ফয়জুল কালাম
রাষ্ট্রপরিচালনা ও শাসনকার্য -এর বিষয়সমূহ
৫ টি হাদীস
সহীহ বুখারী
হাদীস নং: ৬৬৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৪২
- আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
৩০০৮. ইমামের আনুগত্য ও মান্যতা, যতক্ষণ তা নাফরমানীর কাজ না হয়।
৬৬৫৭। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যদি তোমাদের উপর এরূপ কোন হাবশী দাসকেও শাসক নিযুক্ত করা হয়, যার মাথাটি কিসমিসের ন্যায় তবুও তার কথা শোন ও তার আনুগত্য কর।
كتاب الأحكام
باب السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ لِلإِمَامِ مَا لَمْ تَكُنْ مَعْصِيَةً
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اسْمَعُوا وَأَطِيعُوا وَإِنِ اسْتُعْمِلَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ حَبَشِيٌّ كَأَنَّ رَأْسَهُ زَبِيبَةٌ ".
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং: ৩৬৭০
- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৬৭০। হযরত আওফ ইবনে মালেক আল আশজায়ী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: তোমাদের শাসকদের মধ্যে সেই শাসকই উত্তম যাহাকে তোমরা ভালবাস, আর যাহারা তোমাদিগকে ভালবাসে। আর তোমরা তাহাদের জন্য দোআ কর এবং তাহারাও তোমাদের জন্য দো'আ করে। আর তোমাদের সেই শাসকই মন্দ যাহাদিগকে তোমরা ঘৃণা কর এবং তাহারাও তোমাদিগকে ঘৃণা করে। আর তাহাদের প্রতি তোমরা অভিসম্পাত কর এবং তাহারা তোমাদের প্রতি অভিসম্পাত করে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমরা আরয করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এমতাবস্থায় আমরা কি সেই সমস্ত শাসক দিগকে অপসারণ করিয়া তাহাদের সাথে কৃত বায়আত ভঙ্গ করিয়া ফেলিব না ? তিনি বলিলেন, না, যাবৎ তাহারা তোমাদের মধ্যে নামায কায়ের করে। (আবার বলিলেন, না, যাবৎ তাহারা তোমাদের মধ্যে নামায কায়েম করে। সাবধান। যে ব্যক্তিকে তোমাদের উপর শাসক নিযুক্ত করা হয়, আর যদি তাহার মধ্যে আল্লাহর নাফরমানীর কোন কিছু পরিলক্ষিত হয়, তখন তোমরা তাহার সেই নাফরমানীর কাজটিকে ঘৃণার সাথে অপছন্দ কর, (অর্থাৎ, সেই কাজে তাহার সহযোগিতা করিও না।) কিন্তু তাহার আনুগত্য হইতে হাত গুটাইতে পারিবে না। (মোটকথা, শাসকের মধ্যে গুনাহর কোন কাজ দেখা গেলেও সে শাসক থাকিবে। অবশ্য তাহার অন্যায়ের সাথে সহযোগিতা করা যাইবে না।) — মুসলিম
كتاب الإمارة والقضاء
وَعَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خِيَارُ أئمتكم الَّذين يحبونهم وَيُحِبُّونَكُمْ وَتُصَلُّونَ عَلَيْهِمْ وَيُصَلُّونَ عَلَيْكُمْ وَشِرَارُ أَئِمَّتِكُمُ الَّذِي تبغضونهم ويبغضونكم وتلعنوهم ويلعنوكم» قَالَ: قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلَا نُنَابِذُهُمْ عِنْدَ ذَلِكَ؟ قَالَ: «لَا مَا أَقَامُوا فِيكُمُ الصَّلَاةَ لَا مَا أَقَامُوا فِيكُمُ الصَّلَاةَ أَلَا مَنْ وُلِّيَ عَلَيْهِ وَالٍ فَرَآهُ يَأْتِي شَيْئًا مِنْ مَعْصِيَةِ اللَّهِ فَلْيَكْرَهْ مَا يَأْتِي مِنْ مَعْصِيَةِ اللَّهِ وَلَا يَنْزِعَنَّ يَدًا مِنْ طَاعَةٍ» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং: ৩৬৭৩
- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৬৭৩। হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ) বলেন, একবার সালামা ইবনে ইয়াযীদ জু'ফী রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে আল্লাহর নবী।আপনি আমাদিগকে এই সম্পর্কে কি আদেশ করেন? যদি আমাদের উপর এমন শাসক চাপিয়া বসে, যে আমাদের নিকট হইতে নিজেদের প্রাপ্য আদায় করিয়া নিতে চায়, কিন্তু তাহারা আমাদের প্রাপ্য আদায় করিতে অস্বীকার করে? উত্তরে তিনি বলিলেন: তাহাদের আদেশ শ্রবণ কর এবং আনুগত্য কর। কেননা, তাহাদের কর্তব্য তাহাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা আর তোমাদের কর্তব্য হইল তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা। —মুসলিম
كتاب الإمارة والقضاء
وَعَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ: سَأَلَ سَلَمَةُ بْنُ يَزِيدَ الْجُعْفِيُّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ قَامَتْ عَلَيْنَا أُمَرَاءُ يَسْأَلُونَا حَقَّهُمْ وَيَمْنَعُونَا حَقَّنَا فَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: «اسْمَعُوا وَأَطِيعُوا فَإِنَّمَا عَلَيْهِمْ مَا حُمِّلُوا وَعَلَيْكُمْ مَا حُمِّلْتُمْ» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ৪৬৪৬
- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়
১৫. দুই খলিফার জন্য বায়’আত গ্রহণ করা হলে
৪৬৪৬। ওয়াহাব ইবনে বাকিযা ওয়াসেতী (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যদি দুই খলীফার জন্য বায়আত গ্রহণ করা হয় তবে তাদের শেষোক্ত ব্যক্তিকে হত্যা করবে।
كتاب الإمارة
باب إِذَا بُويِعَ لِخَلِيفَتَيْنِ
وَحَدَّثَنِي وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي، نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا بُويِعَ لِخَلِيفَتَيْنِ فَاقْتُلُوا الآخَرَ مِنْهُمَا " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং: ৩৬৭৭
- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৬৭৭। হযরত আরফাজা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেন: অচিরেই বিভিন্ন ধরনের নূতন নূতন বিশৃঙ্খলা ও কলহ-বিবাদের সৃষ্টি হইবে। সুতরাং যে ব্যক্তি এই উম্মতের (উম্মতে মুহাম্মাদীর) ঐক্য ও সংহতির মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করিতে চায় এবং তাহাদের ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাইতে চেষ্টা করে, তলোয়ার দ্বারা তোমরা তাহাকে শায়েস্তা কর। চাই সে যে-কেহই হউক না কেন। —মুসলিম
كتاب الإمارة والقضاء
وَعَنْ عَرْفَجَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّهُ سَيَكُونُ هَنَاتٌ وَهَنَاتٌ فَمَنْ أَرَادَ أَنْ يُفَرِّقَ أَمْرَ هَذِهِ الْأُمَّةِ وَهِيَ جَمِيعٌ فَاضْرِبُوهُ بِالسَّيْفِ كَائِنًا مَنْ كانَ» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক: