ফয়জুল কালাম

অজুর ফজিলত -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৪৮০
আন্তর্জাতিক নং: ২৫১ -
১৪. কষ্ট সত্ত্বেও পরিপূর্ণভাবে উযু করার ফযীলত
৪৮০। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব (রাহঃ), কুতায়বা ও ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন (কাজের) কথা বলব না, যদ্বারা আল্লাহ তাআলা পাপরাশি দূর করে দিবেন এবং মর্যাদা উচু করে দিবেন? সাহাবায়ে কিরাম আরয করলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেন, তা হল, অসুবিধা ও কষ্ট সত্ত্বেও পরিপূর্ণভাবে উযু করা, মসজিদে আসার জন্য বেশী পদচারণা এবং এক নামাযের পর অন্য নামাযের জন্য অপেক্ষা করা। জেনে রাখ, এটাই হল রিবাত (তথা নিজেকেআটকে রাখা ও শয়তানের মুকাবিলায় নিজেকেপ্রস্তুত রাখা)।
باب فَضْلِ إِسْبَاغِ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، - قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللَّهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ " . قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْخُطَا إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ " .

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৪৭১
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫
১১. উযুর পানির সঙ্গে গুনাহ ঝরে যাওয়া
৪৭১। মুহাম্মাদ ইবনে মা’মার রিবঈ আল-কায়সী (রাহঃ) ......... উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি উযু করে এবং তা উত্তমরূপে করে, তার দেহ থেকে সমুদয় গুনাহ বের হয়ে যায়, এমন কি তার নখের ভিতর থেকেও (গুনাহ) বের হয়ে যায়।
باب خُرُوجِ الْخَطَايَا مَعَ مَاءِ الْوُضُوءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرِ بْنِ رِبْعِيٍّ الْقَيْسِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الْمَخْزُومِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ، - وَهُوَ ابْنُ زِيَادٍ - حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ حُمْرَانَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ جَسَدِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِهِ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:২৮৮
প্রথম অনুচ্ছেদ
২৮৮। হযরত উকবাহ ইবনে আমের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেহেন, যে মুসলিম ব্যক্তি অজু করে এবং তা উত্তমরূপে সম্পন্ন করে তারপর উঠে নিজ অন্তর ও চেহারাকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর দিকে ঝুঁকিয়ে দুই রাকাত নামায পড়ে তার জন্য বেহেশত ওয়াজিব (অবধারিত) হয়ে যায়। —মুসলিম
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ مقبل عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلَّا وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ» . رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৪৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৪ -
৬. উযুর শেষে মুস্তাহাব দুআ
৪৪৬। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম ইবনে মায়মুন (রাহঃ) ......... উকবা ইবনে আমির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের উট চরানোর দায়িত্ব নিজেদের উপরে ছিল। আমার পালা এলে আমি উট চরিয়ে বিকেলে ফিরিয়ে নিয়ে এলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে পেলাম, তিনি দাঁড়িয়ে লোকদের সঙ্গে কথা বলছেন। তখন আমি তাঁর এ কথা শুনতে পেলাম, “যে মুসলমান সুন্দর রূপে উযু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি তার প্রতি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকআত নামায আদায় করে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।” উকবা বলেন, কথাটি শুনে আমি বলে উঠলাম ওহ, কথাটি কত উত্তম! তখন আমার সামনের একজন বলতে লাগলেন, আগের কথাটি আরো উত্তম। আমি সে দিকে তাকিয়ে দেখলাম তিনি উমর (রাযিঃ)। তিনি আমাকে বললেন তোমাকে দেখেছি, এইমাত্র এসেছ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আগে বলেছেন, তোমাদের যে ব্যক্তি কামিল বা পূর্ণরূপে উযু করে এই দুআ পাঠ করবে - “ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নাই, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসুল” তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।
باب الذِّكْرِ الْمُسْتَحَبِّ عَقِبَ الْوُضُوءِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ، - يَعْنِي ابْنَ يَزِيدَ - عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، ح

وَحَدَّثَنِي أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ كَانَتْ عَلَيْنَا رِعَايَةُ الإِبِلِ فَجَاءَتْ نَوْبَتِي فَرَوَّحْتُهَا بِعَشِيٍّ فَأَدْرَكْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا يُحَدِّثُ النَّاسَ فَأَدْرَكْتُ مِنْ قَوْلِهِ " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ مُقْبِلٌ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ " . قَالَ فَقُلْتُ مَا أَجْوَدَ هَذِهِ . فَإِذَا قَائِلٌ بَيْنَ يَدَىَّ يَقُولُ الَّتِي قَبْلَهَا أَجْوَدُ . فَنَظَرْتُ فَإِذَا عُمَرُ قَالَ إِنِّي قَدْ رَأَيْتُكَ جِئْتَ آنِفًا قَالَ " مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ - أَوْ فَيُسْبِغُ - الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ إِلاَّ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:২৯৯
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৯৯। হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমিই প্রথম ব্যক্তি, যাকে রোজ কিয়ামতে সিজদাহ করার অনুমতি দেয়া হবে এবং আমিই প্রথম ব্যক্তি যাকে সিজদাহ হতে মস্তক তোলার জন্য অনুমতি দেয়া হবে। তারপর আমি আমার সামনে দৃষ্টিপাত করব এবং সমস্ত উম্মতের মধ্য হতে আমার উম্মতকে চিনে নেব। অতঃপর আমার পিছনেও সেরূপ; ডানেও সেরূপ এবং বামেও সেরূপ (চিনে নেব)। একব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কিভাবে নূহ হতে আপনার উম্মত পর্যন্ত এত উম্মতের মধ্যে আপনার উম্মতকে চিনতে পারবেন? রাসূলে পাক (ﷺ) বললেন, আমার উম্মতের অজুর চিহ্নস্বরূপ ধবধবে সাদা ললাট এবং ধবধবে হাত পা বিশিষ্ট হবে। আর কেউ এরূপ হবে না। এছাড়া আমি তাদেরকে এভাবেও চিনব যে, তারা তাদের আমলনামা ডান হাতে পাবে। তাছাড়া তাদেরকে আমি এভাবেও চিনব যে, তাদের সন্তান-সন্ততিগণ তাদের সামনে ছুটাছুটি করবে। -আহমদ
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
عَن أبي الدَّرْدَاء قَالَ: قَالَ رَسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (أَنَا أَوَّلُ مَنْ يُؤْذَنُ لَهُ بِالسُّجُودِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ يُؤْذَنُ لَهُ أَنْ يرفع رَأسه فَأنْظر إِلَى بَيْنَ يَدِي فَأَعْرِفُ أُمَّتِي مِنْ بَيْنِ الْأُمَمِ وَمِنْ خَلْفِي مِثْلُ ذَلِكَ وَعَنْ يَمِينِي مِثْلُ ذَلِك وَعَن شمَالي مثل ذَلِك . فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَعْرِفُ أُمَّتَكَ مِنْ بَيْنِ الْأُمَمِ فِيمَا بَيْنَ نُوحٍ إِلَى أُمَّتِكَ؟ قَالَ: «هُمْ غُرٌّ مُحَجَّلُونَ مِنْ أَثَرِ الْوُضُوءِ لَيْسَ أَحَدٌ كَذَلِكَ غَيْرَهُمْ وَأَعْرِفُهُمْ أَنَّهُمْ يُؤْتونَ كتبهمْ بأيمانهم وأعرفهم يسْعَى بَين أَيْديهم ذُرِّيتهمْ» . رَوَاهُ أَحْمد
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান