মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي
১৮. ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৭৭
হযরত খুযায়মা (রাযিঃ)-এর গুণাবলী ও মর্যাদা
হাদীস নং- ৩৭৭
অনুবাদঃ হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একবার তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হলেন। এ সময় এক বেদুঈন তাঁর নিকট বিক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করছিল। তখন হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) বললেন, হে বেদুঈন! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে ক্রয়-বিক্রয় করেছ। নবী করীম (ﷺ) হযরত খুযায়মাকে জিজ্ঞাসা করলেন : তুমি এটা কিভাবে জানতে পারলে? হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) বলেন, আপনি ঐশীবাণীর কথা বলেন এবং আমরা এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করি। হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) বলেন, এরপর থেকে হুযূর (ﷺ) তাঁর একজনের সাক্ষ্যকে দু'জনের সাক্ষ্যের সমান বলে নির্ধারণ করেন।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) এক বেদুঈনের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট ছিল এবং একটি বিক্রয়ের বিষয় নিয়ে অস্বীকার করছিল। অথচ সে পূর্বেই আঁ হযরত (ﷺ)-এর সাথে কাজটি সম্পাদন করেছিল। তখন হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) বলেন, হে বেদুঈন! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি নবী করীম (ﷺ)-এর সাথে ক্রয়-বিক্রয় করেছ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন : তুমি এটা কিভাবে জানলে? হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) বলেন, আপনি আমাদের নিকট ঐশীবাণী নিয়ে আসেন এবং আমরা আপনার উপর বিশ্বাস করি (সুতরাং যমীনের কথা কেন বিশ্বাস করব না যা আকাশ থেকে অধিক নিকটে)। হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) বলেন, এরপর থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাক্ষ্যকে দু'ব্যক্তির সাক্ষ্যের সমান বলে স্থির করেন।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাঁর সাক্ষ্য দু'জনের সাক্ষ্যের সমান বলে গণ্য করা হতো।
অনুবাদঃ হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একবার তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হলেন। এ সময় এক বেদুঈন তাঁর নিকট বিক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করছিল। তখন হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) বললেন, হে বেদুঈন! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে ক্রয়-বিক্রয় করেছ। নবী করীম (ﷺ) হযরত খুযায়মাকে জিজ্ঞাসা করলেন : তুমি এটা কিভাবে জানতে পারলে? হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) বলেন, আপনি ঐশীবাণীর কথা বলেন এবং আমরা এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করি। হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) বলেন, এরপর থেকে হুযূর (ﷺ) তাঁর একজনের সাক্ষ্যকে দু'জনের সাক্ষ্যের সমান বলে নির্ধারণ করেন।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) এক বেদুঈনের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট ছিল এবং একটি বিক্রয়ের বিষয় নিয়ে অস্বীকার করছিল। অথচ সে পূর্বেই আঁ হযরত (ﷺ)-এর সাথে কাজটি সম্পাদন করেছিল। তখন হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) বলেন, হে বেদুঈন! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি নবী করীম (ﷺ)-এর সাথে ক্রয়-বিক্রয় করেছ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন : তুমি এটা কিভাবে জানলে? হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) বলেন, আপনি আমাদের নিকট ঐশীবাণী নিয়ে আসেন এবং আমরা আপনার উপর বিশ্বাস করি (সুতরাং যমীনের কথা কেন বিশ্বাস করব না যা আকাশ থেকে অধিক নিকটে)। হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) বলেন, এরপর থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাক্ষ্যকে দু'ব্যক্তির সাক্ষ্যের সমান বলে স্থির করেন।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাঁর সাক্ষ্য দু'জনের সাক্ষ্যের সমান বলে গণ্য করা হতো।
عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ، عَنْ خُزَيْمَةَ: أَنَّهُ مَرَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْرَابِيٌّ يَجْحَدُ بَيْعَهُ، فَقَالَ خُزَيْمَةَ: أَشْهَدُ لَقَدْ بِعْتَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مِنْ أَيْنَ عَلِمْتَهُ؟ قَالَ: تَجِيئُنَا بِالْوَحْيِ مِنَ السَّمَاءِ فَنُصَدِّقُكَ، قَالَ: فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهَادَتَهُ بِشَهَادَةِ رَجُلَيْنِ "، وَفِيْ رِوَايَةٍ: أَنَّهُ مَرَّ بِأَعْرَابِيٍّ، وَهُوَ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ يَجْحَدُ بَيْعًا قَدْ عَقَدَهٗ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ خُزَيْمَةَ: أَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بِعْتَهُ، فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِنْ أَيْنَ عَلِمْتَ ذَلِكَ»؟ فَقَالَ: تَجِيْئُنَا بِالْوَحْيِ مِنَ السَّمَاءِ فَنُصَدِّقُكَ، قَالَ: فَجَعَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهَادَتَهُ بِشَهَادَةِ رَجُلَيْنِ.
وَفِي رِوَايَةٍ: «أَجَازَ شَهَادَتَهُ بِشَهَادَةِ رَجُلَيْنِ حَتَّى مَاتَ»
وَفِي رِوَايَةٍ: «أَجَازَ شَهَادَتَهُ بِشَهَادَةِ رَجُلَيْنِ حَتَّى مَاتَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
