মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي
১. ঈমান-আকাঈদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১০
মুমিন অনন্তকালের জন্য জাহান্নামী হবে না
১০। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন হাবীবাহ্ (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবী হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ)-কে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি একবার হুযূর (ﷺ)-এর সাথে একই সাওয়ারীর উপর উপবিষ্ট ছিলাম। তখন তিনি আমাকে বললেনঃ হে আবুদ দারদা (রাযিঃ)! যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, এক আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবূদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, তাহলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, যদি সে ব্যভিচার করে, যদি সে চুরি করে? হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ) বলেন, এরপর হুযূর (ﷺ) কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন।
অতঃপর কিছুক্ষণ চলার পর পুনরায় বললেনঃ যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, এক আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবূদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, তাহলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, যদি সে ব্যভিচার করে, যদি সে চুরি করে? হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ) বলেন, এরপর হুযূর (ﷺ) কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন। অতঃপর কিছুক্ষণ চলার পর পুনরায় বললেনঃ যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, এক আল্লাহ ছাড়া কোন মাবূদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, তাহলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, যদি সে ব্যভিচার করে, যদি সে চুরি করে?
হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ) বলেন, এবার হযরত (ﷺ) বলেনঃ যদিও সে ব্যভিচার করে, চুরি করে। আবুদ দারদার নাক মাটি মিশ্রিত হোক। আবুদ দারদা (রাযিঃ)-এর ছাত্র হযরত আব্দুল্লাহ বলেন, আমার ঐ দৃশ্যটা এমনি মনে পড়ে যেন, আমি এখনো দেখছি যে, হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ) তাঁর শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা স্বীয় নাকের বাঁশীর দিকে ইঙ্গিত করছেন।
অতঃপর কিছুক্ষণ চলার পর পুনরায় বললেনঃ যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, এক আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবূদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, তাহলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, যদি সে ব্যভিচার করে, যদি সে চুরি করে? হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ) বলেন, এরপর হুযূর (ﷺ) কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন। অতঃপর কিছুক্ষণ চলার পর পুনরায় বললেনঃ যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, এক আল্লাহ ছাড়া কোন মাবূদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, তাহলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, যদি সে ব্যভিচার করে, যদি সে চুরি করে?
হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ) বলেন, এবার হযরত (ﷺ) বলেনঃ যদিও সে ব্যভিচার করে, চুরি করে। আবুদ দারদার নাক মাটি মিশ্রিত হোক। আবুদ দারদা (রাযিঃ)-এর ছাত্র হযরত আব্দুল্লাহ বলেন, আমার ঐ দৃশ্যটা এমনি মনে পড়ে যেন, আমি এখনো দেখছি যে, হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ) তাঁর শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা স্বীয় নাকের বাঁশীর দিকে ইঙ্গিত করছেন।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حَبِيبَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: بَيْنَا أَنَا رَدِيفُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " يَا أَبَا الدَّرْدَاءِ، مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ.
قُلْتُ: وَإِنْ زَنَى، وَإِنْ سَرَقَ؟ قَالَ: فَسَكَتَ عَنِّي سَاعَةً، ثُمَّ سَارَ سَاعَةً، فَقَالَ: مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَجَبَتْ لَهُ الْجِنَّةُ.
قُلْتُ: وَإِنْ زَنَى، وَإِنْ سَرَقَ؟ قَالَ: فَكَسَتَ عَنِّي سَاعَةً، ثُمَّ سَارَ سَاعَةً، ثُمَّ قَالَ: مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ، قَالَ: قُلْتُ: وَإِنْ زَنَى، وَإِنْ سَرَقَ؟ قَالَ: وَإِنْ زَنَى، وَإِنْ سَرَقَ، وَإِنْ رَغِمَ أَنْفُ أَبِي الدَّرْدَاءِ "، قَالَ: فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى أُصْبُعِ أَبِي الدَّرْدَاءِ السَّبَّابَةِ يُومِئُ إِلَى أَرْنَبَتِهِ
قُلْتُ: وَإِنْ زَنَى، وَإِنْ سَرَقَ؟ قَالَ: فَسَكَتَ عَنِّي سَاعَةً، ثُمَّ سَارَ سَاعَةً، فَقَالَ: مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَجَبَتْ لَهُ الْجِنَّةُ.
قُلْتُ: وَإِنْ زَنَى، وَإِنْ سَرَقَ؟ قَالَ: فَكَسَتَ عَنِّي سَاعَةً، ثُمَّ سَارَ سَاعَةً، ثُمَّ قَالَ: مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ، قَالَ: قُلْتُ: وَإِنْ زَنَى، وَإِنْ سَرَقَ؟ قَالَ: وَإِنْ زَنَى، وَإِنْ سَرَقَ، وَإِنْ رَغِمَ أَنْفُ أَبِي الدَّرْدَاءِ "، قَالَ: فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى أُصْبُعِ أَبِي الدَّرْدَاءِ السَّبَّابَةِ يُومِئُ إِلَى أَرْنَبَتِهِ
হাদীস নং:১১
মুমিন অনন্তকালের জন্য জাহান্নামী হবে না
১১। হযরত আবু মুসলিম খাওলানী বলেন, যখন হযরত মু'আয (রাযিঃ) হিমস নগরে আগমণ করেন তখন এক ব্যক্তি তাঁর নিকট হাযির হয়ে আরয করল, এরূপ ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার কি ধারণা যিনি আত্মীয়-স্বজনের অধিকার আদায় করেন, মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল, সত্যবাদী, আমানতদার, পেট ও লজ্জাস্থানের হিফাজতকারী এবং যতটুকু সম্ভব নেককাজ করেন, কিন্তু আল্লাহ ও রাসূল সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করেন। হযরত মু'আয (রাযিঃ) বলেন, তাওহীদ ও রিসালত সম্পর্কে সন্দেহ তার সমস্ত নেক আমল জ্বালিয়ে ধ্বংস করে দিবে।
অতঃপর ঐ লোকটি হযরত মু'আয (রাযিঃ)-কে পুনরায় জিজ্ঞাসা করল, ঐরূপ ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার কি ধারণা যে বিভিন্ন প্রকার গুনাহর কাজ কাজ করে, অন্যায়ভাবে রক্তপাত করে, ব্যভিচার করে, লুণ্ঠিত মালকে হালাল মনে করে, কিন্তু তাওহীদ ও রিসালতকে ইখলাসের সাথে বিশ্বাস করে। হযরত মু'আয (রাযিঃ) এর উত্তরে বলেন, আমি এর মুক্তির জন্য আশাবাদী এবং তার শাস্তির ব্যাপারেও ভয় করছি। তখন ঐ যুবক লোকটি বলল, যদি তার সন্দেহ তার নেক আমলসমূহকে ধ্বংস করে দেয়, তাহলে তার বদ বা খারাপ আমল তার খাঁটি অন্তরের শাহাদত বা সাক্ষ্য প্রদানকে বিনষ্ট করতে পারবে না। এ কথা বলে যুবকটি চলে গেল। হযরত মু'আয (রাযিঃ) বলেন, আমার ধারণামতে এ লোকটির চেয়ে সুন্নত সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী অন্য কেউ নেই।
অতঃপর ঐ লোকটি হযরত মু'আয (রাযিঃ)-কে পুনরায় জিজ্ঞাসা করল, ঐরূপ ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার কি ধারণা যে বিভিন্ন প্রকার গুনাহর কাজ কাজ করে, অন্যায়ভাবে রক্তপাত করে, ব্যভিচার করে, লুণ্ঠিত মালকে হালাল মনে করে, কিন্তু তাওহীদ ও রিসালতকে ইখলাসের সাথে বিশ্বাস করে। হযরত মু'আয (রাযিঃ) এর উত্তরে বলেন, আমি এর মুক্তির জন্য আশাবাদী এবং তার শাস্তির ব্যাপারেও ভয় করছি। তখন ঐ যুবক লোকটি বলল, যদি তার সন্দেহ তার নেক আমলসমূহকে ধ্বংস করে দেয়, তাহলে তার বদ বা খারাপ আমল তার খাঁটি অন্তরের শাহাদত বা সাক্ষ্য প্রদানকে বিনষ্ট করতে পারবে না। এ কথা বলে যুবকটি চলে গেল। হযরত মু'আয (রাযিঃ) বলেন, আমার ধারণামতে এ লোকটির চেয়ে সুন্নত সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী অন্য কেউ নেই।
عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ، قَالَ: لَمَّا نَزَلَ مُعَاذٌ حِمْصَ، أَتَاهُ رَجُلٌ شَابٌّ، فَقَالَ: " مَا تَرَى فِي رَجُلٍ وَصَلَ الرَّحِمَ، وَبَرَّ، وَصَدَقَ الْحَدِيثَ، وَأَدَّى الْأَمَانَةَ، وَعَفَّ بَطْنَهُ وَفَرْجَهُ، وَعَمِلَ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ خَيْرٍ، غَيْرَ أَنَّهُ شَكَّ فِي اللَّهِ وَرَسُولِهِ، قَالَ: إِنَّهَا تُحْبِطُ مَا كَانَ مَعَهَا مِنَ الْأَعْمَالِ، قَالَ: فَمَا تَرَى فِي رَجُلٍ رَكِبَ الْمَعَاصِيَ، وَسَفَكَ الدِّمَاءَ، وَاسْتَحَلَّ الْفُرُوجَ وَالْأَمْوَالَ، غَيْرَ أَنَّهُ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ مُخْلِصًا، قَالَ مُعَاذٌ: أَرْجُو، وَأَخَافُ عَلَيْهِ، قَالَ الْفَتَي: وَاللَّهِ، إِنْ كَانَتْ هِيَ الَّتِي أَحْبَطَتْ مَا مَعَهَا مِنْ عَمَلٍ، مَا تَضُرُّ هَذِهِ مَا عُمِلَ مَعَهَا، ثُمَّ انْصَرَفَ، فَقَالَ مُعَاذٌ: مَا أَزْعُمُ أَنَّ رَجُلًا أَفْقَهُ بِالسُّنَةِ مِنْ هَذَا
হাদীস নং:১২
মুমিন অনন্তকালের জন্য জাহান্নামী হবে না
১২। হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, ইসলাম এভাবে মিটে যাবে যেভাবে কাপড়ের নকশা মিটে যায়। একজন অতিশয় বৃদ্ধ বাকী থাকবেন। তিনি বলবেন, অতীতকালে এক জাতি ছিল যারা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলত, কিন্তু সে নিজে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে না। উপস্থিত লোকদের মধ্য হতে সিলাহ্ ইবনে যায়দ বললেন, হে আব্দুল্লাহ্ ! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললে তার কি লাভ হবে? তারা নামায পড়ে না, রোযা রাখে না, হজ্জ আদায় করে না, যাকাত প্রদান করে না। হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) বললেন, সে তার ঈমানের দ্বারা দোযখের আগুন থেকে মুক্তিলাভ করবে।
أَبِي مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ خِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: " يَدْرُسُ الْإِسْلَامُ كَمَا يَدْرُسُ وَشْيُ الثَّوْبِ، وَلَا يَبْقَى إِلَّا شَيْخٌ كَبِيرٌ، أَوْ عَجُوزٌ فَانِيَةٌ، يَقُولُونَ: قَدْ كَانَ قَوْمٌ يَقُولُونَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَهُمْ مَا يَقُولُونَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، قَالَ: فَقَالَ صِلَةُ بْنُ زُفَرَ: فَمَا يُغْنِي عَنْهُمْ يَا عَبْدَ اللَّهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَهُمْ لَا يَصُومُونَ، وَلَا يُصَلُّونَ، وَلَا يَحُجُّونَ، وَلَا يَتَصَدَّقُونَ، قَالَ: يَنْجُونَ بِهَا مِنَ النَّارِ
হাদীস নং:১৩
মুমিন অনন্তকালের জন্য জাহান্নামী হবে না
১৩। ইয়াযীদ (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, প্রথমে আমি খারিজীদের মতামত পোষণ করতাম (অর্থাৎ কবীরা গুনাহকারী কাফির হয় যাবে এবং চিরকালের জন্য জাহান্নামে অবস্থান করবে)। তাই আমি এ বিষয়ে হযরত (ﷺ)-এর কতিপয় সাহাবা (রাযিঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তাঁরা বললেন, আমি যে মতামত পোষণ করছি, হুযূর (ﷺ)-এর ফরমান এর বিপরীত। অতঃপর আল্লাহ আমাকে এ মন্দ আকীদা ও বিশ্বাস থেকে রক্ষা করেন।
وَمَسْعُودٌ، عَنْ يَزِيدَ، قَالَ: كُنْتُ أَرَى رَأْيَ الْخَوَارِجِ، فَسَأَلْتُ بَعْضَ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرَنِي: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بِخِلَافِ مَا كُنْتُ أَقُولُ» ، فَأَنْقَذَنِي اللَّهُ تَعَالَى بِكَ
হাদীস নং:১৪
মুমিন অনন্তকালের জন্য জাহান্নামী হবে না
১৪। হযরত আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, আমরা হযরত আলকামা (রাহঃ) ও হযরত ইবনে আবী রাবাহ্ (রাহঃ)-সহ একত্রে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন হযরত আলকামা (রাহঃ) হযরত আতা (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবু মুহাম্মাদ! আমাদের শহরে (কৃষ্ণা ও ইরাক) এরূপ লোক বাস করে যারা তাদের ঈমানের ব্যাপারে দৃঢ়তা পোষণ করে না এবং "নিশ্চয়ই আমরা মুমিন” দৃঢ়তার সাথে এটা বলাও পছন্দ করে না। বরং তারা এটা বলে যে, ইনশা আল্লাহ্ আমরা মুমিন। হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, তাদের কি হল যে, তারা এরূপ বলে না যে, নিশ্চয়ই আমরা মুসলমান ?
হযরত আলকামা (রাযিঃ) উত্তরে বলেন, আমরা যখন নিজেদেরকে ঈমানদার বলে বিশ্বাস করি, তাহলে আমরা যেন নিজেদেরকে জান্নাতী বলে দাবি করছি। কেননা আল্লাহ প্রত্যেক বিশ্বাসী ও মুমিন নর-নারীর জন্য জান্নাতের ওয়াদা করেছেন (ওয়াদা ভঙ্গ করা আল্লাহর জন্য নিন্দনীয়)। কারণ তিনি সকল প্রকার নিন্দা ও দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র ও মুক্ত। হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, এটা তো শয়তানের ধোঁকা ও প্রতারণা। শয়তান তাদেরকে আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ ইহসান- অর্থাৎ ইসলামের ইহসানকে না মানা এবং রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সুন্নত মান্য না করার জন্য বাধ্য করেছে। আমি হুযূর (ﷺ)-এর সাহাবাদেরকে দেখছি তাঁরা নিজেদের মধ্যে ঈমানের দাবি প্রমাণ করেছেন এবং হযরত (ﷺ)-এর নিকট তা বর্ণনা করতেন। হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, তাঁরা বলতেন, আমরা মুমিন, কিন্তু এটা বলতেন না যে, আমরা জান্নাতী। কেননা আল্লাহ্ তা'আলা যদি আকাশ ও যমীনে বসবাসকারী সবাইকে শাস্তি প্রদান করেন, তাহলেও তাঁকে যালিম বা অত্যাচারী বলা যাবে না।
তখন হযরত আলকামা (রাহঃ) হযরত আতা (রাহঃ)-কে বললেন, হে আবু মুহাম্মাদ । যদি আল্লাহ্ ঐ ফিরিশতাদেরকে শাস্তি প্রদান করেন যারা এক মুহূর্তের জন্য নাফরমানী করে না, তাহলে কি আল্লাহকে যালিম বলা যাবে না? হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, তখন আলকামা (রাহঃ) বলেন, এটাতো আমাদের জন্য অত্যন্ত সূক্ষ্ম ব্যাপার। আমরা এটা কিভাবে উপলব্ধি করব! তখন হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, মু'তাযিলীগণ ভ্রান্তপথে রয়েছে। সুতরাং তাদের মত ধারণা ও উক্তি থেকে মুক্ত ও বিব্রত থাক। কেননা তারা হল আল্লাহর শত্রু এবং আল্লাহর বাণীকে তারা মিথ্যা প্রমাণিত করার চেষ্টা করে। আল্লাহ্ কি তাঁর নবীকে বলেননি যে, “হে নবী! আপনি বলুন, আল্লাহর নিকট সুস্পষ্ট দলীল রয়েছে, যদি আল্লাহ্ ইচ্ছা প্রকাশ করতেন তাহলে সবাইকে হিদায়তের পথ প্রদর্শন করতেন।
তখন হযরত আলকামা (রাহঃ) বলেন, হে আবু মুহাম্মাদ ! এ বিষয়টি আরো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করুন যাতে আমাদের অন্তর থেকে এ ধরনের সন্দেহ দূরীভূত হয়ে যায় এবং তা পবিত্রতা অর্জন করতে পারে। এরপর হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, আল্লাহ্ কি ফিরিশতাদেরকে তাঁর আনুগত্যের প্রতি পথ প্রদর্শন করেননি এবং তাদের অন্তরে স্বীয় মহত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব স্থায়ী করে দেননি? হযরত আলকামা (রাহঃ) বলেন, নিশ্চয়ই। হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, এটা আল্লাহর ঐ নিয়ামত যা তিনি তাদেরকে দান করেছেন। হযরত আলকামা (রাহঃ) বলেন, জি হ্যাঁ, এটা সত্য। হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, যদি আল্লাহ তা'আলা তাদের থেকে এ সমস্ত নিয়ামতের শুকরিয়া কামনা করতেন, তাহলে তারা এর শুকরিয়া আদায় করতে সক্ষম হতো না; বরং এটা তাদের জন্য অসম্ভব হতো। ফলে শুকরিয়া আদায়ের অক্ষমতার কারণে যদি আল্লাহ্ তাদেরকে শাস্তি প্রদান করতেন, তাহলে এরজন্য আল্লাহকে যালিম বলে বিবেচনা করা কখনো সঠিক হতো না।
হযরত আলকামা (রাযিঃ) উত্তরে বলেন, আমরা যখন নিজেদেরকে ঈমানদার বলে বিশ্বাস করি, তাহলে আমরা যেন নিজেদেরকে জান্নাতী বলে দাবি করছি। কেননা আল্লাহ প্রত্যেক বিশ্বাসী ও মুমিন নর-নারীর জন্য জান্নাতের ওয়াদা করেছেন (ওয়াদা ভঙ্গ করা আল্লাহর জন্য নিন্দনীয়)। কারণ তিনি সকল প্রকার নিন্দা ও দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র ও মুক্ত। হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, এটা তো শয়তানের ধোঁকা ও প্রতারণা। শয়তান তাদেরকে আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ ইহসান- অর্থাৎ ইসলামের ইহসানকে না মানা এবং রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সুন্নত মান্য না করার জন্য বাধ্য করেছে। আমি হুযূর (ﷺ)-এর সাহাবাদেরকে দেখছি তাঁরা নিজেদের মধ্যে ঈমানের দাবি প্রমাণ করেছেন এবং হযরত (ﷺ)-এর নিকট তা বর্ণনা করতেন। হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, তাঁরা বলতেন, আমরা মুমিন, কিন্তু এটা বলতেন না যে, আমরা জান্নাতী। কেননা আল্লাহ্ তা'আলা যদি আকাশ ও যমীনে বসবাসকারী সবাইকে শাস্তি প্রদান করেন, তাহলেও তাঁকে যালিম বা অত্যাচারী বলা যাবে না।
তখন হযরত আলকামা (রাহঃ) হযরত আতা (রাহঃ)-কে বললেন, হে আবু মুহাম্মাদ । যদি আল্লাহ্ ঐ ফিরিশতাদেরকে শাস্তি প্রদান করেন যারা এক মুহূর্তের জন্য নাফরমানী করে না, তাহলে কি আল্লাহকে যালিম বলা যাবে না? হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, তখন আলকামা (রাহঃ) বলেন, এটাতো আমাদের জন্য অত্যন্ত সূক্ষ্ম ব্যাপার। আমরা এটা কিভাবে উপলব্ধি করব! তখন হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, মু'তাযিলীগণ ভ্রান্তপথে রয়েছে। সুতরাং তাদের মত ধারণা ও উক্তি থেকে মুক্ত ও বিব্রত থাক। কেননা তারা হল আল্লাহর শত্রু এবং আল্লাহর বাণীকে তারা মিথ্যা প্রমাণিত করার চেষ্টা করে। আল্লাহ্ কি তাঁর নবীকে বলেননি যে, “হে নবী! আপনি বলুন, আল্লাহর নিকট সুস্পষ্ট দলীল রয়েছে, যদি আল্লাহ্ ইচ্ছা প্রকাশ করতেন তাহলে সবাইকে হিদায়তের পথ প্রদর্শন করতেন।
তখন হযরত আলকামা (রাহঃ) বলেন, হে আবু মুহাম্মাদ ! এ বিষয়টি আরো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করুন যাতে আমাদের অন্তর থেকে এ ধরনের সন্দেহ দূরীভূত হয়ে যায় এবং তা পবিত্রতা অর্জন করতে পারে। এরপর হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, আল্লাহ্ কি ফিরিশতাদেরকে তাঁর আনুগত্যের প্রতি পথ প্রদর্শন করেননি এবং তাদের অন্তরে স্বীয় মহত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব স্থায়ী করে দেননি? হযরত আলকামা (রাহঃ) বলেন, নিশ্চয়ই। হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, এটা আল্লাহর ঐ নিয়ামত যা তিনি তাদেরকে দান করেছেন। হযরত আলকামা (রাহঃ) বলেন, জি হ্যাঁ, এটা সত্য। হযরত আতা (রাহঃ) বলেন, যদি আল্লাহ তা'আলা তাদের থেকে এ সমস্ত নিয়ামতের শুকরিয়া কামনা করতেন, তাহলে তারা এর শুকরিয়া আদায় করতে সক্ষম হতো না; বরং এটা তাদের জন্য অসম্ভব হতো। ফলে শুকরিয়া আদায়ের অক্ষমতার কারণে যদি আল্লাহ্ তাদেরকে শাস্তি প্রদান করতেন, তাহলে এরজন্য আল্লাহকে যালিম বলে বিবেচনা করা কখনো সঠিক হতো না।
قَالَ: كُنَّا مَعَ عَلْقَمَةَ، وَعَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، فَسَأَلَهُ عَلْقَمَةُ، فَقَالَ: " يَا أَبَا مُحَمَّدٍ، إِنَّ بِبِلَادِنَا لَا يُثْبِتُونَ الْإِيمَانَ لِأَنْفُسِهِمْ، وَيَكْرَهُونَ أَنْ يَقُولُوا: إِنَّا مُؤْمِنُونَ، بَلْ يَقُولُونَ: إِنَّا مُؤْمِنُونَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، فَقَالَ: وَمَا لَهُمْ لَا يَقُولُونَ؟ قَالَ: يَقُولُونَ: إِنَّا إِذَا شِئْنَا لِأَنْفُسِنَا الْإِيمَانَ، جَعَلْنَا لِأَنْفُسِنَا الْجَنَّةَ، قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ، هَذَا مِنْ خِدَعِ الشَّيْطَانِ وَحَبَائِلِهِ، وَحِيَلِهِ أَلْجَأَهُمْ إِلَى أَنْ دَفَعُوا أَعْظَمَ مِنَّةِ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِمْ، وَهُوَ الْإِسْلَامُ، وَخَالَفُوا سُنَّةَ رَسُولِ اللَّهِ تَعَالَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، رَأَيْتُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَضِيَ عَنْهُمْ، يُثْبِتُونَ الْإِيمَانَ لِأَنْفُسِهِمْ، وَيَذْكُرُونَ ذَلِكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْ لَهُمْ: يَقُولُونَ: إِنَّا مُؤْمِنُونَ، وَلَا يَقُولُوا: إِنَّا مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ، فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَوْ عَذَّبَ أَهْلَ سَمَاوَاتِهِ وَأَهْلَ أَرْضِهِ لَعَذَّبَهُمْ، وَهُوَ غَيْرُ ظَالِمٍ لَهُمْ، فَقَالَ لَهُ عَلْقَمَةُ: يَا أَبَا مُحَمَّدٍ، إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَوْ عَذَّبَ الْمَلَائِكَةَ الَّذِينَ لَمْ يَعْصُوهُ طَرْفَةَ عَيْنٍ عَذَّبَهُمْ وَهُوَ غَيْرُ ظَالِمٍ لَهُمْ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: هَذَا عِنْدَنَا عَظِيمٌ، فَكَيْفَ نَعْرِفُ هَذَا؟ قَالَ: يَابْنَ أَخِي، مِنْ هُنَا ضَلَّ أَهْلُ الْقَدَرِ، فَإِيَّاكَ أَنْ تَقُولَ بِقَوْلِهِمْ، فَإِنَّهُمْ أَعْدَاءُ اللَّهِ الرَّادُّونَ عَلَى اللَّهِ، أَلَيْسَ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى لِنَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {قُلْ فَلِلَّهِ الْحُجَّةُ الْبَالِغَةُ فَلَوْ شَاءَ لَهَدَاكُمْ أَجْمَعِينَ} [الأنعام: 149] ، فَقَالَ لَهُ عَلْقَمَةُ: اشْرَحْ يَا أبَا مُحَمَّدٍ شَرْحًا يُذِهْبُ عَنْ قُلُوبِنَا هَذِهِ الشُّبْهَةَ، فَقَالَ: أَلَيْسَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى دَلَّ الْمَلَائِكَةَ عَلَى تِلْكَ الطَّاعَةِ، وَأَلْهَمَهُمْ إِيَّاهَا، وَعَزَمَهُمْ عَلَيْهَا، وَجَبَرَهُمْ عَلَى ذَلِكَ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: فَلَوْ طَالَبَهُمْ بِشُكْرِ هَذِهِ النِّعَمِ مَا قَدَرُوا عَلَى ذَلِكَ وَقَصَّرُوا، وَكَانَ لَهُ أَنْ يُعَذِّبَهُمْ بِتَقْصِيرِ الشُّكْرِ، وَهُوَ غَيْرُ ظَالِمٍ لَهُمْ