ফয়জুল কালাম

ধন-সম্পদ প্রিয় হওয়া -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:২৭৮৪
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৮৪। হযরত আবু বকর ইবনে আবী মারইয়াম (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, হযরত মেকদাম ইবনে মা'দীকারেব (রাঃ)-এর একটি দাসী ছিল—সে দুধ বিক্রি করিত এবং মেকদাম (রাঃ) উহার মূল্য গ্রহণ করিতেন। তাঁহাকে কেহ বলিল, সোবহানাল্লাহ্! আপনি দুধ বিক্রি করিয়া পয়সা লইয়া থাকেন। তিনি বলিলেন, হ্যাঁ— উহাতে কোন দোষ নাই। আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি— লোকদের সম্মুখে এমন যুগ আসিবে যখন (হারাম হইতে বাঁচিবার জন্য) টাকা-পয়সা ব্যতিরেকে কোন উপায় থাকিবে না। (সুতরাং হালাল পথে টাকা-পয়সা সঞ্চয়ের গুরুত্ব আছে।) — আহমদ
وَعَن أبي بكرِ بنِ أبي مريمَ قَالَ: كَانَتْ لِمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِي كَرِبَ جَارِيَةٌ تَبِيعُ اللَّبَنَ وَيَقْبِضُ الْمِقْدَامُ ثَمَنَهُ فَقِيلَ لَهُ: سُبْحَانَ اللَّهِ أَتَبِيعُ اللَّبَنَ؟ وَتَقْبِضُ الثَّمَنَ؟ فَقَالَ نَعَمْ وَمَا بَأْسٌ بِذَلِكَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَيَأْتِيَنَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لَا يَنْفَعُ فِيهِ إِلَّا الدِّينَارُ وَالدِّرْهَم» . رَوَاهُ أَحْمد
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৫২৯১
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইবাদতের জন্য হায়াত ও দৌলতের আকাঙ্ক্ষা করা
৫২৯১। হযরত সুফিয়ান সওরী (রঃ) বলিয়াছেন, অতীতকালে মাল-সম্পদকে অপছন্দ মনে করা হইত। কিন্তু আজকাল মাল-সম্পদ হইল মু'মিনদের জন্য ঢালস্বরূপ। তিনি আরও বলিয়াছেনঃ যদি আমাদের কাছে এইসব দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) না থাকিত তাহা হইলে এই সমস্ত রাজা-বাদশাহগণ আমাদিগকে হাত মোছার রুমাল বানাইয়া ফেলিত। (অর্থাৎ, ঘৃণা ও তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখিত।) তিনি আরও বলিয়াছেন, যাহার হাতে এই মাল-সম্পদের কিছু পরিমাণ আছে, সে যেন অবশ্যই উহার সঠিক ব্যবহার করে। কেননা, বর্তমান সময় যদি কেহ অভাবে পতিত হয়, সে ব্যক্তি সর্বপ্রথম নিজের দ্বীনের বিনিময়ে দুনিয়া লাভ করিবে। সুফিয়ান আরও বলিয়াছেন, হালালভাবে অর্জিত মালের মধ্যে এসরাফের অবকাশ নাই। — শরহে সুন্নাহ্
وَعَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ قَالَ كَانَ الْمَالُ فِيمَا مَضَى يُكْرَهُ فَأَمَّا الْيَوْمَ فَهُوَ تُرْسُ الْمُؤْمِنِ وَقَالَ لَوْلَا هَذِهِ الدَّنَانِيرُ لَتَمَنْدَلَ بِنَا هَؤُلَاءِ الْمُلُوكُ وَقَالَ مَنْ كَانَ فِي يَدِهِ مِنْ هَذِهِ شَيْءٌ فَلْيُصْلِحْهُ فَإِنَّهُ زَمَانٌ إِنِ احْتَاجَ كَانَ أَوَّلَ مَنْ يَبْذُلُ دِينَهُ وَقَالَ: الْحَلَالُ لايحتمل السَّرف. رَوَاهُ فِي شرح السّنة
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:২৩২৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৩২৫
দুনিয়ার দৃষ্টান্ত চার জন লোকের উদাহরণ স্বরূপ।
২৩২৮. মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ...... আবু কাবশা আনমারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ তিনটি বিষয়ে আমি কসম করছি এবং সেগুলির বিষয়ে তোমাদের বলছি। তোমরা এগুলোর সংরক্ষণ করবে। অনন্তর তিনি বললেনঃ দান-সাদ্‌কার কারণে কোন বান্দার সম্পদ হ্রাস পায় না। কোন বান্দা যদি কোন বিষয়ে মযলুম হয় আর তাতে সে সবর অবলম্বন করে তবে এতে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার ইযযত বাড়িয়ে দেন। কোন বান্দা যখন যাঞ্ছার দরজা খুলে তখন আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার অভাবের দরজাও খুলে দেন। অথবা তিনি এ ধরণের কোন কথা বলেছেন। তোমাদের আমি একটি কথা বলছি, তোমরা সেটির খুব হেফাযত করবে। এই দুনিয়া হল চারজনেরঃ যে বান্দাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ ও ইলম দান করেছেন আর সে এই ক্ষেত্রে তার রবের ভয় করে এবং এর মাধ্যমে সে আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ণ রাখে ও তাতে আল্লাহর হক সম্পর্কেও সজ্ঞান, সেই বান্দার মর্যাদা হল সর্বোচ্চ স্তরে। আরেক বান্দা হল যাকে আল্লাহ তাআলা ইলম দান করেছেন কিন্তু তাকে সম্পদ দেন নি অথচ সে সৎ নিয়তের অধিকারী, সে বলে, আমার যদি সম্পদ থাকত তবে তাতে অমুক (প্রথমোক্ত) ব্যক্তির আমলের ন্যায় আমল করতাম। নিয়ত অনুসারেই এই ব্যক্তির মর্যাদা নির্ধারণ হবে। সুতরাং এদের উভয়ের সাওয়াব হবে এক বরাবর। অপর এক বান্দা হল যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দিয়েছেন কিন্তু ইলম দেননি। সে তার সম্পদের ইলম ছাড়াই বিভ্রান্তভাবে খায়িশাত অনুসারে ব্যয় করে, এই বিষয়ে তার রবের ভয় করে না, তা দিয়ে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে না এবং এই ক্ষেত্রে আল্লাহর হক সম্পর্কেও সজ্ঞান নয় এই ব্যক্তির স্থান হল সবচেয়ে নিম্নস্তরে। অন্য এক বান্দা হল যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদও দেননি ইলমও দেননি, কিন্তু সে বলেঃ আমার যদি সম্পদ থাকত তবে অমুক ব্যক্তির ন্যায় (প্রবৃদ্ধি অনুসারে) আমল করতাম। তার স্থান নির্ধারিত হবে তার নিয়ত অনুসারে। সুতরাং এদের উভয়েরই গুনাহ হবে এক বরাবর।
باب مَا جَاءَ مَثَلُ الدُّنْيَا مَثَلُ أَرْبَعَةِ نَفَرٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا عُبَادَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ خَبَّابٍ، عَنْ سَعِيدٍ الطَّائِيِّ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو كَبْشَةَ الأَنْمَارِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " ثَلاَثَةٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ " . قَالَ " مَا نَقَصَ مَالُ عَبْدٍ مِنْ صَدَقَةٍ وَلاَ ظُلِمَ عَبْدٌ مَظْلِمَةً فَصَبَرَ عَلَيْهَا إِلاَّ زَادَهُ اللَّهُ عِزًّا وَلاَ فَتَحَ عَبْدٌ بَابَ مَسْأَلَةٍ إِلاَّ فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ بَابَ فَقْرٍ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ قَالَ " إِنَّمَا الدُّنْيَا لأَرْبَعَةِ نَفَرٍ عَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالاً وَعِلْمًا فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَيَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَيَعْلَمُ لِلَّهِ فِيهِ حَقًّا فَهَذَا بِأَفْضَلِ الْمَنَازِلِ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ عِلْمًا وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالاً فَهُوَ صَادِقُ النِّيَّةِ يَقُولُ لَوْ أَنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ بِعَمَلِ فُلاَنٍ فَهُوَ بِنِيَّتِهِ فَأَجْرُهُمَا سَوَاءٌ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالاً وَلَمْ يَرْزُقْهُ عِلْمًا فَهُوَ يَخْبِطُ فِي مَالِهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ لاَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَلاَ يَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَلاَ يَعْلَمُ لِلَّهِ فِيهِ حَقًّا فَهَذَا بِأَخْبَثِ الْمَنَازِلِ وَعَبْدٍ لَمْ يَرْزُقْهُ اللَّهُ مَالاً وَلاَ عِلْمًا فَهُوَ يَقُولُ لَوْ أَنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ فِيهِ بِعَمَلِ فُلاَنٍ فَهُوَ بِنِيَّتِهِ فَوِزْرُهُمَا سَوَاءٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .