মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي

১৯. পানাহারের দ্রব্যাদি, কুরবানী, শিকার এবং যবেহ সম্পর্কে বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪১৬
পানাহারের দ্রব্যাদি, কুরবানী, শিকার এবং যবেহ সম্পর্কে বর্ণনা
স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্রে পান করা নিষিদ্ধ
হাদীস নং- ৪১৬

হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে স্বর্ণ-রৌপ্যের থালায় পানাহার এবং রেশমের বস্তু পরিধান করতে নিষেধ করেছেন এবং এটাও বলেছেন যে, এ সমস্ত দুনিয়াতে মুশরিকদের জন্য এবং পরকালে হবে তোমাদের জন্য।
كتاب الأطعمة والأشربة والشرب والضحايا والصيد والذبائح
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: " نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَشْرَبَ فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَأَنْ نَأْكُلَ فِيهَا، وَأَنْ نَلْبَسَ الْحَرِيرَ وَالدِّيبَاجَ، قَالَ: هِيَ لِلْمُشْرِكِينَ فِي الدُّنْيَا، وَلَكُمْ فِي الْآخِرَةِ "
হাদীস নং: ৪১৭
পানাহারের দ্রব্যাদি, কুরবানী, শিকার এবং যবেহ সম্পর্কে বর্ণনা
স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্রে পান করা নিষিদ্ধ
হাদীস নং- ৪১৭

হযরত আব্দুর রহমান ইব্ন আবী লায়লা (রাহঃ) বলেন, আমরা হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ)-এর সাথে মাদায়েনে কোন এক গ্রামবাসীর কাছে হাযির হলাম। সে আমাদের জন্য খাবার আনল, আমরা আহার করলাম। এরপর হুযায়ফা (রাযিঃ) পানি চাইলেন। তখন তারা রৌপ্যের পেয়ালায় পানি নিয়ে আসল। হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) পানির পেয়ালা তার মুখের উপর নিক্ষেপ করলেন। তাঁর এ কাজ আমাদের অপসন্দ হলো। তিনি বললেন, তোমরা কি জান আমি এ গ্রামবাসীর সাথে কেন এরূপ করেছি? আমরা বললাম, না। তখন তিনি বললেন, গত বছর আমি তাদের এখানে এসেছিলাম এবং আমি পানি চাইলে তারা আমাকে রৌপ্যের পেয়ালায় পানি সরবরাহ করে। আমি তাদেরকে বলেছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে স্বর্ণ-রৌপ্যের পাত্রে পানাহার করতে এবং রেশমের বস্ত্র পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। কেননা এ সমস্ত বস্তু দুনিয়াতে মুশরিকদের জন্য এবং আখিরাতে আমাদের জন্য।
كتاب الأطعمة والأشربة والشرب والضحايا والصيد والذبائح
عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ: نَزَلْنَا مَعَ حُذَيْفَةَ عَلَى دِهْقَانَ بِالْمَدَائِنِ، فَأَتَى بِطَعَامٍ فَطَعِمْنَا، ثُمَّ دَعَا حُذَيْفَةُ بِشَرَابٍ فَأَتَى بِشَرَابٍ فِي إِنَاءٍ فِضَّةٍ، فَضَرَبَ بِهِ وَجْهَهُ، فَسَاءَنَا مَا صَنَعَ، فَقَالَ: أَتَدْرُونَ لِمَ صَنَعْتُ بِهِ هَذَا؟ فَقُلْنَا: لَا، فَقَالَ: إِنِّي نَزَلَتُ عَلَيْهِ فِي الْعَامِ الْمَاضِي، فَدَعَوْتُ بِشَرَابٍ، فَأَتَانِي بِشَرَابٍ فِيهِ، فَأَخْبَرْتُهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَانَا أَنْ نَأْكُلَ فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَأَنْ نَشْرَبَ فِيهَا، وَأَنْ نَلْبَسَ الْحَرِيرَ وَالدِّيبَاجَ، فَإِنَّهَا لِلْمُشْرِكِينَ فِي الدُّنْيَا، وَهِيَ لَنَا فِي الْآخِرَةِ»
হাদীস নং: ৪১৮
পানাহারের দ্রব্যাদি, কুরবানী, শিকার এবং যবেহ সম্পর্কে বর্ণনা
স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্রে পান করা নিষিদ্ধ
হাদীস নং- ৪১৮

হযরত আব্দুর রহমান ইবন আবী লায়লা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) এক গ্রামবাসীর নিকট পানি চান। তখন সে রৌপ্যের পেয়ালায় পানি নিয়ে আসে। তিনি পেয়ালা তার মুখের উপর নিক্ষেপ করেন এবং বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে রৌপ্যের পেয়ালায় পানি পান করতে নিষেধ করেছেন।
كتاب الأطعمة والأشربة والشرب والضحايا والصيد والذبائح
حَمَّادٌ: عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ أَبِيْ فَرْوَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِيْ لَيْلَى، قَالَ: اسْتَسْقَى حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ مِنْ دِهْقَانَ، فَأَتَى فِيْ إِنَاءٍ فِضَّةٍ، فَأَخَذَ الْإِنَاءَ، فَضَرَبَ بِهِ وَجْهَهُ، وَقَالَ: إِنَّ رَسَولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ نَشْرَبَ فِيْ آنِيَةِ الْفِضَّةِ.
হাদীস নং: ৪১৯
পানাহারের দ্রব্যাদি, কুরবানী, শিকার এবং যবেহ সম্পর্কে বর্ণনা
স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্রে পান করা নিষিদ্ধ
হাদীস নং- ৪১৯

হযরত আব্দুর রহমান ইবন আবী লায়লা (রাহঃ) বলেন, আমি হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ)-এর সাথে মাদায়েনে সফর করছিলাম। তিনি এক গ্রামবাসীর নিকট পানি চাইলে সে রৌপ্যের পেয়ালায় পানি দেয়। তিনি তা ছুঁড়ে ফেলে দেন এবং বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বর্ণ-রৌপ্যের পাত্রে পানাহার করতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন: এটা তাদের (মুশরিকদের) জন্য দুনিয়াতে এবং তোমাদের জন্য আখিরাতে।
كتاب الأطعمة والأشربة والشرب والضحايا والصيد والذبائح
عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ: كُنَّا مَعَ حُذَيْفَةَ بِالْمَدَائِنِ، فَاسْتَسْقَى دِهْقَانًا، فَأَتَاهُ بِهِ فِي جَامٍ فِضَّةٍ، فَرَمَى بِهِ، ثُمَّ قَالَ: " إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهِ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَقَالَ: هِيَ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا وَلَكُمْ فِي الْآخِرَةِ "
হাদীস নং: ৪২০
পানাহারের দ্রব্যাদি, কুরবানী, শিকার এবং যবেহ সম্পর্কে বর্ণনা
স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্রে পান করা নিষিদ্ধ
হাদীস নং- ৪২০

হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) কদুর খোলস এবং সবুজ রং এর কলস থেকে নিষেধ করেছেন।
كتاب الأطعمة والأشربة والشرب والضحايا والصيد والذبائح
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ»
হাদীস নং: ৪২১
পানাহারের দ্রব্যাদি, কুরবানী, শিকার এবং যবেহ সম্পর্কে বর্ণনা
স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্রে পান করা নিষিদ্ধ
হাদীস নং- ৪২১

হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, নবী করীম (ﷺ) বলেন : আমরা তোমাদেরকে কবর যিয়ারত থেকে নিষেধ করেছি, কিন্তু যখন হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে তাঁর সম্মানিত মাতার কবর যিয়ারতের অনুমতি দেয়া হয়েছে, সুতরাং এবার তোমরা কবর যিয়ারত কর কিন্তু কাদর্য অসৌজন্যমূলক কথা বল না। এবং (আমরা তোমাদেরকে) কুরবানীর গোশত তিন দিনের অধিক জমা করে রাখতে নিষেধ করেছি। আর এ জন্য নিষেধ করেছি যাতে তোমাদের সম্পদশালী ব্যক্তিগণ তোমাদের দরিদ্রদেরকে গোশত দিয়ে তাদের মধ্যে গোশত খাওয়ার আনন্দ সৃষ্টি করতে পারে। এখন যেহেতু আল্লাহ তা'আলা সবাইকে প্রশস্ততা দিয়েছেন, তাই খাও এবং সংরক্ষণ কর এবং (আমরা তোমাদেরকে নিষেধ করেছিলাম) হানতাম ও মুযাফফাত বা কদুর খোল থেকে তৈরী পাত্র দ্বারা পান করা থেকে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে নাকির ও দুব্বায় পান করা থেকে। সুতরাং এবার যে পাত্রে ইচ্ছা, পান কর। কেননা পাত্র বা থালা কোন বস্তুকে হালাল ও হারাম করে না। হ্যাঁ, নেশা সৃষ্টি করে এরূপ দ্রব্য পান করো না।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, আমরা তোমাদেরকে তিনটি কাজ থেকে নিষেধ করেছি।
প্রথম, কবর যিয়ারত থেকে, এখন থেকে যিয়ারত কর। দ্বিতীয়, আমরা তোমাদেরকে নিষেধ করেছি, কুরবানীর গোশত তিনদিনের চেয়ে বেশী জমা রাখার ব্যাপারে। এখন থেকে জমা রাখ এবং সংরক্ষণ কর। আমরা তোমাদেরকে নিষেধ করেছি, দুব্বা ও মুযাফফাতে পান করা থেকে। এখন থেকে যে পাত্রে ইচ্ছা, পান কর। কেননা পাত্র বস্তুকে না হালাল করতে পারে এবং না হারাম। তবে নেশা সৃষ্টিকারী দ্রব্য পান করো না।
অন্য এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, আমরা নিষেধ করেছি তোমাদেরকে দুব্বা, হানতাম ও মুযাফফাতে নাবীয তৈরী করা থেকে। এখন সমস্ত পাত্রে পান কর কিন্তু নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু পান কর না।
كتاب الأطعمة والأشربة والشرب والضحايا والصيد والذبائح
عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «نَهَيْنَاكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ، فَقَدْ أُذِنَ لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي زِيَارَةِ قَبْرِ أُمِّهِ، فَزُورُوهَا، وَلَا تَقُولُوا هُجْرًا، وَعَنْ لُحُومِ الْأَضَاحِي، أَنْ تُمْسِكُوهَا فَوْقَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، وَإِنَّا نَهَيْنَاكُمْ، لِيُوَسِّعَ مُوسِرُكُمْ عَلَى فَقِيرِكُمْ، وَالْآنَ قَدْ وَسَّعَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ، فَكُلُوا وَتَزَوَّدُوا، وَعَنِ الشُّرْبِ فِي الْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ» ، وَفِي رِوَايَةٍ: «وَعَنِ النَّقِيرِ، وَالدُّبَّاءِ، فَاشْرَبُوا فِي كُلِّ ظَرْفٍ شِئْتُمْ، فَإِنَّ الظَّرْفَ لَا يُحِلُّ شَيْئًا، وَلَا يُحَرِّمُهُ، وَلَا تَشْرَبُوا مُسْكِرًا» .
وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: إِنَّا نَهَيْنَاكُمْ عَنْ ثَلاثَةٍ: عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا، وَنَهَيْنَاكُمْ أَنْ تُمْسِكُوا لُحُومَ الْأَضَاحِي فَوْقَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، فَأَمْسِكُوهَا وَتَزَوَّدُوا، وَإِنَّمَا نَهَيْنَاكُمْ، لِيُوَسِّعَ غَنِيُّكُمْ عَلَى فَقِيرِكُمْ، وَنَهَيْنَاكُمْ أَنْ تَشْرَبُوا فِي الدُّبَّاءِ، وَالْمُزَفَّتِ، فَاشْرَبُوا فِيمَا بَدَا لَكُمْ، فَإِنَّ الظَّرْفَ لَا يُحِلُّ شَيْئًا، وَلَا يُحَرِّمُهُ، وَلَا تَشْرَبُوا مُسْكِرًا ".
وَفِي رِوَايَةٍ نَحْوَهُ، وَفِيهِ: وَعَنِ النَّبِيذِ فِي الدُّبَّاءِ، وَالْحَنْتَمِ، وَالْمُزَفَّتِ، فَاشْرَبُوا فِي كُلِّ ظَرْفٍ، وَلَا تَشْرَبُوا مُسْكِرًا "
হাদীস নং: ৪২২
পানাহারের দ্রব্যাদি, কুরবানী, শিকার এবং যবেহ সম্পর্কে বর্ণনা
স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্রে পান করা নিষিদ্ধ
হাদীস নং- ৪২২

হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, তোমরা যে কোন পাত্রে পান কর। কেননা পাত্র কোন বস্তুকে না হালাল করতে পারে, না হারাম।
كتاب الأطعمة والأشربة والشرب والضحايا والصيد والذبائح
عَنْ عَلْقَمَةَ، وَحَمَّادٍ، أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «اشْرَبُوا فِي كُلِّ ظَرْفٍ، فَإِنَّ الظَّرْفَ لَا يُحِلُّ شَيْئًا، وَلَا يُحَرِّمُهُ»