ফয়জুল কালাম

পরনারীর ব্যাপারে হুকুম ও পর্দার বিধান -এর বিষয়সমূহ

১২ টি হাদীস

সহীহ বুখারী

হাদীস নং: ৪৮৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৩২
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
২৭৫৫. ‘মাহরাম’ অর্থাৎ যার সাথে শাদী হারাম সে ব্যতীত অন্য কোন পুরুষের সাথে কোন নারী নির্জনে দেখা করবে না এবং স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন নারীর কাছে কোন পুরুষ গমন (হারাম)
৪৮৫৬। কুতায়বা ইবনে সা‘ঈদ (রাহঃ) ......... উকবা ইবনে আমির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। জনৈক আনসারী জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেবরদের ব্যাপারে কি নির্দেশ? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর তো মৃত্যুতুল্য।
كتاب النكاح
باب لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلاَّ ذُو مَحْرَمٍ، وَالدُّخُولُ عَلَى الْمُغِيبَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِيَّاكُمْ وَالدُّخُولَ عَلَى النِّسَاءِ ". فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَرَأَيْتَ الْحَمْوَ. قَالَ " الْحَمْوُ الْمَوْتُ ".

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ৫৪৮৬
- সালামের অধ্যায়
৮. নির্জনে অনাত্মীয়া স্ত্রীলোকের কাছে অবস্থান করা এবং তার কাছে প্রবেশ করা হারাম
৫৪৮৬। ইয়াহয়াহ ইবনে ইয়াহয়া, আলী ইবনে হুজর, ইবনে সাব্বাহ ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সাবধান! কোন পুরুষ কোন প্রাপ্ত বয়স্কা নারীর কাছে কিছুতেই রাত যাপন করবে না; তবে যদি সে তার স্বামী হয় অথবা মাহরাম হয়।
كتاب السلام
باب تَحْرِيمِ الْخَلْوَةِ بِالأَجْنَبِيَّةِ وَالدُّخُولِ عَلَيْهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ لاَ يَبِيتَنَّ رَجُلٌ عِنْدَ امْرَأَةٍ ثَيِّبٍ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ نَاكِحًا أَوْ ذَا مَحْرَمٍ " .

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ৩২৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৩ - ১
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
২. কোন মহিলাকে দেখে কোন পুরুষের মনে যৌন কামনা জাগ্রত হলে সে যেন তার স্ত্রীর অথবা ক্রীতদাসীর সাথে গিয়ে মিলিত হয়
৩২৭৭। আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক মহিলাকে দেখলেন। তখন তিনি তার স্ত্রী যায়নাব (রাযিঃ) এর নিকট আসলেন। তিনি তখন তার একটি চামড়া পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের প্রয়োজন পূরণ করলেন। তারপর বের হয়ে সাহাবীদের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শয়তানের বেশে এবং ফিরে যায় শয়তানের বেশে।* অতএব তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে। কারণ তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেয়। *অর্থাৎ তার আগমন ও প্রস্থান উভয় অবস্থায় শয়তান তার প্রতি পুরুষকে প্রলুব্ধ করে ।
كتاب النكاح
باب نَدْبِ مَنْ رَأَى امْرَأَةً فَوَقَعَتْ فِي نَفْسِهِ إِلَى أَنْ يَأْتِيَ امْرَأَتَهُ أَوْ جَارِيَتَهُ فَيُوَاقِعَهَا
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى امْرَأَةً فَأَتَى امْرَأَتَهُ زَيْنَبَ وَهْىَ تَمْعَسُ مَنِيئَةً لَهَا فَقَضَى حَاجَتَهُ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ " إِنَّ الْمَرْأَةَ تُقْبِلُ فِي صُورَةِ شَيْطَانٍ وَتُدْبِرُ فِي صُورَةِ شَيْطَانٍ فَإِذَا أَبْصَرَ أَحَدُكُمُ امْرَأَةً فَلْيَأْتِ أَهْلَهُ فَإِنَّ ذَلِكَ يَرُدُّ مَا فِي نَفْسِهِ " .

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং: ১১৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১১৭৩
দুগ্ধপান ইত্যাদি সংক্রান্ত অধ্যায়
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
১১৭৪. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, নারী হল গোপন যোগ্য। সে যখন বাইরে বের হয় তখন শয়তান তার দিকে চোখ তুলে তাকায়। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ-গারীব।
أبواب الرضاع عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُوَرِّقٍ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ فَإِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ৩১১৮
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে
৩১১৮। হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ (খোদার কসম ) কোন পুরুষ কোন নারীর সাথে একা হইলেই শয়তান আসিয়া তাহাদের তৃতীয় ব্যক্তি হয় (এবং তাহাদেরকে বিপথগামী করিতে চেষ্টা করে)। —তিরমিযী
كتاب النكاح
وَعَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلَّا كَانَ ثالثهما الشَّيْطَان» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ৩১১৯
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে
৩১১৯। হযরত জাবের (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ যাহাদের স্বামী উপস্থিত নাই তাহাদের নিকট যাইও না। কেননা, শয়তান তোমাদের প্রত্যেকের ভিতর রক্তের ন্যায় বিচরণ করে। আমরা বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আপনার মধ্যেও কি? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, আমার মধ্যেও, তবে আল্লাহ্ আমাকে সাহায্য করেন তাই আমি উহা হইতে রক্ষা পাই। —তিরমিযী
كتاب النكاح
وَعَنْ جَابِرٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَلِجُوا عَلَى الْمُغَيَّبَاتِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنْ أَحَدِكُمْ مَجْرَى الدَّمِ» قُلْنَا: وَمِنْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «وَمِنِّي وَلَكِنَّ الله أعانني عَلَيْهِ فَأسلم» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং: ৮৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৫
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
গোটা আরাফাই উকুফ স্থল।
৮৮৬. মুহামামদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ...... আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) আরাফাতে উকুফ করলেন। পরে বললেনঃ এ হলো আরাফা, এ হলো উকুফ স্থল। আর গোটা আরাফারই উকুফ স্থল। এরপর তিনি সূর্য অস্ত গেলে সেখানে থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন এবং উসামা ইবনে যায়দ কে তাঁর বাহনের পিছনে বসালেন। তিনি স্বীয় অবস্থান থেকে হাত ইশারা করছিলেন। লোকজন ডানে বামে তাদের উটগুলো হাঁকাচ্ছিল। তিনি মুযদালিফায় এলেন, এখানে তিনি তাদেরকে নিয়ে উভয় ওয়াক্ত (মাগরিব ও এশা) নামায এক সঙ্গে আদায় করলেন।, ভোরে তিনি ‘কাযাহ্’ নামক স্থানে এসে অবস্থান করলেন এবং বললেন, এ হলো কাযাহ্; এ-ও উকুফ স্থল, আর মুযদালিফা সারাটাই উকুফের জায়গা। এরপর তিনি ওয়াদী মুহাসসারে এসে পৌছেলেন। তিনি তাঁর উটটিকে বেত দিয়ে মারলেন। ফলে সেটি খুব দ্রুত দৌড়ে সেটি এই উপত্যকাটি অতিক্রম করে গেল, পরে তিনি থামলেন এবং তাঁর পিছনে (ইবনে আব্বাস) ফযল কে বসালেন। এরপর তিনি জামরায় আসলেন এবং এখানে কংকর মারলেন। পরে কুরবানীর জায়গায় আসলেন এবং বললেন, এ হলো, কুরবানী করার স্থান। আর গোটা মিনাই হলো কুরবানী করার স্থান, এই সময় খাছআম গোত্রের এক যুবতী মহিলা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো যে, আমার পিতা অতি বৃদ্ধ। তার উপর আল্লাহর নির্ধারিত হজ্জ ফরয হয়েছে। আমি তার পক্ষ থেকে হজ্জ করলে তা কি আদায় হয়ে যাবে? তিনি বললেন, তোমার পিতার পক্ষ থেকে একটি হজ্জ আদায় করে নাও। আলী (রাযিঃ) বলেন, এই সময় তিনি ফযলের ঘাড় কেন ঘুরিয়ে দিলেন? তিনি বললেন, আমি দেখলাম এরা দু’জন হল যুবক-যুবতী। সুতারাং আমি তাদেরকে শয়তান থেকে নিরাপদ মনে করিনি। এরপর একজন লোক এসে তাঁকে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যে মাথা মুণ্ডনের পূর্বেই তাওয়াফে ইফাযা করে ফেলেছি। তিনি বললেন, মাথা মুণ্ডন করে নাও, কোন অসুবিধা নেই। (অথবা বললেন চুল ছেটে নাও কোন অসুবিধা নেই) রাবী বললেন, আরেক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কংকর মারার আগে আমি যবেহ্ করে ফেলেছি। তিনি বললেন কংকর মেরে নাও, কোন অসুবিধা নেই। আলী (রাযিঃ) বলেন, এরূপ তিনি বায়তুল্লাহ্ এসে তাওয়াফ করলেন। পরে যমযম কূপের কাছে এসে বললেন, হে বনু আব্দুল মুত্তালিব! এই বিষয়ে মানুষ তোমাদের উপর প্রবল হয়ে উঠবে এই আশঙ্কা যদি না হত তবে আমি অবশ্যই তোমাদের সঙ্গে পানি টেনে তুলতাম। এই বিষয় জাবির (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আলী (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ্। আব্দুর রহমান ইবনে হারিস ইবনে আয়াশ - এর সূ্ত্র ছাড়া আলী (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি অন্য কোন সূত্রে বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই। একাধিক রাবী ছাওরী (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। আলিমগণ এতদনুসারে আমল গ্রহণ করেছেন। তারা বলেন, আরাফায় যোহরের ওয়াক্তে যোহর ও আসর একসঙ্গে আদায় করতে হবে। কতক আলিম বলেন। যদি কোন ব্যক্তি নিজের অবস্থান স্থলেই নামায আদায় করে, ইমামের সঙ্গে নামাযে হাযির না হয় তবে সে ইচ্ছা করলে ইমামের মত দুই নামায এক সঙ্গে আদায় করতে পারে। রাবী যায়দ ইবনে আলী হলেন যায়দ ইবনে আলী ইবনে ইবনে হাসান ইবনে আলী ইবনে আবু তালিব।
أبواب الحج عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ أَنَّ عَرَفَةَ كُلَّهَا مَوْقِفٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رضى الله عنه قَالَ وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعَرَفَةَ فَقَالَ " هَذِهِ عَرَفَةُ وَهَذَا هُوَ الْمَوْقِفُ وَعَرَفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ " . ثُمَّ أَفَاضَ حِينَ غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَأَرْدَفَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ وَجَعَلَ يُشِيرُ بِيَدِهِ عَلَى هَيْئَتِهِ وَالنَّاسُ يَضْرِبُونَ يَمِينًا وَشِمَالاً يَلْتَفِتُ إِلَيْهِمْ وَيَقُولُ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ عَلَيْكُمُ السَّكِينَةَ " . ثُمَّ أَتَى جَمْعًا فَصَلَّى بِهِمُ الصَّلاَتَيْنِ جَمِيعًا فَلَمَّا أَصْبَحَ أَتَى قُزَحَ فَوَقَفَ عَلَيْهِ وَقَالَ " هَذَا قُزَحُ وَهُوَ الْمَوْقِفُ وَجَمْعٌ كُلُّهَا مَوْقِفٌ " . ثُمَّ أَفَاضَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى وَادِي مُحَسِّرٍ فَقَرَعَ نَاقَتَهُ فَخَبَّتْ حَتَّى جَاوَزَ الْوَادِيَ فَوَقَفَ وَأَرْدَفَ الْفَضْلَ ثُمَّ أَتَى الْجَمْرَةَ فَرَمَاهَا ثُمَّ أَتَى الْمَنْحَرَ فَقَالَ " هَذَا الْمَنْحَرُ وَمِنًى كُلُّهَا مَنْحَرٌ " . وَاسْتَفْتَتْهُ جَارِيَةٌ شَابَّةٌ مِنْ خَثْعَمٍ فَقَالَتْ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ قَدْ أَدْرَكَتْهُ فَرِيضَةُ اللَّهِ فِي الْحَجِّ أَفَيُجْزِئُ أَنْ أَحُجَّ عَنْهُ قَالَ " حُجِّي عَنْ أَبِيكِ " . قَالَ وَلَوَى عُنُقَ الْفَضْلِ فَقَالَ الْعَبَّاسُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ لَوَيْتَ عُنُقَ ابْنِ عَمِّكَ قَالَ " رَأَيْتُ شَابًّا وَشَابَّةً فَلَمْ آمَنِ الشَّيْطَانَ عَلَيْهِمَا " . ثُمَّ أَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَفَضْتُ قَبْلَ أَنْ أَحْلِقَ . قَالَ " احْلِقْ أَوْ قَصِّرْ وَلاَ حَرَجَ " . قَالَ وَجَاءَ آخَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي ذَبَحْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ . قَالَ " ارْمِ وَلاَ حَرَجَ " . قَالَ ثُمَّ أَتَى الْبَيْتَ فَطَافَ بِهِ ثُمَّ أَتَى زَمْزَمَ فَقَالَ " يَا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لَوْلاَ أَنْ يَغْلِبَكُمُ النَّاسُ عَنْهُ لَنَزَعْتُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَلِيٍّ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشٍ . وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الثَّوْرِيِّ مِثْلَ هَذَا . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ رَأَوْا أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ بِعَرَفَةَ فِي وَقْتِ الظُّهْرِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا صَلَّى الرَّجُلُ فِي رَحْلِهِ وَلَمْ يَشْهَدِ الصَّلاَةَ مَعَ الإِمَامِ إِنْ شَاءَ جَمَعَ هُوَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ مِثْلَ مَا صَنَعَ الإِمَامُ . قَالَ وَزَيْدُ بْنُ عَلِيٍّ هُوَ ابْنُ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلاَمُ .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ৩১২৫
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে
৩১২৫। হযরত হাসান বসরী মুরসালরূপে বর্ণনা করেন যে, (সাহাবীদের নিকট হইতে) আমার নিকট বিশ্বস্ত সূত্রে পৌঁছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ লা'নত করেন (ইচ্ছাকৃত) দৃষ্টিকারী এবং যে (ইচ্ছাকৃতভাবে) দৃষ্টিতে পতিত হয় তাহার প্রতি। —বায়হাকী শোআবুল ঈমানে
كتاب النكاح
وَعَنِ الْحَسَنِ مُرْسَلًا قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَعَنَ اللَّهُ النَّاظِرَ وَالْمَنْظُورَ إِلَيْهِ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
tahqiq

তাহকীক:

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং: ২৭৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৮৬
অনুমতি প্রার্থনা ও বিবিধ শিষ্টাচারের অধ্যায়
আতর লাগিয়ে মেয়েদের বাইরে যাওয়া নিষেধ।
২৭৮৬. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ প্রতিটি চোখ ব্যভিচারী। কোন মহিলা যদি আতর লাগিয়ে কোন মজলিসের পাশ দিয়ে যায় তবে সে হল এমন অর্থাৎ ব্যভিচারিণী।
أبواب الاستئذان والآداب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ خُرُوجِ الْمَرْأَةِ مُتَعَطِّرَةً
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ عِمَارَةَ الْحَنَفِيِّ، عَنْ غُنَيْمِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ عَيْنٍ زَانِيَةٌ وَالْمَرْأَةُ إِذَا اسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ بِالْمَجْلِسِ فَهِيَ كَذَا وَكَذَا يَعْنِي زَانِيَةً " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ৮৬
- ঈমানের অধ্যায়
৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
৮৬। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এরশাদ করেন, আল্লাহ্ পাক যে পরিমাণ যেনা বনি আদমের জন্য লিখে দিয়েছেন, তা অবশ্যই সে করবে। অতএব চোখের যেনা হল দৃষ্টি নিক্ষেপ, মুখের যেনা হল কথা বলা। আর মন চায় ও কামনা করে এবং গুপ্তাঙ্গ তা সত্য বা মিথ্যায় পরিণত করে। মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আদম সন্তানের জন্য তার যেনার হিসাব লেখা আছে, যা সে অবশ্যই করবে। দু'চোখ, তার যেনা হল দেখা। দু'কান, তার যেনা হল শুনা। মুখ, তার যেনা হল কথা বলা। হাত, তার যেনা হল ধরা। পা, তার যেনা হল চলা। অন্তর আকাঙ্ক্ষা করে, বাসনা করে। আর যৌনাঙ্গ তা সত্য বা মিথ্যায় প্রতিপন্ন করে।
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِيْمَانِ بِالْقَدْرِ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ حَظَّهُ مِنَ الزِّنَا أَدْرَكَ ذَلِكَ لَا مَحَالَةَ فَزِنَا الْعَيْنِ النَّظَرُ وَزِنَا اللِّسَانِ الْمَنْطِقُ وَالنَّفْسُ تَمَنَّى وَتَشْتَهِي وَالْفَرْجُ يصدق ذَلِك كُله ويكذبه»

وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ قَالَ: «كُتِبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ نَصِيبُهُ مِنَ الزِّنَا مُدْرِكٌ ذَلِكَ لَا محَالة فالعينان زِنَاهُمَا النَّظَرُ وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ»
tahqiq

তাহকীক:

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং: ২৭৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৭
অনুমতি প্রার্থনা ও বিবিধ শিষ্টাচারের অধ্যায়
হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে যাওয়া।
২৭৭৭. আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) .... ইবনে বুরায়দা তার পিতা বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে মারফু’রূপে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) (আলীকে লক্ষ্য করে) বলেছিলেনঃ হে আলী! দৃষ্টির পর দৃষ্টি দিবে না। প্রথম দৃষ্টি তোমার (ক্ষমাযোগ্য) কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি তোমার (ক্ষমাযোগ্য) নয়।
أبواب الاستئذان والآداب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِي نَظْرَةِ الْفُجَاءَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، رَفَعَهُ قَالَ " يَا عَلِيُّ لاَ تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ فَإِنَّ لَكَ الأُولَى وَلَيْسَتْ لَكَ الآخِرَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ شَرِيكٍ .
tahqiq

তাহকীক:

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ৩১২৪
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে
৩১২৪। হযরত আবু উমামা (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ যে কোন মুসলমানের কোন স্ত্রীলোকের সৌন্দর্যের প্রতি হঠাৎ প্রথম দৃষ্টি পড়িয়া যায়, অতঃপর সে আপন চক্ষু নীচু করে, আল্লাহ্ তাহার জন্য এক এবাদতের সুযোগ সৃষ্টি করেন যাহাতে সে উহার স্বাদ পায়। – আহমদ
كتاب النكاح
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَنْظُرُ إِلَى مَحَاسِنِ امْرَأَةٍ أَوَّلَ مَرَّةٍ ثُمَّ يَغُضُّ بَصَرَهُ إِلَّا أَحْدَثَ اللَّهُ لَهُ عِبَادَةً يَجِدُ حلاوتها» . رَوَاهُ أَحْمد
tahqiq

তাহকীক: