحسنة فعملها كتبت لَهُ عشر حَسَنَات إِلَى سَبْعمِائة ضعف وَمن هم بسيئة فَلم يعملها لم تكْتب عَلَيْهِ وَإِن عَملهَا كتبت
হাদীস নং: ২৪
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
২৪. মুসলিম শরীফের অন্য সূত্রে বর্ণিত আছে, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা বলেন: আমার বান্দা যখন মনে মনে পূণ্যকর্মের কথা ভাবে, আমি তার আমলনামায় একটা পূণ্য লিখে দেই যদিও সে তা কাজে পরিণত না করে। আর যদি সে তা কাজে পরিণত করে, তাহলে আমি দশটি পূণ্য লিখে দেই। আর যখন অসৎকাজের চিন্তা করে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেই যদি সে কাজে পরিণত না করে। আর যদি কাজে পরিণত করে, তাহলে কেবল অনুরূপই লিখে দেই। আর যদি সে তা বর্জন করে, তাহলে তোমরা তাকে একটি পূণ্য লিখে দিবে। কেননা সে আমার কারণেই তা বর্জন করেছে।
كتاب الإخلاص
فصل
24 - وَفِي أُخْرَى لَهُ قَالَ عَن مُحَمَّد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ قَالَ الله عز وَجل إِذا تحدث عَبدِي بِأَن يعْمل حَسَنَة فَأَنا أَكتبهَا لَهُ حَسَنَة مَا لم يعملها فَإِذا عَملهَا فَأَنا أَكتبهَا لَهُ بِعشر أَمْثَالهَا وَإِذا تحدث بِأَن يعْمل سَيِّئَة فَأَنا أغفرها لَهُ مَا لم يعملها فَإِذا عَملهَا فَأَنا أَكتبهَا لَهُ بِمِثْلِهَا وَإِن تَركهَا فاكتبوها لَهُ حَسَنَة إِنَّمَا تَركهَا من جراي
قَوْله من جراي بِفَتْح الْجِيم وَتَشْديد الرَّاء أَي من أَجلي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
২৫. হযরত মা'ন ইব্‌ন ইয়াযীদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা দান করার জন্য কিছু দীনার মসজিদে এক ব্যক্তির জন্য রেখে দিলেন। ইতোমধ্যে আমি (মা'ন) এসে পড়লাম এবং আমি তা তুলে নিলাম এবং তা নিয়ে পিতার কাছে আসলাম। তিনি (ইয়াযীদ) বললেন, আল্লাহর কসম, আমি তা তোমার জন্য রাখিনি, বরং আমি দান করার ইচ্ছা করেছি। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করলাম। তিনি বললেনঃ হে ইয়াযীদ। তুমি যার নিয়্যাত করেছ, তা তোমার জন্য (১) এবং হে মা'ন! তুমি যা গ্রহণ করেছ, তা তোমার জন্য।
(হাদীসটি ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন)

(১). অর্থাৎ তুমি সাদকার নিয়্যাত করার কারণে তার সওয়াব তুমি পেয়ে যাবে। সম্পাদক
كتاب الإخلاص
فصل
25 - وَعَن معن بن يزِيد رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ كَانَ أبي يزِيد أخرج دَنَانِير يتَصَدَّق بهَا فوضعها عِنْد رجل فِي الْمَسْجِد فَجئْت فأخذتها فَأَتَيْته بهَا فَقَالَ وَالله مَا إياك أردْت فَخَاصَمته إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ لَك مَا نَوَيْت يَا يزِيد وَلَك مَا أخذت يَا معن
رَوَاهُ البُخَارِيّ
হাদীস নং: ২৬
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
২৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন: এক ব্যক্তি বলল, আমি রাতে দান করব। তারপর সে দান করার জন্য বের হ'ল এবং তা এক চোরের হাতে দিল। ভোর হলে লোকেরা বলাবলি করল, রাতে এক চোরকে দান করা হয়েছে। লোকটি বললঃ হে আল্লাহ্! তোমারই যাবতীয় প্রশংসা, দান করা হ'ল চোরকে। লোকটি বলল, আমি আবার দান করব। তারপর সে দান করার জন্য বের হ'ল এবং এক ব্যভিচারিণীকে দান করল। ভোরে লোকেরা বলাবলি করল, রাতে এক ব্যভিচারিণীকে দান করা হয়েছে। লোকটি বলল, হে আল্লাহ্। তোমারই যাবতীয় প্রশংসা, দান করা হ'ল এক ব্যভিচারিণীকে। লোকটি পুনরায় বলল, আমি দান করব। তারপর সে দান করার জন্য বের হ'ল এবং এক ধনীকে দান করল। ভোর হলে লোকেরা বলাবলি করল, রাতে এক ধনীকে দান করা হয়েছে। লোকটি বলল, হে আল্লাহ্! তোমারই জন্য যাবতীয় প্রশংসা, দান করা হ'ল চোর, ব্যভিচারিণী ও ধনীকে। জনৈক আগন্তুককে তার নিকট উপস্থিত করে তাকে বলা হ'ল, চোরকে তোমার দান করার ব্যাপারে কথা হল এই যে, সে হয়ত তার চৌর্যবৃত্তি থেকে বিরত হবে। ব্যভিচারিণীর ব্যাপারে কথা হল এই যে, সে হয়ত বেশ্যাবৃত্তি থেকে বিরত হবে। আর ধনীর ব্যাপারে কথা হল এই যে, হয়ত সে শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং তাকে আল্লাহ্ যে রিযক দান করছেন তা থেকে সেও দান করবে।
(ইমাম বুখারী নিজ শব্দযোগে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম মুসলিম ও নাসাঈ (র) বলেন, তাকে বলা হ'ল "তোমার দান কবুল হয়েছে।" তারপর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।)
كتاب الإخلاص
فصل
26 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ قَالَ رجل لأتصدقن اللَّيْلَة بِصَدقَة فَخرج بِصَدَقَتِهِ فوضعها فِي يَد سَارِق فَأَصْبحُوا يتحدثون تصدق اللَّيْلَة على سَارِق فَقَالَ اللَّهُمَّ لَك الْحَمد على سَارِق لأتصدقن بِصَدقَة فَخرج بِصَدَقَتِهِ فوضعها فِي يَد زَانِيَة فَأَصْبحُوا يتحدثون تصدق اللَّيْلَة على زَانِيَة فَقَالَ اللَّهُمَّ لَك الْحَمد على زَانِيَة لأتصدقن بِصَدقَة فَخرج بِصَدَقَتِهِ فوضعها فِي يَد غَنِي فَأَصْبحُوا يتحدثون تصدق اللَّيْلَة على غَنِي فَقَالَ اللَّهُمَّ لَك الْحَمد على سَارِق وزانية وغني فَأتي فَقيل لَهُ أما صدقتك على سَارِق فَلَعَلَّهُ أَن يستعف عَن سَرقته
وَأما الزَّانِيَة فلعلها أَن تستعف عَن زنَاهَا وَأما الْغَنِيّ فَلَعَلَّهُ أَن يعْتَبر فينفق مِمَّا أعطَاهُ الله
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ قَالَا فِيهِ فَقيل لَهُ أما صدقتك فقد تقبلت ثمَّ ذكر الحَدِيث
হাদীস নং: ২৭
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
২৭. হযরত আবূদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের নিয়্যাত করে বিছানায় এল, অতঃপর ঘুমের প্রবল চাপে ঘুমিয়ে পড়ল, তারপর ভোর হয়ে গেল, তার নিয়্যাত অনুযায়ী তার জন্যে সওয়াব লেখা হবে। তার রবের কাছে তার ঘুম হবে সাদকা।
(ইমাম নাসাঈ ও ইবন মাজাহ (র) উত্তম সনদে হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন। হযরত আবু যর অথবা আবুদ-দারদা (রা) সূত্রে ইব্‌ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন, তবে এতদুভয় রাবী কার সূত্রে বর্ণনা করেছেন সে ব্যাপারে তাঁর সন্দেহ রয়েছে।)
[হাফিয আবদুল আযীম (র) বলেন), এ গ্রন্থে এই বিষয়ের অনেক হাদীস বিভিন্ন অনুচ্ছেদে সামনে আসবে ইনশা আল্লাহ্ ]
كتاب الإخلاص
فصل
27 - وَعَن أبي الدَّرْدَاء يبلغ بِهِ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من أَتَى فرَاشه وَهُوَ يَنْوِي أَن يقوم يُصَلِّي من اللَّيْل فغلبته عَيناهُ حَتَّى أصبح كتب لَهُ مَا نوى وَكَانَ نَومه صَدَقَة عَلَيْهِ من ربه
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه بِإِسْنَاد جيد وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه من حَدِيث أبي ذَر أَو أبي الدَّرْدَاء على الشَّك
قَالَ الْحَافِظ عبد الْعَظِيم رَحمَه الله وَسَتَأْتِي أَحَادِيث من هَذَا النَّوْع مُتَفَرِّقَة فِي أَبْوَاب مُتعَدِّدَة من هَذَا الْكتاب إِن شَاءَ الله تَعَالَى
হাদীস নং: ২৮
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
২৮. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, কিয়ামত দিবসে সর্ব প্রথম একজন শাহাদাত বরণকারীর বিচার করা হবে। তাকে দরবারে হাযির করে তার প্রতি আল্লাহ্ প্রদত্ত নি'য়ামতের কথা প্রকাশ করা হবে এবং সে ঐ নিয়ামতের কথা স্বীকারও করবে। তিনি (আল্লাহ) তাকে বলবেন, তুমি তা কি কাজে লাগিয়েছ? সে বলবে, আমি আপনার পথে লড়াই করে শাহাদত বরণ করেছি। তিনি বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো। তুমি 'বীর' খ্যাতি অর্জনের জন্য লড়াই করেছ এবং সে সুনাম তুমি দুনিয়াতেই কুড়িয়েছ। অতঃপর তাকে অধঃমুখী করে জাহান্নামে নিক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হবে। সেমতে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
তারপর একজন আলিমকে হাযির করা হবে যে ইল্‌ম অর্জন করেছে, শিক্ষা দিয়েছে এবং কুরআন শিক্ষা করেছে। তাকে নি'য়ামতের কথা বলা হবে আর তা সে স্বীকার করবে। তিনি (আল্লাহ) বলবেন, তুমি তা কি কাজে লাগিয়েছ? সে বলবে, আমি ইল্‌ম অর্জন করেছি, ইল্‌ম শিক্ষা দিয়েছি এবং আপনার সন্তুষ্টির জন্য কুরআন শিক্ষা করেছি। তিনি বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো। বরং তুমি 'আলিম' খ্যাতি অর্জনের জন্যই ইলম অর্জন করেছ। 'কারী' হিসেবে খ্যাতি অর্জনের জন্যই কুরআন তিলাওয়াত করেছ। আর তা তো বলা হয়েছে। তারপর তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
এরপর হাযির করা হবে এক ধনী ব্যক্তিকে যাকে আল্লাহ্ তা'আলা প্রাচুর্য দান করেছেন। তাকে নি'য়ামতের কথা বলা হবে। আর সে তা স্বীকার করবে। তিনি বলবেন, তুমি এ সব কি কাজে লাগিয়েছ? সে বলবে, তুমি যে সব পথে সম্পদ ব্যয় পসন্দ কর, তার কোনটিতেও সম্পদ ব্যয় আমি ত্যাগ করিনি।তিনি বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো। বরং তুমি 'দাতা' খ্যাতি অর্জনের জন্য তা করেছ আর তা বলাও হয়েছে। তারপর তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
(ইমাম মুসলিম ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, ইমাম তিরমিযী এই হাদীসটিকে বর্ণনা করে একে হাসান বলেছেন। ইব্ন হিব্বান (র) তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الإخلاص
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
28 - عَن أبي هُرَيْرَة قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن أول النَّاس يقْضى يَوْم الْقِيَامَة عَلَيْهِ رجل اسْتشْهد فَأتي بِهِ فَعرفهُ نعْمَته فعرفها قَالَ فَمَا عملت فِيهَا قَالَ قَاتَلت فِيك حَتَّى استشهدت
قَالَ كذبت وَلَكِنَّك قَاتَلت لِأَن يُقَال هُوَ جريء فقد قيل ثمَّ أَمر بِهِ فسحب على وَجهه حَتَّى ألقِي فِي النَّار وَرجل تعلم الْعلم وَعلمه وقرأالقرآن فَأتي بِهِ فَعرفهُ نعمه فعرفها
قَالَ فَمَا عملت فِيهَا قَالَ تعلمت الْعلم وعلمته وقرأت فِيك
الْقُرْآن
قَالَ كذبت وَلَكِنَّك تعلمت ليقال عَالم وقرأت الْقُرْآن ليقال هُوَ قارىء فقد قيل ثمَّ أَمر بِهِ فسحب على وَجهه حَتَّى ألقِي فِي النَّار وَرجل وسع الله عَلَيْهِ وَأَعْطَاهُ من أَصْنَاف المَال فَأتي بِهِ فَعرفهُ نعمه فعرفها
قَالَ فَمَا عملت فِيهَا قَالَ مَا تركت من سَبِيل تحب أَن ينْفق فِيهَا إِلَّا أنفقت فِيهَا لَك
قَالَ كذبت وَلَكِنَّك فعلت ليقال هُوَ جواد فقد قيل ثمَّ أَمر بِهِ فسحب على وَجهه حَتَّى ألقِي فِي النَّار
رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَحسنه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه كِلَاهُمَا بِلَفْظ وَاحِد
হাদীস নং: ২৯
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
২৯. ওলীদ ইব্‌ন আবুল ওলীদ আবু উসমান মাদীনী থেকে বর্ণিত। উকবা ইব্‌ন মুসলিম তাঁর নিকট হাদীস বর্ণনা করেন। শাফী আল-আসবাহী তাঁর কাছে এই মর্মে হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি মদীনায় প্রবেশ করে। সেখানে এক ব্যক্তিকে ঘিরে অসংখ্য মানুষ সমবেত হতে দেখলেন। তিনি বললেন, ইনি কে? তারা বলল, আবু হুরায়রা। তিনি বলেন, আমি তাঁর নিকটে ঘেঁষে তাঁর সামনেই বসে পড়লাম আর তিনি তখন লোকদের হাদীস শোনাচ্ছিলেন। যখন তিনি থামলেন এবং একাকী হলেন তখন আমি তাঁকে বললাম, আমি আপনাকে কসম দিয়ে বলছি যে, আপনি অবশ্যই আমাকে এমন একটি হাদীস শোনাবেন যা আপনি রাসূলুল্লাহ্ (সা) -এর কাছে শুনে নিজ স্মৃতিপটে ধারণ করেছেন এবং যা আপনি শিখে রেখেছেন। আবূ হুরায়রা (রা) বললেন, আমি অবশ্যই তোমাকে এমন একখানা হাদীস শোনাব যা রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে নিজ স্মৃতিপটে ধারণ করেছি এবং শিখে রেখেছি। তারপর আবু হুরায়রা (রা) এক বিকট চিৎকার করে সম্বিৎ হারিয়ে ফেললেন। আর আমরা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ পর তাঁর সম্বিৎ ফিরে এলো এবং তিনি বললেন, তোমাকে এমন হাদীসই বলবো যা রাসূলুল্লাহ (সা) আমার নিকট বর্ণনা করেন আর আমি এবং তিনি ব্যতীত তখন ঘরে কেউ ছিল না। তারপর আবু হুরায়রা (রা) আবার এক বিকট চিৎকার করে বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। এরপর তিনি সম্বিৎ। ফিরে পেলেন এবং মুখমণ্ডলে হাত বুলিয়ে নিলেন। তিনি বলেন, আমি অবশ্যই তোমাকে এমন হাদীস শোনাব যা রাসূলুল্লাহ্ (সা) আমাকে শুনিয়েছেন। আমি এবং তিনি ব্যতীত এই ঘরে তখন আর কেউ ছিল না। এরপর আবূ হুরায়রা (রা) পুনরায় এক বিকট চিৎকার করে বেহুঁশ হয়ে পড়েন। আমি তাঁকে নিজের গায়ের সাথে হেলান দিয়ে দীর্ঘক্ষণ রাখলাম। তারপর তিনি সম্বিৎ ফিরে পেলেন। তারপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেন যে, কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্য অবতরণ করবেন আর তখন সকল মানুষ নতজানু হয়ে বসা থাকবে। প্রথমে যে ব্যক্তিকে ডাকা হবে সে হল একজন কারী, তারপর আল্লাহর পথে শাহাদত বরণকারী একব্যক্তি এবং তারপর একজন সম্পদশালী। আল্লাহ্ তা'আলা কারী ব্যক্তিকে বলবেন, আমার রাসূলের উপর যা অবতীর্ণ করেছি তোমাকে কি তা শিক্ষা দেইনি? সে বলবে, জ্বী-হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক। তিনি বলবেন, তুমি যা শিখেছিলে তা কি কাজে লাগিয়েছ? সে বলবে, আমি রাত-দিন জেগে কুরআন তিলাওয়াত করেছি। আল্লাহ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো, আর ফিরিশতাগণও বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো। আল্লাহ্ তাবারাকা ও তা'আলা বলবেন, তুমি তো চেয়েছিলে লোকে তোমায় বলুক, 'অমুক কারী' আর তা তো বলা হয়েছে।
এরপর হাযির করা হবে ধনী ব্যক্তিকে। আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, আমি কি তোমাকে প্রাচুর্য দান করিনি যাতে তোমাকে কারো মুখাপেক্ষী হতে না হয়? সে বলবে, জ্বী-হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক। তিনি বলবেন, আমি তোমাকে যা দিয়েছিলাম তা তুমি কি কাজে লাগিয়েছ? সে বলবে, আমি আত্মীয়তার সম্পর্ক সর্বদা অটুট রেখেছি এবং সর্বদা দান-সাদকাও করেছি। আল্লাহ্ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো। আর ফিরিশতাগণও বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো। আল্লাহ্ তাবারাকা ও তা'আলা বলবেন, বরং তুমি চেয়েছিলে লোকে তোমাকে বলুক যে, 'অমুক একজন দানবীর' আর তা তো বলা হয়েছে।
এরপর হাযির করা হবে আল্লাহর রাস্তায় শাহাদত বরণকারীকে। আল্লাহ্ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি কোন উদ্দেশ্যে শাহাদাত বরণ করেছ হে? সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার পথে জিহাদের জন্য আদিষ্ট হয়ে ছিলাম, তারপর জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে শহীদ হয়েছি। আল্লাহ্ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো, আর ফিরিশতাগণও বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো। আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, বরং তুমি কামনা করেছ যে, বলা হোক 'অমুক একজন মস্তবীর' আর তা তো বলা হয়েছে। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (সা) আমার হাঁটু দুটো চাপড়িয়ে বললেন, হে আবূ হুরায়রা। কিয়ামত দিবসে এই তিনজনই হবে সৃষ্ট জীবের মধ্যে জাহান্নামের সর্ব প্রথম ইন্ধন।
ওলীদ আবু উসমান মাদীনী বলেন, উকবা আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেন। শফী মু'আবিয়ার কাছে প্রবেশ করেন, তারপর তিনি তাঁর নিকট হাদীস বর্ণনা করেন। আবু উসমান বলেন, 'আলা ইব্‌ন আবু হাকীম আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন। আর তিনি ছিলেন মু'আবিয়ার তরবারি রক্ষক। তিনি বলেন, তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে আবু হুরায়রা (রা) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস রিওয়ায়াত করেন। মু'আবিয়া (রা) বলেন, ওদের সাথে যেখানে এরূপ ব্যবহারই করা হবে, সেখানে অপরাপর লোকদের সাথে কিরূপ আচরণ করা হবে? তারপর মু'আবিয়া (রা) খুব কাঁদলেন এমনকি আমরা ধারণা করলাম, তিনি বুঝি ইনতিকাল করেছেন। আমরা বলাবলি করতে লাগলাম যে, ঐ লোকটি একটি অমঙ্গল নিয়ে এলো। তারপর মুয়াবিয়া সম্বিৎ ফিরে পেলেন এবং তাঁর মুখমন্ডল মুছলেন। তিনি বললেন, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল যথার্থই বলেছেন। তারপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত তিলাওয়াত করেন:
من كَانَ يُرِيد الْحَيَاة الدُّنْيَا وَزينتهَا نوف إِلَيْهِم أَعْمَالهم فِيهَا وهم فِيهَا لَا يبخسون أُولَئِكَ الَّذِي لَيْسَ لَهُم فِي الأخرة إِلَّا النَّار وحبط مَا صَنَعُوا فِيهَا وباطل مَا كَانُوا يعْملُونَ
যদি কেউ পার্থিব জীবন ও তার শোভা কামনা করে, তবে দুনিয়াতে আমি তাদের কর্মের পূর্ণ ফল দান করি এবং সেথায় তাদের কম দেওয়া হবে না। তাদের জন্য পরলোকে আগুন ব্যতীত অন্য কিছু নেই এবং তারা যা করে, পরলোকে তা নিষ্ফল হবে এবং তারা যা করে থাকে তা নিরর্থক।" (সূরা হুদ, ১১ ৪ ১৫-১৬)
(একটি কিংবা দু'টি অক্ষরের ব্যতিক্রম ব্যতীত ইব্‌ন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الإخلاص
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
29 - وَعَن الْوَلِيد بن أبي الْوَلِيد أبي عُثْمَان الْمَدِينِيّ أَن عقبَة بن مُسلم حَدثهُ أَن شفيا الأصبحي حَدثهُ أَنه دخل الْمَدِينَة فَإِذا هُوَ بِرَجُل قد اجْتمع عَلَيْهِ النَّاس فَقَالَ من هَذَا قَالُوا أَبُو هُرَيْرَة قَالَ فدنوت مِنْهُ حَتَّى قعدت بَين يَدَيْهِ وَهُوَ يحدث النَّاس فَلَمَّا سكت وخلا قلت لَهُ أَسأَلك بِحَق وبحق لما حَدَّثتنِي حَدِيثا سمعته من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وعقلته وعلمته فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَة أفعل لأحدثنك حَدِيثا حَدَّثَنِيهِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم علقته وعلمته ثمَّ نشغ أَبُو هُرَيْرَة نشغة فَمَكثْنَا قَلِيلا ثمَّ أَفَاق فَقَالَ لأحدثنك حَدِيثا حَدَّثَنِيهِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنا وَهُوَ فِي هَذَا الْبَيْت مَا مَعنا أحد غَيْرِي وَغَيره ثمَّ نشغ أَبُو هُرَيْرَة نشغة أُخْرَى ثمَّ أَفَاق وَمسح عَن وَجهه فَقَالَ أفعل لأحدثنك حَدِيثا حَدَّثَنِيهِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنا وَهُوَ فِي هَذَا الْبَيْت مَا مَعنا أحد غَيْرِي وَغَيره ثمَّ نشغ أَبُو هُرَيْرَة نشغة شَدِيدَة ثمَّ مَال خارا على وَجهه فأسندته طَويلا ثمَّ أَفَاق فَقَالَ حَدثنِي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن الله تبَارك وَتَعَالَى إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة ينزل إِلَى الْعباد ليقضي بَينهم وكل أمة جاثية فَأول من يدعى بِهِ رجل جمع الْقُرْآن وَرجل قتل فِي سَبِيل الله وَرجل كثير المَال فَيَقُول الله عز وَجل للقارىء ألم أعلمك مَا أنزلت على رَسُولي قَالَ بلَى يَا رب قَالَ فَمَا علمت فِيمَا علمت قَالَ كنت أقوم بِهِ آنَاء اللَّيْل وآناء النَّهَار فَيَقُول الله عز وَجل لَهُ كذبت وَتقول لَهُ الْمَلَائِكَة كذبت وَيَقُول الله تبَارك وَتَعَالَى بل أردْت أَن يُقَال فلَان قارىء وَقد قيل ذَلِك وَيُؤْتى بِصَاحِب المَال فَيَقُول الله عز وَجل ألم أوسع عَلَيْك حَتَّى لم أدعك تحْتَاج إِلَى أحد قَالَ بلَى يَا رب قَالَ فَمَاذَا عملت فِيمَا آتيتك قَالَ كنت أصل الرَّحِم وأتصدق فَيَقُول الله لَهُ كذبت وَتقول الْمَلَائِكَة كذبت وَيَقُول الله تبَارك وَتَعَالَى بل أردْت أَن يُقَال فلَان جواد وَقد قيل
ذَلِك وَيُؤْتى بِالَّذِي قتل فِي سَبِيل الله فَيَقُول الله لَهُ فِي مَاذَا قتلت فَيَقُول أَي رب أمرت بِالْجِهَادِ فِي سَبِيلك فقاتلت حَتَّى قتلت فَيَقُول الله لَهُ كذبت وَتقول الْمَلَائِكَة كذبت وَيَقُول الله بل أردْت أَن يُقَال فلَان جريء فقد قيل ذَلِك ثمَّ ضرب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم على ركبتي فَقَالَ يَا أَبَا هُرَيْرَة أُولَئِكَ الثَّلَاثَة أول خلق الله تسعر بهم النَّار يَوْم الْقِيَامَة قَالَ الْوَلِيد أَبُو عُثْمَان الْمَدِينِيّ وَأَخْبرنِي عقبَة أَن شفيا هُوَ الَّذِي دخل على مُعَاوِيَة فَأخْبرهُ بِهَذَا قَالَ أَبُو عُثْمَان وحَدثني الْعَلَاء بن أبي حَكِيم أَنه كَانَ سيافا لمعاوية قَالَ فَدخل عَلَيْهِ رجل فَأخْبرهُ بِهَذَا عَن أبي هُرَيْرَة فَقَالَ مُعَاوِيَة قد فعل بهؤلاء هَذَا فَكيف بِمن بَقِي من النَّاس ثمَّ بَكَى مُعَاوِيَة بكاء شَدِيدا حَتَّى ظننا أَنه هَالك وَقُلْنَا قد جَاءَ هَذَا الرجل بشر ثمَّ أَفَاق مُعَاوِيَة وَمسح عَن وَجهه وَقَالَ صدق الله وَرَسُوله اصلى الله عَلَيْهِ وَسلم من كَانَ يُرِيد الْحَيَاة الدُّنْيَا وَزينتهَا نوف إِلَيْهِم أَعْمَالهم فِيهَا وهم فِيهَا لَا يبخسون أُولَئِكَ الَّذِي لَيْسَ لَهُم فِي الأخرة إِلَّا النَّار وحبط مَا صَنَعُوا فِيهَا وباطل مَا كَانُوا يعْملُونَ وَرَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه نَحْو هَذَا لم يخْتَلف إِلَّا فِي حرف أَو حرفين
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩০
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
৩০. হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্ন আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সা) আমাকে জিহাদ ও গাযওয়া সম্পর্কে একটু জ্ঞান দান করুন। তিনি বললেন, হে আবদুল্লাহ ইব্ন আমর। তুমি যদি ধৈর্য ধারণ করো এবং পূণ্যলাভের আশায় জিহাদ কর, তাহলে আল্লাহ্ তোমাকে ধৈর্যশীল এবং সৎকর্মশীল করে পরলোকে উঠাবেন। আর যদি তুমি লোক দেখানো ও বাহাদুরী প্রদর্শনের জন্য জিহাদ কর, তাহলে তিনি তোমাকে রিয়াকার এবং মানুষের প্রশংসা লাভের প্রত্যাশী করে উঠাবেন। হে আবদুল্লাহ ইব্ন আমর! তুমি যেরূপ জিহাদ করবে, অথবা যেরূপ শাহাদাত বরণ করবে, আল্লাহ্ তোমাকে সেরূপই উঠাবেন।
(আবু দাউদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[হাফিয আবদুল আযীম (র) বলেন], এই বিষয়ে বহু হাদীস পৃথক অনুচ্ছেদে জিহাদ অধ্যায়ে আসবে ইনশা আল্লাহ্।
كتاب الإخلاص
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
30 - وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ قَالَ قلت يَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَخْبرنِي عَن الْجِهَاد والغزو فَقَالَ يَا عبد الله بن عَمْرو إِن قَاتَلت صَابِرًا محتسبا بَعثك الله صَابِرًا محتسبا وَإِن قَاتَلت مرائيا مكاثرا بَعثك الله مرائيا مكاثرا يَا عبد الله بن عَمْرو على أَي حَال قَاتَلت أَو قتلت بَعثك الله على تِلْكَ الْحَال
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
قَالَ الْحَافِظ وَسَتَأْتِي أَحَادِيث من هَذَا النَّوْع فِي بَاب مُفْرد فِي الْجِهَاد إِن شَاءَ الله تَعَالَى
হাদীস নং: ৩১
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
৩১. হযরত উবাই ইব্‌ন কা'ব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনঃ এই উম্মতকে মর্যাদা, উচ্চ সম্মান, দীন ও যমীনে রাজত্বের সুসংবাদ দাও। তাদের যে ব্যক্তি দুনিয়ার উদ্দেশ্যে আখিরাতের কাজ করে, তার কোন হিস্সা নেই।
(আহমদ, ইব্ন হিববান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম ও বায়হাকীও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী শরীফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: "এই উম্মত প্রাচুর্য ও বিপুল সম্মান, দ্বীনের দ্বারা উচ্চ মর্যাদা, ভূপৃষ্টে রাজত্ব এবং আল্লাহর সাহায্যের সুসংবাদ দাও। কাজেই যে ব্যক্তি দুনিয়ার উদ্দেশ্যে আখিরাতের কাজ করে, আখিরাতে তার কোন হিস্সা নেই।")
كتاب الإخلاص
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
31 - وَعَن أبي بن كَعْب قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بشر هَذِه الْأمة بالسناء والرفعة وَالدّين والتمكين فِي الأَرْض فَمن عمل مِنْهُم عمل الْآخِرَة للدنيا لم يكن لَهُ فِي الْآخِرَة من نصيب
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح
الْإِسْنَاد وَفِي رِوَايَة للبيهقي قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بشر هَذِه الْأمة بالتيسير والسناء والرفعة بِالدّينِ والتمكين فِي الْبِلَاد والنصر فَمن عمل مِنْهُم بِعَمَل الْآخِرَة للدنيا فَلَيْسَ لَهُ فِي الْآخِرَة من نصيب
হাদীস নং: ৩২
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
৩২. হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি জিহাদের মাঠে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অবস্থান নিই এবং মনে মনে এই প্রত্যাশাও রাখি যে, মানুষ আমার বীরত্ব দেখে চমৎকৃত হোক। রাসূলুল্লাহ্ (সা) তার কথার জবাব দিলেন না, এমনকি নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হল:
فَمن كَانَ يَرْجُو لِقَاء ربه فليعمل عملا صَالحا وَلَا يُشْرك بِعبَادة ربه أحدا
"সুতরাং যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎকাজ করে ও তার প্রতিপালকের ইবাদতে কাউকে শরীক না করে।" (সূরা কাহফ, ১৮৪ ১১০)
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, বুখারী-মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী হাদীসটি সহীহ্ আর ইমাম বায়হাকী তাঁর নিজস্ব তরীকায় বর্ণনা করেন। তারপর তিনি বলেন, আবদান (র) ইব্‌ন মুবারক মুরসাল সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা)-এর নাম তিনি উল্লেখ করেন নি।)
كتاب الإخلاص
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
32 - وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رجل يَا رَسُول الله إِنِّي أَقف الْموقف أُرِيد وَجه الله وَأُرِيد أَن يرى موطني
فَلم يرد عَلَيْهِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم حَتَّى نزلت {فَمن كَانَ يَرْجُو لِقَاء ربه فليعمل عملا صَالحا وَلَا يُشْرك بِعبَادة ربه أحدا} الْكَهْف 11
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شرطيهما وَالْبَيْهَقِيّ من طَرِيقه ثمَّ قَالَ رَوَاهُ عَبْدَانِ عَن ابْن الْمُبَارك فَأرْسلهُ لم يذكر فِيهِ ابْن عَبَّاس
হাদীস নং: ৩৩
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
৩৩. হযরত আবু হিন্দ আদ্‌-দারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী করীম-কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি লোককে দেখানো ও শুনানোর উদ্দেশ্যে পুণ্যকাজ করবে, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাকে লোক দেখানো ও শুনানোকারীরূপেই উঠাবেন।
(ইমাম আহমদ (র) উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। বায়হাকী ও তাবারানীও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাবারানীর বর্ণনায় আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছেন: "যে ব্যক্তি গায়রুল্লাহর উদ্দেশ্যে রিয়াকারী করে, আল্লাহ্ তা'আলা তার যিম্মামুক্ত।")
كتاب الإخلاص
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
33 - وَعَن أبي هِنْد الدَّارِيّ أَنه سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من قَامَ مقَام رِيَاء وَسُمْعَة رايا الله بِهِ يَوْم الْقِيَامَة وَسمع
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد وَالْبَيْهَقِيّ وَالطَّبَرَانِيّ وَلَفظه أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من رايا بِاللَّه لغير الله فقد برىء من الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
৩৪. হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি মানুষকে শোনানোর উদ্দেশ্যে আমল করে, আল্লাহ্ তা'আলা (কিয়ামত দিবসে) তা তাঁর সৃষ্টিকে শোনাবেন এবং তাকে হীন ও অপদস্থ করবেন।
(ইমাম তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে বিভিন্ন সনদে অত্র হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন। এর একটি সনদ সহীহ্ এবং ইমাম বায়হাকী (র)-ও এই হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الإخلاص
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
34 - وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من سمع النَّاس بِعَمَلِهِ سمع الله بِهِ سامع خلقه وصغره وحقره
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بأسانيد أَحدهَا صَحِيح وَالْبَيْهَقِيّ
হাদীস নং: ৩৫
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
৩৫. হযরত জুন্দুব ইব্‌ন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি শোনানোর উদ্দেশ্যে কোন কাজ করে, আল্লাহ্ তা শুনিয়ে দিবেন এবং যে ব্যক্তি রিয়া নিয়ে আমল করে, তাও তিনি দেখিয়ে দিবেন।
(ইমাম বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[سمع মীম অক্ষরে তাশদীদসহ] এর অর্থ হলো, যে ব্যক্তি মানুষের মাঝে প্রচারের উদ্দেশ্যে আমলের রিয়া করে। কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্ তা'আলা তার আমলের অসদুদ্দেশ্য প্রকাশ করে দিবেন। আর তিনি তা জনসমক্ষে প্রকাশ করে দিবেন।]
كتاب الإخلاص
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
35 - وَعَن جُنْدُب بن عبد الله رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من سمع سمع الله بِهِ وَمن يراء يراء الله بِهِ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
سمع بتَشْديد الْمِيم وَمَعْنَاهُ من أظهر عمله للنَّاس رِيَاء أظهر الله نِيَّته الْفَاسِدَة فِي عمله يَوْم الْقِيَامَة وفضحه على رُؤُوس الأشهاد
হাদীস নং: ৩৬
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
৩৬. হযরত আউফ ইবন মালিক আশজাঈ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি রিয়ার মাকামে অবস্থান করবে, আল্লাহ তাকে রিয়ার মাকামেই রাখবেন। আর যে ব্যক্তি 'সুম'আর' মাকামে অবস্থান করবে, তাকে সুম'আর (১) মাকামেই রাখবেন।
(ইমাম তাবারানী (র) হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)

(১) সুম'আ শব্দটি রিয়ার সাথে প্রতিশব্দরূপে ব্যবহৃত হয়, অর্থ লোককে শুনানো। - সম্পাদক
كتاب الإخلاص
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
36 - وَعَن عَوْف بن مَالك الْأَشْجَعِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من قَامَ مقَام رِيَاء رايا الله بِهِ وَمن قَامَ مقَام سمعة سمع الله بِهِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
হাদীস নং: ৩৭
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
৩৭.হযরত মুআ'য ইব্ন জাবাল (রা) থেকে রাসূলুল্লাহ (সা) এর বরাতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে সুমআ ও রিয়া তথা লোককে শুনানো ও দেখানোর পর্যায়ে অবস্থান করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা সমগ্র সৃষ্টিলোকের সম্মুখে তার আমলের স্বরূপ প্রকাশ করে দেবেন।
(ইমাম তাবরানী হাদীসখানি হাসান সনদে বর্ণনা করেন।)
كتاب الإخلاص
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
37 - وَعَن معَاذ بن جبل عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من عبد يقوم فِي الدُّنْيَا مقَام سمعة ورياء إِلَّا سمع الله بِهِ على رُؤُوس الْخَلَائق يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
হাদীস নং: ৩৮
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
৩৮. হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দুনিয়ায় তার আমলে রিয়া করে, আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাকে তার হাতে ছেড়ে দেবেন (আমলের সওয়াব দেবেন না) এবং বলবেন, দেখ তোমার আমল তোমার কোন উপকারে এসেছি কি?
(ইমাম বায়হাকী হাদীসটি মাওকূফ সনদে বর্ণনা করেন।)
كتاب الإخلاص
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
38 - وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ من رايا بِشَيْء فِي الدُّنْيَا من عمله وَكله الله إِلَيْهِ يَوْم الْقِيَامَة وَقَالَ انْظُر هَل يُغني عَنْك شَيْئا
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ مَوْقُوفا
হাদীস নং: ৩৯
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
৩৯. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি পারলৌকিক আমলের ভূষণে ভূষিত হয় অথচ পারলৌকিক মঙ্গল তার অভীষ্ট নয় বা পরকাল সে চায়ও না, আসমানে ও যমীনে তাকে অভিসম্পাত করা হয়।
(ইমাম তাবরানী তাঁর 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الإخلاص
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
39 - وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من تزين بِعَمَل الْآخِرَة وَهُوَ لَا يريدها وَلَا يطْلبهَا لعن فِي السَّمَوَات وَالْأَرْض
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
হাদীস নং: ৪০
ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদঃ রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
৪০. হযরত জারূদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি আখিরাতের আমল দ্বারা দুনিয়া লাভের প্রত্যাশা করে, তার চেহারা বিকৃত করে দেওয়া হবে এবং তার স্মরণ মিটিয়ে দেওয়া হবে এবং তার নাম জাহান্নামে তালিকাভুক্ত করা হবে।
(ইমাম তাবরানী তাঁর কাবীর গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الإخلاص
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
40 - وَرُوِيَ عَن الْجَارُود قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من طلب الدُّنْيَا بِعَمَل الْآخِرَة طمس وَجهه ومحق ذكره وَأثبت اسْمه فِي النَّار
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
tahqiq

তাহকীক: