আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ৩৬১০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৮৯
২১৫২. মক্কায় (থাকাকালীন) নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট আনসারের প্রতিনিধি দল এবং আকাবার বায়‘আত
৩৬১০। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়ের (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে কা‘ব (রাহঃ) যিনি কা‘ব এর পথ প্রদর্শক ছিলেন যখন কা‘ব অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি বলেন, আমি কা‘ব ইবনে মালিক (রাযিঃ)- কে তাবুক যুদ্ধকালে নবী কারীম (ﷺ) থেকে তাঁর পশ্চাতে থেকে যাওয়ার ঘটনাটি সবিস্তারে বর্ণনা করতে শুনেছি। ইবনে বুকায়র তাঁর বর্ণনায় এ কথাটিও বলেন যে, কা‘ব (রাযিঃ) বলেছেন, আমি আকাবার রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। যখন আমরা ইসলামের উপর অটল থাকার অঙ্গীকার করেছিলাম। সে রাত্রের পরিবর্তে বদর যুদ্ধে উপস্থিত হওয়া আমার নিকট অধিক প্রিয় নয়, যদিও বদর যুদ্ধ জনগণের মধ্যে আকাবার তুলনায় অধিক আলোচিত ছিল।
باب وُفُودُ الأَنْصَارِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ وَبَيْعَةُ الْعَقَبَةِ
3889 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ [ص:55]، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، ح حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبٍ، وَكَانَ قَائِدَ كَعْبٍ حِينَ عَمِيَ، قَالَ: سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ يُحَدِّثُ حِينَ تَخَلَّفَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ، بِطُولِهِ. قَالَ ابْنُ بُكَيْرٍ فِي حَدِيثِهِ: وَلَقَدْ «شَهِدْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ العَقَبَةِ، حِينَ تَوَاثَقْنَا عَلَى الإِسْلاَمِ، وَمَا أُحِبُّ أَنَّ لِي بِهَا مَشْهَدَ بَدْرٍ وَإِنْ كَانَتْ بَدْرٌ أَذْكَرَ فِي النَّاسِ مِنْهَا»
হাদীস নং: ৩৬১১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৯০
২১৫২. মক্কায় (থাকাকালীন) নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট আনসারের প্রতিনিধি দল এবং আকাবার বায়‘আত
৩৬১১। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আকাবার রাতে আমার দু’জন মামা আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন, ইবনে উয়াইনা বলেন, দু’জন মামার একজন হলেন বারা ইবনে মারূর (রাযিঃ)।
باب وُفُودُ الأَنْصَارِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ وَبَيْعَةُ الْعَقَبَةِ
3890 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: كَانَ عَمْرٌو، يَقُولُ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، يَقُولُ: «شَهِدَ بِي خَالاَيَ العَقَبَةَ» قَالَ: أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ، أَحَدُهُمَا البَرَاءُ بْنُ مَعْرُورٍ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬১২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৯১
২১৫২. মক্কায় (থাকাকালীন) নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট আনসারের প্রতিনিধি দল এবং আকাবার বায়‘আত
৩৬১২। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) .... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি আমার পিতা আব্দুল্লাহ এবং আমার মামা আকাবায় (বায়‘আতে) অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলাম।
باب وُفُودُ الأَنْصَارِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ وَبَيْعَةُ الْعَقَبَةِ
3891 - حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ عَطَاءٌ: قَالَ جَابِرٌ: «أَنَا، وَأَبِي، وَخَالِي، مِنْ أَصْحَابِ العَقَبَةِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৯২
২১৫২. মক্কায় (থাকাকালীন) নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট আনসারের প্রতিনিধি দল এবং আকাবার বায়‘আত
৩৬১৩। ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) .... আবু ইদরীস আয়ীযুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) যিনি নবী কারীম (ﷺ)- এর সঙ্গে বদর যুদ্ধে এবং আকাবার রাতে উপস্থিত সাহাবীদের মধ্যে ছিলেন- তিনি আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীদের একটি দলকে লক্ষ্য করে বললেন, এস তোমরা আমার কাছে একথার উপর বায়‘আত কর যে, তোমরা আল্লাহ তাআলার সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না, তোমরা চুরি করবে না, তোমরা ব্যভিচার করবে না; তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, তোমরা (কারো প্রতি) অপবাদ আরোপ করবে না যা তোমরা নিজে থেকে বানিয়ে নাও, তোমরা নেক কাজে আমার নাফরমানী করবে না, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এসব শর্ত পূরণ করে চলবে সে আল্লাহ পাকের নিকট তার প্রতিদান অবশ্যই পাবে। আর যে এসবের কোন কিছুতে লিপ্ত হয় এবং তাকে এ কারণে দুনিয়াতে আইনানুগ শাস্তি দেয়া হয়, তবে এ শাস্তি তার কাফফারা হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি এ সবের কোনটিতে লিপ্ত হল আর আল্লাহ তা গোপন রাখেন, তবে তার ব্যাপারটি আল্লাহ পাকের ওপর ন্যস্ত। তিনি ইচ্ছে করলে শাস্তি দিবেন আর ইচ্ছে করলে মাফ করবেন। উবাদা (রাযিঃ) বলেন, আমিও এসব শর্তের উপর নবী কারীম (ﷺ) হাতে বায়‘আত করেছি।
باب وُفُودُ الأَنْصَارِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ وَبَيْعَةُ الْعَقَبَةِ
3892 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو إِدْرِيسَ عَائِذُ اللَّهِ، أَنَّ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ، مِنَ الَّذِينَ شَهِدُوا بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمِنْ أَصْحَابِهِ لَيْلَةَ العَقَبَةِ أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: وَحَوْلَهُ عِصَابَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ: «تَعَالَوْا بَايِعُونِي عَلَى أَنْ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا، وَلاَ تَسْرِقُوا، وَلاَ تَزْنُوا، وَلاَ تَقْتُلُوا أَوْلاَدَكُمْ، وَلاَ تَأْتُوا بِبُهْتَانٍ تَفْتَرُونَهُ بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَأَرْجُلِكُمْ، وَلاَ تَعْصُونِي فِي مَعْرُوفٍ، فَمَنْ وَفَى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ، وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَعُوقِبَ بِهِ فِي الدُّنْيَا فَهُوَ لَهُ كَفَّارَةٌ، وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَسَتَرَهُ اللَّهُ فَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ، إِنْ شَاءَ عَاقَبَهُ، وَإِنْ شَاءَ عَفَا عَنْهُ» قَالَ: فَبَايَعْتُهُ عَلَى ذَلِكَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৯৩
২১৫২. মক্কায় (থাকাকালীন) নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট আনসারের প্রতিনিধি দল এবং আকাবার বায়‘আত
৩৬১৪। কুতায়বা (রাহঃ) .... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ঐ মনোনীত প্রতিনিধি দলের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম, যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে বায়‘আত গ্রহণ করেছিল। তিনি আরও বলেন, আমরা তাঁর কাছে বায়‘আত গ্রহণ করেছিলাম জান্নাত লাভের জন্য যদি আমরা এই কাজগুলো করি এই শর্তে যে, আমরা আল্লাহর সঙ্গে কোন কিছুকেই শরীক করব না, ব্যভিচারে লিপ্ত হব না, চুরি করব না, আল্লাহ যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, তাকে না হক হত্যা করব না,লুটতরাজ করব না, এবং নাফরমানী করব না। আর যদি আমরা এর মধ্যে কোনটিতে লিপ্ত হই, তবে এর ফয়সালা আল্লাহ তাআলার উপর ন্যস্ত।
باب وُفُودُ الأَنْصَارِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ وَبَيْعَةُ الْعَقَبَةِ
3893 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الخَيْرِ، عَنْ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ: إِنِّي مِنَ النُّقَبَاءِ الَّذِينَ بَايَعُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ: «بَايَعْنَاهُ عَلَى أَنْ لاَ نُشْرِكَ بِاللَّهِ شَيْئًا، وَلاَ نَسْرِقَ، وَلاَ نَزْنِيَ، وَلاَ نَقْتُلَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ، وَلاَ نَنْتَهِبَ، وَلاَ نَعْصِيَ، بِالْجَنَّةِ، إِنْ فَعَلْنَا ذَلِكَ، فَإِنْ غَشِينَا مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا، كَانَ قَضَاءُ ذَلِكَ إِلَى اللَّهِ»