আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৬ টি
হাদীস নং: ৩৪১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৭৯
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪১৪। হাজ্জাজ ইবনে মিনহাল (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) বলেছেন, আমি স্বপ্নে আমাকে দেখতে পেলাম যে, আমি জান্নাতে প্রবেশ করছি। হঠাৎ আবু তালহা (রাযিঃ)- এর স্ত্রী রুমায়সাকে দেখতে পেলাম এবং আমি পদচারণার শব্দও শুনতে পেলাম। তখণ আমি বললাম, এই ব্যক্তি কে? এক ব্যক্তি বলল, তিনি বিলাল (রাযিঃ)। আমি একটি প্রাসাদও দেখতে পেলাম যার আঙ্গিনায় এক মহিলা রয়েছে। আমি বললাম, ঐ প্রাসাদটি কার? এক ব্যক্তি বলল, প্রাসাদটি উমর ইবনে খাত্তাবের (রাযিঃ)। আমি প্রাসাদটিতে প্রবেশ করে (সব কিছু) দেখার ইচ্ছা করলাম। তখন তোমার (উমর (রাযিঃ) সূক্ষ্ম মর্যাদাবোধের কথা স্মরণ করলাম। উমর (রাযিঃ) (এ কথা শুনে) বললেন, আমার বাপ-মা আপনার উপর কুরবান, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার কাছেও কি মর্যাদাবোধ প্রকাশ করতে পারি?
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3679 - حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ المَاجِشُونِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " رَأَيْتُنِي دَخَلْتُ الجَنَّةَ، فَإِذَا أَنَا بِالرُّمَيْصَاءِ، امْرَأَةِ أَبِي طَلْحَةَ، وَسَمِعْتُ خَشَفَةً، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: هَذَا بِلاَلٌ، وَرَأَيْتُ قَصْرًا بِفِنَائِهِ جَارِيَةٌ، فَقُلْتُ: لِمَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: لِعُمَرَ، فَأَرَدْتُ أَنْ أَدْخُلَهُ فَأَنْظُرَ إِلَيْهِ، فَذَكَرْتُ غَيْرَتَكَ " فَقَالَ عُمَرُ: بِأَبِي وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعَلَيْكَ أَغَارُ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮০
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪১৫। সাঈদ ইবনে আবু মারইয়াম (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সময় আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকটে ছিলাম। তখন তিনি বললেন, একবার আমি ঘুমিয়েছিলাম। স্বপ্নে আমি নিজেকে জান্নাতে দেখতে পেলাম। আমি দেখলাম, একজন মহিলা একটি প্রাসাদের আঙ্গিনায় (বসে) উযু করছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ প্রাসাদটি কার? ফিরিশতাগণ বললেন, তা উমর (রাযিঃ)- এর। আমি উমর (রাযিঃ)-এর সূক্ষ্ম মর্যাদাবোধের স্মরণ করে ফিরে এলাম। উমর (রাযিঃ) (তা শুনে) কেঁদে ফেললেন এবং বললেন, আপনার কাছে কি মর্যাদাবোধ দেখাবো ইয়া রাসূলাল্লাহ?
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3680 - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ المُسَيِّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ قَالَ: " بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ رَأَيْتُنِي فِي الجَنَّةِ، فَإِذَا امْرَأَةٌ تَتَوَضَّأُ إِلَى جَانِبِ قَصْرٍ، فَقُلْتُ: لِمَنْ هَذَا القَصْرُ؟ قَالُوا: لِعُمَرَ، فَذَكَرْتُ غَيْرَتَهُ، فَوَلَّيْتُ مُدْبِرًا ". فَبَكَى عُمَرُ، وَقَالَ: أَعَلَيْكَ أَغَارُ يَا رَسُولَ اللَّهِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮১
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪১৬। মুহাম্মাদ ইবনে সালত আবু জাফর-কুফী (রাহঃ) .... হামযা (রাহঃ)- এর পিতা (আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। (স্বপ্নে) দুধ পান করতে দেখলাম, যে তৃপ্তির চিহ্ন যেন আমার নখগুলির মধ্যে প্রবাহিত হচ্ছিল। তারপর দুধ (পান করার জন্য) উমর (রাযিঃ)- কে দিলাম। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি ব্যাখ্যা দিচ্ছেন? তিনি বললেন, ইলম।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3681 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ أَبُو جَعْفَرٍ الكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ المُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي حَمْزَةُ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ، شَرِبْتُ، يَعْنِي، اللَّبَنَ حَتَّى أَنْظُرَ إِلَى الرِّيِّ يَجْرِي فِي ظُفُرِي أَوْ فِي أَظْفَارِي، ثُمَّ نَاوَلْتُ عُمَرَ» فَقَالُوا: فَمَا أَوَّلْتَهُ؟ قَالَ: «العِلْمَ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮২
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪১৭। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (ﷺ) বলেন, আমি স্বপ্নে দেখতে পেলাম একটি কূপের পাড়ে বড় বালতি দিয়ে পানি তুলছি। তখন আবু বকর (রাযিঃ) এসে এক বালতি বা দু’বালতি পানি তুললেন। তবে পানি তোলার মধ্যে তাঁর দুর্বলতা ছিল আল্লাহ্ তাঁকে ক্ষমা করুন। তারপর উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এলেন। বালতিটি তাঁর হাতে গিয়ে বৃহদাকারে পরিণত হল। তাঁর মত এমন বলিষ্ঠভাবে পানি উঠাতে আমি কোন বাহাদুরকেও দেখিনি। এমনকি লোকেরা পরিতৃপ্তির সঙ্গে পানি পান করে আবাসে বিশ্রাম নিল। ইবনে জুবাইর (রাযিঃ) বলেন, الْعَبْقَرِيُّ হল উন্নত মানের সুন্দর বিছানা। ইয়াহয়া (রাহঃ) বলেন, الزَّرَابِيُّ হল মখমলের সূক্ষ্ম সূতার তৈরী বিছানা। ;مَبْثُوثَةٌ অর্থ প্রসারিত। আর الْعَبْقَرِيُّ হল গোত্র নেতা।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3682 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ سَالِمٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أُرِيتُ فِي المَنَامِ أَنِّي أَنْزِعُ بِدَلْوِ بَكْرَةٍ عَلَى قَلِيبٍ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَنَزَعَ ذَنُوبًا، أَوْ ذَنُوبَيْنِ نَزْعًا ضَعِيفًا، وَاللَّهُ يَغْفِرُ لَهُ، ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ فَاسْتَحَالَتْ غَرْبًا، فَلَمْ أَرَ عَبْقَرِيًّا يَفْرِي فَرِيَّهُ حَتَّى رَوِيَ النَّاسُ، وَضَرَبُوا بِعَطَنٍ» قَالَ ابْنُ جُبَيْرٍ: " العَبْقَرِيُّ: عِتَاقُ الزَّرَابِيِّ " وَقَالَ يَحْيَى: الزَّرَابِيُّ: الطَّنَافِسُ لَهَا [ص:11] خَمْلٌ رَقِيقٌ، {مَبْثُوثَةٌ} [الغاشية: 16] : كَثِيرَةٌ وَهُوَ سَيِّدُ الْقَوْمِ اعْنِي الْعَبْقَرِيُّ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮৩
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪১৮। আলী ইবনে আব্দুল্লহ ও আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে আসার অনুমতি চাইলেন। তখন তাঁর সঙ্গে কুরাইশের কতিপয় মহিলা কথা বলছিলেন এবং তাঁরা বেশী পরিমাণ দাবী-দাওয়া করতে গিয়ে তাঁর আওয়াজের চেয়ে তাদের আওয়াজ উচ্চকণ্ঠ ছিল। যখন উমর ইবনে খাত্তাব প্রবেশের অনুমতি চাইলেন তখন তাঁরা (মহিলাগণ) উঠে দ্রুত পর্দার অন্তরালে চলে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে অনুমতি দিলেন। আর উমর (রাযিঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাঁসছিলেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ আপনাকে সদা হাস্য রাখুন ইয়া রাসূলাল্লাহ।
নবী কারীম (ﷺ) বললেন, মহিলাদের কাণ্ড দেখে আমি অবাক হচ্ছি, তাঁরা আমার কাছে ছিল, অথচ তোমার আওয়াজ শুনা মাত্রই তারা সব দ্রুত পর্দার অন্তরালে চলে গেল। উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকেই অধিক ভয় করা উচিত। তারপর উমর (রাযিঃ) ঐ মহিলাগণকে লক্ষ্য করে বললেন, ওহে নিজ ক্ষতিসাধনকারী মহিলাগণ, তোমরা আমাকে ভয় কর, অথচ আল্লাহর রাসূলকে ভয় কর না? তারা উত্তরে বললেন, আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনেক রূঢ় ভাষী ও কঠিন হৃদয়ের। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ ঠিকই হে ইবনে খাত্তাব! যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম, শয়তান যখনই কোন পথে তোমাকে দেখতে পায় তখনই তোমার ভয়ে এ পথ ছেড়ে অন্যপথে চলে যায়।
নবী কারীম (ﷺ) বললেন, মহিলাদের কাণ্ড দেখে আমি অবাক হচ্ছি, তাঁরা আমার কাছে ছিল, অথচ তোমার আওয়াজ শুনা মাত্রই তারা সব দ্রুত পর্দার অন্তরালে চলে গেল। উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকেই অধিক ভয় করা উচিত। তারপর উমর (রাযিঃ) ঐ মহিলাগণকে লক্ষ্য করে বললেন, ওহে নিজ ক্ষতিসাধনকারী মহিলাগণ, তোমরা আমাকে ভয় কর, অথচ আল্লাহর রাসূলকে ভয় কর না? তারা উত্তরে বললেন, আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনেক রূঢ় ভাষী ও কঠিন হৃদয়ের। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ ঠিকই হে ইবনে খাত্তাব! যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম, শয়তান যখনই কোন পথে তোমাকে দেখতে পায় তখনই তোমার ভয়ে এ পথ ছেড়ে অন্যপথে চলে যায়।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3683 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الحَمِيدِ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ سَعْدٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ، قَالَ: ح حَدَّثَنِي عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: اسْتَأْذَنَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعِنْدَهُ نِسْوَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ يُكَلِّمْنَهُ وَيَسْتَكْثِرْنَهُ، عَالِيَةً أَصْوَاتُهُنَّ عَلَى صَوْتِهِ، فَلَمَّا اسْتَأْذَنَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ قُمْنَ فَبَادَرْنَ الحِجَابَ، فَأَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ عُمَرُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَضْحَكُ، فَقَالَ عُمَرُ: أَضْحَكَ اللَّهُ سِنَّكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَجِبْتُ مِنْ هَؤُلاَءِ اللَّاتِي كُنَّ عِنْدِي، فَلَمَّا سَمِعْنَ صَوْتَكَ ابْتَدَرْنَ الحِجَابَ» فَقَالَ عُمَرُ: فَأَنْتَ أَحَقُّ أَنْ يَهَبْنَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، ثُمَّ قَالَ عُمَرُ: يَا عَدُوَّاتِ أَنْفُسِهِنَّ أَتَهَبْنَنِي وَلاَ تَهَبْنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقُلْنَ: نَعَمْ، أَنْتَ أَفَظُّ وَأَغْلَظُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِيهًا يَا ابْنَ الخَطَّابِ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا لَقِيَكَ الشَّيْطَانُ سَالِكًا فَجًّا قَطُّ، إِلَّا سَلَكَ فَجًّا غَيْرَ فَجِّكَ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮৪
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪১৯। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যেদিন উমর (রাযিঃ) ইসলাম গ্রহণ করেন, সেদিন থেকে আমরা অতিশয় বলবান ও মর্যাদাশীল হয়ে আসছি।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3684 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا قَيْسٌ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ «مَازِلْنَا أَعِزَّةً مُنْذُ أَسْلَمَ عُمَرُ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪২০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮৫
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪২০। আবদান (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর (রাযিঃ)- এর লাশ খাটের উপর রাখা হল। খাটটি কাঁধে তোলে নেয়ার পূর্বক্ষণ পর্যন্ত লোকজন তা ঘিরে দুআ পাঠ করছিল। আমিও তাদের মধ্যে একজন ছিলাম। হঠাৎ একজন আমার কাঁধের উপর হাত রাখায় আমি চমকে উঠলাম। চেয়ে দেখলাম, তিনি আলী (রাযিঃ)। তিনি উমর (রাযিঃ)- এর জন্য আল্লাহর অশেষ রহমতের দুআ করছিলেন। তিনি বলছিলেন, হে উমর, আমার জন্য আপনার চেয়ে অধিক প্রিয় এমন কোন ব্যক্তি আপনি রেখে যাননি, যার আমলের অনুসরণ করে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করব। আল্লাহর কসম। আমার এ বিশ্বাস যে আল্লাহ আপনাকে (জান্নাতে) আপনার সঙ্গীদ্বয়ের সাথে রাখবেন। আমার মনে আছে, আমি বহুবার নবী কারীম (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি, আমি, আবু বকর ও উমর গেলাম। আমি, আবু বকর ও উমর প্রবেশ করলাম এবং আমি, আবু বকর ও উমর বের হলাম ইত্যাদি।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3685 - حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ: وُضِعَ عُمَرُ عَلَى سَرِيرِهِ فَتَكَنَّفَهُ النَّاسُ، يَدْعُونَ وَيُصَلُّونَ قَبْلَ أَنْ يُرْفَعَ وَأَنَا فِيهِمْ، فَلَمْ يَرُعْنِي إِلَّا رَجُلٌ آخِذٌ مَنْكِبِي، فَإِذَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَتَرَحَّمَ عَلَى عُمَرَ، وَقَالَ: مَا خَلَّفْتَ أَحَدًا أَحَبَّ إِلَيَّ أَنْ أَلْقَى اللَّهَ بِمِثْلِ عَمَلِهِ مِنْكَ، وَايْمُ اللَّهِ إِنْ كُنْتُ لَأَظُنُّ أَنْ يَجْعَلَكَ اللَّهُ مَعَ صَاحِبَيْكَ، وَحَسِبْتُ إِنِّي كُنْتُ كَثِيرًا أَسْمَعُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «ذَهَبْتُ أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَدَخَلْتُ أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَخَرَجْتُ أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪২১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮৬
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪২১। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন নবী কারীম (ﷺ) উহুদ পাহাড়ের উপর আরোহণ করলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আবু বকর,উমর ও উসমান (রাযিঃ)। তাদেরকে (ধারণ করতে পেরে) নিয়ে পাহাড়টি (আনন্দে) নেচে উঠল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পাহাড়কে পায়ে আঘাত করে বললেন, হে উহুদ, স্থির হও। তোমার উপর নবী, সিদ্দীক ও শহীদ ব্যতীত অন্য কেউ নেই।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3686 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، ح وقَالَ لِي خَلِيفَةُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَوَاءٍ، وَكَهْمَسُ بْنُ المِنْهَالِ، قَالاَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: صَعِدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أُحُدٍ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَعُثْمَانُ، فَرَجَفَ بِهِمْ، فَضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ، قَالَ: «اثْبُتْ أُحُدُ فَمَا عَلَيْكَ إِلَّا نَبِيٌّ [ص:12]، أَوْ صِدِّيقٌ، أَوْ شَهِيدَانِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪২২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮৭
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪২২। ইয়াহয়া ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) .... আসলাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে উমর (রাযিঃ) আমাকে উমর (রাযিঃ)- এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আমি তাকে সে সম্পর্কে অবহিত করলাম। তখন তিনি ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ইন্তিকালের পরে কাউকে (এসব গুণের অধিকারী) আমি দেখিনি। তিনি (উমর (রাযিঃ)) অত্যন্ত দৃঢ়চিত্ত দানশীল ছিলেন। এসব গুণাবলী যেন উমর (রাযিঃ) পর্যন্ত শেষ হয়ে গেছে।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3687 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ ابْنُ مُحَمَّدٍ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَسْلَمَ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَأَلَنِي ابْنُ عُمَرَ عَنْ بَعْضِ شَأْنِهِ - يَعْنِي عُمَرَ -، فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ: «مَا رَأَيْتُ أَحَدًا قَطُّ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حِينَ قُبِضَ، كَانَ أَجَدَّ وَأَجْوَدَ حَتَّى انْتَهَى مِنْ عُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮৮
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪২৩। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী কারীম (ﷺ)- কে জিজ্ঞাসা করল, কিয়ামত কখন হবে? তিনি বললেন, তুমি কিয়ামতের জন্য কি (পাথেয়) সংগ্রহ করেছ? সে বলল, কোন কিছুই সংগ্রহ করতে পারিনি, তবে আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কে (আন্তরিকভাবে) মহব্বত করি। তখন তিনি বললেন, তুমি (কিয়ামতের দিন) তাঁদের সাথেই থাকবে যাঁদেরকে তুমি মহব্বত কর।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, নবী কারীম (ﷺ)- এর কথা দ্বারা আমরা এত আনন্দিত হয়েছি যে, অন্য কোন কথায় এত আনন্দিত হইনি। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে মহব্বত করি এবং আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) কেও। আশা করি তাঁদেরকে আমার মহব্বতের কারণে তাদের সাথে জান্নাতে বসবাস করতে পারব; যদিও তাঁদের আমলের মত আমল করতে পারিনি।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, নবী কারীম (ﷺ)- এর কথা দ্বারা আমরা এত আনন্দিত হয়েছি যে, অন্য কোন কথায় এত আনন্দিত হইনি। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে মহব্বত করি এবং আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) কেও। আশা করি তাঁদেরকে আমার মহব্বতের কারণে তাদের সাথে জান্নাতে বসবাস করতে পারব; যদিও তাঁদের আমলের মত আমল করতে পারিনি।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3688 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ السَّاعَةِ، فَقَالَ: مَتَى السَّاعَةُ؟ قَالَ: «وَمَاذَا أَعْدَدْتَ لَهَا» . قَالَ: لاَ شَيْءَ، إِلَّا أَنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ» . قَالَ أَنَسٌ: فَمَا فَرِحْنَا بِشَيْءٍ، فَرَحَنَا بِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ» قَالَ أَنَسٌ: «فَأَنَا أُحِبُّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ، وَعُمَرَ، وَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ مَعَهُمْ بِحُبِّي إِيَّاهُمْ، وَإِنْ لَمْ أَعْمَلْ بِمِثْلِ أَعْمَالِهِمْ»
হাদীস নং: ৩৪২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮৯
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪২৪। ইয়াহয়া ইবনে কাযাআ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণের মধ্যে অনেক মুহাদ্দাস (যার অন্তরে সত্য কথা অবতীর্ণ হয়) ব্যক্তি ছিলেন। আমার উম্মতের মধ্যে যদি কেউ মুহাদ্দাস হন তবে সে ব্যক্তি উমর।
যাকারিয়া (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে অতিরিক্ত বর্ণিত আছে যে, নবী কারীম (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী বনী ইসরাঈলের মধ্যে এমন কতিপয় লোক ছিলেন, যাঁরা নবী ছিলেন না বটে তবে ফিরিশতাগণ তাঁদের সাথে কথা বলতেন। আমার উম্মতে এমন কোন লোক হলে সে হবে উমর (রাযিঃ)। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) (কুরআনের আয়াতে) ولا محدث অতিরিক্ত বলেছেন।
যাকারিয়া (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে অতিরিক্ত বর্ণিত আছে যে, নবী কারীম (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী বনী ইসরাঈলের মধ্যে এমন কতিপয় লোক ছিলেন, যাঁরা নবী ছিলেন না বটে তবে ফিরিশতাগণ তাঁদের সাথে কথা বলতেন। আমার উম্মতে এমন কোন লোক হলে সে হবে উমর (রাযিঃ)। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) (কুরআনের আয়াতে) ولا محدث অতিরিক্ত বলেছেন।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3689 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ قَزَعَةَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ كَانَ فِيمَا قَبْلَكُمْ مِنَ الأُمَمِ مُحَدَّثُونَ، فَإِنْ يَكُ فِي أُمَّتِي أَحَدٌ، فَإِنَّهُ عُمَرُ»
زَادَ زَكَرِيَّاءُ بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَقَدْ كَانَ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ رِجَالٌ، يُكَلَّمُونَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونُوا أَنْبِيَاءَ، فَإِنْ يَكُنْ مِنْ أُمَّتِي مِنْهُمْ أَحَدٌ فَعُمَرُ» قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «مِنْ نَبِيٍّ وَلاَ مُحَدَّثٍ»
زَادَ زَكَرِيَّاءُ بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَقَدْ كَانَ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ رِجَالٌ، يُكَلَّمُونَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونُوا أَنْبِيَاءَ، فَإِنْ يَكُنْ مِنْ أُمَّتِي مِنْهُمْ أَحَدٌ فَعُمَرُ» قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «مِنْ نَبِيٍّ وَلاَ مُحَدَّثٍ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯০
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪২৫। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, একদিন এক রাখাল তার বকরীর পালের সাথে ছিল। হঠাৎ একটি নেকড়ে বাঘ পাল আক্রমণ করে একটি বকরী নিয়ে গেল। রাখাল বাঘের পিছনে ধাওয়া করে বকরীকে উদ্ধার করে আনল। তখন বাঘ রাখালকে বলল, যখন আমি ছাড়া অন্য কেউ থাকবে না তখন হিংস্র জন্তুদের আক্রমণ থেকে তাদেরকে কে রক্ষা করবে? (তা শুনে) সাহাবীগণ বললেন, সুবহানালাল্লাহ। (বাঘ কথা বলে) কথন নবী কারীম (ﷺ) বললেন, আমি তা বিশ্বাস করি এবং আবু বকর ও উমরও বিশ্বাস করে। অথচ তাঁরা কেউই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3690 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنَا عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، وَأَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالاَ: سَمِعْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بَيْنَمَا رَاعٍ فِي غَنَمِهِ عَدَا الذِّئْبُ، فَأَخَذَ مِنْهَا شَاةً فَطَلَبَهَا حَتَّى اسْتَنْقَذَهَا، فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ الذِّئْبُ، فَقَالَ لَهُ: مَنْ لَهَا يَوْمَ السَّبُعِ لَيْسَ لَهَا رَاعٍ غَيْرِي "، فَقَالَ النَّاسُ: سُبْحَانَ اللَّهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «فَإِنِّي أُومِنُ بِهِ وَأَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَمَا ثَمَّ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯১
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪২৬। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) .... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি যে, একদিন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। (স্বপ্নে) দেখতে পেলাম, অনেক লোককে আমার সামনে উপস্থিত করা হল। তাদের গায়ে (বিভিন্ন রকমের) জামা ছিল। কারো কারো জামা এত ছোট ছিল যে, কোন প্রকারে বুক পর্যন্ত পৌছেছে। আবার কারো জামা এর চেয়ে ছোট ছিল। আর উমর (রাযিঃ)-কেও আমার সামনে পেশ করা হল। তাঁর শরীরে এত লম্বা জামা ছিল যে, সে জামাটি হিঁচড়াইয়া চলতেছিল। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি এ স্বপ্নের কি তাবীর (ব্যাখ্যা) করলেন। তিনি বললেন, দ্বীনদারী (ধর্মপরায়ণতা)।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3691 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو أُمَامَةَ بْنُ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ رَأَيْتُ النَّاسَ عُرِضُوا عَلَيَّ، وَعَلَيْهِمْ قُمُصٌ، فَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ الثَّدْيَ، وَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ دُونَ ذَلِكَ، وَعُرِضَ عَلَيَّ عُمَرُ وَعَلَيْهِ قَمِيصٌ اجْتَرَّهُ» ، قَالُوا: فَمَا أَوَّلْتَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: «الدِّينَ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৪২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯২
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪২৭। সালত ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন উমর (রাযিঃ) (আবু লুলু গোলামের খঞ্জরের আঘাতে) আহত হলেন, তখন তিনি বেদনা অনুভব করছিলেন। তখন তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলতে লাগলেন, হে আমীরুল মু‘মিনীন, এ আঘাত জনিত কারণে (আল্লাহ না করুন) যদি আপনার কিছু (মৃত্যু) ঘঠে (তাতে চিন্তা-ভাবনা) বা দুঃখের কোন কারণ নেই)। আপনি তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তাঁর সাহচর্যের হক উত্তমরূপে আদায় করেছেন। এরপর (তাঁর থেকে) আপনি এ অবস্থায় পৃথক হয়েছেন, তিনি আপনার প্রতি সন্তুষ্ট। তারপর আপনি আবু বকর (রাযিঃ)-এর সাহচর্য লাভ করেন এবং এর হকও উত্তমরূপে আদায় করেন। এরপর (তাঁর থেকে) আপনি এ অবস্থায় পৃথক হয়েছেন যে, তিনি আপনার প্রতি সন্তুষ্ট। তারপর আপনি (খলীফা মনোনীত হয়ে) সাহাবায়ে কেরামের সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তাদের হকও উত্তমরূপে আদায় করেছেন।
যদি আপনি তাদের থেকে পৃথক হয়ে পড়েন তবে আপনি অবশ্যই তাদের থেকে এমন অবস্থায় পৃথক হবেন যে, তাঁরাও আপনার প্রতি সন্তুষ্ট। উমর (রাযিঃ) বললেন, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহচর্য ও সন্তুষ্টি লাভ সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছ, তাতো আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ, যা তিনি আমার প্রতি করেছেন। এবং আবু বকর (রাযিঃ)-এর সাহচর্য ও সন্তুষ্টি লাভের ব্যাপারে যা তুমি উল্লেখ করেছ তাও একমাত্র মহান আল্লাহর অনুগ্রহ যা তিনি আমার উপর করেছেন। আর আমার যে অস্থিরতা তুমি দেখেছ তা তোমার এবং তোমার সাথীদের কারণেই। আল্লাহর কসম, আমার নিকট যদি দুনিয়া ভর্তি স্বর্ণ থাকত তবে আল্লাহর আযাব দেখার পূর্বেই তা হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য ফিদয়া হিসাবে এসব বিলিয়ে দিতাম।
হাম্মাদ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমর (রাযিঃ)-এর কাছে প্রবেশ করলাম ....।
যদি আপনি তাদের থেকে পৃথক হয়ে পড়েন তবে আপনি অবশ্যই তাদের থেকে এমন অবস্থায় পৃথক হবেন যে, তাঁরাও আপনার প্রতি সন্তুষ্ট। উমর (রাযিঃ) বললেন, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহচর্য ও সন্তুষ্টি লাভ সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছ, তাতো আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ, যা তিনি আমার প্রতি করেছেন। এবং আবু বকর (রাযিঃ)-এর সাহচর্য ও সন্তুষ্টি লাভের ব্যাপারে যা তুমি উল্লেখ করেছ তাও একমাত্র মহান আল্লাহর অনুগ্রহ যা তিনি আমার উপর করেছেন। আর আমার যে অস্থিরতা তুমি দেখেছ তা তোমার এবং তোমার সাথীদের কারণেই। আল্লাহর কসম, আমার নিকট যদি দুনিয়া ভর্তি স্বর্ণ থাকত তবে আল্লাহর আযাব দেখার পূর্বেই তা হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য ফিদয়া হিসাবে এসব বিলিয়ে দিতাম।
হাম্মাদ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমর (রাযিঃ)-এর কাছে প্রবেশ করলাম ....।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3692 - حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ المِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ: لَمَّا [ص:13] طُعِنَ عُمَرُ جَعَلَ يَأْلَمُ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ وَكَأَنَّهُ يُجَزِّعُهُ: يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ، وَلَئِنْ كَانَ ذَاكَ، لَقَدْ صَحِبْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَحْسَنْتَ صُحْبَتَهُ، ثُمَّ فَارَقْتَهُ وَهُوَ عَنْكَ رَاضٍ، ثُمَّ صَحِبْتَ أَبَا بَكْرٍ فَأَحْسَنْتَ صُحْبَتَهُ، ثُمَّ فَارَقْتَهُ وَهُوَ عَنْكَ رَاضٍ، ثُمَّ صَحِبْتَ صَحَبَتَهُمْ فَأَحْسَنْتَ صُحْبَتَهُمْ، وَلَئِنْ فَارَقْتَهُمْ لَتُفَارِقَنَّهُمْ وَهُمْ عَنْكَ رَاضُونَ، قَالَ: «أَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ صُحْبَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِضَاهُ، فَإِنَّمَا ذَاكَ مَنٌّ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى مَنَّ بِهِ عَلَيَّ، وَأَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ صُحْبَةِ أَبِي بَكْرٍ وَرِضَاهُ، فَإِنَّمَا ذَاكَ مَنٌّ مِنَ اللَّهِ جَلَّ ذِكْرُهُ مَنَّ بِهِ عَلَيَّ، وَأَمَّا مَا تَرَى مِنْ جَزَعِي فَهُوَ مِنْ أَجْلِكَ وَأَجْلِ أَصْحَابِكَ، وَاللَّهِ لَوْ أَنَّ لِي طِلاَعَ الأَرْضِ ذَهَبًا لاَفْتَدَيْتُ بِهِ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، قَبْلَ أَنْ أَرَاهُ» قَالَ: حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ «دَخَلْتُ عَلَى عُمَرَ بِهَذَا»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৪২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৩
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪২৮। ইউসুফ ইবনে মুসা (রাহঃ) .... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মদীনার কোন একটি বাগানের ভিতর আমি নবী কারীম (ﷺ)- এর সঙ্গে ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে বাগানের দরজা খুলে দেওয়ার জন্য বলল। নবী কারীম (ﷺ) বললেন, তার জন্য দরজা খুলে দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। আমি তার জন্য দরজা খুলে দিয়ে দেখলাম যে, তিনি আবু বকর (রাযিঃ)। তাঁকে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রদত্ত সুসংবাদ দিলাম। তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন। এরপর আরেক ব্যক্তি এসে দরজা খোলার জন্য বলল। নবী কারীম (ﷺ) বললেন, তার জন্য দরজা খুলে দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।
(রাবী বলেন) আমি তার জন্য দরজা খুলে দিয়ে দেখতে পেলাম যে, তিনি উমর (রাযিঃ)। তাকে আমি নবী কারীম (ﷺ) প্রদত্ত সুসংবাদ জানিয়ে দিলাম। তখন তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন। এরপর আরো একজন দরজা খুলে দেয়ার জন্য বললেন। নবী কারীম (ﷺ) বললেন, দরজা খুলে দাও এবং তাঁকে জান্নাতের সুসংবাদ জানিয়ে দাও। কিন্তু তার উপর কঠিন বিপদ আসবে। (দরজা খুলে) দেখলাম যে, তিনি উসমান (রাযিঃ)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেছেন, আমি তাকে তা বলে দিলাম। তখন তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন আর বললেন,اللَّهُ الْمُسْتَعَانُ আল্লাহই সাহায্যকারী।
(রাবী বলেন) আমি তার জন্য দরজা খুলে দিয়ে দেখতে পেলাম যে, তিনি উমর (রাযিঃ)। তাকে আমি নবী কারীম (ﷺ) প্রদত্ত সুসংবাদ জানিয়ে দিলাম। তখন তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন। এরপর আরো একজন দরজা খুলে দেয়ার জন্য বললেন। নবী কারীম (ﷺ) বললেন, দরজা খুলে দাও এবং তাঁকে জান্নাতের সুসংবাদ জানিয়ে দাও। কিন্তু তার উপর কঠিন বিপদ আসবে। (দরজা খুলে) দেখলাম যে, তিনি উসমান (রাযিঃ)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেছেন, আমি তাকে তা বলে দিলাম। তখন তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন আর বললেন,اللَّهُ الْمُسْتَعَانُ আল্লাহই সাহায্যকারী।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3693 - حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ، عَنْ أَبِي مُوسَى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَائِطٍ مِنْ حِيطَانِ المَدِينَةِ فَجَاءَ رَجُلٌ فَاسْتَفْتَحَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «افْتَحْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ» فَفَتَحْتُ لَهُ، فَإِذَا أَبُو بَكْرٍ، فَبَشَّرْتُهُ بِمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَمِدَ اللَّهَ، ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ فَاسْتَفْتَحَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «افْتَحْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ» ، فَفَتَحْتُ لَهُ فَإِذَا هُوَ عُمَرُ، فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَمِدَ اللَّهَ، ثُمَّ اسْتَفْتَحَ رَجُلٌ، فَقَالَ لِي: «افْتَحْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ، عَلَى بَلْوَى تُصِيبُهُ» ، فَإِذَا عُثْمَانُ، فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَمِدَ اللَّهَ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُ المُسْتَعَانُ
হাদীস নং: ৩৪২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৪
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪২৯। ইয়াহয়া ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে হিশাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী কারীম (ﷺ)- এর সঙ্গে ছিলাম। নবী কারীম (ﷺ) উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)- এর হাত ধরা অবস্থায় ছিলেন।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3694 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو عَقِيلٍ زُهْرَةُ بْنُ مَعْبَدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَدَّهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ هِشَامٍ، قَالَ: «كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ آخِذٌ بِيَدِ عُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: