আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ৩৪৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৫
২০৮৬. উসমান ইবনে আফফান আবু আমর কুরাইশী (রাযিঃ) এর ফযীলত ও মর্যাদা। নবী কারীম (ﷺ) বলেন, রূমা কূপটি যে খনন করে দিবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাযিঃ) তা খনন করে দিলেন। নবী কারীম (ﷺ) আরো বলেন, যে সংকটপূর্ণ যুদ্ধে (তাবুক যুদ্ধে) যুদ্ধের সাজ-সরঞ্জামের ব্যবস্থা করবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাযিঃ) তা করে দেন।
৩৪৩০। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) .... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী কারীম (ﷺ) একটি বাগানে প্রবেশ করলেন এবং বাগানের দরজা পাহারা দেওয়ার জন্য আমাকে আদেশ করলেন। তখন এক ব্যক্তি এসে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। নবী কারীম (ﷺ) বললেন, তাকে আসতে দাও এবং তাঁকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। আমি (দরজা খুলে) দেখলাম যে, তিনি আবু বকর (রাযিঃ)।
তারপর আরো একজন এসে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তিনি বললেন, তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সু-সংবাদ জানিয়ে দাও। (দরজা খুলে) দেখতে পেলেন, তিনি উমর (রাযিঃ)। তারপর আরো একজন এসে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। নবী কারীম (ﷺ) কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে পরে বললেন, তাঁকেও প্রবেশের অনুমতি দাও এবং অচিরেই তাঁর উপর বিপদ আসবে। একথাটির সাথে জান্নাতের সু-সংবাদ জানিয়ে দাও। (দরজা খুলে) দেখতে পেলাম যে, তিনি উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)।
হাম্মাদ (রাহঃ) .... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। আসিম (রাহঃ) (একজন রাবী) উক্ত বর্ণনায় আরো বলেন, নবী কারীম (ﷺ) বাগানের এমন এক জায়গায় বসাছিলেন যেখানে পানি ছিল এবং তাঁর হাঁটু অথবা এক হাঁটুর উপর অতিরিক্ত ছিলনা। যখন উসমান (রাযিঃ) আসলেন তখন হাঁটু কাপড় দিয়ে ঢেকে ফেললেন।
তারপর আরো একজন এসে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তিনি বললেন, তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সু-সংবাদ জানিয়ে দাও। (দরজা খুলে) দেখতে পেলেন, তিনি উমর (রাযিঃ)। তারপর আরো একজন এসে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। নবী কারীম (ﷺ) কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে পরে বললেন, তাঁকেও প্রবেশের অনুমতি দাও এবং অচিরেই তাঁর উপর বিপদ আসবে। একথাটির সাথে জান্নাতের সু-সংবাদ জানিয়ে দাও। (দরজা খুলে) দেখতে পেলাম যে, তিনি উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)।
হাম্মাদ (রাহঃ) .... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। আসিম (রাহঃ) (একজন রাবী) উক্ত বর্ণনায় আরো বলেন, নবী কারীম (ﷺ) বাগানের এমন এক জায়গায় বসাছিলেন যেখানে পানি ছিল এবং তাঁর হাঁটু অথবা এক হাঁটুর উপর অতিরিক্ত ছিলনা। যখন উসমান (রাযিঃ) আসলেন তখন হাঁটু কাপড় দিয়ে ঢেকে ফেললেন।
باب مَنَاقِبُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَبِي عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ رضى الله عنه وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ‘مَنْ يَحْفِرْ بِئْرَ رُومَةَ فَلَهُ الْجَنَّةُ’. فَحَفَرَهَا عُثْمَانُ. وَقَالَ: ‘مَنْ جَهَّزَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَلَهُ الْجَنَّةُ’. فَجَهَّزَهُ عُثْمَانُ
3695 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي مُوسَى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ حَائِطًا وَأَمَرَنِي بِحِفْظِ بَابِ الحَائِطِ، فَجَاءَ رَجُلٌ يَسْتَأْذِنُ [ص:14]، فَقَالَ: «ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ» ، فَإِذَا أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ جَاءَ آخَرُ يَسْتَأْذِنُ، فَقَالَ: «ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ» ، فَإِذَا عُمَرُ، ثُمَّ جَاءَ آخَرُ يَسْتَأْذِنُ فَسَكَتَ هُنَيْهَةً ثُمَّ قَالَ: «ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ عَلَى بَلْوَى سَتُصِيبُهُ» ، فَإِذَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ
قَالَ حَمَّادٌ، وَحَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، وَعَلِيُّ بْنُ الحَكَمِ، سَمِعَا أَبَا عُثْمَانَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مُوسَى، بِنَحْوِهِ وَزَادَ فِيهِ عَاصِمٌ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ قَاعِدًا فِي مَكَانٍ فِيهِ مَاءٌ، قَدِ انْكَشَفَ عَنْ رُكْبَتَيْهِ أَوْ رُكْبَتِهِ، فَلَمَّا دَخَلَ عُثْمَانُ غَطَّاهَا»
قَالَ حَمَّادٌ، وَحَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، وَعَلِيُّ بْنُ الحَكَمِ، سَمِعَا أَبَا عُثْمَانَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مُوسَى، بِنَحْوِهِ وَزَادَ فِيهِ عَاصِمٌ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ قَاعِدًا فِي مَكَانٍ فِيهِ مَاءٌ، قَدِ انْكَشَفَ عَنْ رُكْبَتَيْهِ أَوْ رُكْبَتِهِ، فَلَمَّا دَخَلَ عُثْمَانُ غَطَّاهَا»
হাদীস নং: ৩৪৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৬
২০৮৬. উসমান ইবনে আফফান আবু আমর কুরাইশী (রাযিঃ) এর ফযীলত ও মর্যাদা।
৩৪৩১। আহমদ ইবনে শাবীব ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... উবাইদুল্লাহ ইবনে আদী ইবনে খিয়ার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মিসওয়ার ইবনে মাখরামা ও আব্দুর রহমান ইবনে আসওয়াদ ইবনে আব্দ ইয়াগুস (রাহঃ) আমাকে বললেন যে, উসমান (রাযিঃ)-এর সাথে তাঁর (বৈপিত্রিয় ভাই) অলীদের বিষয় আলোচনা করতে তোমাকে কি সে বাঁধা দেয়? জনগণ তার সম্পর্কে নানারূপ কথাবার্তা বলছে। উসমান (রাযিঃ) যখন নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হলেন। তখন আমি তাঁর নিকটে গিয়ে বললাম, আপনার সাথে আমার একটি প্রয়োজন আছে এবং তা আমি আপনার কল্যাণের জন্যই বলবো।
উসমান (রাযিঃ) বললেন, ওহে, আমি তোমার থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাচ্ছি। আমি তাদের কাছে ফিরে আসলাম। তৎক্ষণাৎ উসমান (রাযিঃ)- এর দূত এসে হাযির হল। আমি তার খেদমতে গেলাম। তিনি (আমাকে দেখে) বললেন, বল, তোমার নসিহত (উপদেশ) কি? আমি বললাম, আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ)- কে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন। কুরআনে কারীম তাঁর (ﷺ) উপর অবতীর্ণ করেছেন। আপনি ঐ সকল (মহামানব)- এর অন্যতম যাঁরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আহবানে সাড়া দিয়েছেন।
আপনি (হাবসা ও মদীনা) উভয় (স্থানে) হিজরত করেছেন এবং আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তাঁর চরিত্র মাধুর্য প্রত্যক্ষ করেছেন। (আপনার ভাই) অলীদ সম্পর্কে জনগণ নানারূপ কথাবার্তা বলাবলি করছে। (সে বিষয় অতি সত্বর ব্যবস্থা করা কর্তব্য)। উসমান (রাযিঃ) আমাকে বললেন তুমি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাক্ষাত লাভ করেছ? আমি বললাম না। তবে তাঁর ইলম আমার পর্দানশীন কুমারীগণের কাছে যখন পৌছেছে তখন আমার কাছে অবশ্যই পৌছেছে। উসমান (রাযিঃ) হামদ ও সানা বর্ণনা করে বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ)- কে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দানকারীদের মধ্যে আমিও ছিলাম। তাঁর আনীত শরীয়তের উপর আমিও ঈমান এনেছি। (হাবসা এবং মদীনায়) আমি উভয় হিজরত করেছি, যেমন তুমি বলছ।
আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহচর্য লাভ করেছি, তাঁর হাতে বায়‘আত করেছি। আল্লাহর কসম, আমি তাঁর নাফরমানী করিনি ও তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতাও করিনি। অবশেষে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে দুনিয়া হতে নিয়ে গিয়েছেন। তারপর আবু বকর (রাযিঃ)- এর সাথে অনুরূপ সম্পর্ক ছিল। এরপর উমর (রাযিঃ)- এর সঙ্গেও অনুরূপ সম্পর্ক ছিল। তারপর আমার কাঁধে খিলাফতের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমার কি ঐ সকল অধিকার নেই যা তাঁদের ছিল? আমি বললাম হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বললেন, তাহলে তোমাদের পক্ষ থেকে কী সব কথাবার্তা আমার নিকট পৌছেছে? অবশ্য অলীদ সম্পর্কে তুমি যা বলছ অতি সত্বর আমি সে সম্পর্কে সঠিক পদক্ষেপ নিব। এ বলে তিনি আলী (রাযিঃ)- কে ডেকে এনে অলীদকে বেত্রাঘাত করার জন্য আদেশ দিলেন। আলী (রাযিঃ) তাকে আশিটি বেত্রাঘাত করলেন।
উসমান (রাযিঃ) বললেন, ওহে, আমি তোমার থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাচ্ছি। আমি তাদের কাছে ফিরে আসলাম। তৎক্ষণাৎ উসমান (রাযিঃ)- এর দূত এসে হাযির হল। আমি তার খেদমতে গেলাম। তিনি (আমাকে দেখে) বললেন, বল, তোমার নসিহত (উপদেশ) কি? আমি বললাম, আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ)- কে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন। কুরআনে কারীম তাঁর (ﷺ) উপর অবতীর্ণ করেছেন। আপনি ঐ সকল (মহামানব)- এর অন্যতম যাঁরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আহবানে সাড়া দিয়েছেন।
আপনি (হাবসা ও মদীনা) উভয় (স্থানে) হিজরত করেছেন এবং আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তাঁর চরিত্র মাধুর্য প্রত্যক্ষ করেছেন। (আপনার ভাই) অলীদ সম্পর্কে জনগণ নানারূপ কথাবার্তা বলাবলি করছে। (সে বিষয় অতি সত্বর ব্যবস্থা করা কর্তব্য)। উসমান (রাযিঃ) আমাকে বললেন তুমি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাক্ষাত লাভ করেছ? আমি বললাম না। তবে তাঁর ইলম আমার পর্দানশীন কুমারীগণের কাছে যখন পৌছেছে তখন আমার কাছে অবশ্যই পৌছেছে। উসমান (রাযিঃ) হামদ ও সানা বর্ণনা করে বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ)- কে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দানকারীদের মধ্যে আমিও ছিলাম। তাঁর আনীত শরীয়তের উপর আমিও ঈমান এনেছি। (হাবসা এবং মদীনায়) আমি উভয় হিজরত করেছি, যেমন তুমি বলছ।
আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহচর্য লাভ করেছি, তাঁর হাতে বায়‘আত করেছি। আল্লাহর কসম, আমি তাঁর নাফরমানী করিনি ও তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতাও করিনি। অবশেষে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে দুনিয়া হতে নিয়ে গিয়েছেন। তারপর আবু বকর (রাযিঃ)- এর সাথে অনুরূপ সম্পর্ক ছিল। এরপর উমর (রাযিঃ)- এর সঙ্গেও অনুরূপ সম্পর্ক ছিল। তারপর আমার কাঁধে খিলাফতের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমার কি ঐ সকল অধিকার নেই যা তাঁদের ছিল? আমি বললাম হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বললেন, তাহলে তোমাদের পক্ষ থেকে কী সব কথাবার্তা আমার নিকট পৌছেছে? অবশ্য অলীদ সম্পর্কে তুমি যা বলছ অতি সত্বর আমি সে সম্পর্কে সঠিক পদক্ষেপ নিব। এ বলে তিনি আলী (রাযিঃ)- কে ডেকে এনে অলীদকে বেত্রাঘাত করার জন্য আদেশ দিলেন। আলী (রাযিঃ) তাকে আশিটি বেত্রাঘাত করলেন।
باب مَنَاقِبُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَبِي عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ رضى الله عنه
3696 - حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ شَبِيبِ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يُونُسَ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَدِيِّ بْنِ الخِيَارِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ المِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ، قَالاَ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُكَلِّمَ عُثْمَانَ لِأَخِيهِ الوَلِيدِ، فَقَدْ أَكْثَرَ النَّاسُ فِيهِ، فَقَصَدْتُ لِعُثْمَانَ حَتَّى خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ، قُلْتُ: إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً، وَهِيَ نَصِيحَةٌ لَكَ، قَالَ: يَا أَيُّهَا المَرْءُ - قَالَ مَعْمَرٌ أُرَاهُ قَالَ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ - فَانْصَرَفْتُ، فَرَجَعْتُ إِلَيْهِمْ إِذْ جَاءَ رَسُولُ عُثْمَانَ فَأَتَيْتُهُ، فَقَالَ: مَا نَصِيحَتُكَ؟ فَقُلْتُ: " إِنَّ اللَّهَ سُبْحَانَهُ بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الكِتَابَ، وَكُنْتَ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَهَاجَرْتَ الهِجْرَتَيْنِ، وَصَحِبْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَأَيْتَ هَدْيَهُ وَقَدْ أَكْثَرَ النَّاسُ فِي شَأْنِ الوَلِيدِ، قَالَ: أَدْرَكْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قُلْتُ: لاَ، وَلَكِنْ خَلَصَ إِلَيَّ مِنْ عِلْمِهِ مَا يَخْلُصُ إِلَى العَذْرَاءِ فِي سِتْرِهَا، قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالحَقِّ، فَكُنْتُ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ، وَآمَنْتُ بِمَا بُعِثَ بِهِ، وَهَاجَرْتُ الهِجْرَتَيْنِ، كَمَا قُلْتَ، وَصَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَايَعْتُهُ، فَوَاللَّهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلاَ غَشَشْتُهُ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، ثُمَّ أَبُو بَكْرٍ مِثْلُهُ، ثُمَّ عُمَرُ مِثْلُهُ، ثُمَّ اسْتُخْلِفْتُ، أَفَلَيْسَ لِي مِنَ الحَقِّ مِثْلُ الَّذِي لَهُمْ؟ قُلْتُ: بَلَى، قَالَ: فَمَا هَذِهِ الأَحَادِيثُ الَّتِي تَبْلُغُنِي عَنْكُمْ؟ أَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ شَأْنِ الوَلِيدِ، فَسَنَأْخُذُ فِيهِ بِالحَقِّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ دَعَا عَلِيًّا، فَأَمَرَهُ أَنْ يَجْلِدَهُ فَجَلَدَهُ ثَمَانِينَ "

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৪৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৭
২০৮৬. উসমান ইবনে আফফান আবু আমর কুরাইশী (রাযিঃ) এর ফযীলত ও মর্যাদা।
৩৪৩২। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম ইবনে বাযী (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী কারীম (ﷺ)- এর যামানায় (মর্যাদায়) আবু বকর (রাযিঃ)- এর সমকক্ষ কাউকে মনে করতাম না, তারপর উমর (রাযিঃ)- কে, তারপর উসমান (রাযিঃ)- কে (মর্যাদা দিতাম), তারপর সাহাবাগণের মধ্যে কাউকে কারও উপর প্রাধান্য দিতাম না। আব্দুল্লাহ ইবনে সালিহ (রাহঃ) আব্দুল আযীয (রাহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় শাযান (রাহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
باب مَنَاقِبُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَبِي عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ رضى الله عنه
3697 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا شَاذَانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ [ص:15] أَبِي سَلَمَةَ المَاجِشُونُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «كُنَّا فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ نَعْدِلُ بِأَبِي بَكْرٍ أَحَدًا، ثُمَّ عُمَرَ، ثُمَّ عُثْمَانَ، ثُمَّ نَتْرُكُ أَصْحَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لاَ نُفَاضِلُ بَيْنَهُمْ» تَابَعَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ العَزِيزِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৮
২০৮৬. উসমান ইবনে আফফান আবু আমর কুরাইশী (রাযিঃ) এর ফযীলত ও মর্যাদা।
৩৪৩৩। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... উসমান ইবনে মাওহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক মিসরবাসী মক্কায় এসে হজ্জ সম্পাদন করে দেখতে পেল যে, কিছু সংখ্যক লোক একত্রে বসে আছে। সে বলল, এ লোকজন কারা? তাকে জানানো হল এরা কুরাইশ বংশের লোকজন। সে বলল, তাদের মধ্যে ঐ শায়েখ ব্যক্তিটি কে? তারা বললেন, ইনি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)। সে ব্যক্তি (তাঁর নিকট এসে) বলল, হে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ), আমি আপনাকে একটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করব; আপনি আমাকে বলুন, (১) আপনি কি এটা জানেন যে, উসমান (রাযিঃ) উহুদ যুদ্ধ (চলাকালে) যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। (২) সে বলল, আপনি জানেন কি উসমান (রাযিঃ) বদর যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন? ইবনে উমর (রাযিঃ) উত্তরে বললেন, হ্যাঁ। (৩) আপনি জানেন কি বায়‘আতে রিযওয়ানে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন? ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, হ্যাঁ। লোকটি বলে উঠল, আল্লাহু আকবার। ইবনে উমর (রাযিঃ) তাকে বললেন, এস, তোমাকে প্রকৃত ঘটনা বলে দেই।
উসমান (রাযিঃ)-এর উহুদ যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যাওয়া সম্পর্কে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাঁকে মাফ করে দিয়েছেন ও ক্ষমা করে দিয়েছেন। (কুরআনে কারীমে এ বিষয়ে উল্লেখ আছে) আর তিনি বদর যুদ্ধে এজন্য অনুপস্থিত ছিলেন যে, নবী কারীম (ﷺ)- এর কন্যা তাঁর স্ত্রী (রোকাইয়া (রাযিঃ)) রোগগ্রস্ত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেন, বদরে অংশ গ্রহণকারী ব্যক্তির সমপরিমাণ সাওয়াব ও গনীমতের অংশ মিলবে। আর বায়‘আতে রিযওয়ান থেকে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ হল, মক্কার বুকে তাঁর (উসমান (রাযিঃ)) চেয়ে সম্ভ্রান্ত, অন্য কেউ যদি থাকতো তবে তাকেই তিনি উসমানের পরিবর্তে পাঠাতেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উসমান (রাযিঃ)- কে মক্কায় প্রেরণ করেন। এবং তাঁর চলে যাওয়ার পর বায়‘আতে রিযওয়ান অনুষ্ঠিত হয়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর ডান হাতের প্রতি ঈঙ্গিত করে বললেন, এটি উসমানের হাত। তারপর ডান হাত বাম হাতে স্থাপন করে বললেন যে, এ হল উসমানের বায়‘আত। ইবনে উমর (রাযিঃ) ঐ (মিসরীয়) লোকটিকে বললেন, তুমি এস এই জবাব নিয়ে যাও।
উসমান (রাযিঃ)-এর উহুদ যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যাওয়া সম্পর্কে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাঁকে মাফ করে দিয়েছেন ও ক্ষমা করে দিয়েছেন। (কুরআনে কারীমে এ বিষয়ে উল্লেখ আছে) আর তিনি বদর যুদ্ধে এজন্য অনুপস্থিত ছিলেন যে, নবী কারীম (ﷺ)- এর কন্যা তাঁর স্ত্রী (রোকাইয়া (রাযিঃ)) রোগগ্রস্ত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেন, বদরে অংশ গ্রহণকারী ব্যক্তির সমপরিমাণ সাওয়াব ও গনীমতের অংশ মিলবে। আর বায়‘আতে রিযওয়ান থেকে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ হল, মক্কার বুকে তাঁর (উসমান (রাযিঃ)) চেয়ে সম্ভ্রান্ত, অন্য কেউ যদি থাকতো তবে তাকেই তিনি উসমানের পরিবর্তে পাঠাতেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উসমান (রাযিঃ)- কে মক্কায় প্রেরণ করেন। এবং তাঁর চলে যাওয়ার পর বায়‘আতে রিযওয়ান অনুষ্ঠিত হয়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর ডান হাতের প্রতি ঈঙ্গিত করে বললেন, এটি উসমানের হাত। তারপর ডান হাত বাম হাতে স্থাপন করে বললেন যে, এ হল উসমানের বায়‘আত। ইবনে উমর (রাযিঃ) ঐ (মিসরীয়) লোকটিকে বললেন, তুমি এস এই জবাব নিয়ে যাও।
باب مَنَاقِبُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَبِي عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ رضى الله عنه
3698 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ هُوَ ابْنُ مَوْهَبٍ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ حَجَّ البَيْتَ، فَرَأَى قَوْمًا جُلُوسًا، فَقَالَ: مَنْ هَؤُلاَءِ القَوْمُ؟ فَقَالُوا هَؤُلاَءِ قُرَيْشٌ، قَالَ: فَمَنِ الشَّيْخُ فِيهِمْ؟ قَالُوا: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: يَا ابْنَ عُمَرَ، إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ شَيْءٍ فَحَدِّثْنِي، هَلْ تَعْلَمُ أَنَّ عُثْمَانَ فَرَّ يَوْمَ أُحُدٍ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: تَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَدْرٍ وَلَمْ يَشْهَدْ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: تَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَمْ يَشْهَدْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ، قَالَ: ابْنُ عُمَرَ: تَعَالَ أُبَيِّنْ لَكَ، أَمَّا فِرَارُهُ يَوْمَ أُحُدٍ، فَأَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ عَفَا عَنْهُ وَغَفَرَ لَهُ، وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَدْرٍ فَإِنَّهُ كَانَتْ تَحْتَهُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَتْ مَرِيضَةً، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لَكَ أَجْرَ رَجُلٍ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا، وَسَهْمَهُ» وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ، فَلَوْ كَانَ أَحَدٌ أَعَزَّ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ عُثْمَانَ لَبَعَثَهُ مَكَانَهُ، فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُثْمَانَ وَكَانَتْ بَيْعَةُ الرِّضْوَانِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ اليُمْنَى: «هَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ» . فَضَرَبَ بِهَا عَلَى يَدِهِ، فَقَالَ: «هَذِهِ لِعُثْمَانَ» فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ اذْهَبْ بِهَا الآنَ مَعَكَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৯
২০৮৬. উসমান ইবনে আফফান আবু আমর কুরাইশী (রাযিঃ) এর ফযীলত ও মর্যাদা।
৩৪৩৪। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) উহুদ পাহাড়ে আরোহণ করলেন। তাঁর সাথে ছিলেন আবু বকর (রাযিঃ), উমর ও উসমান (রাযিঃ)। তাঁদেরকে পেয়ে পাহাড়টি (আনন্দে) কেঁপে উঠল। তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) বললেন, হে উহুদ স্থির হও। (আনাস (রাযিঃ) বলেন) আমার মনে হয় তিনি পা দিয়ে পাহাড়কে আঘাত করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমার উপর একজন নবী ও একজন সিদ্দীক ও দু’জন শহীদ ব্যতীত আর কেউ নেই।
باب مَنَاقِبُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَبِي عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ رضى الله عنه
3699 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ أَنَسًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، حَدَّثَهُمْ قَالَ: صَعِدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُحُدًا وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَعُثْمَانُ، فَرَجَفَ، وَقَالَ: «اسْكُنْ أُحُدُ - أَظُنُّهُ ضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ -، فَلَيْسَ عَلَيْكَ إِلَّا نَبِيٌّ، وَصِدِّيقٌ، وَشَهِيدَانِ»

তাহকীক: