আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৯- আযান-ইকামতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৪
৪৩১। কী পরিমাণ রোগ থাকা সত্ত্বেও জামাআতে শামিল হওয়া উচিত।
৬৩১। উমর ইবনে হাফস ইবনে গিয়াস (রাহঃ) ......... আসওয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে ছিলাম এবং নামাযের পাবন্দী ও উহার তা’যীম সম্বন্ধে আলোচনা করছিলাম। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, নবী (ﷺ) যখন অন্তিম রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন, তখন নামাযের সময় হলে আযান দেওয়া হল। তখন তিনি বললেন, আবু বকরকে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করতে বল। তাঁকে বলা হল যে, আবু বকর (রাযিঃ) অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের লোক। তিনি যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন তখন লোকদের নিয়ে নামায আদায় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবারো সে কথা বললেন এবং তারা আবারো তা-ই বললেন। তৃতীয়বারও তিনি সে কথা বললেন। তিনি আরো বললেনঃ তোমরা ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সাথী মহিলাদের মত। আবু বকরকেই বল, যেন লোকদের নিয়ে নামায আদায় করে নেয়।
আবু বকর (রাযিঃ) এগিয়ে গিয়ে নামায শুরু করলেন। এদিকে নবী (ﷺ) নিজেকে একটু হালকাবোধ করলেন। দু’জন লোকের কাঁধে ভর দিয়ে বেরিয়ে এলেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমার চোখে এখনও স্পষ্ট ভাসছে। অসুস্থতার কারণে তাঁর দু’পা মাটির উপর দিয়ে হেঁচড়ে যাচ্ছিল। তখন আবু বকর (রাযিঃ) পেছনে সরে আসতে চাইলেন। নবী (ﷺ) তাঁকে স্বস্থানে থাকার জন্য ইঙ্গিত করলেন।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে একটু সামনে আনা হল, তিনি আবু বকর (রাযিঃ) এর পাশে বসলেন। আ’মাশ (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হলঃ তাহলে নবী (ﷺ) ইমামতি করছিলেন। আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অনুসরণে নামায আদায় করছিলেন এবং লোকেরা আবু বকর (রাযিঃ) এর নামাযের অনুকরণ করছিল? আ’মাশ (রাযিঃ) মাথার ইশারায় বললেন, হ্যাঁ।
আবু দাউদ (রাহঃ) শু’বা (রাহঃ) সূত্রে আ’মাশ (রাযিঃ) থেকে হাদীসের কতকাংশ উল্লেখ করেছেন। আবু মুআবিয়া (রাহঃ) অতিরিক্ত বলেছেন, তিনি আবু বকর (রাযিঃ) এর বাঁ দিকে বসেছিলেন এবং আবু বকর (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন।
باب حَدِّ الْمَرِيضِ أَنْ يَشْهَدَ الْجَمَاعَةَ
664 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَذَكَرْنَا المُوَاظَبَةَ عَلَى الصَّلاَةِ وَالتَّعْظِيمَ لَهَا، قَالَتْ: لَمَّا مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَضَهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ [ص:134]، فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ، فَأُذِّنَ فَقَالَ: «مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ» فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، وَأَعَادَ فَأَعَادُوا لَهُ، فَأَعَادَ الثَّالِثَةَ، فَقَالَ: «إِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ» ، فَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ فَصَلَّى فَوَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً، فَخَرَجَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ، كَأَنِّي أَنْظُرُ رِجْلَيْهِ تَخُطَّانِ مِنَ الوَجَعِ، فَأَرَادَ أَبُو بَكْرٍ أَنْ يَتَأَخَّرَ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ مَكَانَكَ، ثُمَّ أُتِيَ بِهِ حَتَّى جَلَسَ إِلَى جَنْبِهِ، قِيلَ لِلْأَعْمَشِ: وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي وَأَبُوبَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلاَتِهِ، وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ، فَقَالَ: بِرَأْسِهِ نَعَمْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ بَعْضَهُ، وَزَادَ أَبُو مُعَاوِيَةَ جَلَسَ عَنْ يَسَارِ أَبِي بَكْرٍ، فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي قَائِمًا
হাদীস নং: ৬৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৫
৪৩১। কী পরিমাণ রোগ থাকা সত্ত্বেও জামাআতে শামিল হওয়া উচিত।
৬৩২। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন একেবারে কাতর হয়ে গেলেন এবং তাঁর রোগ বেড়ে গেল, তখন তিনি আমার ঘরে সেবা-শুশ্রূষার জন্য তাঁর অন্যান্য স্ত্রীগণের কাছে সম্মতি চাইলেন। তাঁরা সম্মতি দিলেন। সে সময় দু’জন লোকের কাঁধে ভর দিয়ে (নামাযের জন্য) তিনি বের হলেন, তাঁর দু’পা মাটিতে হেঁচড়িয়ে যাচ্ছিল। তিনি ছিলেন আব্বাস (রাযিঃ) ও অপর এক সাহাবীর মাঝখানে। (বর্ণনাকারী) উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) এর বর্ণিত এ ঘটনা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট ব্যক্ত করি। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি জান, তিনি কে ছিলেন, যার নাম আয়েশা (রাযিঃ) বলেন নি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তিনি ছিলেন আলী ইবনে আবি তালিব (রাযিঃ)।
باب حَدِّ الْمَرِيضِ أَنْ يَشْهَدَ الْجَمَاعَةَ
665 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «لَمَّا ثَقُلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاشْتَدَّ وَجَعُهُ اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِي، فَأَذِنَّ لَهُ، فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ تَخُطُّ رِجْلاَهُ الأَرْضَ، وَكَانَ بَيْنَ العَبَّاسِ وَرَجُلٍ آخَرَ» قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِابْنِ عَبَّاسٍ مَا قَالَتْ عَائِشَةُ، فَقَالَ لِي: وَهَلْ تَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ؟ قُلْتُ: لاَ، قَالَ: هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ