প্রবন্ধ
একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে (২য় পর্ব) – অন্যকে আহার করানো
এক: অবদুল্লাহ বিন উমার (রা.) বর্ণনা করেছেন:
-এক লোক নবিজীকে (সা.) প্রশ্ন করেছে:
-কোন ইসলাম উত্তম?
-তুমি আহার দান করবে। চিনে হোক না চিনে হোক, সালাম দিবে।
দুই: পরিবারের প্রয়োজন পুরো করার পর, উদ্বৃত্ত খাবার থাকলে তবেই অন্যকে আহার করাবে। যেমন: আশেপাশের গরীবকে, বাড়িতে আসা ভিক্ষুককে, মহল্লা পাহারা দেয়া প্রহরীকে, বাড়ির ঠিকা কাজের লোককে।
আবার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি, সহকর্মীও এর আওতাভুক্ত হতে পারে।
তিন: হাদীসে গরীব মানুষকেই খাওয়াতে হবে এমনটা বলা হয়নি। বড়লোককে খাওয়ানোও সুন্নাত। হাদীসের মূল সুর হলো, পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করা।
চার: সালাম দ্বারাও পরস্পর মিল-মহব্বত সৃষ্টি হয়। উভয় সুন্নাতের মাঝে একটা অদৃশ্য যোগসূত্র আছে।
আমাদের শি‘আর (স্লোগান) হলো:
– ইন তুতীঊহু তাহতাদু (وَإِنْ تُطِيعُوهُ تَهْتَدُوا): যদি তাঁর (নবিজীর) অনুসরণ করো, হিদায়াত পেয়ে যাবে। (নূর:৫৪)
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
দাওয়াত, হাদিয়া ও উপঢৌকন
হাদিয়া, উপঢৌকন ও দাওয়াত আদান- প্রদান ইসলামী শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল ও প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু...
সংঘাতময় পরিস্থিতি: উপেক্ষিত নববী আদর্শ
দিনে দিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী। সমতালে এর অধিবাসীরাও 'গরম' হয়ে উঠছে দিনকে দিন। সেই তাপ ও উত্তাপ ব...
রাসুলুল্লাহ সা.-এর ভাষায়: যারা আমাদের মধ্য থেকে নয়
اَلْحَمْدُ لِلّهِ وَكَفَى وَسَلَامٌ عَلَى عِبَادِهِ الَّذِيْن َاصْطَفَى اَمَّا بَعْدُ! فَاَعُوْذُ ...
কাবলাল জুমআ চার রাকাত ; একটি দালিলিক পর্যালোচনা
একজন সম্মানিত আলিমের একটি কথা, যিনি রিয়াদ থেকে পি.এইচ.ডি করেছেন এবং এখন এদেশের একটি ইসলামী বিশ্ববিদ...
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন