মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي
১৮. ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৭২
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.)-এর ফযীলত
হাদীস নং- ৩৭২
জনৈক ব্যক্তি থেকে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) সম্পর্কে বর্ণিত আছে,এক রাতে হযরত আবু বকর (রাযিঃ) ও হযরত উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খেদমতে বসে আলাপ করছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর এ দু'জন সাহাবী এবং নবী করীম (ﷺ) বাইরে আগমণ করেন। তারপর তাঁরা তিনজন হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর নিকট গমন করেন। এ সময় তিনি পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করছিলেন। তখন নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ কুরআন মজীদ যেভাবে নাযিল হয়েছে, সে পদ্ধতিতে তিলাওয়াত করার যার ইচ্ছা হয়, সে যেন ইব্ন উম্মে আব্দ (আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ)-এর কিরআতের পদ্ধতিতে তিলাওয়াত করে।
অতঃপর আঁ হযরত (ﷺ) বললেন, হে ইব্ন মাসউদ! তুমি দু'আ কর, তোমার চাহিদা অনুযায়ী তোমাকে দেয়া হবে (দু'আ কবুল করা হবে)। এরপর হযরত আবু বকর ও হযরত উমর (রাযিঃ) সুসংবাদ দেয়ার জন্য তাঁর নিকট গমন করেন এবং হযরত আবু বকর (রাযিঃ) অগ্রগামী হয়ে তাঁকে এ সংবাদ দান করেন। সাথে সাথে এ সংবাদও প্রদান করেন যে, নবী করীম (ﷺ) তাঁকে দু'আ করার জন্য বলেছেন (কেননা তাঁর দু'আ কবুল হবে)। তখন তিনি এ দু'আ করলেন, হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট এমন স্থায়ী ও অটুট ঈমান কামনা করি যা কখনো দূরীভূত হবে না। এমন নিয়ামতসমূহের আকাঙ্ক্ষা করছি যা কখনো শেষ হবে না এবং চিরস্থায়ী বেহেশতে তোমার নবীর সাথী হতে চাই।
অন্য এক রিওয়ায়েতে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) সম্পর্কে বর্ণিত আছে, এক রাতে হযরত আবু বকর (রাযিঃ) ও হযরত উমর (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে বসে আলাপ করছিলেন। এরপর উভয় সাহাবী এবং আঁ হযরত (ﷺ) বের হয়ে হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলেন। এ সময় তিনি নামাযে (তাহাজ্জুদ) কুরআন তিলাওয়াত করছিলেন। তখন নবী করীম (ﷺ) বললেন: এটা যার পসন্দ হবে যে, পবিত্র কুরআন যে পদ্ধতিতে নাযিল হয়েছে, সে পদ্ধতিতে তিলাওয়াত করবে, তবে সে যেন ইব্ন উম্মে আব্দ অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদের পদ্ধতিতে তিলাওয়াত করে। অতঃপর তিনি ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-কে বললেন, তুমি দু'আ কর, দু'আ অনুযায়ী তোমাকে প্রদান করা হবে (তোমার দু'আ কবূল করা হবে)। এরপর তিনি পূর্ববর্তী হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী দু'আ করেন।
জনৈক ব্যক্তি থেকে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) সম্পর্কে বর্ণিত আছে,এক রাতে হযরত আবু বকর (রাযিঃ) ও হযরত উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খেদমতে বসে আলাপ করছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর এ দু'জন সাহাবী এবং নবী করীম (ﷺ) বাইরে আগমণ করেন। তারপর তাঁরা তিনজন হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর নিকট গমন করেন। এ সময় তিনি পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করছিলেন। তখন নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ কুরআন মজীদ যেভাবে নাযিল হয়েছে, সে পদ্ধতিতে তিলাওয়াত করার যার ইচ্ছা হয়, সে যেন ইব্ন উম্মে আব্দ (আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ)-এর কিরআতের পদ্ধতিতে তিলাওয়াত করে।
অতঃপর আঁ হযরত (ﷺ) বললেন, হে ইব্ন মাসউদ! তুমি দু'আ কর, তোমার চাহিদা অনুযায়ী তোমাকে দেয়া হবে (দু'আ কবুল করা হবে)। এরপর হযরত আবু বকর ও হযরত উমর (রাযিঃ) সুসংবাদ দেয়ার জন্য তাঁর নিকট গমন করেন এবং হযরত আবু বকর (রাযিঃ) অগ্রগামী হয়ে তাঁকে এ সংবাদ দান করেন। সাথে সাথে এ সংবাদও প্রদান করেন যে, নবী করীম (ﷺ) তাঁকে দু'আ করার জন্য বলেছেন (কেননা তাঁর দু'আ কবুল হবে)। তখন তিনি এ দু'আ করলেন, হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট এমন স্থায়ী ও অটুট ঈমান কামনা করি যা কখনো দূরীভূত হবে না। এমন নিয়ামতসমূহের আকাঙ্ক্ষা করছি যা কখনো শেষ হবে না এবং চিরস্থায়ী বেহেশতে তোমার নবীর সাথী হতে চাই।
অন্য এক রিওয়ায়েতে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) সম্পর্কে বর্ণিত আছে, এক রাতে হযরত আবু বকর (রাযিঃ) ও হযরত উমর (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে বসে আলাপ করছিলেন। এরপর উভয় সাহাবী এবং আঁ হযরত (ﷺ) বের হয়ে হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলেন। এ সময় তিনি নামাযে (তাহাজ্জুদ) কুরআন তিলাওয়াত করছিলেন। তখন নবী করীম (ﷺ) বললেন: এটা যার পসন্দ হবে যে, পবিত্র কুরআন যে পদ্ধতিতে নাযিল হয়েছে, সে পদ্ধতিতে তিলাওয়াত করবে, তবে সে যেন ইব্ন উম্মে আব্দ অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদের পদ্ধতিতে তিলাওয়াত করে। অতঃপর তিনি ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-কে বললেন, তুমি দু'আ কর, দু'আ অনুযায়ী তোমাকে প্রদান করা হবে (তোমার দু'আ কবূল করা হবে)। এরপর তিনি পূর্ববর্তী হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী দু'আ করেন।
عَنِ الْهَيْثَمِ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ سَمَرَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ، قَالَ: فَخَرَجَا وَخَرَجَ، فَمَرُّوا بِابْنِ مَسْعُودٍ، وَهُوَ يَقْرَأُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَقْرَأَ الْقُرْآنَ كَمَا نَزَلَ، فَلْيَقْرَأْهُ عَلَى قِرَاءَةِ ابْنِ أُمِّ عَبْدٍ، وَجَعَلَ يَقُولُ لَهُ: سَلْ تُعْطَهْ "، فَأَتَاهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ يُبَشِّرَانِهِ، فَسَبَقَ أَبُو بَكْرٍ عُمَرَ إِلَيْهِ، فَبَشَّرَهُ وَأَخْبَرَهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَمَرَهُ بِالدُّعَاءِ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ إِيمَانًا دَائِمًا لَا يَزُولُ، وَنَعِيمًا لَا يَنْفَدُ، وَمُرَافَقَةَ نَبِيِّكَ فِي جَنَّةِ الْخُلْدِ، وَفِي رِوَايَةٍ: عَنِ الْهَيْثَمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ سَمَرا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَخَرَجَا وَخَرَجَا مَعَهُمَا، فَمَرُّوا بِابْنِ مَسْعُودٍ وَهُوَ يَقْرَأُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَقْرَأَ الْقُرْآنَ غَضًّا كَمَا أُنْزِلَ، فَلْيَقْرَأْهُ عَلَى قِرَاءَةِ ابْنِ أُمِّ عَبْدٍ، وَجَعَلَ يَقُولُ: سَلْ تُعْطَهْ ".
وَذَكَرَ تَمَامَ الْأَوَّلِ
وَذَكَرَ تَمَامَ الْأَوَّلِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৭৩
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.)-এর ফযীলত
হাদীস নং- ৩৭৩
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) সম্পর্কে বর্ণিত আছে, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় ঘরে প্রবেশ করতেন তখন আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) তাঁর মা উম্মে আব্দকে নবী করীম (ﷺ)-এর ব্যক্তিত্ব, চরিত্র ও আকৃতি প্রত্যক্ষ করার জন্য ভিতরে প্রেরণ করতেন। সুতরাং তিনি সবকিছু দেখে এসে হযরত ইব্ন মাসউদকে বলতেন এবং তিনি আঁ হযরত (ﷺ)-এর অনুপম চরিত্র মাধুর্য অনুকরণ ও অনুসরণ করতেন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) সম্পর্কে বর্ণিত আছে, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় ঘরে প্রবেশ করতেন তখন আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) তাঁর মা উম্মে আব্দকে নবী করীম (ﷺ)-এর ব্যক্তিত্ব, চরিত্র ও আকৃতি প্রত্যক্ষ করার জন্য ভিতরে প্রেরণ করতেন। সুতরাং তিনি সবকিছু দেখে এসে হযরত ইব্ন মাসউদকে বলতেন এবং তিনি আঁ হযরত (ﷺ)-এর অনুপম চরিত্র মাধুর্য অনুকরণ ও অনুসরণ করতেন।
عَنْ عَوْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: «أَنَّهُ كَانَ إذَا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْتَهُ، أَرْسَلَ وَالِدَتَهُ أُمَّ عَبْدٍ تَنْظُرُ إِلَى هَدْيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَدَلِّهِ، فَتُخْبِرُهُ بِذَلِكَ، فَيَتَشَبَّهُ بِهِ»
হাদীস নং:৩৭৪
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.)-এর ফযীলত
হাদীস নং-৩৭৪
হযরত আওন তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) আঁ হযরত (ﷺ)-এর মাদুর বা চাটাই বহন করতেন।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর লাঠি বহন করতেন এক রিওয়ায়েতে আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চাদর সংরক্ষণ করতেন। অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সওয়ারীর হিফাযতের দায়িত্ব পালন করতেন।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, (সফরে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মিসওয়াক, উযূর পাত্র বা লোটা এবং জুতা তাঁর দায়িত্বে থাকতো।
হযরত আওন তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) আঁ হযরত (ﷺ)-এর মাদুর বা চাটাই বহন করতেন।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর লাঠি বহন করতেন এক রিওয়ায়েতে আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চাদর সংরক্ষণ করতেন। অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সওয়ারীর হিফাযতের দায়িত্ব পালন করতেন।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, (সফরে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মিসওয়াক, উযূর পাত্র বা লোটা এবং জুতা তাঁর দায়িত্বে থাকতো।
عَنْ عَوْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: «أَنَّهُ كَانَ صَاحِبَ خَصْفِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» ، وَفِي رِوَايَةٍ: «صَاحِبَ عَصَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَفِي رِوَايَةٍ: «كَانَ صَاحِبَ رِدَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَفِي رِوَايَةٍ: «كَانَ صَاحِبَ الرَّاحِلَةِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَفِي رِوَايَةٍ: «كَانَ صَاحِبَ سِوَاكِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَاحِبَ الْمَيْضَأَةِ، وَصَاحِبَ النَّعْلَيْنِ»
وَفِي رِوَايَةٍ: «كَانَ صَاحِبَ رِدَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَفِي رِوَايَةٍ: «كَانَ صَاحِبَ الرَّاحِلَةِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَفِي رِوَايَةٍ: «كَانَ صَاحِبَ سِوَاكِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَاحِبَ الْمَيْضَأَةِ، وَصَاحِبَ النَّعْلَيْنِ»
হাদীস নং:৩৭৫
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.)-এর ফযীলত
হাদীস নং-৩৭৫
হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নিজের সম্পর্কে বলেন, আমি যখন থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছি, তখন থেকে একটি ব্যতীত কোন মিথ্যা কথা বলিনি। আমি নবী করীম (ﷺ)-এর উটের উপর হাওদা বাঁধছিলাম। এ সময় তায়েফ থেকে হাওদা বাঁধাইকারী আগমণ করে এবং আমার নিকট জিজ্ঞাসা করে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন হাওদা অধিক পসন্দ করেন ? আমি বললাম, তায়েফ ও মক্কার অর্থাৎ সেখানে যেভাবে বাঁধা হয়। অথচ তিনি তা অপসন্দ করতেন। অতঃপর উটের উপর হাওদা বেঁধে যখন খেদমতে হাযির করা হয়, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেন। এ হাওদা কে বেঁধেছে। সবাই বলল, আপনার জন্য হাওদা বাঁধাইকারী (যিনি তায়েফ থেকে এসেছেন)। তিনি তখন বললেন : ইব্ন উম্মে আব্দকে বলো, সে যেন আমার জন্য হাওদা বাঁধে [হযরত আব্দুল্লাহর (রাযিঃ) বলেনঃএরপর আমি দ্বিতীয়বার হাওদা বাঁধি।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, তায়েফ থেকে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে আগমণ করে। ঐ তায়েফবাসী আমার নিকট জিজ্ঞাসা করে যে, নবী করীম (ﷺ)-কোন ধরনের হাওদা পসন্দ করেন? আমি বললাম, তায়েফ অথবা মক্কার (অর্থাৎ সেখানে যেভাবে বাধা হয়)। অতঃপর যখন হুযুর (ﷺ) বাইরে আগমণ করেন, তখন জিজ্ঞাসা করেন এ হাওদা কে বেঁধেছে। বলা হলো, এক তায়েফবাসী। তিনি বললেন : এটা আমাদের প্রয়োজন নেই।
হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নিজের সম্পর্কে বলেন, আমি যখন থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছি, তখন থেকে একটি ব্যতীত কোন মিথ্যা কথা বলিনি। আমি নবী করীম (ﷺ)-এর উটের উপর হাওদা বাঁধছিলাম। এ সময় তায়েফ থেকে হাওদা বাঁধাইকারী আগমণ করে এবং আমার নিকট জিজ্ঞাসা করে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন হাওদা অধিক পসন্দ করেন ? আমি বললাম, তায়েফ ও মক্কার অর্থাৎ সেখানে যেভাবে বাঁধা হয়। অথচ তিনি তা অপসন্দ করতেন। অতঃপর উটের উপর হাওদা বেঁধে যখন খেদমতে হাযির করা হয়, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেন। এ হাওদা কে বেঁধেছে। সবাই বলল, আপনার জন্য হাওদা বাঁধাইকারী (যিনি তায়েফ থেকে এসেছেন)। তিনি তখন বললেন : ইব্ন উম্মে আব্দকে বলো, সে যেন আমার জন্য হাওদা বাঁধে [হযরত আব্দুল্লাহর (রাযিঃ) বলেনঃএরপর আমি দ্বিতীয়বার হাওদা বাঁধি।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, তায়েফ থেকে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে আগমণ করে। ঐ তায়েফবাসী আমার নিকট জিজ্ঞাসা করে যে, নবী করীম (ﷺ)-কোন ধরনের হাওদা পসন্দ করেন? আমি বললাম, তায়েফ অথবা মক্কার (অর্থাৎ সেখানে যেভাবে বাধা হয়)। অতঃপর যখন হুযুর (ﷺ) বাইরে আগমণ করেন, তখন জিজ্ঞাসা করেন এ হাওদা কে বেঁধেছে। বলা হলো, এক তায়েফবাসী। তিনি বললেন : এটা আমাদের প্রয়োজন নেই।
عَنْ مَعْنٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: " مَا كَذَبْتُ مُنْذُ أَسْلَمْتُ إِلَّا كَذِبَةً وَاحِدَةً، كُنْتُ أَرْحَلُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَتَى رَحَّالٌ مِنَ الطَّائِفِ، فَسَأَلَنِي: أَيُّ الرَّاحِلَةِ أَحَبُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقُلْتُ: الطَّائِفِيَّةُ الْمَكِّيَّةُ، وَكَانَ يَكْرَهُهَا رَسُولُ اللَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا أَتَى بِهَا قَالَ: مَنْ رَحَلَ لَنَا هَذِهِ؟ قَالُوا: رَحَّالُكَ، قَالَ: مُرُوا ابْنَ أَمِّ عَبْدٍ، فَلْيُرَحِّلْ لَنَا، فَأُعِيدَتْ إِلَيَّ الرَّاحِلَةُ "، وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: " إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جِيءَ بِرَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الطَّائِفِ، قَالَ: فَجَاءَنِي الطَّائِفِيُّ، فَقَالَ: أَيُّ الرَّاحِلَةِ أَحَبُّ إِلَيْهِ؟ قُلْتُ الطَّائِفِيَّةُ الْمَكِّيَّةُ، فَخَرَجَ، فَقَالَ: مَنْ صَاحِبُ هَذِهِ الرَّاحِلَةِ؟ قِيلَ: الطَّائِفِيُّ، قَالَ: لَا حَاجَةَ لَنَا بِهَا "
হাদীস নং:৩৭৬
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.)-এর ফযীলত
হাদীস নং- ৩৭৬
মাসরূক থেকে বর্ণিত, হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণের পর থেকে কখনো মিথ্যা কথা বলিনি। তবে একবার বলেছি। (ঘটনা হলো এই যে,) আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উটের হাওদা বাঁধছিলাম। এ সময় তায়েফ থেকে একজন হাওদা তৈয়ারকারী আগমণ করে এবং আমাকে জিজ্ঞাসা করে, কোন ধরনের হাওদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পসন্দ করেন ? আমি (ইব্ন মাসউদ) বললাম, তায়েফ ও মক্কার (অর্থাৎ তায়েফ ও মক্কাবাসীগণ যেভাবে তৈরী করে), অথচ তিনি তা অপসন্দ করতেন। অতঃপর হাওদা তৈরী করে যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে উপস্থিত করা হয়, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেন। এ হাওদা কে বেঁধেছে। তখন কেউ বললেন, তায়েফ থেকে আগমণকারী এক ব্যক্তি হাওদা বেঁধেছে। তিনি বললেন : হাওদা বাঁধার জন্য উটটি ইব্ন মাসউদের নিকট নিয়ে যাও (যাতে সে হাওদা বাঁধে)।
মাসরূক থেকে বর্ণিত, হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণের পর থেকে কখনো মিথ্যা কথা বলিনি। তবে একবার বলেছি। (ঘটনা হলো এই যে,) আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উটের হাওদা বাঁধছিলাম। এ সময় তায়েফ থেকে একজন হাওদা তৈয়ারকারী আগমণ করে এবং আমাকে জিজ্ঞাসা করে, কোন ধরনের হাওদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পসন্দ করেন ? আমি (ইব্ন মাসউদ) বললাম, তায়েফ ও মক্কার (অর্থাৎ তায়েফ ও মক্কাবাসীগণ যেভাবে তৈরী করে), অথচ তিনি তা অপসন্দ করতেন। অতঃপর হাওদা তৈরী করে যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে উপস্থিত করা হয়, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেন। এ হাওদা কে বেঁধেছে। তখন কেউ বললেন, তায়েফ থেকে আগমণকারী এক ব্যক্তি হাওদা বেঁধেছে। তিনি বললেন : হাওদা বাঁধার জন্য উটটি ইব্ন মাসউদের নিকট নিয়ে যাও (যাতে সে হাওদা বাঁধে)।
عَنِ الْهَيْثَمِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: مَا كَذَبْتُ مُنْذُ أَسْلَمْتُ إِلَّا وَاحِدَةً: كُنْتُ أَرْحَلُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَتَى رَحَّالٌ مِنَ الطَّائِفِ، فَقَالَ: أَيُّ الرَّاحِلَةِ أَحَبُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قُلْتُ: الطَّائِفِيَّةُ الْمَكِّيَّةُ، قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: وَكَانَ يَكْرَهُهَا، فَلَمَّا رَحَلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَى بِهَا، قَالَ: " مَنْ رَحَلَ لَنَا هَذِهِ الرَّاحِلَةَ؟ قَالَ: رَحَّالُكَ الَّذِي أَتَيْتَ بِهِ مِنَ الطَّائِفِ، فَقَالَ: رُدُّوا الرِّحَالَةَ لِابْنِ مَسْعُودٍ "