ফয়জুল কালাম

নবিজির প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠানোর ফজিলত -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সুনানে নাসায়ী

হাদীস নং:১২৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ১২৯৭
নবী (ﷺ) এর উপর দরুদ পাঠের ফযীলত।
১৩০০। ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তাআলা তার উপর দশবার রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে এবং তাঁর জন্য দশটি মর্যাদা উন্নীত করা হবে।
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى عَلَىَّ صَلاَةً وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرَ صَلَوَاتٍ وَحُطَّتْ عَنْهُ عَشْرُ خَطِيئَاتٍ وَرُفِعَتْ لَهُ عَشْرُ دَرَجَاتٍ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:৪৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৪
নবী (ﷺ) এর উপর সালাত (দরূদ) পাঠের ফযীলত।
৪৮৪. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি আমার উপর অধিক নামায পাঠ করে, কিয়ামতের দিন সে-ই আমার অধিকতর নিকটবর্তী থাকবে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেন: এই হাদীসটি হাসান-গারীব। রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি আমার উপর একবার সালাত (দরূদ) পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার উপর দশবার রহমত করবেন এবং তার দশটি নেকী লেখা হবে।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الصَّلاَةِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، بُنْدَارٌ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ ابْنُ عَثْمَةَ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَيْسَانَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ شَدَّادٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَوْلَى النَّاسِ بِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُهُمْ عَلَىَّ صَلاَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَرُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ صَلَّى عَلَىَّ صَلاَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا وَكَتَبَ لَهُ بِهَا عَشْرَ حَسَنَاتٍ " .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৯২৪
১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী (ﷺ)-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা
৯২৪। হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ্ পাকের কিছুসংখ্যক ফিরিশতা আছেন যারা দুনিয়ায় ভ্রমণ করে আমার উম্মতের সালাম আমার নিকট পৌঁছে দেয়। —নাসায়ী, দারেমী
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِلَّهِ مَلَائِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الْأَرْضِ يُبَلِّغُونِي مِنْ أُمَّتِيَ السَّلَامَ» . رَوَاهُ النَّسَائِيّ والدارمي
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৯৩৪
১৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী (ﷺ)-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা
৯৩৪। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে আমার কবরের কাছে এসে আমার উপর দরূদ পড়বে, আমি তা প্রত্যক্ষভাবে শ্রবণ করব, আর যে দূরে থেকে আমার উপর দরূদ পড়বে তা আমার নিকট পৌঁছে দেয়া হবে। —বায়হাকী, শোআবুল ঈমানে।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُهُ وَمَنْ صَلَّى عَلَيَّ نَائِيًا أُبْلِغْتُهُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شعب الْإِيمَان
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:২৪৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫৭
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৬০. হান্নাদ (রাহঃ) ..... তুফায়ল ইবনে উবাই ইবনে কা‘ব তার পিতা উবাই ইবনে কা‘ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাত্রির দুই তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উঠে দাঁড়াতেন। বলতেনঃ হে লোক সকল, তোমরা আল্লাহকে স্মরণ কর, তোমরা আল্লাহকে স্মরণ কর, প্রথম শিংগা ধ্বনির সময় আসছে তাকে অনুসরণ করবে পরবর্তী শিংগা ধ্বনি। মৃত্যু তার সব ভয়াবহতা নিয়ে সমাগত, মৃত্যু তার সব কিছু নিয়ে সমাগত। উবাই (রাযিঃ) বললেনঃ আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি আপনার উপর অধিক হারে দরূদ পাঠ করে থাকি। আমার সময়ের কতটুকু আপনার প্রতি দরূদ পাঠে ব্যয় করব? তিনি বললেনঃ তোমার যতটুকু ইচ্ছা। আমি বললামঃ এক চতুর্থাংশ সময়? তিনি বললেনঃ তোমার ইচ্ছা। কিন্তু যদি আরো বাড়াও তবে ভাল। আমি বললামঃ অর্ধেক সময়? তিনি বললেনঃ তোমার যা ইচ্ছা; তবে আরো বৃদ্ধি করলে তা-ও ভাল। আমি বললামঃ দুই তৃতীয়াংশ সময়? তিনি বললেণঃ তোমার ইচ্ছা; তবে আরো বাড়ালে তাও ভাল। আমি বললামঃ আমার সবটুকু সময় আপনার উপর দরূদ পাঠে লাগাব? তিনি বললেনঃ তাহলে তো তোমার চিন্তামুক্তির জন্য তা যথেষ্ট হয়ে যাবে আর তোমার গুনাহ মাফ করা হবে।
بَابٌ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا ذَهَبَ ثُلُثَا اللَّيْلِ قَامَ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ اذْكُرُوا اللَّهَ اذْكُرُوا اللَّهَ جَاءَتِ الرَّاجِفَةُ تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ جَاءَ الْمَوْتُ بِمَا فِيهِ جَاءَ الْمَوْتُ بِمَا فِيهِ " . قَالَ أُبَىٌّ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُكْثِرُ الصَّلاَةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلاَتِي فَقَالَ " مَا شِئْتَ " . قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ . قَالَ " مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ " . قُلْتُ النِّصْفَ . قَالَ " مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ " . قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ . قَالَ " مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ " . قُلْتُ أَجْعَلُ لَكَ صَلاَتِي كُلَّهَا . قَالَ " إِذًا تُكْفَى هَمَّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:৪৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৬
নবী (ﷺ) এর উপর সালাত (দরূদ) পাঠের ফযীলত।
৪৮৬. আবু দাউদ সুলাইমান ইবনে মুসলিম আল-মুসহিফী আল-বালখী (রাহঃ) ...... উমর উবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ)-এর উপর সালাত (দরূদ) পাঠ না করা পর্যন্ত দুআ আসমান ও যমীনের মাঝে মউকুফ অবস্থায় থাকে এবং এর কিছুই আল্লাহর নিকটে উত্থিত হয় না।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الصَّلاَةِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، سُلَيْمَانُ بْنُ سَلْمٍ الْمَصَاحِفِيُّ الْبَلْخِيُّ أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، عَنْ أَبِي قُرَّةَ الأَسَدِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ إِنَّ الدُّعَاءَ مَوْقُوفٌ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ لاَ يَصْعَدُ مِنْهُ شَيْءٌ حَتَّى تُصَلِّيَ عَلَى نَبِيِّكَ صلى الله عليه وسلم .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৯২৭
১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী (ﷺ)-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা
৯২৭। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সে অপমানিত হউক, যার নিকট আমার নামোচ্চারণ করলে সে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করে না। অপমানিত হউক সে, যার নিকট রমজান মাস এসে তারা গুনাহ মাফের ব্যবস্থা ছাড়াই চলে যায় এবং অপমানিত হউক সে, যার নিকট তার পিতামাতা উভয় কিংবা তাদের একজন বার্ধক্যে উপনীত অথচ তাকে পিতামাতা বেহেশতে পৌঁছায় না। (অর্থাৎ পিতামাতার খেদমত দ্বারা বেহেশত লাভের উপযোগী হয় না।) –তিরমিযী
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ دَخَلَ عَلَيْهِ رَمَضَانُ ثُمَّ انْسَلَخَ قَبْلَ أَنْ يُغْفَرَ لَهُ وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ أَدْرَكَ عِنْدَهُ أَبَوَاهُ الْكبر أَو أَحدهمَا فَلم يدْخلَاهُ الْجنَّة» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:৩৫৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৪৬
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বাণীঃ (ঐ ব্যক্তির নাক ধূলিমলিন হোক)
৩৫৪৬. ইয়াহয়া ইবনে মুসা ও যিয়াদ ইবনে আইয়ুব (রাহঃ) ..... আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কৃপন সেই ব্যক্তি, যার নিকট আমার উল্লেখ করা হল কিন্তু সে আমার উপর দরুদ পাঠ করল না। (আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।
باب قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ " .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، وَزِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْبَخِيلُ الَّذِي مَنْ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَىَّ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান