প্রবন্ধ

একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে (৫৫তম পর্ব) – পরহিত

১১ জুলাই, ২০২৪
৫৭৬

আমরা বর্তমানে ভীষণ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছি। পাশের বাসা তো দূরের কথা, ঘরের মানুষের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়ে ওঠে না। বিপদাপদে পাশে দাঁড়ানো তো অলীক কল্পনা, বাধ্য হয়ে পড়লে কোনও রকমে মোবাইলে সামান্য কথা বলেই দায় সারি!


নবীজির আদর্শ বা সুন্নাত কিন্তু এমনটা নয়। তিনি বিপদগ্রস্ত মানুষ দেখলে, সাথে সাথে তার সহযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়তেন। তিনি বলতেন:

المُسْلِمُ أَخُو المُسْلِمِ، لاَ يَظْلِمُهُ وَلاَ يُسْلِمُهُ، وَمَنْ كَانَ فِي حَاجَةِ أَخِيهِ كَانَ اللهُ فِي حَاجَتِهِ

এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। একে অন্যের প্রতি যুলুম করবে না, বিপদের হাতে ছেড়ে দিবে না। নিজ ভাইয়ের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ালে, আল্লাহও তার পাশে দাঁড়াবেন (বুখারী-মুসলিম)।


অন্যকে সহযোগিতা করতে গেলে তো টাকা লাগে! একদম ভুল কথা! যার কাছে যা আছে, সেটা দিয়েই পাশে দাঁড়ানো যায়। টাকা থাকলে টাকা। পরামর্শের দরকার হলে পরামর্শ। এমনকি চুপচাপ পাশে দাঁড়িয়ে থেকেও সহযোগিতা করা যায়। একটুখানি মিষ্টি কথা দিয়েও সহযোগিতা করা যায়। কাঁধে হাত দিয়ে একটু চাপ দিয়েও সহযোগিতা করা যায়। ইচ্ছা করলে, উপায় একটা না একটা বের হয়েই যায়।


অন্যের পাশে দাঁড়ানোর উপকার বলে শেষ করা যাবে না:

ক: আল্লাহ খুশি। নবীজি খুশি!

খ: বান্দা খুশি।

গ: দুনিয়াতে উপকার।

ঘ: আখেরাতে উপকার।

আমরা কমপক্ষে দু‘আ করেও আমার বিপদগ্রস্ত ভাইয়ের পাশে দাঁড়াতে পারি। বলতে পারি:

ভাই! তোমার এই বিপদে কিছু করতে তো পারছি না, তবে নিয়মিত দু‘আ করছি!

মন্তব্য (...)

এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ

লেখকবৃন্দ

সকল লেখক →

আল্লামা শাব্বীর আহমাদ উসমানী রহঃ

শাহ আব্দুল আযীয দেহলভী রহঃ

শাইখুল ইসলাম আল্লামা কাসেম নানুতুবী রহঃ

মাওঃ উবাইদুল্লাহ সিন্ধী রহঃ

সায়্যিদ সাবেক রহঃ

আল্লামা আব্দুল মজীদ নাদীম রহঃ

মাওলানা আসলাম শাইখুপুরী

শাইখুল ইসলাম হুসাইন আহমাদ মাদানী রহঃ

মাওঃ আবু আম্মার যাহেদ রাশেদী

মাওঃ নুরুল হাসান রাশেদ কান্ধলভী

মুফতী হাবীবুর রহমান খাইরাবাদী

আল্লামা আবুল কালাম আযাদ রহঃ

মাওলানা সাঈদ আহমদ

মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন দাঃ

হযরত মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী রহঃ

মাওলানা হাবীবুর রহমান খান

মাওলানা সাঈদ আহমাদ বিন গিয়াসুদ্দীন

মাওঃ আবু বকর সিরাজী

শায়েখ আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ ইবনে উমার [রহ.]

মাওঃ এনামুল হাসান