মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي
১. ঈমান-আকাঈদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২
ঈমান, ইসলাম, তাকদীর এবং শাফাআত
২। হযরত ইয়াহহিয়া ইবন ইয়ামার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন আমার সঙ্গীর সাথে পবিত্র মদীনায় উপবিষ্ট ছিলাম। হঠাৎ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) দৃষ্টিগোচর হলেন। আমি সাথীকে বললাম, তুমি কি মনে কর আমরা তাঁর নিকট গিয়ে তাকদীরের মাসআলা জিজ্ঞাসা করব? সাথী বলল, হ্যাঁ। তখন আমি বললাম, আচ্ছা, আমাকেই প্রশ্ন করতে দাও। কেননা আমি তাঁকে তোমার চেয়ে অধিক জানি। হযরত ইয়াহিয়া (রাহঃ) বলেন, অতঃপর আমি হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করলাম, হে আবু আব্দুর রহমান (হযরত আব্দুল্লাহর উপনাম)! আমরা বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে থাকি এবং কখনো এমন শহর অতিক্রম করে থাকি যার বাসিন্দাগণ বলে যে, তাকদীর বলতে কিছুই নেই। এ ধরনের লোকদেরকে আমি কি জওয়াব দেব ? হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলেন, আমার পক্ষ থেকে তাদেরকে এ সংবাদ পৌঁছিয়ে দিন যে, আমি তাদের উপর অসন্তুষ্ট। যদি আমি সাহায্যকারী পাই, তাহলে তাদের সাথে জিহাদ করব।
অতঃপর তিনি এই হাদীস বর্ণনা করে বলেন, আমরা কতিপয় সাহাবী একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। হঠাৎ শুভ্র বস্ত্র পরিহিত একজন সুদর্শন ব্যক্তি সেখানে আগমণ করেন, যার মাথার চুল কাঁধ পর্যন্ত ঝুলন্ত এবং দেহ থেকে সুগন্ধি ছড়াচ্ছিল। নিকট এসে বললেন, আস্সালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আস্সালামু আলাইকুম। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সালামের জবাব দিলেন, আমরাও তাঁর অনুকরণ করলাম। অতঃপর আগন্তুক কাছে আসার অনুমতি চাইলেন। তিনি বললেন, আস। তখন আগন্তুক দু-এক পা অগ্রসর হলেন। এরপর দাঁড়িয়ে অত্যন্ত আদবের সাথে আগন্তুক আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি নিকটে আসতে পারি ? তিনি বললেন, আস।
তখন তিনি হযরত (ﷺ)-এর হাঁটুর সাথে হাঁটু মিলিয়ে বসে পড়লেন এবং বললেন, আপনি আমাকে ঈমানের হাকীকত সম্পর্কে বলুন। হুযূর (ﷺ) বললেন, ঈমান হল এই যে, তুমি আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে, তাঁর ফিরিশতাগণের উপর, কিতাবসমূহের উপর, রাসূলগণের উপর, কিয়ামতের দিনের উপর এবং তাকদীরের ভাল-মন্দ আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে। আগন্তুক বললেন, আপনি সত্য বলেছেন। হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলেন, তার এ কথায় আমরা আশ্চর্য হয়ে গেলাম। কেননা প্রশ্নও করেন আবার হুযূর (ﷺ)-এর জওয়াবের সত্যতা প্রমাণও করেন । এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, তিনি পূর্ব থেকেই এ বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত আছেন।
এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ইসলামের আহকাম কি, আমাকে বলুন। হযরত (ﷺ) বললেন, ইসলামের আহ্কাম হল নামায পড়া, যাকাত আদায় করা, সক্ষম ব্যক্তির জন্য বায়তুল্লাহ শরীফের হজ্জ করা, রমযানের রোযা রাখা, পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করা। আগন্তুক ব্যক্তি পুনরায় বললেন, আপনি সত্য বলেছেন, তাঁর এ কথায় আমরা পুনরায় হতবাক হয়ে গেলাম। অতঃপর ঐ ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বললেন, ইহসান কি এ সম্পর্কে আমাকে একটু বলুন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, ইহসান হল এই যে, তুমি প্রত্যেকটি আমল এভাবে করবে যেন তুমি আল্লাহ্ তাআলাকে দর্শন করছ। যদি সত্যিকারভাবে দেখতে না পাও, তবে কমপক্ষে এটা ধারণা করবে যে, আল্লাহ তোমাকে দেখছেন। তখন আগন্তুক বললেন, যদি আমি এসব পালন করি, তাহলে কি আমি মুহসিন (নেককার) হতে পারব ? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ। এবারও ঐ ব্যক্তি বললেন, “আপনি সত্য বলেছেন।"
অতঃপর আগন্তুক বললেন, কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে, এ সম্পর্কে আপনি আমাকে একটু বলুন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি প্রশ্নকারীর চেয়ে এ ব্যাপারে অধিক কিছু অবগত নন। তবে এর কিছু প্রমাণ বা চিহ্ন রয়েছে। এরপর তিনি বলেন, নিশ্চয়ই একমাত্র আল্লাহ্ জানেন কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে, বৃষ্টি কখন বর্ষিত হবে, মায়ের গর্ভে কি সন্তান রয়েছে এবং মানুষ কোথায় মৃত্যুবরণ করবে (এগুলো মানুষ কিছুই জানে না)। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সবকিছুই জানেন ও খবর রাখেন। তখন ঐ ব্যক্তি বললেন, আপনি সত্য বলেছেন।
অতঃপর আগন্তুক ব্যক্তি চলে যেতে লাগলেন এবং আমরাও তা দেখছিলাম। নবী করীম (ﷺ) বললেন, ঐ লোকটিকে একটু ডেকে আন। আমরা তাঁর পেছনে দৌড়াতে লাগলাম। কিন্তু আমরা তাকে খুঁজে পেলাম না এবং কোনদিকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন তা বুঝতে পারলাম না। আমরা এই ঘটনা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট বর্ণনা করলাম। হুযুর (ﷺ) বললেন, ইনি ছিলেন জিবরাঈল (আ)। তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীনের আহকাম শিক্ষা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। আল্লাহর শপথ! আজকের এই ঘটনা ব্যতীত যখনই তিনি যে কোন আকৃতি নিয়ে আমার নিকট আগমণ করেছেন, আমি তাঁকে চিনতে পেরেছি।
অতঃপর তিনি এই হাদীস বর্ণনা করে বলেন, আমরা কতিপয় সাহাবী একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। হঠাৎ শুভ্র বস্ত্র পরিহিত একজন সুদর্শন ব্যক্তি সেখানে আগমণ করেন, যার মাথার চুল কাঁধ পর্যন্ত ঝুলন্ত এবং দেহ থেকে সুগন্ধি ছড়াচ্ছিল। নিকট এসে বললেন, আস্সালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আস্সালামু আলাইকুম। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সালামের জবাব দিলেন, আমরাও তাঁর অনুকরণ করলাম। অতঃপর আগন্তুক কাছে আসার অনুমতি চাইলেন। তিনি বললেন, আস। তখন আগন্তুক দু-এক পা অগ্রসর হলেন। এরপর দাঁড়িয়ে অত্যন্ত আদবের সাথে আগন্তুক আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি নিকটে আসতে পারি ? তিনি বললেন, আস।
তখন তিনি হযরত (ﷺ)-এর হাঁটুর সাথে হাঁটু মিলিয়ে বসে পড়লেন এবং বললেন, আপনি আমাকে ঈমানের হাকীকত সম্পর্কে বলুন। হুযূর (ﷺ) বললেন, ঈমান হল এই যে, তুমি আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে, তাঁর ফিরিশতাগণের উপর, কিতাবসমূহের উপর, রাসূলগণের উপর, কিয়ামতের দিনের উপর এবং তাকদীরের ভাল-মন্দ আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে। আগন্তুক বললেন, আপনি সত্য বলেছেন। হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলেন, তার এ কথায় আমরা আশ্চর্য হয়ে গেলাম। কেননা প্রশ্নও করেন আবার হুযূর (ﷺ)-এর জওয়াবের সত্যতা প্রমাণও করেন । এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, তিনি পূর্ব থেকেই এ বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত আছেন।
এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ইসলামের আহকাম কি, আমাকে বলুন। হযরত (ﷺ) বললেন, ইসলামের আহ্কাম হল নামায পড়া, যাকাত আদায় করা, সক্ষম ব্যক্তির জন্য বায়তুল্লাহ শরীফের হজ্জ করা, রমযানের রোযা রাখা, পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করা। আগন্তুক ব্যক্তি পুনরায় বললেন, আপনি সত্য বলেছেন, তাঁর এ কথায় আমরা পুনরায় হতবাক হয়ে গেলাম। অতঃপর ঐ ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বললেন, ইহসান কি এ সম্পর্কে আমাকে একটু বলুন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, ইহসান হল এই যে, তুমি প্রত্যেকটি আমল এভাবে করবে যেন তুমি আল্লাহ্ তাআলাকে দর্শন করছ। যদি সত্যিকারভাবে দেখতে না পাও, তবে কমপক্ষে এটা ধারণা করবে যে, আল্লাহ তোমাকে দেখছেন। তখন আগন্তুক বললেন, যদি আমি এসব পালন করি, তাহলে কি আমি মুহসিন (নেককার) হতে পারব ? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ। এবারও ঐ ব্যক্তি বললেন, “আপনি সত্য বলেছেন।"
অতঃপর আগন্তুক বললেন, কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে, এ সম্পর্কে আপনি আমাকে একটু বলুন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি প্রশ্নকারীর চেয়ে এ ব্যাপারে অধিক কিছু অবগত নন। তবে এর কিছু প্রমাণ বা চিহ্ন রয়েছে। এরপর তিনি বলেন, নিশ্চয়ই একমাত্র আল্লাহ্ জানেন কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে, বৃষ্টি কখন বর্ষিত হবে, মায়ের গর্ভে কি সন্তান রয়েছে এবং মানুষ কোথায় মৃত্যুবরণ করবে (এগুলো মানুষ কিছুই জানে না)। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সবকিছুই জানেন ও খবর রাখেন। তখন ঐ ব্যক্তি বললেন, আপনি সত্য বলেছেন।
অতঃপর আগন্তুক ব্যক্তি চলে যেতে লাগলেন এবং আমরাও তা দেখছিলাম। নবী করীম (ﷺ) বললেন, ঐ লোকটিকে একটু ডেকে আন। আমরা তাঁর পেছনে দৌড়াতে লাগলাম। কিন্তু আমরা তাকে খুঁজে পেলাম না এবং কোনদিকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন তা বুঝতে পারলাম না। আমরা এই ঘটনা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট বর্ণনা করলাম। হুযুর (ﷺ) বললেন, ইনি ছিলেন জিবরাঈল (আ)। তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীনের আহকাম শিক্ষা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। আল্লাহর শপথ! আজকের এই ঘটনা ব্যতীত যখনই তিনি যে কোন আকৃতি নিয়ে আমার নিকট আগমণ করেছেন, আমি তাঁকে চিনতে পেরেছি।
عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمُرَ، قَالَ: بَيْنَمَا أَنَا مَعَ صَاحِبٍ لِي بِمَدِينَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَ بَصُرْنَا بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقُلْتُ لِصَاحِبِي: هَلْ لَكَ أَنْ نَأْتِيَهُ، فَنَسْأَلَهُ عَنِ الْقَدَرِ؟ قَالَ: نَعَمْ، قُلْتُ: دَعْنِي حَتَّى أَكُونَ أَنَا الَّذِي أَسْأَلُهُ، فَإِنِّي أَعْرَفُ بِهِ مِنْكَ.
قَالَ: فَانْتَهَيْنَا إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، فَسَلَّمْنَا عَلَيْهِ، وَقَعَدْنَا إِلَيْهِ، فَقُلْتُ لَهُ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، إِنَّا نَتَقَلَّبُ فِي هَذِهِ الْأَرْضِ، فَرُبَّمَا قَدِمْنَا الْبَلْدَةَ بِهَا قَوْمٌ يَقُولُونَ: لَا قَدَرَ، فَبِمَا نَرُدُّ عَلَيْهِمْ؟ فَقَالَ: أَبْلِغْهُمْ أَنِّي مِنْهُمْ بَرِيءٌ، وَلَوْ أَنِّي وَجَدْتُ أَعْوَانًا لَجَاهَدْتُهُمْ، ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُنَا، قَالَ: " بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعَهُ رَهْطٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، إِذْ أَقْبَلَ شَابٌّ جَمِيلٌ، أَبْيَضُ، حَسَنُ اللَّمَّةِ، طَيِّبُ الرِّيحِ، عَلَيْهِ ثِيَابٌ بِيضٌ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، السَّلَامُ عَلَيْكُمْ، قَالَ: فَرَدَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَدَدْنَا مَعَهُ، فَقَالَ: أَدْنُو يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: ادْنُ، فَدَنَا دَنْوَةً، أَوْ دَنْوَتَيْنِ، ثُمَّ قَامَ مُوَقِّرًا لَهُ، ثُمَّ قَالَ: أَدْنُو يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ: ادْنُهْ، فَدَنَا حَتَّى أَلْصَقَ رُكْبَتَيْهِ بِرُكْبَتَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: أَخْبِرْنِي عَنِ الْإِيمَانِ، فَقَالَ: الْإِيمَانُ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ، وَمَلَائِكَتِهِ، وَكُتُبِهِ، وَرُسُلِهِ، وَلِقَائِهِ، وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ مِنَ اللَّهِ.
قَالَ: صَدَقْتَ، قَالَ: فَعَجِبْنَا مِنْ تَصْدِيقِهِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَوْلِهِ: صَدَقْتَ، كَأَنَّهُ يَعْلَمُ.
قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنْ شَرَائِعِ الْإِسْلَامِ مَا هِيَ؟ قَالَ: إِقَامُ الصَّلَاةِ، وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ، وَحَجُّ الْبَيْتِ، وَصَوْمُ رَمَضَانَ، وَالِاغْتِسَالُ مِنَ الْجَنَابَةِ، قَالَ: صَدَقَتَ، فَعَجِبْنَا لِقَوْلِهِ: صَدَقْتَ، قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنِ الْإِحْسَانِ مَا هُوَ؟ قَالَ: الْإِحْسَانُ أَنْ تَعْمَلَ لِلَّهِ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ، فَإِنَّهُ يَرَاكَ، قَالَ: فَإِذَا فَعَلْتُ ذَلِكَ، فَأَنَا مُحْسِنٌ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: صَدَقْتَ، قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنِ السَّاعَةِ، مَتَى هِيَ؟ ، قَالَ: مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ، وَلَكِنْ لَهَا أَشْرَاطٌ، فَقَالَ: {إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ} [لقمان: 34] .
قَالَ: صَدَقْتَ، وَانْصَرَفَ وَنَحْنُ نَرَاهُ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَيَّ بِالرَّجُلِ، فَقُمْنَا عَلَى أَثَرِهِ فَمَا نَدْرِي أَيْنَ تَوَجَّهَ، وَلَا رَأَيْنَا شَيْئًا، فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: هَذَا جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ مَعَالِمَ دِينِكُمْ، وَاللَّهِ مَا أَتَانِي فِي صُورَةٍ إِلَّا وَأَنَا أَعْرِفُهُ فِيهَا، إِلَّا هَذِهِ الصُّورَةَ "
قَالَ: فَانْتَهَيْنَا إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، فَسَلَّمْنَا عَلَيْهِ، وَقَعَدْنَا إِلَيْهِ، فَقُلْتُ لَهُ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، إِنَّا نَتَقَلَّبُ فِي هَذِهِ الْأَرْضِ، فَرُبَّمَا قَدِمْنَا الْبَلْدَةَ بِهَا قَوْمٌ يَقُولُونَ: لَا قَدَرَ، فَبِمَا نَرُدُّ عَلَيْهِمْ؟ فَقَالَ: أَبْلِغْهُمْ أَنِّي مِنْهُمْ بَرِيءٌ، وَلَوْ أَنِّي وَجَدْتُ أَعْوَانًا لَجَاهَدْتُهُمْ، ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُنَا، قَالَ: " بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعَهُ رَهْطٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، إِذْ أَقْبَلَ شَابٌّ جَمِيلٌ، أَبْيَضُ، حَسَنُ اللَّمَّةِ، طَيِّبُ الرِّيحِ، عَلَيْهِ ثِيَابٌ بِيضٌ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، السَّلَامُ عَلَيْكُمْ، قَالَ: فَرَدَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَدَدْنَا مَعَهُ، فَقَالَ: أَدْنُو يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: ادْنُ، فَدَنَا دَنْوَةً، أَوْ دَنْوَتَيْنِ، ثُمَّ قَامَ مُوَقِّرًا لَهُ، ثُمَّ قَالَ: أَدْنُو يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ: ادْنُهْ، فَدَنَا حَتَّى أَلْصَقَ رُكْبَتَيْهِ بِرُكْبَتَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: أَخْبِرْنِي عَنِ الْإِيمَانِ، فَقَالَ: الْإِيمَانُ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ، وَمَلَائِكَتِهِ، وَكُتُبِهِ، وَرُسُلِهِ، وَلِقَائِهِ، وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ مِنَ اللَّهِ.
قَالَ: صَدَقْتَ، قَالَ: فَعَجِبْنَا مِنْ تَصْدِيقِهِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَوْلِهِ: صَدَقْتَ، كَأَنَّهُ يَعْلَمُ.
قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنْ شَرَائِعِ الْإِسْلَامِ مَا هِيَ؟ قَالَ: إِقَامُ الصَّلَاةِ، وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ، وَحَجُّ الْبَيْتِ، وَصَوْمُ رَمَضَانَ، وَالِاغْتِسَالُ مِنَ الْجَنَابَةِ، قَالَ: صَدَقَتَ، فَعَجِبْنَا لِقَوْلِهِ: صَدَقْتَ، قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنِ الْإِحْسَانِ مَا هُوَ؟ قَالَ: الْإِحْسَانُ أَنْ تَعْمَلَ لِلَّهِ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ، فَإِنَّهُ يَرَاكَ، قَالَ: فَإِذَا فَعَلْتُ ذَلِكَ، فَأَنَا مُحْسِنٌ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: صَدَقْتَ، قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنِ السَّاعَةِ، مَتَى هِيَ؟ ، قَالَ: مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ، وَلَكِنْ لَهَا أَشْرَاطٌ، فَقَالَ: {إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ} [لقمان: 34] .
قَالَ: صَدَقْتَ، وَانْصَرَفَ وَنَحْنُ نَرَاهُ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَيَّ بِالرَّجُلِ، فَقُمْنَا عَلَى أَثَرِهِ فَمَا نَدْرِي أَيْنَ تَوَجَّهَ، وَلَا رَأَيْنَا شَيْئًا، فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: هَذَا جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ مَعَالِمَ دِينِكُمْ، وَاللَّهِ مَا أَتَانِي فِي صُورَةٍ إِلَّا وَأَنَا أَعْرِفُهُ فِيهَا، إِلَّا هَذِهِ الصُّورَةَ "
হাদীস নং:৩
ঈমান, ইসলাম, তাকদীর এবং শাফাআত
৩। হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার হযরত জিবরাঈল (আ) শুভ্র বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় একজন যুবকের আকৃতিতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খিদমতে আগমণ করেন এবং বলেন, আস্সালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি জওয়াবে বলেন, ওয়া আলাইকাস্ সালাম। অতঃপর হযরত জিবরাঈল (আ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি কি আপনার নিকট আসতে পারি? তিনি বললেন, আসুন। এরপর ঐ ব্যক্তি বললেন, ঈমান কি আমাকে বলুন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, ঈমান হলো আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা, তাঁর ফিরিশতাগণের উপর, কিতাবসমূহের উপর, তাঁর রাসূলগণের উপর এবং তাকদীরের ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা। আগন্তুক বললেন, আপনি সত্য বলেছেন। আমরা তাঁর এই কথায় আশ্চর্য হয়ে গেলাম। কেননা এর দ্বারা প্রমাণ হয় যে, তিনি পূর্ব থেকেই অবগত আছেন।
অতঃপর ঐ ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, শরীয়তের আহ্কাম কি আমাকে একটু বলুন। হযরত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, ইসলামের আহ্কাম হল নামায পড়া, যাকাত দান করা, পবিত্র রমযানের রোযা রাখা, পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করা। আগন্তুক বললেন, আপনি সত্য বলেছেন। হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলেন, আমরা তার কথায় আশ্চর্য হয়ে গেলাম। কেননা এর দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, তিনি এর উত্তর পূর্ব হতেই অবগত আছেন। এরপর আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, ইহসান কি এ সম্পর্কে আমাকে একটু বলুন। হুযূর (ﷺ) বলেন, তুমি এভাবে আমল করবে যেন তুমি আল্লাহ্ তা'আলাকে দেখছ, যদি দেখার সৌভাগ্য না হয়, তাহলে এ ধারণা করবে যে, আল্লাহ তোমাকে প্রত্যক্ষ করছেন।
অতঃপর ঐ ব্যক্তি বললেন, তা হলে বলুন, কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে? তখন হযরত (ﷺ) বললেন, যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি প্রশ্নকারীর চেয়ে এ ব্যাপারে অধিক জানেন না। এরপর আগন্তুক চলে যান। তখন হুযুর (ﷺ) সমবেত সাহাবাদেরকে বললেন, ঐ লোকটিকে ডেকে আন। হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমরা তাঁর খোঁজে বের হলাম কিন্তু কোথাও তাঁকে পেলাম না। আমরা এ সংবাদ হযরত (ﷺ)-এর নিকট জানালাম। তখন তিনি বললেন, ইনি হলেন জিবরাঈল (আ), তোমাদেরকে দ্বীনী আহকাম শিক্ষা দানের জন্য আগমণ করেছিলেন।
অতঃপর ঐ ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, শরীয়তের আহ্কাম কি আমাকে একটু বলুন। হযরত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, ইসলামের আহ্কাম হল নামায পড়া, যাকাত দান করা, পবিত্র রমযানের রোযা রাখা, পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করা। আগন্তুক বললেন, আপনি সত্য বলেছেন। হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলেন, আমরা তার কথায় আশ্চর্য হয়ে গেলাম। কেননা এর দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, তিনি এর উত্তর পূর্ব হতেই অবগত আছেন। এরপর আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, ইহসান কি এ সম্পর্কে আমাকে একটু বলুন। হুযূর (ﷺ) বলেন, তুমি এভাবে আমল করবে যেন তুমি আল্লাহ্ তা'আলাকে দেখছ, যদি দেখার সৌভাগ্য না হয়, তাহলে এ ধারণা করবে যে, আল্লাহ তোমাকে প্রত্যক্ষ করছেন।
অতঃপর ঐ ব্যক্তি বললেন, তা হলে বলুন, কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে? তখন হযরত (ﷺ) বললেন, যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি প্রশ্নকারীর চেয়ে এ ব্যাপারে অধিক জানেন না। এরপর আগন্তুক চলে যান। তখন হুযুর (ﷺ) সমবেত সাহাবাদেরকে বললেন, ঐ লোকটিকে ডেকে আন। হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমরা তাঁর খোঁজে বের হলাম কিন্তু কোথাও তাঁকে পেলাম না। আমরা এ সংবাদ হযরত (ﷺ)-এর নিকট জানালাম। তখন তিনি বললেন, ইনি হলেন জিবরাঈল (আ), তোমাদেরকে দ্বীনী আহকাম শিক্ষা দানের জন্য আগমণ করেছিলেন।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: " جَاءَ جِبْرِيلُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي صُورَةِ شَابٍّ عَلَيْهِ ثِيَابٌ بِيضٌ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَعَلَيْكَ السَّلَامُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَدْنُو؟ فَقَالَ: ادْنُهْ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا الْإِيمَانُ؟ قَالَ: الْإِيمَانُ بِاللَّهِ، وَمَلَائِكَتِهِ، وَكُتُبِهِ، وَرُسُلِهِ، وَالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ.
قَالَ: صَدَقْتَ، فَعَجِبْنَا لِقَوْلِهِ: صَدَقْتَ، كَأَنَّهُ يَدْرِي! ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَمَا شَرَائِعُ الْإِسْلَامِ؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِقَامُ الصَّلَاةِ، وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ، وَصَوْمُ رَمَضَانَ، وَغُسْلُ الْجَنَابَةِ.
قَالَ: صَدَقْتَ، فَعَجْبِنَا لِقَوْلِهِ: صَدَقْتَ، كَأَنَّهُ يَدْرِي! ثُمَّ قَالَ: فَمَا الْإِحْسَانُ؟ قَالَ: أَنْ تَعْمَلَ لِلَّهِ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ.
قَالَ: صَدَقْتَ.
قَالَ: فَمَتَى قِيَامُ السَّاعَةِ؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ.
فَقَفَّى، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَيَّ بِالرَّجُلِ، فَطَلَبْنَاهُ، فَلَمْ نَرَ لَهُ أَثَرًا، فَأَخْبَرْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: ذَلِكَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، جَاءَكُمْ يُعَلِّمُكُمْ مَعَالِمَ دِينِكُمْ "
قَالَ: صَدَقْتَ، فَعَجِبْنَا لِقَوْلِهِ: صَدَقْتَ، كَأَنَّهُ يَدْرِي! ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَمَا شَرَائِعُ الْإِسْلَامِ؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِقَامُ الصَّلَاةِ، وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ، وَصَوْمُ رَمَضَانَ، وَغُسْلُ الْجَنَابَةِ.
قَالَ: صَدَقْتَ، فَعَجْبِنَا لِقَوْلِهِ: صَدَقْتَ، كَأَنَّهُ يَدْرِي! ثُمَّ قَالَ: فَمَا الْإِحْسَانُ؟ قَالَ: أَنْ تَعْمَلَ لِلَّهِ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ.
قَالَ: صَدَقْتَ.
قَالَ: فَمَتَى قِيَامُ السَّاعَةِ؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ.
فَقَفَّى، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَيَّ بِالرَّجُلِ، فَطَلَبْنَاهُ، فَلَمْ نَرَ لَهُ أَثَرًا، فَأَخْبَرْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: ذَلِكَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، جَاءَكُمْ يُعَلِّمُكُمْ مَعَالِمَ دِينِكُمْ "
হাদীস নং:৪
ঈমান, ইসলাম, তাকদীর এবং শাফাআত
৪। হযরত আতা (রাযিঃ) কয়েকজন সাহাবা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ)-এর একজন দাসী ছিল। সে তাঁর বকরী চরাত এবং সেবা করত। তিনি তাকে আরো একটি বকরী লালন-পালনের জন্য প্রদান করেন। ধীরে ধীরে এটা খুব মোটা তাজা হয়ে উঠল। একদিন মেয়েটি অন্যান্য বকরীগুলো দেখছিল। হঠাৎ একটি বাঘ এসে ঐ বকরীটি নিয়ে মেরে ফেলল। যখন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) আগমণ করেন, তখন তিনি বকরীটি আর দেখতে পাননি। অতঃপর মেয়েটি তার নিকট উক্ত ঘটনা বর্ণনা করলো। তিনি এতে ক্রোধান্বিত হয়ে মেয়েটিকে থাপ্পড় মারলেন।
এরপর তিনি নিজেই অনুতপ্ত হলেন এবং হুযূর (ﷺ)-এর নিকট এসে ঘটনাটি বর্ণনা করেন। হযরত (ﷺ) বিষয়টিকে খুবই গুরুতর অপরাধ মনে করে বললেনঃ তুমি একটি নিরপরাধ মেয়েকে মেরেছ। হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বললেন, সে একটি ক্রীতদাসী, ঈমানের সাথে তার কি সম্পর্ক থাকতে পারে ? ছয়ূর (ﷺ) মেয়েটিকে ডেকে আনালেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ কোথায়? মেয়েটি উত্তরে বলল, আকাশে। এরপর হযরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কে? মেয়েটি বলল, আপনি আল্লাহর রাসূল। তখন তিনি বললেনঃ মেয়েটি মুমিনা বা বিশ্বাসী, তুমি তাকে আযাদ করে দাও। হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) তাকে আযাদ করে দেন।
এরপর তিনি নিজেই অনুতপ্ত হলেন এবং হুযূর (ﷺ)-এর নিকট এসে ঘটনাটি বর্ণনা করেন। হযরত (ﷺ) বিষয়টিকে খুবই গুরুতর অপরাধ মনে করে বললেনঃ তুমি একটি নিরপরাধ মেয়েকে মেরেছ। হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বললেন, সে একটি ক্রীতদাসী, ঈমানের সাথে তার কি সম্পর্ক থাকতে পারে ? ছয়ূর (ﷺ) মেয়েটিকে ডেকে আনালেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ কোথায়? মেয়েটি উত্তরে বলল, আকাশে। এরপর হযরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কে? মেয়েটি বলল, আপনি আল্লাহর রাসূল। তখন তিনি বললেনঃ মেয়েটি মুমিনা বা বিশ্বাসী, তুমি তাকে আযাদ করে দাও। হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) তাকে আযাদ করে দেন।
عَنْ عَطَاءٍ، أَنَّ رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثُوهُ: أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ كَانَتْ لَهُ رَاعِيَةٌ تَتَعَاهَدُ غَنَمَهُ، وَأَنَّهُ أَمَرَهَا تَتَعَاهَدُ شَاةً، فَتَعَاهَدَتْهَا حَتَّى سَمِنَتِ الشَّاةُ، وَاشْتَغَلَتِ الرَّاعِيَةُ بِبَعْضِ الْغَنَمِ، فَجَاءَ الذِّئْبُ، فَاخْتَلَسَ الشَّاةَ وَقَتَلَهَا، فَجَاءَ عَبْدُ اللَّهِ، وَفَقَدَ الشَّاةَ، فَأَخْبَرَتْهُ الرَّاعِيَةُ بِأَمْرِهَا فَلَطَمَهَا، ثُمَّ نَدِمَ عَلَى ذَلِكَ، فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَعَظَّمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ، وَقَالَ: " ضَرَبْتَ وَجْهَ مُؤْمِنَةٍ! فَقَالَ: إِنَّهَا سَوْدَاءُ لَا عِلْمَ لَهَا، فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهَا: أَيْنَ اللَّهُ؟ فَقَالَتْ: فِي السَّمَاءِ، قَالَ: فَمَنْ أَنَا؟ قَالَتْ: رَسُولُ اللَّهِ، قَالَ: إِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ، فَأَعْتِقْهَا، فَأَعْتَقَهَا "