আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

হাদীস নং: ২৯২২
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৩
১৯৫৯. নবী (ﷺ) ইসলামের প্রতি যাদের মন আকৃষ্ট করার প্রয়োজন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস ইত্যাদি থেকে দান করতেন। এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন
২৯২২। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... হাকীম ইবনে হিযাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট কিছু চাইলাম। তখন তিনি আমাকে দিলেন। আমি আবার চাইলাম। তিনি আমাকে দিলেন। এরপর আমাকে বললেন, হে হাকীম, এ সকল মাল সবুজ শ্যামল ও সুমিষ্ট। যে ব্যক্তি তা নির্লোভ অন্তরে গ্রহণ করে, তার তাতে বরকত দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি তা লোভনীয় অন্তরে গ্রহণ করে তার জন্য তাতে বরকত দেওয়া হয় না। তার উদাহরণ সে ব্যক্তি ন্যায়, যে আহার করে কিন্তু উদর পূর্ণ হয় না। আর উপরের হাত নীচের হাত থেকে উত্তম। হাকীম (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে মহান সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন আপনার পর আমি দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়া পর্যন্ত আর কারো মাল কামনা করব না।’
পরে আবু বকর (রাযিঃ) (তাঁর খিলাফত কালে) হাকীম ইবনে হিযাম (রাযিঃ)-কে ভাতা নেয়ার জন্য আহবান করতেন কিন্তু তিনি কোন কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকার করতেন। তারপর উমর (রাযিঃ) তাকে ভাতা দানের উদ্দেশ্যে আহবান করেন কিন্তু তিনি তাঁর নিকট থেকেও কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। তখন উমর (রাযিঃ) বলেন, হে মুসলিমগণ। আমি হাকীম ইবনে হিযাম (রাযিঃ)- কে তার জন্য সে প্রাপ্য দিতে চেয়েছি। যা আল্লাহ তাআলা তার জন্য সম্পদ থেকে হিসসা রেখেছেন। আর সে তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। এভাবে হাকীম ইবনে হিযাম (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর পরে আর কারো নিকট থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কিছুই গ্রহণ করেন নি।
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنَ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
3143 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ [ص:93]، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَانِي، ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي، ثُمَّ قَالَ لِي: «يَا حَكِيمُ، إِنَّ هَذَا المَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ، فَمَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ بُورِكَ لَهُ فِيهِ، وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ، وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلاَ يَشْبَعُ، وَاليَدُ العُلْيَا خَيْرٌ مِنَ اليَدِ السُّفْلَى» ، قَالَ حَكِيمٌ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالحَقِّ، لاَ أَرْزَأُ أَحَدًا بَعْدَكَ شَيْئًا حَتَّى أُفَارِقَ الدُّنْيَا، فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَدْعُو حَكِيمًا لِيُعْطِيَهُ العَطَاءَ فَيَأْبَى أَنْ يَقْبَلَ مِنْهُ شَيْئًا، ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ دَعَاهُ لِيُعْطِيَهُ فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَ، فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ المُسْلِمِينَ إِنِّي أَعْرِضُ عَلَيْهِ حَقَّهُ الَّذِي قَسَمَ اللَّهُ لَهُ مِنْ هَذَا الفَيْءِ فَيَأْبَى أَنْ يَأْخُذَهُ، فَلَمْ يَرْزَأْ حَكِيمٌ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ شَيْئًا بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى تُوُفِّيَ
হাদীস নং: ২৯২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৪
১৯৫৯. নবী (ﷺ) ইসলামের প্রতি যাদের মন আকৃষ্ট করার প্রয়োজন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস ইত্যাদি থেকে দান করতেন।
২৯২৩। আবুন নু‘মান (রাহঃ) .... নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জাহিলী যুগে আমার উপর একদিনের ইতিকাফ (মান্নত) ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে তা পূরণ করার আদেশ করেন। নাফি (রাহঃ) বলেন, উমর (রাযিঃ) হুনাইনের যুদ্ধের বন্দী থেকে দু’টি দাসী লাভ করেন। তখন তিনি তাদেরকে মক্কায় একটি গৃহে রেখে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হুনাইনের যুদ্ধের বন্দীদেরকে সৌজন্যমূলক ছেড়ে দেয়ার আদেশ দান করলেন। তারা মুক্ত হয়ে অলি-গলিতে ছুটোছুটি করতে লাগল। উমর (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে বললেন, দেখ তো ব্যাপার কি?
তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বন্দীদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, তবে তুমি গিয়ে সেই দাসী দু’জনকে ছেড়ে দাও। নাফি (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জি'রানা থেকে উমরা করেন নি। যদি তিনি উমরা করতেন তবে তা আব্দুল্লাহ থেকে গোপন থাকত না। আর জারির ইবনে হাযিম (রাহঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে অতিরিক্ত বর্ণনা করতেন যে, (উমর (রাযিঃ) দাসী দু’টি) খুমুস থেকে পেয়েছিলেন। মা‘মার (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে নযরের (মান্নতের) ব্যাপারটির উল্লেখ করেন, কিন্তু একদিনের কথা বলেন নি।
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنَ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
3144 - حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ كَانَ «عَلَيَّ اعْتِكَافُ يَوْمٍ فِي الجَاهِلِيَّةِ، فَأَمَرَهُ أَنْ يَفِيَ بِهِ» ، قَالَ: وَأَصَابَ عُمَرُ جَارِيَتَيْنِ مِنْ سَبْيِ حُنَيْنٍ، فَوَضَعَهُمَا فِي بَعْضِ بُيُوتِ مَكَّةَ، قَالَ: «فَمَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى سَبْيِ حُنَيْنٍ» ، فَجَعَلُوا يَسْعَوْنَ فِي السِّكَكِ، فَقَالَ عُمَرُ: يَا عَبْدَ اللَّهِ، انْظُرْ مَا هَذَا؟ فَقَالَ: «مَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى السَّبْيِ» ، قَالَ: اذْهَبْ فَأَرْسِلِ الجَارِيَتَيْنِ، قَالَ نَافِعٌ: وَلَمْ يَعْتَمِرْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الجِعْرَانَةِ وَلَوِ اعْتَمَرَ لَمْ يَخْفَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ، وَزَادَ جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: مِنَ الخُمُسِ، وَرَوَاهُ مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ: فِي النَّذْرِ وَلَمْ يَقُلْ يَوْمٍ
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৯২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৫
১৯৫৯. নবী (ﷺ) ইসলামের প্রতি যাদের মন আকৃষ্ট করার প্রয়োজন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস ইত্যাদি থেকে দান করতেন।
২৯২৪। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আমর ইবনে তাগলিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক দলকে দিলেন আর এক দলকে দিলেন না। তারা যেন এতে মনক্ষুণ্ণ হলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি এমন লোকদের দেই, যাদের সম্পর্ক বিগড়ে যাওয়া কিংবা ধৈর্যহারা হওয়ার আশঙ্কা করি। আর অন্যদল যাদের অন্তরে আল্লাহ তাআলা যে কল্যাণ ও অমুখাপেক্ষিতা দান করেছেন, তার উপর ছেড়ে দেই। আর আমর ইবনে তাগলিব (রাযিঃ) তাদের অন্তর্ভুক্ত।
আমর ইবনে তাগলিব (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার সম্পর্কে যা বলেছেন, তার পরিবর্তে যদি আমাকে লাল বর্ণের উট দেওয়া হতো তাতে আমি এতখানি খুশী হতাম না। আর আবু আসিম (রাহঃ) জারীর (রাহঃ) থেকে হাদীসটি এতটুকু অতিরিক্তসহ বর্ণনা করেছেন যে, হাসান (রাহঃ) বলেন, আমাকে আমর ইবনে তাগলিব (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট কিছু মাল অথবা বন্দী আনীত হয়, তখন তিনি তা বণ্টন করেন।
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنَ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
3145 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا الحَسَنُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ تَغْلِبَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: أَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْمًا وَمَنَعَ آخَرِينَ، فَكَأَنَّهُمْ عَتَبُوا عَلَيْهِ، فَقَالَ: «إِنِّي أُعْطِي قَوْمًا أَخَافُ ظَلَعَهُمْ وَجَزَعَهُمْ، وَأَكِلُ أَقْوَامًا إِلَى مَا جَعَلَ اللَّهُ فِي قُلُوبِهِمْ مِنَ الخَيْرِ وَالغِنَى، مِنْهُمْ عَمْرُو بْنُ تَغْلِبَ» فَقَالَ عَمْرُو بْنُ تَغْلِبَ: مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي بِكَلِمَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُمْرَ النَّعَمِ، وَزَادَ أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ الحَسَنَ، يَقُولُ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ تَغْلِبَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِمَالٍ أَوْ بِسَبْيٍ فَقَسَمَهُ بِهَذَا
হাদীস নং: ২৯২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৬
১৯৫৯. নবী (ﷺ) ইসলামের প্রতি যাদের মন আকৃষ্ট করার প্রয়োজন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস ইত্যাদি থেকে দান করতেন।
২৯২৫। আবুল ওয়ালীদ (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘আমি কুরাইশদের দিয়ে থাকি তাদের মন রক্ষা করার জন্য। কেননা, তারা জাহিলী যুগের কাছাকাছি।’
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنَ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
3146 - حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي أُعْطِي قُرَيْشًا أَتَأَلَّفُهُمْ، لِأَنَّهُمْ [ص:94] حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ»
হাদীস নং: ২৯২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৭
১৯৫৯. নবী (ﷺ) ইসলামের প্রতি যাদের মন আকৃষ্ট করার প্রয়োজন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস ইত্যাদি থেকে দান করতেন।
২৯২৬। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, যখন আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে হাওয়াযিন গোত্রের মাল থেকে যা দেওয়ার তা দান করলেন। আর তিনি কুরাইশ গোত্রের লোকদের একশ’ করে উট দিতে লাগলেন। তখন আনসারদের থেকে কিছু সংখ্যক লোক বলতে লাগল, আল্লাহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে ক্ষমা করুন। তিনি কুরাইশদেরকে দিচ্ছেন, আমাদেরকে দিচ্ছেন না। অথচ আমাদের তরবারী থেকে তাদের রক্ত এখনও ঝরছে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট তাদের উক্তি পৌঁছান হল। তখন তিনি আনসারদেরকে ডেকে পাঠালেন এবং চর্ম নির্মিত একটি তাবুতে তাদের একত্রিত করলেন আর তাঁদের সঙ্গে তাঁদের ছাড়া আর কাউকে ডাকলেন না। যখন তাঁরা সকলে একত্রিত হলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদের নিকট এলেন এবং বললেন, আমার নিকট তোমাদের সম্পর্কে যে কথা পৌঁছেছে তা কি?
তাদের মধ্যে সমঝদার লোকেরা তাঁকে বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের মধ্য থেকে মুরব্বীরা কিছুই বলেন নি। আমাদের কতিপয় তরুণরা বলেছেঃ আল্লাহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে ক্ষমা করুন। তিনি আনসারদের না দিয়ে কুরাইশদের দিচ্ছেন; অথচ আমাদের তরবারী থেকে তাদের রক্ত এখনও ঝরছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি এমন লোকদের দিচ্ছি, যাদের কুফরীর যুগ সদ্য সমাপ্ত হয়েছে। তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, লোকেরা পার্থিব সম্পদ নিয়ে (মনযিলে) ফিরবে, আর তোমরা আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে নিয়ে মনযিলে ফিরবে, আল্লাহর কসম, তোমরা যা নিয়ে মনযিলে ফিরবে, তা তারা যা নিয়ে ফিরবে, তার চাইতে উত্তম।’
তখন আনসারগণ বললেন, ‘হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা এতে সন্তুষ্ট।’ তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমার পরে তোমরা তোমাদের উপর অন্যদের প্রাধান্য দেখতে পাবে। তখন তোমরা ধৈর্যধারণ করে থাকবে, যে পর্যন্ত না তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)- এর সঙ্গে হাউযে (কাউসারে) মিলিত হবে।’ আনাস (রাযিঃ) বলেন, কিন্তু আমরা (আনসারগণ) ধৈর্যধারণ করতে পারি নি।
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنَ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
3147 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ نَاسًا مِنَ الأَنْصَارِ قَالُوا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَمْوَالِ هَوَازِنَ مَا أَفَاءَ، فَطَفِقَ يُعْطِي رِجَالًا مِنْ قُرَيْشٍ المِائَةَ مِنَ الإِبِلِ، فَقَالُوا: يَغْفِرُ اللَّهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُعْطِي قُرَيْشًا وَيَدَعُنَا، وَسُيُوفُنَا تَقْطُرُ مِنْ دِمَائِهِمْ، قَالَ أَنَسٌ: فَحُدِّثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَقَالَتِهِمْ، فَأَرْسَلَ إِلَى الأَنْصَارِ، فَجَمَعَهُمْ فِي قُبَّةٍ مِنْ أَدَمٍ، وَلَمْ يَدْعُ مَعَهُمْ أَحَدًا غَيْرَهُمْ، فَلَمَّا اجْتَمَعُوا جَاءَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «مَا كَانَ حَدِيثٌ بَلَغَنِي عَنْكُمْ» . قَالَ لَهُ فُقَهَاؤُهُمْ: أَمَّا ذَوُو آرَائِنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَلَمْ يَقُولُوا شَيْئًا، وَأَمَّا أُنَاسٌ مِنَّا حَدِيثَةٌ أَسْنَانُهُمْ، فَقَالُوا: يَغْفِرُ اللَّهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُعْطِي قُرَيْشًا، وَيَتْرُكُ الأَنْصَارَ، وَسُيُوفُنَا تَقْطُرُ مِنْ دِمَائِهِمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي أُعْطِي رِجَالًا حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ بِكُفْرٍ، أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالأَمْوَالِ، وَتَرْجِعُوا إِلَى رِحَالِكُمْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَاللَّهِ مَا تَنْقَلِبُونَ بِهِ خَيْرٌ مِمَّا يَنْقَلِبُونَ بِهِ» ، قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ رَضِينَا، فَقَالَ لَهُمْ: «إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ بَعْدِي أَثَرَةً شَدِيدَةً، فَاصْبِرُوا حَتَّى تَلْقَوُا اللَّهَ وَرَسُولَهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الحَوْضِ» قَالَ أَنَسٌ فَلَمْ نَصْبِرْ
হাদীস নং: ২৯২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৮
১৯৫৯. নবী (ﷺ) ইসলামের প্রতি যাদের মন আকৃষ্ট করার প্রয়োজন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস ইত্যাদি থেকে দান করতেন।
২৯২৭। আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ ওয়াইসী (রাহঃ) .... জুবাইর ইবনে মুতঈম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলেন, আর তখন তাঁর সঙ্গে আরো লোক ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন হুনাইন থেকে আসছিলেন। বেদুঈন লোকেরা তাঁর কাছে গনীমতের মাল চাইতে এসে তাঁকে আকড়িয়ে ধরল। এমনকি তারা তাঁকে একটি বাবলা গাছের সাথে ঠেকিয়ে দিল এবং কাঁটা তার চাদর আটকে ধরল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থামলেন। তারপর বললেন, ‘আমার চাঁদরখানি দাও। আমার নিকট যদি এ সকল কাঁটাদার বন্য বৃক্ষের সমপরিমাণ পশু থাকত, তবে সেগুলো তোমাদের মধ্যে বণ্টন করে দিতাম। এরপরও আমাকে তোমরা কখনো কৃপণ, মিথ্যাবাদী এবং দুর্বল চিত্ত পাবে না।’
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنَ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
3148 - حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأُوَيْسِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جُبَيْرٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ، أَنَّهُ بَيْنَا هُوَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ النَّاسُ، مُقْبِلًا مِنْ حُنَيْنٍ، عَلِقَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الأَعْرَابُ يَسْأَلُونَهُ حَتَّى اضْطَرُّوهُ إِلَى سَمُرَةٍ، فَخَطِفَتْ رِدَاءَهُ، فَوَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَعْطُونِي رِدَائِي، فَلَوْ كَانَ عَدَدُ هَذِهِ العِضَاهِ نَعَمًا، لَقَسَمْتُهُ بَيْنَكُمْ، ثُمَّ لاَ تَجِدُونِي بَخِيلًا، وَلاَ كَذُوبًا، وَلاَ جَبَانًا»
হাদীস নং: ২৯২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৯
১৯৫৯. নবী (ﷺ) ইসলামের প্রতি যাদের মন আকৃষ্ট করার প্রয়োজন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস ইত্যাদি থেকে দান করতেন।
২৯২৮। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)- এর সঙ্গে রাস্তায় চলছিলাম। তখন তিনি মোটা পাড়ের নযরানে প্রস্তুত চাদর পরিহিত ছিলেন। এক বেদুঈন তাঁকে পেয়ে খুব জোরে টেনে ধরল। অবশেষে আমি লক্ষ্য করলাম, তার জোরে টানার কারণে নবী (ﷺ)- এর কাঁধে চাঁদরের পাড়ের দাগ বসে গেছে। তারপর বেদুঈন বলল, ‘আল্লাহর যে সম্পদ আপনার কাছে রয়েছে তা থেকে আমাকে কিছু দেওয়ার নির্দেশ দিন।’ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার প্রতি তাকিয়ে একটি মুচকি হাসি দিলেন, আর তাকে কিছু দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنَ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
3149 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ [ص:95] رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كُنْتُ أَمْشِي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْهِ بُرْدٌ نَجْرَانِيٌّ غَلِيظُ الحَاشِيَةِ، فَأَدْرَكَهُ أَعْرَابِيٌّ فَجَذَبَهُ جَذْبَةً شَدِيدَةً، حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى صَفْحَةِ عَاتِقِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَثَّرَتْ بِهِ حَاشِيَةُ الرِّدَاءِ مِنْ شِدَّةِ جَذْبَتِهِ، ثُمَّ قَالَ: مُرْ لِي مِنْ مَالِ اللَّهِ الَّذِي عِنْدَكَ، فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ فَضَحِكَ، ثُمَّ «أَمَرَ لَهُ بِعَطَاءٍ»
হাদীস নং: ২৯২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৫০
১৯৫৯. নবী (ﷺ) ইসলামের প্রতি যাদের মন আকৃষ্ট করার প্রয়োজন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস ইত্যাদি থেকে দান করতেন।
২৯২৯। উসমান ইবনে আবু শাইবা (রাহঃ) .... আবুদল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুনাইনের দিনে নবী (ﷺ) কোন কোন লোককে বন্টনে অন্যদের উপর প্রাধান্য দেন। তিনি আকরা ইবনে হাবিছকে একশ’ উট দিলেন। উয়াইনাকেও এ পরিমাণ দেন। সম্ভ্রান্ত আরব ব্যক্তিদের দিলেন। এক ব্যক্তি বলল, আল্লাহর কসম। এখানে সুবিচার করা হয়নি। অথবা সে বলল, এতে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়নি। (রাবী বলেন), তখন আমি বললাম, আল্লাহর কসম! আমি নবী (ﷺ)- কে অবশ্যই জানিয়ে দিব। তখন আমি তাঁর কাছে এলাম এবং তাঁকে একথা জানিয়ে দিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল (ﷺ) যদি সুবিচার না করেন, তবে কে সুবিচার করবে? আল্লাহ তাআলা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর প্রতি রহমত নাযিল করুন, তাঁকে এ চাইতেও অধিক কষ্ট দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি সবর করেছেন।’
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنَ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
3150 - حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ حُنَيْنٍ، آثَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُنَاسًا فِي القِسْمَةِ، فَأَعْطَى الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ مِائَةً مِنَ الإِبِلِ، وَأَعْطَى عُيَيْنَةَ مِثْلَ ذَلِكَ، وَأَعْطَى أُنَاسًا مِنْ أَشْرَافِ العَرَبِ فَآثَرَهُمْ يَوْمَئِذٍ فِي القِسْمَةِ، قَالَ رَجُلٌ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذِهِ القِسْمَةَ مَا عُدِلَ فِيهَا، وَمَا أُرِيدَ بِهَا وَجْهُ اللَّهِ، فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَأُخْبِرَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَتَيْتُهُ، فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: «فَمَنْ يَعْدِلُ إِذَا لَمْ يَعْدِلِ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، رَحِمَ اللَّهُ مُوسَى قَدْ أُوذِيَ بِأَكْثَرَ مِنْ هَذَا فَصَبَرَ»
হাদীস নং: ২৯৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৫১
১৯৫৯. নবী (ﷺ) ইসলামের প্রতি যাদের মন আকৃষ্ট করার প্রয়োজন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস ইত্যাদি থেকে দান করতেন।
২৯৩০। মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) .... আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নিজ মাথায় করে সে জমিন থেকে খেজুর দানা বহন করে আনতাম, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যুবাইর (রাযিঃ)- কে দান করেছিলেন। যে জমীনটি আমার ঘর থেকে এক ‘ফারসাখে’ দু’তৃতীয়াংশ ব্যবধানে অবস্থিত ছিল। আর আবু যামরাহ (রাহঃ) হিশামের পিতা উরওয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যুবাইর (রাযিঃ)- কে বনু নাযীর গোত্রের সম্পত্তি থেকে একখণ্ড জমি দিয়েছিলেন।
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنَ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
3151 - حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَتْ: «كُنْتُ أَنْقُلُ النَّوَى مِنْ أَرْضِ الزُّبَيْرِ الَّتِي أَقْطَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَأْسِي، وَهِيَ مِنِّي عَلَى ثُلُثَيْ فَرْسَخٍ» وَقَالَ أَبُو ضَمْرَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْطَعَ الزُّبَيْرَ أَرْضًا مِنْ أَمْوَالِ بَنِي النَّضِيرِ
হাদীস নং: ২৯৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৫২
১৯৫৯. নবী (ﷺ) ইসলামের প্রতি যাদের মন আকৃষ্ট করার প্রয়োজন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস ইত্যাদি থেকে দান করতেন।
২৯৩১। আহমদ ইবনে মিকদাম (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদেরকে হিজায ভূখণ্ড থেকে নির্বাসিত করেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন খায়বার জয় করেন, তখন তিনিও ইয়াহুদীদের সেখান থেকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। আর সে জমীন বিজিত হওয়ার পর তা আল্লাহ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও মুসলিমগণের অধিকারে এসে গিয়েছিল। তখন ইয়াহুদীরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট আবেদন করল, যেন তিনি তাদের এখানে এ শর্তে থাকার অনুমতি দেন যে, তারা কৃষি কাজ করবে এবং তাদের জন্য অর্ধেক ফসল থাকবে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, যতদিন আমরা চাই তোমাদের এ শর্তে থাকার অনুমতি দিচ্ছি। তারা এভাবে রয়ে গেল। অবশেষে উমর (রাযিঃ) তাঁর শাসনামলে তাদের তায়মা বা আরীহা নামক স্থানের দিকে নির্বাসিত করেন।
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنَ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
3152 - حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ المِقْدَامِ، حَدَّثَنَا الفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ عُمَرَ بْنَ الخَطَّابِ أَجْلَى اليَهُودَ، وَالنَّصَارَى مِنْ أَرْضِ الحِجَازِ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا ظَهَرَ عَلَى أَهْلِ خَيْبَرَ، أَرَادَ أَنْ يُخْرِجَ اليَهُودَ مِنْهَا، وَكَانَتِ الأَرْضُ لَمَّا ظَهَرَ عَلَيْهَا لِلْيَهُودِ وَلِلرَّسُولِ وَلِلْمُسْلِمِينَ، فَسَأَلَ اليَهُودُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَتْرُكَهُمْ عَلَى أَنْ يَكْفُوا العَمَلَ وَلَهُمْ نِصْفُ الثَّمَرِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نُقِرُّكُمْ عَلَى ذَلِكَ مَا شِئْنَا» ، فَأُقِرُّوا حَتَّى أَجْلاَهُمْ عُمَرُ فِي إِمَارَتِهِ إِلَى تَيْمَاءَ، وَأَرِيحَا