মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي
৪. নামায অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১০৪
ইমামের কিরাআতই মুকতাদীর কিরাআত
১০৪। হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যার (নামাযে) ইমাম থাকবে, ইমামের কিরাআতই জন্য যথেষ্ট।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এর পিছনে যোহর অথবা আসর নামাযে কিরাআত পাঠ করে, তখন এক ব্যক্তি ইঙ্গিতে তা থেকে নিষেধ করেন। যখন তিনি নামায থেকে অবসর হলেন তখন বললেন, তুমি কি আমাকে নবী করীম (ﷺ)-এর পিছনে পড়া থেকে বাধা প্রদান করছ? অতঃপর উভয়ে এটা নিয়ে তর্ক করতে লাগল। ফলে এটা নবী (ﷺ) শুনে ফেললেন। তখন তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে নামায পড়বে, এ অবস্থায় ইমামের কিরাআতই তার কিরআত হবে অর্থাৎ মুকতাদী হিসেবে তাকে কিরাআত পড়তে হবে না।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পিছনে (কিরাআত) পাঠ করে। তখন তিনি তাকে কিরাআত পাঠ থেকে নিষেধ করেন।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (ইমাম হিসেবে) লোকদের নামায পড়ান। তখন তাঁর পিছনে এক ব্যক্তি কিরাআত পাঠ করেন। যখন তিনি নামায শেষ করেন, তখন তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যে কে আমার পিছনে কিরাআত পাঠ করেছে? এটা তিনি তিনবার বললেন। তখন এক ব্যক্তি আরয করল, আমি, ইয়া রাসূলাল্লাহ । তখন তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে নামায পড়বে, এমতাবস্থায় ইমামের কিরাআত তার কিরাআত হিসেবে গণ্য হবে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, নবী (ﷺ) একবার যোহর অথবা আসর নামায শেষ করার পর জিজ্ঞাসা করেন, তোমাদের মধ্যে কে سبح اسم ربك الاعلى পাঠ করেছে? (আদবের খাতিরে) সবাই চুপ থাকে। ফলে তিনি একই কথা তিনবার জিজ্ঞাসা করেন। তখন মুকতাদীদের মধ্য থেকে একজন আরয করলেন, আমি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই আমি দেখছি যে, তোমরা আমার পবিত্র কুরআন নিয়ে ঝগড়া করছ, অথবা (এটা বর্ণনাকারীর পক্ষ থেকে সন্দেহ) কুরআন পড়ার মধ্যে তোমরা আমাকে চিন্তার মধ্যে ফেলে দিচ্ছ।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এর পিছনে যোহর অথবা আসর নামাযে কিরাআত পাঠ করে, তখন এক ব্যক্তি ইঙ্গিতে তা থেকে নিষেধ করেন। যখন তিনি নামায থেকে অবসর হলেন তখন বললেন, তুমি কি আমাকে নবী করীম (ﷺ)-এর পিছনে পড়া থেকে বাধা প্রদান করছ? অতঃপর উভয়ে এটা নিয়ে তর্ক করতে লাগল। ফলে এটা নবী (ﷺ) শুনে ফেললেন। তখন তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে নামায পড়বে, এ অবস্থায় ইমামের কিরাআতই তার কিরআত হবে অর্থাৎ মুকতাদী হিসেবে তাকে কিরাআত পড়তে হবে না।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পিছনে (কিরাআত) পাঠ করে। তখন তিনি তাকে কিরাআত পাঠ থেকে নিষেধ করেন।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (ইমাম হিসেবে) লোকদের নামায পড়ান। তখন তাঁর পিছনে এক ব্যক্তি কিরাআত পাঠ করেন। যখন তিনি নামায শেষ করেন, তখন তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যে কে আমার পিছনে কিরাআত পাঠ করেছে? এটা তিনি তিনবার বললেন। তখন এক ব্যক্তি আরয করল, আমি, ইয়া রাসূলাল্লাহ । তখন তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে নামায পড়বে, এমতাবস্থায় ইমামের কিরাআত তার কিরাআত হিসেবে গণ্য হবে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, নবী (ﷺ) একবার যোহর অথবা আসর নামায শেষ করার পর জিজ্ঞাসা করেন, তোমাদের মধ্যে কে سبح اسم ربك الاعلى পাঠ করেছে? (আদবের খাতিরে) সবাই চুপ থাকে। ফলে তিনি একই কথা তিনবার জিজ্ঞাসা করেন। তখন মুকতাদীদের মধ্য থেকে একজন আরয করলেন, আমি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই আমি দেখছি যে, তোমরা আমার পবিত্র কুরআন নিয়ে ঝগড়া করছ, অথবা (এটা বর্ণনাকারীর পক্ষ থেকে সন্দেহ) কুরআন পড়ার মধ্যে তোমরা আমাকে চিন্তার মধ্যে ফেলে দিচ্ছ।
عَنْ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ فَقِرَاءَةُ الْإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةً» ، وَفِي رِوَايَةٍ: أَنَّ رَجُلًا قَرَأَ خَلْفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ، وَأَوْمَأَ إِلَيْهِ رَجُلٌ، فَنَهَاهُ، فَلَمَّا انْصَرَفَ، قَالَ: أَتَنْهَانِي أَنْ أَقْرَأَ خَلْفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَتَذَاكَرَا ذَلِكَ حَتَّى سَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى خَلْفَ الْإِمَامِ، فَإِنَّ قِرَاءَةَ الْإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌ» .
وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: قَرَأَ رَجُلٌ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «فَنَهَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ، فَقَرَأَ رَجُلٌ خَلْفَهُ، فَلَّمَا قَضَى الصَّلَاةَ، قَالَ: " أَيُّكُمْ قَرَأَ خَلْفِي؟ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَقَالَ رَجُلٌ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «مَنْ صَلَّى خَلْفَ الْإِمَامِ، فَإِنَّ قِرَاءَةَ الْإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌ» .
وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: انْصَرَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ صَلَاةِ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ، فَقَالَ: " مَنْ قَرَأَ مِنْكُمْ: سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى؟ فَسَكَتَ الْقَوْمُ، حَتَّى سَأَلَ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَقَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُكَ تُنَازِعُنِي، أَوْ تُخَالِجُنِي الْقُرْآنَ
وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: قَرَأَ رَجُلٌ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «فَنَهَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ، فَقَرَأَ رَجُلٌ خَلْفَهُ، فَلَّمَا قَضَى الصَّلَاةَ، قَالَ: " أَيُّكُمْ قَرَأَ خَلْفِي؟ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَقَالَ رَجُلٌ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «مَنْ صَلَّى خَلْفَ الْإِمَامِ، فَإِنَّ قِرَاءَةَ الْإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌ» .
وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: انْصَرَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ صَلَاةِ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ، فَقَالَ: " مَنْ قَرَأَ مِنْكُمْ: سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى؟ فَسَكَتَ الْقَوْمُ، حَتَّى سَأَلَ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَقَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُكَ تُنَازِعُنِي، أَوْ تُخَالِجُنِي الْقُرْآنَ