ফয়জুল কালাম

আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৩৮
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৩৮। হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, দু'টি ব্যাপার (অপর দু'টি ব্যাপারকে) অবধারিত করে দেয়। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে অবধারিত ব্যাপার দু'টি কি? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করে মৃত্যুবরণ করে, সে নিশ্চিতরূপে জাহান্নামে যাবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার না বানিয়ে মৃত্যুবরণ করবে, সে নিশ্চিতরূপে জান্নাতে যাবে। (মুসলিম)
الفصل الثالث
وَعَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ثِنْتَانِ مُوجِبَتَانِ. قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الْمُوجِبَتَانِ؟ قَالَ: (مَنْ مَاتَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا دَخَلَ النَّارَ وَمَنْ مَاتَ لَا يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئا دخل الْجنَّة)

(رَوَاهُ مُسلم)
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০ -
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৫০। হাদ্দাব ইবনে খালিদ আল আযদী (রাহঃ) ......... মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি এক সময় নবী (ﷺ) -এর বাহনের পিছনে বসা ছিলাম। আমার ও নবী (ﷺ) -এর মাঝে হাওদার কাঠখণ্ড ছাড়া আর কোন ব্যবধান ছিল না। নবী (ﷺ) বললেন, হে মু’আয ইবনে জাবাল! আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! বান্দা হাযির; আপনার আনুগত্য শিরোধার্য! তারপর তিনি কিছুদুর অগ্রসর হয়ে আবার বললেন, হে মু’আয ইবনে জাবাল! আমি বললাম, বান্দা আপনার খেদমতে হাযির, আপনার আনুগত্য শিরোধার্য, হে আল্লাহর রাসুল! তারপর তিনি কিছুদুরে আগ্রসর হয়ে আবার বললেন, হে মু’আয ইবনে জাবাল! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! বান্দা আপনার খেদমতে হাযির, আপনার আনুগত্য শিরোধার্য। তিনি বললেন, তুমি কি জানো বান্দার উপর আল্লাহ তাআলার কী হক রয়েছে? আমি আরয করলাম, আল্লাহ এবং তার রাসুলই তা ভাল জানেন। নবী (ﷺ) বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক এই যে, তারা তাঁর ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কোন কিছুকে শরীক করবে না। তারপর কিছুদুর চললেন। নবী (ﷺ) আবার বললেন, হে মু’আয ইবনে জাবাল। আমি আরয করলাম, বান্দা আপনার খেদমতে হাযির, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার আনুগত্য শিরোধার্য। নবী (ﷺ) বললেন, তুমি কি জানো, এগুলো করলে আল্লাহর কাছে বান্দার কী হক আছে? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভাল জানেন। নবী (ﷺ) বললেন, আল্লাহ তাআলা তাকে শাস্তি দিবেন না।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ كُنْتُ رِدْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ إِلاَّ مُؤْخِرَةُ الرَّحْلِ فَقَالَ " يَا مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ " . قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ . ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ " يَا مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ " . قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ . ثُمَّ سَارَ سَاعَةَ ثُمَّ قَالَ " يَا مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ " . قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ . قَالَ " هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ اللَّهِ عَلَى الْعِبَادِ " . قَالَ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " فَإِنَّ حَقَّ اللَّهِ عَلَى الْعِبَادِ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا " . ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ " يَا مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ " . قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ . قَالَ " هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللَّهِ إِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ " . قَالَ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " أَنْ لاَ يُعَذِّبَهُمْ " .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৬১
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ ও মুনাফিক্বীর নিদর্শন
৬১। হযরত মুআয (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে দশটি অসিয়ত করেছেনঃ ১। তােমাকে যদি হত্যাও করা হয় বা জ্বালিয়ে দেয়া হয় তবুও আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না, ২। পিতা-মাতার অবাধ্য হয়ো না যদিও তাঁরা তোমাকে পরিবার পরিজন ও ধনমাল থেকে সরে যেতে আদেশ দেন, ৩। স্বেচ্ছায় ফরয নামায তরক করো না, কেননা যে ইচ্ছাকৃত ফরয নামায তরক করে তার ব্যাপারে আল্লাহর কোন দায়িত্ব থাকে না, ৪। মদ পান করো না, কারণ তা সর্বপ্রকার অশ্লীলতার উৎস, ৫। পাপাচার বর্জন কর, কেননা পাপের কারণে আল্লাহর অসন্তুষ্টি নেমে আসে, ৬। ময়দানে জেহাদ থেকে পলায়ন করো না যদিও সবাই নিহত হয়ে যায়, ৭। মহামারী লাগলে (পূর্ব থেকে) যদি তুমি সেখানে থাক তাহলে সেখানে অবস্থান কর, ৮। তোমার সামর্থ্য পরিমাণ পরিবার পরিজনের জন্য ব্যয় কর, ৯। তাদের সদাচার শিক্ষা দান এবং শাসন করা থেকে হাত গুটিয়ে রেখ না, ১০। তাদের আল্লাহর ভয় দেখাও। (আহমদ)
باب الكبائر وعلامات النفاق - الفصل الثالث
عَنْ مُعَاذٍ قَالَ: أَوْصَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَشْرِ كَلِمَاتٍ قَالَ لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ شَيْئًا وَإِنْ قُتِلْتَ وَحُرِّقْتُ وَلَا تَعُقَّنَّ وَالِدَيْكَ وَإِنْ أَمَرَاكَ أَنْ تَخْرُجَ مِنْ أَهْلِكَ وَمَالِكَ وَلَا تَتْرُكَنَّ صَلَاةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَإِنَّ مَنْ تَرَكَ صَلَاةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ ذِمَّةُ اللَّهِ وَلَا تَشْرَبَنَّ خَمْرًا فَإِنَّهُ رَأَسَ كُلِّ فَاحِشَةٍ وَإِيَّاكَ وَالْمَعْصِيَةَ فَإِنَّ بالمعصية حل سخط الله عز وَجل وَإِيَّاكَ وَالْفِرَارَ مِنَ الزَّحْفِ وَإِنْ هَلَكَ النَّاسُ وَإِذا أصَاب النَّاس موتان وَأَنت فيهم فَاثْبتْ وَأنْفق عَلَى عِيَالِكَ مِنْ طَوْلِكَ وَلَا تَرْفَعْ عَنْهُمْ عَصَاكَ أَدَبًا وَأَخِفْهُمْ فِي اللَّهِ. رَوَاهُ أَحْمَدُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:২৩৩৬
২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৩৬। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, হে আদম সন্তান! যাবৎ তুমি আমাকে ডাকিবে এবং আমার ক্ষমার আশা রাখিবে আমি তোমাকে ক্ষমা করিব তোমার অবস্থা যাহাই হউক না কেন—আমি কাহারও পরওয়া করি না। আদম সন্তান! তোমার গোনাহ যদি আকাশ পর্যন্তও পৌঁছে, অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাহ, আমি তোমাকে ক্ষমা করিব, আমি কাহারও পরওয়া করি না। আদম সন্তান! তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গোনাহ্ লইয়াও আমার সাক্ষাৎ কর এবং আমার সাথে কাহাকেও শরীক না করিয়া আমার সাক্ষাৎ কর, আমি পৃথিবী পরিমাণ ক্ষমা লইয়া তোমার নিকট উপস্থিত হইব। —তিরমিযী।
الْفَصْل الثَّانِي
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ مَا دَعَوْتَنِي وَرَجَوْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ عَلَى مَا كَانَ فِيكَ وَلَا أُبَالِي يَا ابنَ آدمَ إِنَّك لَوْ بَلَغَتْ ذُنُوبُكَ عَنَانَ السَّمَاءِ ثُمَّ اسْتَغْفَرْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ وَلَا أُبَالِي يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ لَوْ لَقِيتَنِي بِقُرَابِ الْأَرْضِ خَطَايَا ثُمَّ لَقِيتَنِي لَا تُشْرِكُ بِي شَيْئًا لَأَتَيْتُكَ بِقُرَابِهَا مغْفرَة . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা