মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
১. ঈমান-আকাঈদ অধ্যায়
হাদীস নং: ৪
ঈমান, ইসলাম, তাকদীর এবং শাফাআত
৪। হযরত আতা (রাযিঃ) কয়েকজন সাহাবা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ)-এর একজন দাসী ছিল। সে তাঁর বকরী চরাত এবং সেবা করত। তিনি তাকে আরো একটি বকরী লালন-পালনের জন্য প্রদান করেন। ধীরে ধীরে এটা খুব মোটা তাজা হয়ে উঠল। একদিন মেয়েটি অন্যান্য বকরীগুলো দেখছিল। হঠাৎ একটি বাঘ এসে ঐ বকরীটি নিয়ে মেরে ফেলল। যখন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) আগমণ করেন, তখন তিনি বকরীটি আর দেখতে পাননি। অতঃপর মেয়েটি তার নিকট উক্ত ঘটনা বর্ণনা করলো। তিনি এতে ক্রোধান্বিত হয়ে মেয়েটিকে থাপ্পড় মারলেন।
এরপর তিনি নিজেই অনুতপ্ত হলেন এবং হুযূর (ﷺ)-এর নিকট এসে ঘটনাটি বর্ণনা করেন। হযরত (ﷺ) বিষয়টিকে খুবই গুরুতর অপরাধ মনে করে বললেনঃ তুমি একটি নিরপরাধ মেয়েকে মেরেছ। হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বললেন, সে একটি ক্রীতদাসী, ঈমানের সাথে তার কি সম্পর্ক থাকতে পারে ? ছয়ূর (ﷺ) মেয়েটিকে ডেকে আনালেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ কোথায়? মেয়েটি উত্তরে বলল, আকাশে। এরপর হযরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কে? মেয়েটি বলল, আপনি আল্লাহর রাসূল। তখন তিনি বললেনঃ মেয়েটি মুমিনা বা বিশ্বাসী, তুমি তাকে আযাদ করে দাও। হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) তাকে আযাদ করে দেন।
এরপর তিনি নিজেই অনুতপ্ত হলেন এবং হুযূর (ﷺ)-এর নিকট এসে ঘটনাটি বর্ণনা করেন। হযরত (ﷺ) বিষয়টিকে খুবই গুরুতর অপরাধ মনে করে বললেনঃ তুমি একটি নিরপরাধ মেয়েকে মেরেছ। হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বললেন, সে একটি ক্রীতদাসী, ঈমানের সাথে তার কি সম্পর্ক থাকতে পারে ? ছয়ূর (ﷺ) মেয়েটিকে ডেকে আনালেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ কোথায়? মেয়েটি উত্তরে বলল, আকাশে। এরপর হযরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কে? মেয়েটি বলল, আপনি আল্লাহর রাসূল। তখন তিনি বললেনঃ মেয়েটি মুমিনা বা বিশ্বাসী, তুমি তাকে আযাদ করে দাও। হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) তাকে আযাদ করে দেন।
عَنْ عَطَاءٍ، أَنَّ رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثُوهُ: أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ كَانَتْ لَهُ رَاعِيَةٌ تَتَعَاهَدُ غَنَمَهُ، وَأَنَّهُ أَمَرَهَا تَتَعَاهَدُ شَاةً، فَتَعَاهَدَتْهَا حَتَّى سَمِنَتِ الشَّاةُ، وَاشْتَغَلَتِ الرَّاعِيَةُ بِبَعْضِ الْغَنَمِ، فَجَاءَ الذِّئْبُ، فَاخْتَلَسَ الشَّاةَ وَقَتَلَهَا، فَجَاءَ عَبْدُ اللَّهِ، وَفَقَدَ الشَّاةَ، فَأَخْبَرَتْهُ الرَّاعِيَةُ بِأَمْرِهَا فَلَطَمَهَا، ثُمَّ نَدِمَ عَلَى ذَلِكَ، فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَعَظَّمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ، وَقَالَ: " ضَرَبْتَ وَجْهَ مُؤْمِنَةٍ! فَقَالَ: إِنَّهَا سَوْدَاءُ لَا عِلْمَ لَهَا، فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهَا: أَيْنَ اللَّهُ؟ فَقَالَتْ: فِي السَّمَاءِ، قَالَ: فَمَنْ أَنَا؟ قَالَتْ: رَسُولُ اللَّهِ، قَالَ: إِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ، فَأَعْتِقْهَا، فَأَعْتَقَهَا "
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বাদীকে জিজ্ঞাসা করলেন— আল্লাহ কোথায় ? বাদী বললেন, “আকাশে বা আকাশের উপরে"
এই হাদিসের বাহ্যিক অর্থ প্রয়োগ করে কেউ কেউ আল্লাহ আসমানে আছেন তা দলিল দিয়ে থাকেন।
আল্লাহ আসমানে আছেন এ বিষয়ে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, ”কেউ যদি বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ তায়ালা আসমানে রয়েছেন, আসমান দ্বারা পরিবেষ্টিত বা আবদ্ধ রয়েছেন, তবে সে পথভ্রষ্ট, বিদযাতী, মূর্খ”।-[মাজমুউল ফাতাওয়া-৫/২৫৮]
বাদীর হাদীস সম্পর্কে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের বুঝঃ
১. ইমাম কুরতুবী রহ. বলেন— রাসুল ﷺ বাদীকে জিজ্ঞাসা করা "আল্লাহ কোথায়" এই প্রশ্নে রাসুল ﷺ বাদীর বুঝের ক্ষমতা অনুসারে নিজের অবস্থান থেকে নীচে নেমে প্রশ্ন করেন। কারণ তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বাদীর থেকে এমন কিছু প্রকাশ করা যা এটা বুঝাবে, সে জমিনে থাকা বিভিন্ন মূর্তি এবং পাথরের উপাসনা করেন না। সুতরাং তাঁর কথার অর্থ হলো “আল্লাহ ঐ উপাস্যদের মাঝে নয় যারা জমিনে আছে"। কারণ أین শব্দটা দ্বারা কোন স্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় সুতরাং এটাকে তাঁর প্রকৃত অর্থে আল্লাহর সাথে ব্যবহার সহিহ হাবে না। কারণ আল্লাহ স্থান থেকে পবিত্র। যেমনি ভাবে তিনি সময় থেকে পবিত্র। বরং তিনি সময় ও স্থানের স্রষ্টা। আর তিনি ছিলেন যখন কোন সময় বা স্থান ছিল না। এবং এখনাে তিনি সেই অবস্থানেই আছেন এবং বাদীর বুঝে ঘাটতি থাকার পরেও তাকে সেই অবস্থাতে রেখে দেওয়া হয় যেন সে পরে তা বুঝতে সক্ষম হয় এবং তার বক্ষ উন্মুক্ত হয়। কারণ তিনি যদি ঐ অবস্থায় বাদীকে বলতেন, আল্লাহ হলেন এমন এক সত্ত্বা যার উপর স্থান বা সময়ের ব্যবহার সম্ভ। তাহলে বাদীর উপর এই আশঙ্কা ছিল যে সে এই বিশ্বাস করে ফেলত যে, আল্লাহ নেই। কারণ যে কোন বিবেকবান ব্যক্তি এটা গ্রহণ এবং তা সঠিক ভাবে বুঝতে পারে না। এটা সঠিক ভাবে ঐ আলেমরাই বুঝবেন যাদের বক্ষকে আল্লাহ তার হেদায়েতের জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং নিজ মারেফাতের নূর দ্বারা তাঁদের হৃদয়কে আলােকিত করেছেন এবং নিজ তাওফিক এবং সাহায্য দ্বারা তাঁদেরকে সহায়তা করেছেন।[২]
২. ইমাম ইবনুল জাওযি বলেন— "ওলামাদের নিকট সুসাব্যস্ত যে, আল্লাহ তায়ালাকে উপর নীচ বেষ্টন করতে পারে না। এবং বিভিন্ন প্রান্তরও তাকে বেষ্টন করতে পারে না। এখন প্রশ্ন আসতে পাবে বাদীর হাদিসে তাে আছে "আকাশের উপরে" ?
ইমাম ইবনুল জাওযি রহ. তাবিল করে জবাব দিচ্ছেন—
"রাসূল ﷺ তাঁর ইশারার মাধ্যমে বুঝতে পরেছেন, সে আল্লাহকে সম্মান করে।[৩]
৩. ইমাম রাজি রহ. উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টা আরাে স্পষ্ট করেছেন। ইমাম রাজি বলেন— "আকাশের উপরে" এই "উপর" দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে মর্যাদাগত দিক থেকে উঁচু হওয়া। যেমনি বলা হয় অমুক আসমানে আছে এর অর্থ হল তাঁর মর্যাদা ও সম্মান অনেক উঁচু, এটা বুঝানাে।[৪]
৪. ইমাম নববী রহ. বলেন— বাদীর "আকাশের উপরে" বলা দ্বারা রাসুল ﷺ বুঝতে পরেছেন, সে আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী এবং সে বিভিন্ন মূর্তি পূজারী নয়।[৫]
৫. ইমাম গাজ্জালী রহ. বলেন— বাদী আসমানের দিকে ঈশারা দেওয়ার পরেও রাসুল ﷺ তাকে মুমিনা হুমুক দিয়েছেন কারণ একজন বােবা মহিলা “উঁচু মর্যাদা” বুঝানাের জন্য উপরের দিকে ঈশারা করা ছাড়া তার আর কোন উপায় নেই। এবং তার প্রতি এই ধারণা ছিল যে, সে বিভিন্ন মূর্তির উপাসনা করতে পারে এবং মূর্তিদের ঘরে যেই সমস্ত উপাস্য থাকে তাদের উপাসনা করতে পারে কিন্তু তিনি আসমানের দিকে ঈশারা করার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন যে, তার উপাস্য মূর্তিদের ঘরে নয় যেমন বিশ্বাস রাখে অন্যরা।
৬. ইমাম কাজী ইয়াজ রহ. বলেন— সকল মুসলমানদের মাঝে অর্থাৎ সকল ফকীহ মুহাদ্দিস, মুতাকাল্লিম, মুনাজীর, মুকাল্লিদ, কারাে মাঝে কোন ইখতেলাফ বা মতবিরােধ নেই যে, বিভিন্ন আয়াতে বা হাদিসে যে এসেছে যে الله فی السماء বা "আল্লাহ আসমানে"–এই গুলাে তার বাহ্যিক অর্থে হবে না। বরং সকলের নিকট এই গুলাে তাবিল হবে।
অর্থাৎ বাহ্যিক অর্থে ধরা এটা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মানহাজ নয়।[৬]
__________
১। সহিহ মুসলিম -হা/৫৩৭
২। আল মুফহিম: ২/১৪৩-১৪৪
৩। দাফউ শুবহাতিত তাশবিহ-২৭
৪। আল মুনতাকা-৮/৩২০
৫। আল মিনহাজ-৫/৩৩
৬। আল ইকমাল-২/৪৬৫
এই হাদিসের বাহ্যিক অর্থ প্রয়োগ করে কেউ কেউ আল্লাহ আসমানে আছেন তা দলিল দিয়ে থাকেন।
আল্লাহ আসমানে আছেন এ বিষয়ে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, ”কেউ যদি বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ তায়ালা আসমানে রয়েছেন, আসমান দ্বারা পরিবেষ্টিত বা আবদ্ধ রয়েছেন, তবে সে পথভ্রষ্ট, বিদযাতী, মূর্খ”।-[মাজমুউল ফাতাওয়া-৫/২৫৮]
বাদীর হাদীস সম্পর্কে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের বুঝঃ
১. ইমাম কুরতুবী রহ. বলেন— রাসুল ﷺ বাদীকে জিজ্ঞাসা করা "আল্লাহ কোথায়" এই প্রশ্নে রাসুল ﷺ বাদীর বুঝের ক্ষমতা অনুসারে নিজের অবস্থান থেকে নীচে নেমে প্রশ্ন করেন। কারণ তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বাদীর থেকে এমন কিছু প্রকাশ করা যা এটা বুঝাবে, সে জমিনে থাকা বিভিন্ন মূর্তি এবং পাথরের উপাসনা করেন না। সুতরাং তাঁর কথার অর্থ হলো “আল্লাহ ঐ উপাস্যদের মাঝে নয় যারা জমিনে আছে"। কারণ أین শব্দটা দ্বারা কোন স্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় সুতরাং এটাকে তাঁর প্রকৃত অর্থে আল্লাহর সাথে ব্যবহার সহিহ হাবে না। কারণ আল্লাহ স্থান থেকে পবিত্র। যেমনি ভাবে তিনি সময় থেকে পবিত্র। বরং তিনি সময় ও স্থানের স্রষ্টা। আর তিনি ছিলেন যখন কোন সময় বা স্থান ছিল না। এবং এখনাে তিনি সেই অবস্থানেই আছেন এবং বাদীর বুঝে ঘাটতি থাকার পরেও তাকে সেই অবস্থাতে রেখে দেওয়া হয় যেন সে পরে তা বুঝতে সক্ষম হয় এবং তার বক্ষ উন্মুক্ত হয়। কারণ তিনি যদি ঐ অবস্থায় বাদীকে বলতেন, আল্লাহ হলেন এমন এক সত্ত্বা যার উপর স্থান বা সময়ের ব্যবহার সম্ভ। তাহলে বাদীর উপর এই আশঙ্কা ছিল যে সে এই বিশ্বাস করে ফেলত যে, আল্লাহ নেই। কারণ যে কোন বিবেকবান ব্যক্তি এটা গ্রহণ এবং তা সঠিক ভাবে বুঝতে পারে না। এটা সঠিক ভাবে ঐ আলেমরাই বুঝবেন যাদের বক্ষকে আল্লাহ তার হেদায়েতের জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং নিজ মারেফাতের নূর দ্বারা তাঁদের হৃদয়কে আলােকিত করেছেন এবং নিজ তাওফিক এবং সাহায্য দ্বারা তাঁদেরকে সহায়তা করেছেন।[২]
২. ইমাম ইবনুল জাওযি বলেন— "ওলামাদের নিকট সুসাব্যস্ত যে, আল্লাহ তায়ালাকে উপর নীচ বেষ্টন করতে পারে না। এবং বিভিন্ন প্রান্তরও তাকে বেষ্টন করতে পারে না। এখন প্রশ্ন আসতে পাবে বাদীর হাদিসে তাে আছে "আকাশের উপরে" ?
ইমাম ইবনুল জাওযি রহ. তাবিল করে জবাব দিচ্ছেন—
"রাসূল ﷺ তাঁর ইশারার মাধ্যমে বুঝতে পরেছেন, সে আল্লাহকে সম্মান করে।[৩]
৩. ইমাম রাজি রহ. উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টা আরাে স্পষ্ট করেছেন। ইমাম রাজি বলেন— "আকাশের উপরে" এই "উপর" দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে মর্যাদাগত দিক থেকে উঁচু হওয়া। যেমনি বলা হয় অমুক আসমানে আছে এর অর্থ হল তাঁর মর্যাদা ও সম্মান অনেক উঁচু, এটা বুঝানাে।[৪]
৪. ইমাম নববী রহ. বলেন— বাদীর "আকাশের উপরে" বলা দ্বারা রাসুল ﷺ বুঝতে পরেছেন, সে আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী এবং সে বিভিন্ন মূর্তি পূজারী নয়।[৫]
৫. ইমাম গাজ্জালী রহ. বলেন— বাদী আসমানের দিকে ঈশারা দেওয়ার পরেও রাসুল ﷺ তাকে মুমিনা হুমুক দিয়েছেন কারণ একজন বােবা মহিলা “উঁচু মর্যাদা” বুঝানাের জন্য উপরের দিকে ঈশারা করা ছাড়া তার আর কোন উপায় নেই। এবং তার প্রতি এই ধারণা ছিল যে, সে বিভিন্ন মূর্তির উপাসনা করতে পারে এবং মূর্তিদের ঘরে যেই সমস্ত উপাস্য থাকে তাদের উপাসনা করতে পারে কিন্তু তিনি আসমানের দিকে ঈশারা করার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন যে, তার উপাস্য মূর্তিদের ঘরে নয় যেমন বিশ্বাস রাখে অন্যরা।
৬. ইমাম কাজী ইয়াজ রহ. বলেন— সকল মুসলমানদের মাঝে অর্থাৎ সকল ফকীহ মুহাদ্দিস, মুতাকাল্লিম, মুনাজীর, মুকাল্লিদ, কারাে মাঝে কোন ইখতেলাফ বা মতবিরােধ নেই যে, বিভিন্ন আয়াতে বা হাদিসে যে এসেছে যে الله فی السماء বা "আল্লাহ আসমানে"–এই গুলাে তার বাহ্যিক অর্থে হবে না। বরং সকলের নিকট এই গুলাে তাবিল হবে।
অর্থাৎ বাহ্যিক অর্থে ধরা এটা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মানহাজ নয়।[৬]
__________
১। সহিহ মুসলিম -হা/৫৩৭
২। আল মুফহিম: ২/১৪৩-১৪৪
৩। দাফউ শুবহাতিত তাশবিহ-২৭
৪। আল মুনতাকা-৮/৩২০
৫। আল মিনহাজ-৫/৩৩
৬। আল ইকমাল-২/৪৬৫
